Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • FDI: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    FDI: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত আর্থিক সংস্কারের ধারা। মিলতে শুরু করেছে তার সুফলও। তার জেরে ভারতে বাড়ছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (FDI) পরিমাণ। শনিবার কেন্দ্রের তরফে শোনানো হয়েছে এই সুখবর। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি আর্থিকবর্ষে (Fiscal Year) ভারতে (India) প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সংস্কার ও ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ওই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল সব চেয়ে বেশি, ৮৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে এটাই বেড়ে হতে পারে ১০০ বিলিয়ন।

    ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, তা আসবে বিশ্বের ১০১টি দেশ থেকে। বিনিয়োগ হবে দেশের ৫৭টি সেক্টরে। লগ্নিকারীরা লগ্নি করবেন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৩১টি জায়গায়। ওই মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক সংস্কার ও ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের কারণে চলতি অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি টানাই লক্ষ্য সরকারের। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সরকার মুক্ত ও স্বচ্ছতার নীতি নিয়েছে। বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় রুটের অধীনে ভারতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ ক্ষেত্র খুলে রাখা হয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য।

    আরও পড়ুন :বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারে দুটো রুটে। একটি স্বয়ংক্রিয়, অন্যটি সরকারি। স্বয়ংক্রিয় রুটে বিনিয়োগ করতে হলে বিনিয়োগকারীকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কিংবা সরকারের অনুমতি নিতে হয় না। আর সরকারি রুটে দেশে বিনিয়োগ করতে হলে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে নির্দেশিকা ও নিয়মবিধির মুক্তিকরণ। যার জেরে বিনিয়োগকারী সহজেই এ দেশে ব্যবসা করতে পারে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে খেলনা আমদানি কমেছিল ৭০ শতাংশ। আর রফতানি বেড়েছিল ৬১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Gyanvapi Case: শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করতে হবে কার্বন ডেটিং পরীক্ষা! আবেদন গৃহীত আদালতে

    Gyanvapi Case: শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করতে হবে কার্বন ডেটিং পরীক্ষা! আবেদন গৃহীত আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীতে (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (Kashi Viswanath Temple) পাশেই অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri) পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি চলাকালীন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন ওই মসজিদের ভিতরে ‘প্রাপ্ত শিবলিঙ্গের’ বয়স নির্ধারণের জন্য কার্বন ডেটিং (Carbon Dating) পরীক্ষার আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে। জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেশ জানান, আগামী বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হবে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু
     
    মুসলিম আবেদনকারীরা মামলার পরবর্তী শুনানির আগে প্রস্তুতির জন্য ৪ সপ্তাহ সময় চেয়েছিল। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় মামলার শুনানি চলতে থাকবে। আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। আদালত আগেই জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদটিকে মন্দিরে রুপান্তরিত করতে নয়, বরং সারা বছর বিতর্কিত সম্পত্তিতে পুজো করার অধিকার চেয়েছেন হিন্দু মহিলারা। ১৯৯১ সালের আইনের অধীনে উপাসনালয়গুলিকে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে দেওয়ার কথা বলা হয়। এর মধ্যে একমাত্র ব্যাতিক্রম ছিল বাবরি মসজিদ।  তাই যদি জ্ঞানবাপী মসজিদের নির্মাণে হাত না দেওয়া হয় তাহলে তা আইন ভাঙে না এমনই জানায় আদালত।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আদালত নিযুক্ত সমীক্ষক দল জ্ঞানবাপীর ওজুখানার জলাধারে যে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পেয়েছে, আমরা তার বয়স নির্ধারণের জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছি।’’ বিচারক বিশ্বেশ সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন,‘‘১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যায় না। কিন্তু ওই আইনে কোথাও বলা নেই, ধর্মস্থানের প্রকৃত চরিত্র নির্ধারণ করা যাবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MiG-21: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    MiG-21: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর নয়, এবার অবসরের পালা। বেলাশেষেও নিজের জাত চিনিয়েছিল ‘মিগ ২১’-র (single-engine MiG-21) ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন। তিনবছর আগে ২০১৯ সালে এই স্কোয়াড্রনের বিমান নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পাকিস্তানের এফ-১৬ ফাইটার জেটকে গুলি করে নামিয়েছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু বয়স হয়েছে। তাই আর পারছে না মিগ-২১। বারবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে বায়ুসেনার এই বিমান। তাই সরে যেতে হবে এবার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর আকাশে উড়বে না ‘মিগ ২১’-র ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন। শ্রীনগরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে মোতায়েন এই স্কোয়াড্রনের নাম দেওয়া হয়েছিল  ‘সোর্ড আর্মস’। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) গর্ব করে এই নাম দেয়।

    আরও পড়ুন: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘মিগ ২১’ যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখনও রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নেবে এর একটি। ২০৩০-র মধ্যে ধাপে ধাপে অবসর নেবে আরও ৩টি স্কোয়াড্রন। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (Russia) তৈরি করে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধের পর এই ফাইটার জেটগুলি কেনে বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    যুদ্ধে বারবার নিজের দাপট দেখালেও মাঝেমাঝেই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে বায়ুসেনার মিগ-২১। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪০০-র বেশি বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে মিগ-২১। উল্লেখ্য, অভিনন্দন যে বিমান নিয়ে মাঝ আকাশে পাক যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ডগ ফাইট করেন সেই মিগ-২১ বাইসনও ভেঙে পড়ে। বিমান থেকে বেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে পড়েন অভিনন্দন। সেখানে পাক সেনা বন্দি করেছিল তাঁকে। পরে অবশ্য চাপের মুখে পড়ে বায়ুসেনার এই অফিসারকে ভারতকে ফিরিয়ে দেয় ইসলামাবাদ। গত বছর ৫ বার দুর্ঘটনায় পড়ে মিগ-২১। মৃত্যু হয় ২ জন পাইলটের। চলতি বছরের ১৭ মার্চ গোয়ালিয়র এয়ারবেসে টেক-অফের পরই ভেঙে পড়ে মিগ-২১। প্রাণ হারান গ্রুপ ক্যাপ্টেন আশিস গুপ্ত। গত ২০ মে রাজস্থানের সুরাটগড়ে  মিগ ভেঙে মৃত্যু হয় ২৮ বছরের স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress President Polls: মিলল সোনিয়ার সম্মতি, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অশোক-শশী লড়াই?

    Congress President Polls: মিলল সোনিয়ার সম্মতি, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অশোক-শশী লড়াই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লড়াইয়ের ময়দানে এখনও নেই গান্ধী (Gandhi) পরিবার। তাই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (Congress President Polls) এবার দ্বৈরথ হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে। এই দু জনের মধ্যে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দীর্ঘ দিন পরে তা হবে ইতিহাস। কারণ গান্ধী পরিবার বাইরের কারও হাতে যেতে চলেছে কংগ্রেস সভাপতির রাশ।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে গোহারা হারার পর হারের দায় স্বীকার করে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। সেই থেকে শূন্য পড়ে রয়েছে পদটি। অস্থায়ীভাবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার জেরে তিনি আর ওই পদে বসতে চান না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, রাহুল ওই পদে লড়তে রাজি নন। সেক্ষেত্রে ওই পদে লড়ার কথা গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ হিসেবে খ্যাত জি-২৩র সদস্য শশী থারুর। জানা গিয়েছে, সোমবার শশী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান। সূত্রের খবর, সেখানে সোনিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা বলার পরে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন শশী। তখনই তাঁকে ওই পদে লড়তে সবুজ সংকেত দেন সোনিয়া। তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশীকে সোনিয়া সাফ জানিয়ে দেন, তিনি চাইলে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তেই পারেন। সোনিয়া-শশীর এই বৈঠকের আগে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ একটি ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, দলের গঠনমূলক সংস্কার চেয়ে কংগ্রেসের তরুণ সদস্যরা একটি আবেদন প্রচার করেছে। সেই আবেদনে ইতিমধ্যেই ৬৫০ জন স্বাক্ষর করেছেন। এই আবেদনকে আমি সমর্থন করতে পেরে খুশি।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    এদিকে, সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীকে ওই পদে লড়ার ব্যাপারে রাজি করাতে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অশোক গেহলট। দিন কয়েক আগে সেকথা স্বীকারও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তিনি এখনও রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এও বলেছিলেন, তিনি সোনিয়া ও রাহুলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবেই থাকতে চান। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন হবে ১৭ অক্টোবর। ফল ঘোষণা হবে তার ঠিক দুদিন পরে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajasthan Turmoil: রাজস্থানে কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? প্রশ্ন বিজেপির

    Rajasthan Turmoil: রাজস্থানে কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajathan Crisis) শাসক কংগ্রেসের অভ্যন্তরে অসন্তোষ নিয়ে চুপ বিজেপি (BJP) শিবির। পরিস্থিতির উপর শান্ত মাথায় নজর রাখছেন রাজস্থানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (BJP state president Satish Poonia)। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বিজেপি শিবির উল্লসিত। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে গেহলট বনাম পাইলট বিবাদ ফের প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজস্থানে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সুবিধা হয়ে গেল, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    রাজস্থানের বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোরের কথায়, কংগ্রেসের অশোক গেহলট অনুগামী বিধায়করা যখন ইস্তফা দেওয়ার কথা বলছেন, তখন তাঁরা নিয়ম মেনে স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিন। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীরও উচিত বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়া। রাঠোরের বক্তব্য, ‘‘অশোক গেহলট সরকারের সূচনাই হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে। বিবাদের জেরে মন্ত্রী, বিধায়করা রাজ্যের কাজ ছেড়ে হোটেলে গিয়ে বসে আছেন। যা রাজ্যবাসীর পক্ষে ঠিক নয়।’’ স্পিকারেরও উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া অভিমত রাঠোরের।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, “কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? যদি কংগ্রেস সরকার চালাতে না পারে তাহলে তারা ছেড়ে দিক। স্পিকারেরও উচিত বিধায়করা যদি নিজেরা ইস্তফা দেন তাহলে তা গ্রহণ করা।” রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট প্রসঙ্গে সতীশ জানান, বিজেপির দরজা সচিনের জন্য কখনওই বন্ধ হয়ে যায়নি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। গত দেড় বছর ধরে সচিন যেভাবে শান্ত মাথায় সবকিছু মেনে নিয়েছেন তারও প্রশংসা করে বিজেপি।

    রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুণেওয়ালা। তাঁর ট্যুইট, ‘রাজস্থানে যুযুধান গোষ্ঠীগুলির মধ্যস্থতার ভার কমলনাথকে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাবের আর কি কিছু অবশিষ্ট রয়েছে? তাঁরা কি তাঁদের অদক্ষতা স্বীকার করবেন?’ মধ্যপ্রদেশে দলের ভাঙন এড়াতে ব্যর্থ কমল নাথ। তিনি নেবেন রাজস্থানের দায়িত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এক প্রেমিকার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক। আর এর ফলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হল সেই প্রেমিককে। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিককে শাস্তি দিতে নিজেই পরিকল্পনা করে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে খুন করলেন সেই তরুণী। ফলে তিন বন্ধু-সহ ওই তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)।

    জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী যুবক একজন চিকিৎসক ও তাঁর নাম বিকাশ রাজন ও তরুণীর নাম প্রতিভা। রাজন ইউক্রেন থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাক্টিস শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি বিদেশে যেসব পড়ুয়ারা ডাক্তারি পড়তে যেতে আগ্রহী তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় প্রতিভা নামে এক আর্কিটেকচারের সঙ্গে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা লিভ-ইন রিলশনে থাকতে শুরু করেন ও বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি দুই পরিবার থেকেও বিয়ের কথা মেনে নিয়েছিল। আর এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে গেল।

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রীতিমতো হতবাক তদন্তকারীরা। কারণ প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, একদিন হঠাৎ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন রাজন। সেখানে প্রথমে কোমায় চলে যান। এরপর তিনদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তখন এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামলে তাঁর মৃত্যুর পেছনের আসল সত্য জানতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও আসল সত্য লুকোতে পারেননি প্রতিভা।

    জানা যায়, একদিন রাজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা নিজের নগ্ন ছবি দেখে ফেলেছিলেন প্রতিভা। তারপর এই বিষয়ে রাজনকে জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে মজা করতেই এমন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে। এরপর নিজের বন্ধুর বাড়িতে রাজনকে ডাকেন। আর সেখানেই লাঠি নিয়ে রাজনের উপর চড়াও হন ও তাঁকে মারধর করে প্রতিভা ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর গুরুতর আহত হয়ে অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিভা। সেখানেই মৃত্যু হয় রাজনের। ইতিমধ্যেই প্রতিভা ও তার তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Foodgrains Procurement: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?  

    Foodgrains Procurement: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও খাদ্যশস্য সংগ্রহের (Foodgrains Procurement) কাজে লাগানো হবে। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI) এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যে অচিরেই আহ্বান জানানো হবে বেসরকারি সংস্থাকে। সোমবার এমনই জানালেন খাদ্য সচিব (Food Secretary) সুধাংশু পাণ্ডে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে।

    এদিন রোলার ফ্লাওয়ার মিলারর্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ৮২ তম বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন সুধাংশু পাণ্ডে। তিনি  বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে দুটো স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এক, রাজ্য সরকার যে পরিমাণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ তার জন্য দেওয়া হবে ২ শতাংশ করে। আর দ্বিতীয়ত, খাদ্যশস্য সংগ্রহের খরচ কমাতে কাজে লাগানো হবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে। খাদ্য সচিব বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলিকে যুক্ত করতে চাই। তাঁর প্রশ্ন, কেন কেবল ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে?

    আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    সম্প্রতি খাদ্য সচিব ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেখানে দেখলাম বেসরকারি কোম্পানিগুলি অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ করছে। সুধাংশু বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি যদি খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ কম খরচে এবং অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে, তাহলে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। খাদ্য সচিব বলেন, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিগুলি ছাড়াও খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে বেসরকারি উদ্যোগকে কাজে লাগাতে বলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। আগামী মরশুমে যাতে বেসরকারি উদ্যোগকে এ ব্যাপারে যুক্ত করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। সুধাংশু জানান, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বছরে ৯ কোটি টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে। যদিও চাহিদা রয়েছে ৬ কোটি টনের। প্রসঙ্গত, খাদ্যশস্য, বিশেষত ধান এবং গম নূন্যতম সহায়ক মূল্যে সরাসরি কৃষকদের থেকে কেনা হয়। পরে সেটাই বিলি করা হয় দরিদ্র কল্যাণমূলক প্রকল্পে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে (Jignesh Mevani) ছ মাসের কারাদণ্ড দিল আমেদাবাদ আদালত (Ahmedabad Court)। ২০১৬ সালের একটি মামলায় সাজা দেওয়া হল গুজরাটের এই দলিত নেতাকে। কেবল জিগনেশ নন, ওই মামলায় আরও ১৮ জনকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস।

    গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবন তৈরির সময় ভবনের নাম সংবিধান রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তা অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় জিগনেশ সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায়ই এদিন রায় দিল আদালত। তবে এদিন সাজা দেওয়া হয়েছে জিগনেশ সহ মোট ১৯ কে। কারণ বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। তবে জিগনেশদের সাজা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। তাঁরা যাতে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, তাই কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিকে, সম্প্রতি আমেদাবাদের ভাস্ত্রালে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিগেনশ। জিগনেশ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন তফশিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। আচমকাই জিগনেশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ট্যুইটবার্তায় জিগনেশের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজার মদতপুষ্ট গুন্ডা বাহিনীই ওই হামলা চালিয়েছিল।

    দলিত মুখ হিসেবেই রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান ঘটেছিল জিগনেশের। ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কংগ্রেসে যোগ দেন। মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হার্দিক প্যাটেল। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় জিগনেশের ওপর। সেই জিগনেশেরেই কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় ভোটের আগে যারপরনাই বিব্রত গুজরাট কংগ্রেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কার্যকালের বয়স মাত্র ১৩ দিন। সপ্তাহ দুয়েকেরও কম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাজে। এনভি রমানার (NV Ramana) অবসরের পরে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তার পরেই কার্যত কাজের জোয়ার এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে উদ্ধৃত করে দেশের শীর্ষ আদালতের (Apex Court) প্রধান বিচারপতি ললিত জানান গত ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ হাজার ২০০ মামলার। এই সময় সীমার মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি নতুন মামলা।

    কিছু দিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ললিত। তাঁর তিন প্রজন্মই রয়েছেন আইনি পেশায়। অবসর গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি পদে ললিতের নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। রামানার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ললিত। তিন মাসেরও কম সময়ের জন্য ওই পদে থাকবেন তিনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অবসরের বয়স ৬৫ বছর। এই সময়ের মধ্যেই যে তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা, শপথ গ্রহণের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ললিত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যে জোয়ার এসেছে, তা স্পষ্ট তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই।

    আরও পড়ুন : ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা সভার। সভার আয়োজন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেই। যোগ দিয়ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ (এত মামলার নিষ্পত্তি) সম্ভব হত না। প্রধান বিচারপতি জানান, অনেক বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রচুর মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু মামলা শেষ মুহূর্তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেগুলি আমার বিচারপতি ভাইয়েরা দক্ষ হাতে সামলেছেন। নয়া ব্যবস্থায় বিচারপতিদের একাংশ খুশি নন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ললিত বলেন, বিচারপতিরা অখুশি, এটা ঠিক নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share