Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

  • Lalu Prasad Yadav: সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলেন লালু প্রসাদ যাদব, তারপর কী হল?

    Lalu Prasad Yadav: সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলেন লালু প্রসাদ যাদব, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত আরজেডি (RJD) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। কাঁধে ও হাতে গুরুতর আঘাত (Injured) পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে এমআরআই হয় ওই বর্ষীয়ান নেতার। 

    আরও পড়ুন: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর  

    সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদ যাদবের কাঁধের হাড়ে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার হয়েছে। তাঁকে দুমাসের বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। লালুপ্রসাদ যাদব বর্তমানে বিহারের পটনায় রাবড়ি দেবীর সরকারি বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে থাকেন। সেখানেই ভারসাম্য হারিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। কাঁধে ও হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাড়াহুড়ো করে পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর এমআরআই করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের ডান কাঁধের হাড় সামান্য ভেঙেছে। কোমরেও চোট লেগেছে।  

    [tw]


    [/tw]

    আরজেডি নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলের সুপ্রিমো এখন ভালো আছেন। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা বেলাতেই লালু প্রসাদ যাদব বাংলোয় ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছেন। ৭৫ বছর বয়সী লালু প্রসাদের চোট লাগার খবরে কিছুটা হলেও চিন্তিত দলের কর্মীরা। আরজেডি চিফের স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির রোগ, কিডনিতে পাথর, স্ট্রেস, থ্যালাসেমিয়া, প্রোস্টেট বৃদ্ধি, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডান কাঁধের হাড়ে সমস্যার মতো একাধিক রোগ রয়েছে এই প্রবীণ নেতার। তার ওপর এই আচমকা আঘাত চিন্তা বাড়িয়েছে পরিবারের।  

      

  • RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় (India) অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতির (Inflamation) চাপ ও ভূ-রাজনৈতিক (Geo Political) ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলিকে নিরন্তর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই মসৃণ হবে ভারতীয় অর্থনীতির পথ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ফাইনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং (Non Banking) ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট পরিমাণ ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে,  মার্কিন অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে মুদ্রাস্ফীতির ফাঁস আটকেছে গোটা বিশ্বের গলায়। রাশিয়া (Russia) ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ-উত্তর কালে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে দু ভাগে। একপক্ষ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পক্ষে। অন্যপক্ষ রয়েছে মস্কোর পাশে। এসবেরই প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যার আঁচ লেগেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। তা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economics)। দক্ষ হাতে পরিচালনা ও লাগাতার নজরদারি চালানোর জেরেই এটা ঘটছে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    বছর দুয়েক ধরে করোনা (Corona) অতিমারি পরিস্থিতি সামলেছে গোটা বিশ্ব। অতিমারির মারণ ভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বেঁধেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যার জেরে বিশ্বজুড়েই মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া। এর আঁচ লেগেছে ভারতেও। এসবই কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতি। শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের মতো হাঁড়ির হাল নয় তার। নির্দিষ্ট কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রস পারফর্মিং এসেস্টসের অনুপাত গত ছ বছরে কমেছে ৫.৯ শতাংশ। এটা অর্থনীতির উন্নতির দিকটিই সূচিত করে।

    আরও পড়ুন : ট্যাক্স-সেভিং স্থায়ী আমানতে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংক?

  • Gujarat: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    Gujarat: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার গুজরাটের (Gujarat) সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। রবিবারই তাঁকে আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (Anti Terrorist Squad )। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে। মুম্বইয়ের জুহু থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করে গুজরাটের অপরাধ দমন শাখা (ATS)।  নিয়ে যাওয়া হয় সান্তাক্রুজ থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গুজরাট হিংসা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের। তিস্তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কেবল তিস্তা নন, ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারকেও। 

    আরও পড়ুন : গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির
    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেল স্টেশনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ৫৮ জন পুণ্যার্থীকে। তার পরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মারা যান হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদিকে কালিমালিপ্ত করতে আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরা। মামলা গড়ায় আদালতে। তদন্তের জন্য তৈরি হয় সিট (SIT)। ২০০২ এর ওই হিংসায় মোদিকে পুরোপুরি ক্লিনচিট দেয় বিশেষ তদন্তকারী দল। ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। 
    এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মোদিজীকে দীর্ঘদিন এই নিয়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছি। আজ তিনি সূর্যের মতোই কলঙ্কমুক্ত। সেদিন গুজরাট সরকার হিংসা রুখতে সচেষ্ট ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বারবার শান্তির আবেদন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি সর্বদা আইনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চলছিল।  একশ্রেণীর সংবাদকর্মীও আর এনজিও এই কাজ করেছে। তিস্তা শেতলবাদের এনজিও এর পিছনে ছিল। অমিত শাহের দাবি, গোধরার পরে যে হিংসা হয়,তা মোকাবিলায় সেনা নামাতে দেরি করেনি গুজরাট সরকার। আদালতের রায় কংগ্রেসের অপপ্রচারের জবাব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, যারা অভিযোগ করেছিল, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে। 

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ
    দেশের শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার পরেই আটক করা হয় তিস্তাকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। তাঁর এনজিও সংক্রান্ত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে প্রথমে আটক করা হয় বলে সূত্রের খবর। তিস্তার দাবি, অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।  
    আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে দায়ের করা এফআইআরে তিস্তার পাশাপাশি নাম রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটেরও। 
    এদিকে, গুজরাট হিংসার ঘটনায় এদিন ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করল কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিস্তা শেতলাবাদ যে ভুয়ো অভিযোগ করেছেন,তার নেপথ্যে ছিল কংগ্রেসই। 

  • New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির সঙ্গে সঙ্গেই, নতুন বেতন বিধি (New Wage Code) আনার পরিকল্পনায় কেন্দ্র। এই নতুন বিধিতে, কোনও কর্মীর চাকরি ছাড়ার, অবসর নেওয়ার বা বরখাস্ত হওয়ার ২ দিনের মধ্যে নিয়োগকর্তাকে তাঁর যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।  

    এই মুহূর্তে সাধারণত কোনও প্রতিষ্ঠান কোন কর্মীর চাকরি ছাড়ার ৪৫-৬০ দিন পর পাওনা মেটায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯০ দিন অবধিও গড়িয়ে যায় সেই সময়। কিন্তু নতুন এই বিধি লাগু হলে চাকরির শেষদিন থেকে দুদিনের মধ্যেই নিয়োগকর্তাকে কর্মীর পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে। 

    নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, “কোনও কর্মী যদি নিজে ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন বা তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয় বা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি চলে যায়, তাহলে তাঁর সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির শেষ দিন থেকে দুটি কর্ম দিবসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই চারটি নতুন শ্রমবিধি (Labour Code) নিয়ে আসতে চলেছে শ্রমমন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। শুরুতে ১ জুলাই নতুন বিধি লাগু হওয়ার কথা থাকলেও, পরে তা পেছানো হয়।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে  

    সরকার খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। সরকারের প্রস্তাব, একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।   

     

  • Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী,  নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে। শুক্রবারও দেশের করোনা গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।   
     
    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭০ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটা বেশি। সবচেয়ে চিন্তায় রাখছে দেশের পজিটিভিটি রেট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের পজিটিভিটি রেট ৩.৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহের পজিটিভিটির রেটও ৩.৭৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪১৩ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৮৯ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ৬৩৪ জন বেশি।

    তামিলনাড়ুতে ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,০৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু চেন্নাইতেই এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৯ জন। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪.৭৫ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পর পর দুদিন ১০০০ -এর ওপরে থাকল আক্রান্তের সংখ্যা। এরাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১,৫২৪ জন। পজিটিভিটি রেট ১২.৮৯ শতাংশ। বাংলায় এ যাবৎ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০.২৯ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের 

    মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। একদিনে আক্রান্ত ৩,৬৪০। এযাবৎ এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯.৭৬ লক্ষ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ জনের। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৫ জন। পজিটিভিটি রেট ৪.৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

     

  • GST: শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    GST: শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অনলাইন গেমের(Online Game)  ওপরে জিএসটি (GST) আরও বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। অনলাইন গেমের পাশাপাশি ক্যাসিনো (Casin), ঘোড়দৌড়ের (Horse Race) মত জুয়া খেলাতেও জিএসটি বাড়তে চলেছে। এই অনলাইন গেমস, ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই কারণে অনলাইন গেমের ওপরে জিএসটি (GST) আরও বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ও অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনোর ওপর গুডস ও সার্ভিস ট্যাক্স(Goods and Services Tax) প্রায় ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    মেঘালয়ের (Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার (Conrad Sangma) নেতৃত্বে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানেই বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা একমত হন যে অনলাইন গেমের ওপরে ২৮ শতাংশ কর ধার্য করা উচিত। এর সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রবেশমূল্যও ধার্যের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    বর্তমানে ক্যাসিনো, হর্স রেসিং (ঘোড়দৌড়), কিংবা অনলাইন গেমিংয়ের ওপর ১৮% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই এই জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশে বাড়নোর করতে সম্মতি দিয়েছে দেশের মন্ত্রীদের প্যানেল। এই প্যানেলে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar), গুজরাটের অর্থমন্ত্রী কানুভাই প্যাটেল (Kanubhai Patel), গোয়ার পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী মৌভিন গোডিনহো (Mauvin Godinho), তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পি ত্যাগা রাজন (P Thiaga Rajan), উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না (Suresh Khanna), এবং তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী টি হরিশ রাও (T Harish Rao)।  

    মন্ত্রীগোষ্ঠীর(GOM) সদস্যরা মতামত দিয়েছেন যে, হর্স রেসের ক্ষেত্রে বেটিং-এর জন্য মোট যত টাকা দেওয়া হবে তার উপরেও জিএসটি ধার্য করা  হবে। ক্যাসিনো গেমাররা যে কয়েন ও চিপস কিনবেন সেই মূল্যের উপরে কর ধার্য করা হবে। তবে প্রতিটি রাউন্ডে রাখা বাজির মূল্যের উপরে কোনও জিএসটি ধার্য হবে না। এছাড়াও ক্যাসিনোতে প্রবেশ করার জন্যও জিএসটি ধার্য করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ের মত খেলায় শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ একজন ব্যক্তির সেদিন থেকেই পতন শুরু হয়, যেদিন সে সৌভাগ্যকে নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব হিসেবে ভুল বোঝে।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ইস্তফার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। হিন্দিতে করা একটি ট্যুইটে উদ্ধবের পতন শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উদ্ধব-রাজের দ্বন্দ্ব বেশ পুরানো। ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতেই সেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল। প্রকাশ্যে উদ্ধব ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতেও দেখা গিয়েছে বালাসাহেবের ভাইপো রাজকে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে রাজনৈতিক ডামাডোল চললেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রাজ। মুখ খুললেন শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর। নিক্ষেপ করলেন ট্যুইট বাণ।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    মহারাষ্ট্রের মসনদে পালাবদল ঘটেছে বৃহস্পতিবারই। উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাশ এখন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের হাতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিত মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন রাজ।

    সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব হিন্দুত্বের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিন্ডে। উদ্ধব যাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, সেই দাবিতেই সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। রাজ নিজেকে হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করেন। শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিজেপিতে যোগদান না করেন, তাহলে তাঁরা রাজের নবনির্মাণ সেনায় যোগ দিতে পারেন। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নবনির্মাণ সেনার একজন বিধায়ক রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শিন্ডে শিবিরের এক নেতা ফোন করেছিলেন রাজকে। ফোনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেননা শিবসেনার বিদ্রোহীরা বিজেপিতে যোগ দিলে ক্ষমতার লোভের অভিযোগ উঠতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁরা যদি রাজ শিবিরে যোগ দেন তাহলে একনাথ শিবিরের মান এবং কূল দুইই রক্ষা হবে। কেবল শিন্ডে নয়, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গেও রাজের কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    এদিকে, উদ্ধবের সঙ্গে আপাতত রয়েছেন ১৬ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যেও কয়েকজন শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে খবর। এঁদের সিংহভাগ যদি শিন্ডে শিবিরে নাম লেখান, তাহলে উদ্ধবের ওপর চাপ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে শিবসেনার প্রতীক পাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের নিয়ে রাজ স্বয়ং আসরে নামতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে  খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় দর্জি উদয়পুরের কানহাইয়া লাল তেলিকে হত্যার (Udaipur Murder Case)ঘটনায় এবার  সরাসরি পাক-যোগের প্রমাণ পেল তদন্তকারী অফিসারেরা। একই সঙ্গে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে জঙ্গিযোগ ৷ মিলছে ISIS যোগের প্রমাণ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইসলামিক স্টেটের স্লিপার সেলের উদয়পুর শাখার প্রধান ছিল ধৃত মহম্মদ রিয়াজ। জয়পুরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও তার যোগ রয়েছে। রিয়াজের ‘লোন উলফ’ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা।

    এই ঘটনায় দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত গাউস মহম্মদ ২০১৪-১৫ সালে ৪৫ দিনের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে যায়। সে দাওয়াত-ই- ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয় গাউস৷ কয়েকদিন আরব এবং নেপালেও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে ৷  জানা গিয়েছে হত্যাকারীরা খুনের আগে এবং পরে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পাকিস্তানের অন্তত আটটি  মোবাইল নম্বরের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখত। পুলিশ সূত্রে খবর, গাউস মহম্মদ ২০১৩ এবং২০১৯ সালে সৌদি আরব যায়।  তবে সেখানে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণ কিংবা ধর্মীয় কোনও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

    তবে খুনিদের সঙ্গে কোনওভাবেই পাকিস্তানের যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ পাকিস্তান কখনও সমর্থন করে না। ভারত কেন বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ দণ্ডনীয়। ওই আধিকারিকের দাবি, ওই খুনিদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ভারতের মিথ্যে রটনা বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের চরম মৌলবাদী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat-i-Islami) মাধ্যমে আইসিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আরেক ধৃত রিয়াজ। ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি ভারতেও জাল বিছিয়েছে বলে খবর। তাদের স্লিপার সেল (Sleeper Cell) অর্থাৎ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির গোপন শাখার উদয়পুরের প্রধান ছিল রিয়াজ। গত পাঁচ বছর ধরে সঙ্গী মহম্মদ গাউসকে নিয়ে ধর্মীয় উসকানিমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াজ। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে রিয়াজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিও। সেখানে সে আঙুলের মাধ্যমে একটি বিশেষ ভঙ্গি করে রয়েছে যা সাধারণত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের চিহ্ন। তাদের আরও এক সঙ্গীর হদিশ মিলেছে। রাজস্থানের টঙ্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজেবকে। যার সঙ্গে সরাসরি আইসিসের যোগের প্রমাণ মিলেছে। জেরায় ধৃতরা আরও জানিয়েছে, শুধু উদয়পুরের কানহাইয়া লাল-ই নয়, তাদের হিটলিস্টে ছিল জয়পুরের এক ব্যবসায়ী। এমনকী, জয়পুরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

  • Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: আম্বানিদের (ambani) জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus security) মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) রায়েই স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে বর্তমানে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী নীতা পান ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির (Y Plus security) নিরাপত্তা। সম্প্রতি বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে আম্বানি পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? মহারাষ্ট সরকারের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ওই শিল্পপতি ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দুটি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় আম্বানি পরিবারকে কী কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আম্বানিদের। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেখানেই। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : বিবাদ মিটিয়েছিলেন দুই ভাইয়ের, চিনে নিন আম্বানি পরিবারের ‘ভাইশ্রী’-কে

    গত বছর আম্বানি পরিবারের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে। যদিও তাঁর সন্তানরা ওই সুবিধা পান না। মুকেশ ও নীতা যে নিরাপত্তা পান, সেজন্য তাঁদের মোটা টাকা গুণতে হয়। মুকেশ যে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, এদেশে তা পান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং হাতে গোণা কয়েকজন।

    ৫০-৫৫ জন সশস্ত্র কমান্ডো ২৪ ঘণ্টা প্রহরায় থাকেন আম্বানিদের বাড়ির সামনে। আম্বানিরা বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এসকর্ট এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী পান। চাইলে পেতে পারেন এনএসজি (NSG) কমান্ডোদেরও। মহারাষ্ট্র তো বটেই, দেশের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুকেশের সঙ্গে থাকে একটি পাইলট কার এবং তার পিছনে কয়েকটি গাড়ির কনভয়।

LinkedIn
Share