Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি  বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কানাডা সম্পর্কে নতুন মোড়। কানাডার (Modi Meets Carney) সঙ্গে ভারতের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কার্নির আমন্ত্রণেই মোদির এই সফর। কানাডার (India Canada) কানানাসকিসে জি৭ সম্মেলনের ফাঁকেই দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে তাঁরা উভয় দেশেই নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত কনসুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়।

    মোদির অভিনন্দন, বৈঠক ফলপ্রসূ

    কানাডা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে (Modi Meets Carney) সফলভাবে জি৭ সম্মেলন আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভারত ও কানাডা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” এক্স -এ পোস্ট করে মোদি জানান, “প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা বাণিজ্য, শক্তি, মহাকাশ, ক্লিন এনার্জি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও সারসহ একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছি।” কানাডায় জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থানের কথা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের ধন্য়বাদও জানান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে ‘মানবতা’-র উপর হামলা বলে মন্তব্য করেন। এদিন জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেন মোদি।

    নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে ঐকমত্য

    ভারত ও কানাডা (India Canada) ঘোষণা করেছে, তারা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে নাগরিক এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগনো যাবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই নেতা পারস্পরিক সম্মান, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।” মোদি আরও বলেন, “জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৫ সালের পর আবার কানাডায় আসার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি বলেন, ভারত-কানাডা সম্পর্ক বহু দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। “অনেক কানাডিয়ান কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগ করেছে। একইভাবে ভারতীয় কোম্পানিও কানাডায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এই দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করে মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”

    নিজ্জর হত্যা ও সম্পর্কের অবনতি

    ২০২৩ সালের জুন মাসে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। কানাডা ভারতের কয়েকজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার হাইকমিশনার ও পাঁচজন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয় এবং পাল্টা কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ভারতের অভিযোগ, কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপে প্রশ্রয় দেন। চলতি বছর মার্চ মাসে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। ট্রুডোর পদত্যাগের পর ভারত আশা করে, নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের উন্নতি

    মার্ক কার্নি ক্ষমতায় এসেই ভারতের (India Canada) সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন। জি৭ সম্মেলনে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বলে দাবি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। উভয় দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাইকমিশনারদের পুনরায় নিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে বলেই খবর। সম্প্রতি দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থা আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। কানাডা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘দুই দেশের বন্ধুত্বকে মজবুত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী আমরা।’’ কার্নির দাবি, ‘‘দুই দেশই জ্বালানি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) সহযোগিতার কথা ভাবছে।’’ উল্লেখ্য, কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ, যা দেশটির জনসংখ্যার ৪.৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৭.৭ লক্ষ শিখ সম্প্রদায়ের। এছাড়া প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয় ছাত্র, পেশাদার ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কানাডায় বসবাস করছেন। ২০২২ সালে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ (৪১ শতাংশ)। তবে সাম্প্রতিক অভিবাসন নীতির পরিবর্তনের ফলে ভারতীয় ছাত্র ও কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় উভয়েই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের কানাডা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডার কার্নি সরকারের আমন্ত্রণে এই সফরে তিনি গিয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী কানাডার মাটিতে পা রাখার পরেই আন্দোলনের নামে ‘নোংরামি’ করতে শুরু করেছে কানাডার জল-হাওয়ায় আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক খালিস্তানপন্থী (Khalistanis) শিখ সংগঠন।

    বিক্ষোভকারীদের আপত্তিকর স্লোগান (Khalistanis)

    কানাডার অ্যালবার্টায় বসেছে জি৭-এর শীর্ষ বৈঠক। সোমবার সেখানেই যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ক্যালগারি শহরে প্রতিবাদ র‍্যালি করে খালিস্তানপন্থী নেতারা। বিক্ষোভের সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা আপত্তিজনকভাবে ‘মোদিকে খুন করো’ স্লোগান দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্যালগেরি সিটি হলের বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। তারা খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা ওড়াচ্ছিল। পোস্টারগুলিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দে করা হয়েছে। একটি পোস্টারে তাঁকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এবং অন্যটিতে জেলের ভেতরে দেখানো হয়। পোস্টারের নীচে লেখা, আমি নিজ্জরকে হত্যা করেছি, যিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন শিখস ফর জাস্টিসের একশোরও বেশি সদস্য। সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বকশিস সিং সান্ধু বলেন, “কানাডায় মোদির উপস্থিতি ছিল ভারতকে দায়ী করার একটি সুযোগ।” খালিস্তান গণভোটের বিষয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি জি৭ নেতাদের আহ্বানও জানান। তাঁর দাবি, এটি পাঞ্জাবের ওপর কথিত দখলদারিত্ব শেষ করার একটি পদক্ষেপ।

    শিশুদের লেলিয়ে দিল খালিস্তানপন্থীরা!

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে (Khalistanis), ভারতকে অপমান করতে খালিস্তানপন্থীরা এগিয়ে দিয়েছে শিশুদের। তারা ভারত বিরোধী প্রচার করছে। অবমাননা করছে ভারতের জাতীয় পতাকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজন নাবালককে। ভিডিওর ছবি থেকেই স্পষ্ট, খালিস্তানপন্থীরা ফ্রেমের বাইরে দাঁড়িয়ে শিশুদের উৎসাহিত করছে ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবিকে অপমান করতে। সব মিলিয়ে মোট ৬ জন শিশু এই ঘটনায় জড়িত। অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী মঞ্জিন্দর সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করার শপথ নিচ্ছেন।

    লজ্জিত ভারতীয় শিখরা

    কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের এহেন আচরণে যারপরনাই লজ্জিত ভারতে বসবাসকারী শিখরা। বিজেপির শিখ নেতা মঞ্জিন্দর সিং সিরসা বলেন, “কানাডায় যা ঘটছে, যেখানে শিখ শিশুদের ঘৃণা ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দেখে প্রতিটি শিখ গভীরভাবে ব্যথিত ও লজ্জিত।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত অবাক করার মতো ঘটনা। কীভাবে কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করছে। তাদের এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা তালিবানি প্রোপাগান্ডার মতো মনে হচ্ছে।” সিরসা বলেন, “বিশ্ববাসীর কাছে এটি শিখ শিশুদের ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বের চোখে শিখদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের চরমপন্থী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে গুরু গ্রন্থ সাহিব জি-র শিক্ষার ও শিখ ধর্মের মূলনীতির বিরোধী। এই ধর্ম আলাপ আলোচনা ও মানবসেবার ওপর জোর দেয় (Khalistanis)।”

    মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টার বক্তব্য

    অল ইন্ডিয়া অ্যান্টি-টেররিস্ট ফ্রন্টের সভাপতি মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টা বলেন, “যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়, তখন কীভাবে ভারতের শিখ সম্প্রদায় নীরব থাকে?” আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং বলেন, “আমি মনে করি আজকাল যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে বাচ্চারা যা করছে, তার অনেক কিছুই তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না। তাই এটা আমাদের, মানে বড়দের এবং পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের বুঝিয়ে বলা আসলে কী ঘটছে। যা ঘটেছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।” তক্ত শ্রী হরমন্দির সাহিবের সেক্রেটারি, হরবংশ সিং বলেন, “এটি দেখে এবং শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। যা ঘটেছে, আমরা তা সমর্থন করি না (PM Modi)। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি যা করছেন, তিনি তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন (Khalistanis)।”

    শিশুদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে

    সর্দার ত্রিলোচন সিং বলেন, “এরা অন্য একটি দেশের শিশু, যাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে, এবং তারা ভারতের মানুষের অনুভূতিকে উসকে দিচ্ছে। তাদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে, যা কোনও অ্যাঙ্গেল থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডা সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে এভাবে অপমান করা একেবারেই ঠিক হয়নি। তিনি শিখ সম্প্রদায়, দেশ এবং বিশ্বের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।”

    কানাডায় লালিত হচ্ছে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন

    দেশ এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর অপমানে যখন ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় শিখরা, তখন কানাডায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় একাধিক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এদের মধ্যে সব চেয়ে পুরানো হল ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন। ১৯৮১ সাল থেকে এই সংগঠনটি কানাডা থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনে অর্থায়ন করে। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কনিষ্ক’ বিমানে বোমা হামলার নেপথ্যে ছিল এই সংগঠনই। এই সংগঠনটিই হত্যা করেছিল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বেন্ট সিংকে। এর প্রধান নেতা ওধওয়া সিং বাব্বর বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে (Khalistanis)।

    ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ একাধিক সংগঠন

    ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন’ও। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং কানাডায় এদের শাখা রয়েছে। সেই সব দেশ থেকেই পরিচালিত হয় এই সংগঠনের কাজকর্ম। এদের মূল লক্ষ্য হল ‘খালিস্তান’ গঠন করা। এই সংগঠনকে টাকা জোগায় কানাডার বাসিন্দা জঙ্গি মানবীর সিং দুহদা। খালিস্তানপন্থী আর একটি গোষ্ঠী হল ‘শিখ লিবারেশন ফ্রন্ট’। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এর কার্যকলাপের ওপর সবসময় নজর রাখে। বর্তমানে এর কাজকর্ম পরিচালনা করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা মনিন্দর সিং বুয়াল। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ও। এরা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শিখ যুবকদের খেপিয়ে দেয় এবং তাদের দিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে (PM Modi)।সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে চলেছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’। এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুপতওন্ত সিং পান্নু। এর কাজকর্ম পরিচালিত হয় আমেরিকা থেকে। ইউএপিএ আইনে মোদি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এই সংগঠনকেও। এরা প্রায়ই ভারতের মানচিত্র বিকৃত করে এবং ভারতীয় নেতাদের হত্যার হুমকি দেয়।

    জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন

    হিংসার মাধ্যমে খালিস্তান গঠনের লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল ‘খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সে’র। এর নেতা ছিল পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই সংগঠনের (Khalistanis)। কানাডায় মাথা তুলেছে ভারতে নিষিদ্ধ আরও একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এরা হল ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এর প্রতিষ্ঠাতা জগতার সিং তাড়া। এক সময় সে ছিল বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। পরে গড়ে নিজস্ব সংগঠন। ১৯৯৫ সালের ৩১শে অগাস্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল জগতার সিং তাড়া। ২০১৫ সালে তাইল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে (PM Modi)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার এই ঘটনার (ভারত ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান) পর জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিত কানাডার কার্নি সরকারের। কারণ বর্তমানে যে বিষবৃক্ষের চারা তারা লালন করছে, সেই গাছে ফল ধরলে কিন্তু কানাডার হাল হবে পাকিস্তানের মতোই (Khalistanis)।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের মধ্যে  যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। টানা চার দিন ধরে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। এই সংঘাতের আবহে রবিবার ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেম। এর মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করা হলেই যুদ্ধ শেষ হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে খামেনেই কোনও এক অজানা জায়গায় নিরাপদ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।

    খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, ইজরায়েল কি খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? জবাবে তিনি (Netanyahu) বলেন, ‘‘যা করতে হবে, আমরা তাই করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁকে সরাতে পারলে এই সংঘাত শেষ হবে।’’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল আগেও ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে টার্গেট করতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় বাধা দেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “ইরান কি এখনও কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে? এর উত্তর হল, না। তাই, যতক্ষণ না তারা এধরনের কাজ করছে, আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশানা করার কথাও ভাবছি না।”

    মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে ইরান

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) মতে, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে। তাঁর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছর ধরে এই শাসনব্যবস্থা গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এরা সবাইকে ভয় দেখায়। এরা সৌদি আরবের আরামকো তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। এরা সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।” ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয়, ইজরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক। এই বিপদ খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকাতেও পৌঁছাতে পারে।”

    নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, চড়ছে উত্তেজনার পারদ

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইজরায়েল সত্যিই খামেনেইকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এতে শুধু ইরান ও ইজরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলিও জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর হামলা হলে সেটি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয় পুরো ইরান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর

    অন্যদিকে, ইজরায়েল লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের উপর। ইহুদিদের চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সরকারি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। প্রসঙ্গত, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে হামলা চালানো হবে, এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর ধ্বংস হয়েছে। এর জেরে গোটা ইরানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানের নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানান, তাঁরা যেন দ্রুত শহর ছেড়ে দেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তেহরানে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চলবে।

    আতঙ্কিত ইরানবাসী

    হামলার ফলে তেহরানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিদেশি দূতাবাসের দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে। এই সংখ্যা ইরানের মোট মিসাইল লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে, তারা ইজরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। ইরান ও ইজরায়েলের এই সংঘাতের আবহে আকাশে বিস্ফোরণের ধোঁয়া পর্যন্ত দেখা গেছে। দুই দেশের এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলায় ইজরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইজরায়েলের হামলায় ইরানের ২২৪ জন নাগরিক মারা গেছেন।

  • Indians leaves Iran: আর্মেনিয়া হয়ে দেশের পথে, ইরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর কাজ শুরু

    Indians leaves Iran: আর্মেনিয়া হয়ে দেশের পথে, ইরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর কাজ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indians leaves Iran) ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল দিল্লি। তাঁদের আর্মেনিয়া হয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, প্রথম লপ্তে নিয়ে আসা হচ্ছে ১০০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে। সোমবার রাতেই ওই পড়ুয়ারা আর্মেনিয়া পার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইরানে (Israel-Iran War) আটকে রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।

    কোন পথে আসছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাত (Israel-Iran War) শুরু হওয়ার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েন অন্তত ১০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার (Indians leaves Iran) পরিবারের মানুষজন। কারণ, এত সংখ্যক পড়ুয়া ইরানের নানা শহরে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য তেহরানের কাছে আর্জি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে পদক্ষেপ করার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছেও। ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইরান। ১০ হাজার ভারতীয় নাগরিক যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে বলে জানায় তেহরান। ইরান জানিয়েছে, আকাশপথ বন্ধ থাকায় আপাতত বিমানে ভারতে যাওয়ার উপায় নেই। তবে স্থলবন্দর দিয়ে ইরান ছাড়তে পারবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। সে ক্ষেত্রে আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান এবং আফগানিস্থান হয়ে স্থলপথে ভারতে ফিরতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা।

    পরিস্থিতির উপর কড়া নজর ভারতীয় দূতাবাসের

    ইরানের (Israel-Iran War) তরফে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই মতো ভারতীয়দের (Indians leaves Iran) ফেরানোর পালা শুরু হল। শুক্রবার থেকেই শুরু হয় ইজরায়েল-ইরান সংঘাত। এর পরেই ইরানে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকার জন্য একটি অ্যাডভাইজরি দেওয়া হয় তেহরানে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। তাতেই ওই ভারতীয়দের নিয়মিত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তেহরানের ভারতীয় দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, তারা পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে। ইরানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয় দূতাবাসের তরফে।

  • PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কানাডায় পৌঁছালেন। মঙ্গলবার সকালে ক্যালগারিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিন দেশের সফরের অংশ হিসেবে রবিবার মোদি প্রথমে সাইপ্রাসে যান। সেখান থেকে এ দিন তিনি কানাডায় আসেন। এরপর তাঁর ক্রোয়েশিয়া সফর রয়েছে।

    আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন (G7 Summit)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। বিশেষ করে ইজরায়েল-ইরান ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অতিথি নেতা হিসেবে অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পরে প্রথম বিদেশ সফর

    এই সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি মে মাসে পাকিস্তানে প্রয়োগ করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পর এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক। কানাডায় থাকাকালীন মোদি (PM Modi) কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি-সহ জি৭ (G7 Summit) দেশের ও অন্যান্য আমন্ত্রিত দেশের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হতে চলা জি৭ সম্মেলনে তিনটি মূল বিষয়ে আলোচনা হবে—

    ১. মানবজাতির ও সমাজের নিরাপত্তা বজায় রাখা,
    ২. জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতি আনা
    ৩. শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা

    মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারাও এই সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর আন্তর্জাতিক সফরের সেখানেই শেষ হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমানে চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন।

  • PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Cyprus)। সোমবার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ মাকারিও থার্ড’ সম্মান দেন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডেস। এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে এই সম্মানকে দেখছেন তিনি। এরপরই সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসকে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, এই যুগ যুদ্ধের যুগ নয়। তবে সন্ত্রাসেরও নয়। এই যুগ মানবতার প্রতি আহ্বানের সময়। ’

    বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান

    তিন দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে রবিবার ভূমধ্য সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে পৌঁছন মোদি। সোমবার, সম্মান পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মান আসলে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের। এই সম্মান তাঁর ব্যক্তিগত সম্মান নয়। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আদর্শকে সম্মান জানাল সাইপ্রাস। ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক এবং দুই দেশের ‘পারস্পরিক বোঝাপড়া’-এর প্রতি এই সম্মান উৎসর্গ করেন মোদি। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার জন্য সাইপ্রাসকে ধন্যবাদও জানান তিনি। মোদি বলেন, ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয় এই সম্মানের দাবিদার। ভারতীয়দের সক্ষমতা, ভারতের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান। এই সম্মান দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতীক।’’

    সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক গভীরতর হওয়ার সময়েই প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের মতোই তুরস্ক ও সাইপ্রাসের মধ্যেও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব চলাকালীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে তারা। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদে বিরোধিতা করেছে সাইপ্রাস। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছে সাইপ্রাস। পাকিস্তানের জঙ্গি মদতের কথা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনার কথাও বলেছে তারা। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বারবার সমর্থন করেছে সাইপ্রাস। তাই ভারত-পাক সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সাইপ্রাস সফর ভারতের পক্ষে লাভজনক হতে পারে।

    ভারত-সাইপ্রাস দীর্ঘদিনের সম্পর্ক

    ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাইপ্রাস। এই পরিকাঠামো প্রকল্প ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দশকের বেশি সময়ের পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটা প্রথম সাইপ্রাস সফর। ১৯৮২ সালে সাইপ্রাস সফরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী এবং ২০০২ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও, এই পর্যায়ের বৈঠক অন্যতম বিরল ঘটনা। সফরে গিয়ে প্রথমেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজধানী নিকোসিয়ায় হয় বৈঠক। এরপর সাইপ্রাসের বন্দর শহর লিমাসোলে সে দেশের ব্যবসায়িক মাথাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। মোদি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছোবে। দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়েও হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের পর্যটন শিল্প বৃদ্ধির উপর জোর দেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘সাইপ্রাস ভারতীয়দের কাছে অন্যতম পছন্দের পর্যটনের জায়গা।’’

    সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণ

    ২০২৬ সালের প্রথমার্ধেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করতে চলেছে সাইপ্রাস। এই মুহূর্তে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তাগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাইছে ভারত। নিকোসিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির বন্ধুত্ব এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সাইপ্রাস এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। তাঁর এই সফর ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আরও মজবুত করবে বলে আশাবাদী মোদি। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।

    কানাডার পথে মোদি

    রবিবারই ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ভারত ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। এ ছাড়া, ক্রোয়েশিয়াতেও যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। ত্রিদেশীয় সফরে মোদির সঙ্গে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। বর্তমানে সেখানে মসনদ বদলেছে। মার্ক কার্নির নয়া সরকার নয়াদিল্লির সঙ্গে বিরোধ মেটাতে তৎপর। এই আবহে ১৬-১৭ জুন জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি, ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে ফের বেআব্রু করার সুযোগ পাবেন মোদি। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা, সুরক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরবেন তিনি।

     

     

     

     

     

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

  • Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শুক্রবার ১৩ জুন, এমনই একটি ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সে দেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা। অভিযোগ উঠেছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৌলবাদীরা ছয়টি হিন্দু মন্দিরে লুটপাট চালিয়েছে (Atrocities Against Hindu)। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় ২০২৪ সালের অগাস্টে। তারপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, লুট এসব যেন প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে।

    কী বলছেন স্থানীয় মহিলা (Atrocities Against Hindu)?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমেও এই ঘটনার খবর সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোটালীপাড়ার এক হিন্দু মহিলা জানান, “গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১২ জুন, দুয়ারীপাড়ার একটি মন্দিরে লুট চালায় মৌলবাদীরা। শুক্রবার, আমাদের এলাকায় চারটি মন্দির লুট করা হয়েছে। পুজোর জন্য সংরক্ষিত সমস্ত সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে তারা।” তিনি আরও বলেন, “যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে প্রতিবার চুরি হওয়া পুজোর সামগ্রী নতুন করে কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ, পিতল ও ব্রোঞ্জের পাত্র কেনার খরচ অনেক বেশি। আমাদের পক্ষে তা বারবার সম্ভব নয়।”

    হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে, আমরা এখন কীভাবে বাঁচব?

    ওই মহিলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যেসব মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি সরকারের কাছে আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। আমরা এখন কিভাবে বাঁচব? সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। অপরাধীদের ধরার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আমরা অসহায়, আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।”

    ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই, জানালেন বয়স্ক মহিলা

    অন্যদিকে এক বয়স্ক মহিলা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমি শুক্রবার ১৩ জুন, ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই।” তিনি আরও বলেন, “মন্দিরে গোপাল, রাধাকৃষ্ণ ও মনসা দেবীর মূর্তিগুলিতে সোনার অলংকার ছিল, যা সব লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “বেশিরভাগ মূর্তি পিতলের তৈরি হলেও রাধাকৃষ্ণের মূর্তিটি ছিল রুপোর। আমার ছোট ছেলে এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল। গত তিন-চার বছর ধরে এই মূর্তিগুলিই আমরা প্রতিদিন পুজো করি।”

    এলাকার হিন্দুরা চরম আতঙ্কে রয়েছে

    একটি অন্য সাক্ষাৎকারে, আরও এক মহিলা বলেন, “মন্দিরে রাখা সমস্ত অলংকার লুট করে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা ঘরের ভিতর ঢোকে, তারপর মন্দিরে যায়। এই মন্দির সর্বদাই খোলা থাকে। রাতে কী ঘটেছিল, আমরা বুঝতেই পারিনি। সকালে আমরা লুটপাটের খবর পাই।” এক স্থানীয় যুবক বলেন, “মন্দির থেকে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্রোঞ্জের থালা, কলসি এবং পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছে।”

    নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হরিদাস সম্প্রদায়ের একাধিক হিন্দু পরিবারকে গৃহহীন করে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়।

    কী বলছে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল?

    বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই এলাকায় হিন্দু পরিবারগুলি গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছিলেন। অভিযোগ, মৌলবাদীরা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ওই পরিবারগুলিকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছিল, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষিতে মৌলবাদীরা ওই এলাকা জনাব আলি মার্কাজুন নুর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তি বলে দাবি করে এবং সেখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।

    কোনও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি এখনও

    পরবর্তীতে হিন্দু পরিবারগুলি নিরাপত্তার দাবিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে, মৌলবাদীদের আক্রমণ আরও বেড়ে যায়। অভিযোগ, অন্তত পাঁচটি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে লুটপাট করা হয়েছে নগদ অর্থ এবং মূল্যবান সামগ্রী। এই ঘটনায় এক হিন্দু মহিলা (Bangladesh) বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেই রবিবার ৮ জুন, মৌলবাদীরা আমাদের আরও তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” তাঁর আরও দাবি, “ওরা এখানে একটি মাদ্রাসা খুলতে চায়। প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”

  • India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালু হতে চলেছে ইউপিআই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) এই কথা জানান। ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব, অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) বর্তমানে বিশ্বে ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশ পরিচালনা করছে। তাঁর কথায়, ভারত যেভাবে প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে, তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ।

    সাইপ্রাসে ইউপিআই

    ইউপিআই শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রকাশ। ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ফ্রান্সের মতো অনেক দেশ ইতিমধ্যে ইউপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সাইপ্রাসকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চলছে। আমি একে স্বাগত জানাই। গত ৬০ বছরে এই প্রথম একই সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। গত ১০ বছরে দেশে এক ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তার অন্যতম বড় উদাহরণ। আজ বিশ্বের ৫০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন ভারতে হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত এক দশকে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে এবং শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া উদীয়মান অর্থনীতি।”

    ভবিষ্যতমুখী পরিকাঠামো 

    প্রধানমন্ত্রী ভারতের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, দেশের পরিকাঠামো গঠনে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে চালু হয়েছে নতুন ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন’, যার লক্ষ্য হলো ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেকনোলজি এবং সবুজ উন্নয়ন খাতে উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। মোদি বলেন, “আমরা সামুদ্রিক ও বন্দর উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙাড়ি খাতেও নতুন নীতির কথা ভাবা হচ্ছে। অসামরিক বিমান চলাচল খাতেও দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। উদ্ভাবন ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। আমাদের এক লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ শুধু স্বপ্ন নয়, সমাধান বিক্রি করছে।” উল্লেখ্য, রবিবার পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরে রবিবার (১৫ জুন) সাইপ্রাসে (India-Cyprus CEO forum) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস হয়ে কানাডায় যাবেন তিনি। পরে সেখান থেকে যাবেন দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ায়। সোমবার সাইপ্রাস থেকেই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মোদির। কানাডায় জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

LinkedIn
Share