Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোভিড (Coronavirus) আসলে চিনের (China) তৈরি জৈব অস্ত্র। ইচ্ছে করেই সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল চিন।” এমনই দাবি করলেন ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষক চাও শাও। তাঁর মতে, কোভিড ১৯ জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাতে মানুষ সংক্রমিত হয়, বিপদে পড়ে। এভাবেই সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। ওই গবেষক জানান, করোনা ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন দেওয়া হয়েছিল তাঁর সহকর্মীদের। কোন স্ট্রেনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছিল।

    চাওয়ের দাবি

    আন্তর্জাতিক প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেনিফার ঝেংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই দাবি করেন চাও। তাঁর দাবি, তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব চেয়ে কার্যকরী স্ট্রেন খুঁজে বের করতে। সেটি বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষের ওপর প্রয়োগ করে বের করতে বলা হয়। ২০২১ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ওই চিনা গবেষক জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাঁর অনেক সঙ্গী নিখোঁজ রয়েছেন। পরে তাঁর এক সতীর্থ জানান, তাঁকে যে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল সেখানে তখন ছিলেন উহানে আয়োজিত মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদরাও। যাতে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি খেয়াল রাখা হয়। ভাইরোলজিস্টরা স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করেন না। এটা তাঁদের কাজ নয়।

    ভাইরাস ছড়াতেই হোটেলে?

    ওই গবেষকের সন্দেহ, ভাইরাস (Coronavirus) ছড়াতেই ওই হোটেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁর সতীর্থদের। করোনা কালেই একবার চাওকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ওই গবেষকের প্রশ্ন, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কী? তিনি মনে করেন, ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। চাওয়ের দাবি, চিন বাস্তবে কী করছে আর কী বলছে, তা বড় ধাঁধার একটি ছোট অংশ মাত্র। এই অতিমারি তামাম বিশ্বে ৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধ ও প্রতিষেধক খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (Coronavirus) কোনও জৈব অস্ত্র নয়। এটি যে জৈব অস্ত্র, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ উদ্ধার হল সাবমেরিন ‘টাইটান’-এর (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ। মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরণের প্রায় দু’সপ্তাহে পরে তা উদ্ধার করল কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এই ধ্বংসাবশেষের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভেঙেচুরে তালগোল পাকিয়ে যাওয়া এই সাবমেরিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয় বিশ্বজুড়ে।

    কোথায় পাওয়া গেল ওশেনগেটের এই ডুবোযানকে? 

    আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে,  বুধবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন বন্দরের কাছে ডুবোযান ‘টাইটান’-র (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ‘হরাইজন আর্টিক’ নামের নজরদারি ভেসেল হদিশ পায় ওই ধ্বংসাবশেষের। তারপর তা উদ্ধার করে কানাডার কোস্ট গার্ড। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একতাল ধাতব পদার্থকে সমুদ্রের গভীর থেকে তোলা হচ্ছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষায় বোঝা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। উত্তর মিলবে একাধিক প্রশ্নের। যেমন, জলে ডুব দেওয়ার কতক্ষণের মধ্যে ডুবোযান ‘টাইটান’-এ সর্বনাশা বিস্ফোরণ হয়? ওই সময় জলের কতটা গভীরে ছিল ডুবোযানটি? আটলান্টিকের ওই অংশের জলের চাপই বা কতটা ছিল? 

    কী বলছে কানাডার উপকূল রক্ষী বাহিনী?

    ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পর বুধবারই বিবৃতি সামনে এসেছে কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনীর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ। সমুদ্রের নীচ থেকে টাইটানের (Titan Submarine) অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু অংশ পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    ১৮ জুন নিঁখোজ হয় টাইটান (Titan Submarine)

    ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ‘RMS টাইটানিক’। এই টাইটানিক নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম নির্মাতাদের। এনিয়ে তৈরি হয় হলিউডে ছবি। ১১১ বছর আগের মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার জন। সমুদ্রের গভীরে পড়ে থাকা সেই ‘টাইটানিক’-র ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে।  মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ‘ওশেনগেট এক্সপিডিশন’ এখানে ট্যুর করে। প্রতি যাত্রী পিছু খরচ প্রায় আড়াই কোটি। সাবমেরিনে চড়িয়ে দেখানো হয় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। এই উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুন নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করে ‘টাইটান’। কিন্তু আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপের সঙ্গে ডুবোযানটির সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিনের মাথায় ‘টাইটানিক’-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষের হদিশ পায় কোস্ট গার্ডের রোবট ডুবুরি। মৃত্যু হয় ৫ পর্যটকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

  • Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের উদ্দেশ্য পুতিনকে (Vladimir Putin) গদিচ্যুত করা নয়। আমরা একটা প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র।” এই ‘মিউ মিউ’ বার্তা রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার (Wagner) গ্রুপের প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের। তিনি বলেন, “দেশে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে যে আশঙ্কা আমাদের মনে ছিল, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের পদযাত্রায়।” ১১ মিনিটের এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, “আমাদের দলের সদস্যরা রাশিয়ার মাটিতে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। আমরা রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধও করিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত, রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে নামানোর জন্য।” 

    ওয়াগনারের বিদ্রোহ

    ওয়াগনার (Wagner) রুশ সেনার অংশ নয়। তবে বছর দেড়েক ধরে রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে অংশ নিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে। এর আগে লিবিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং মোজাম্বিকের মতো দেশে গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন ওয়াগনারের সেনারা। সম্প্রতি রুশ সেনা পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন ওয়াগনার প্রধান। এর পরেই মস্কোর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় ভাড়াটে যোদ্ধাদের ওই বাহিনী। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেন ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক হাজার যোদ্ধা।

    ওয়াগনারের অগ্রগতি

    শুক্রবার রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর শনিবার সকালে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ভোরোনেজের দখল নেন ওয়াগনারের যোদ্ধারা। এর পর তাঁরা এগোতে থাকেন মস্কোর দিকে। সক্রিয় হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর আকাশপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে। ওয়াগনার প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। বাহিনীকে ফেরার নির্দেশ দিয়ে আত্মগোপন করেন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    পরে এক অডিও বার্তায় তিনি (Wagner) বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরা আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করলে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করার নির্দেশও এদিন অডিও বার্তায় দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান।

    পুতিনের ব্যাঘ্র গর্জনের ধাক্কায়ই কি মিউ মিউ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংখ্যালঘু শিখ (Sikh Minority) সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পাকিস্তানে (Pakistan)। গত তিন মাসে এ নিয়ে চারবার হামলা হল সে দেশে বসবাসকারী শিখদের ওপর। ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের এক পদস্থ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাক দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে ‘ইউনাইটেড শিখস’ নামে শিখদের একটি সংগঠন।

    শিখদের ওপর হামলা

    পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। কখনও ব্যক্তিগত রোষের জেরে, কখনওবা জোর করে সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অছিলায়, কখনও আবার ধর্মীয় কারণে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছেই। গত কয়েকদিনে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আক্রান্ত হয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক। তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার হিংসার বলি হন মনমোহন সিংহ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি

    পুলিশ সূত্রে খবর, পেশোয়ারের রশিদগঢ়হী বাজারের কাছেই একটি দোকান চালাতেন মনমোহন। শনিবার দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চড়ে মনমোহনের (Pakistan) পিছু নেয় দুই দুষ্কৃতী। কিছুটা দূরে গিয়ে মনমোহনের পথ আগলায় তারা। তার পরেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিখ সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির।  

    শুক্রবার রাতেও স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়। তাঁকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর পায়ে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সবকটি ঘটনাই ঘটে পেশোয়ার শহরে। আফগান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারে হাজার পনের শিখের বাস। সেখানেই ঘটে চলেছে একের পর এক হামলার ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    পাঁচ বছর আগে এই পেশোয়ারেই (Pakistan) গুলি করে খুন করা হয় শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা চরণজিৎ সিংহকে। তিন বছর আগে ফের গুলি করে খুন করা হয় সংবাদ মাধ্যমের সঞ্চালক বিন্দর সিংহকে। এই পেশোয়ারেই ২০১৬ সালে খুন হয়েছিলেন সুরেন সিংহ। তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা তথা জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। শনিবারের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট নামে একটি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • PM Modi: “আপনি ভারতীয়দের হিরো ”, মোদিকে সম্বোধন মিশরের প্রবাসী ভারতীয়দের

    PM Modi: “আপনি ভারতীয়দের হিরো ”, মোদিকে সম্বোধন মিশরের প্রবাসী ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনি ভারতীয়দের হিরো। ” রবিবাসরীয় দুপুরে মিশরে (Egypt) এহেন সম্ভাষণে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইলে’ ভূষিত করেছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ আল সিসি। প্রথম কোনও ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন নীলনদের দেশে।

    মোদি ম্যানিয়া

    দু দিনের সফরে মিশরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে শনিবার কায়রো বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবাউলি। হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। ছিলেন মিশরীয়রাও। শাড়ি পরিহিতা এক তরুণী মোদির উদ্দেশে গেয়ে ওঠেন, ইয়ে দোস্তি, হাম নেহি তোড়েঙ্গে। রবিবার মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধনমন্ত্রী (PM Modi)। পরে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তাঁকে ভারতের হিরো বলে স্বাগত জানান তাঁরা।

    তরুণীর মুখে শোলের গান

    প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমগ্র ভারতই প্রত্যেকের হিরো। দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেন। তাই এগোচ্ছে দেশ।” তিনি বলেন, “এটা আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। আপনাদের তপস্যার ফল এটি।” এদিন প্রধানমন্ত্রী বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন। গুজরাটের এই সম্প্রদায়ের মানুষের দানেই সংস্কার করা হয়েছে একাদশ শতকের আল হাকিম মসজিদ। এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় সম্পর্ক। এদিন ভারতের জাতীয় পতাকা নেড়ে, মোদি, মোদি ধ্বনি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মিশরের প্রবাসী ভারতীয়রা। জেনা নামে এক মিশরীয় তরুণী ভারতের ট্র্যাডিশনাল পোশাক শাড়ি পরেছিলেন। মোদির উদ্দেশে গেয়েছিলেন, ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেই তোড়েঙ্গে’।

    আরও পড়ুুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    মিশরীয় এক তরুণীর মুখে হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’র বিখ্যাত গান শুনে বিস্মিত প্রধানমন্ত্রী। জেনা তাঁকে বলেন, “আমি কখনও ভারতে যাইনি। তবে একটু একটু হিন্দি জানি।“ আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ বুঝতে পারবে না তুমি ভারতের মেয়ে নাকি মিশরের।” ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, “মিশরে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আমি আপ্লুত। তাঁদের সমর্থন এবং ভালবাসা আমাদের দেশের প্রতি চিরকালীন বন্ধন। মিশরীয়রা যে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরছেন, তাও উল্লেখযোগ্য।”          

    এদিন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। মিশরের প্রেসিডেন্টই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। চলতি বছর নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই মোদিকে মিশরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। সেপ্টেম্বরে ফের একবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আসবেন ভারতে। এবার ভারতের নেতৃত্বে হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মিশরের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। পিরামিডের দেশের (Egypt) সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ আল সিসি। প্রথম কোনও ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন নীলনদের দেশে।

    ইয়ে দোস্তি

    দু দিনের সফরে মিশরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে শনিবার কায়রো বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবাউলি। হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। ছিলেন মিশরীয়রাও। শাড়ি পরিহিতা এক মিশরীয় তরুণী মোদির উদ্দেশে গেয়ে ওঠেন, ‘ইয়ে দোস্তি, হাম নেহি তোড়েঙ্গে’। রবিবার ঐতিহাসিক আল হাকিম মসজিদ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একাদশ শতাব্দীর ওই মসজিদ সংস্কার হয়েছে গুজরাটের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের দানের টাকায়। ষোড়শ ফাতিমিদ খলিফা আল হাকিম বাই আমর আলহের নামাঙ্কিত ওই মসজিদ ইতিহাস খ্যাত। কায়রোয় দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের কাছে এই মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থল।  এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঐতিহাসিক মসজিদটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

    আল হাকিম মসজিদ

    কায়রোর আল হাকিম মসজিদ ফাতিমিদ স্থাপত্যের একটি অন্যতম নিদর্শন। মসজিদটি ত্রিকোণাকৃতি। ১৩ হাজার ৫৬০ মিটার স্কোয়ার জায়গাজুড়ে রয়েছে সেটি। এর মধ্যে মসজিদের মাঝখানে ৫ হাজার স্কোয়ার মিটারজুড়ে রয়েছে বিশাল উঠোন। বাকি অংশে রয়েছে চারটি হলঘর। এরই একটি হল প্রর্থনা ঘর। মসজিদে ঢোকার তোরণ রয়েছে ১১টি। তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তোরণটি হল মাঝেরটি। এই তোরণটি পাথরের তৈরি। টানা ৬ বছর ধরে সংস্কারের পর মসজিদটি খুলেছে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।  মসজিদ দর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হেলিপলিস ওয়ার সিমেট্রিতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ হওয়া ৪ হাজার ভারতীয় সৈনিকের দেহ শায়িত রয়েছে এই সিমেট্রিতে। মিশরে ভারতের রাষ্ট্রদূত অজিত গুপ্তে বলেন, বোহরা সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদি। মিশরের প্রেসিডেন্টই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)। চলতি বছর নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই মোদিকে মিশরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। সেপ্টেম্বরে ফের একবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আসবেন ভারতে। এবার ভারতের নেতৃত্বে হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মিশরের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russian Wagner: মস্কো যাওয়ার পথে রণে ভঙ্গ ওয়াগনার গ্রুপের, কারণ কি জানেন?

    Russian Wagner: মস্কো যাওয়ার পথে রণে ভঙ্গ ওয়াগনার গ্রুপের, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় কাজ করেছিলেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হয়ে। পরে সেই পুতিনের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরে ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার গ্রুপ (Russian Wagner)। মস্কোর দিকে এগোতেও থাকেন ওই গ্রুপের হাজার কুড়ি সেনাও। হুমকি দিতে থাকেন রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার। এদিকে, এক সময় যে ওয়াগনার গ্রুপের খুব কাছাকাছি ছিলেন পুতিন, সেই গ্রুপকেই দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    আলোচনার টেবিলে বিদ্রোহীরা?

    দু পক্ষে যখন টান টান উত্তেজনা, মস্কোয় যখন চলছে যুদ্ধের ছিলায় টান দেওয়ার তোড়জোড়, ঠিক সেই সময়ই ওয়াগনার (Russian Wagner) বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রগোজিনের নির্দেশে থমকে দাঁড়ান ওই বাহিনীর জওয়ানরা। মস্কো থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভাড়াটে সেনার ওই বাহিনী। রক্তগঙ্গা এড়াতেই আপাতত মস্কো অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের তরফে। জানা গিয়েছে, বেলারুশের উদ্যোগে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছেন বিদ্রোহীরা।

    বেলারুশে যাচ্ছেন ওয়াগনার প্রধান?

    তার জেরে আপাতত ইতি পড়ল রাশিয়ার সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধে। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, রক্তক্ষয়ের আশঙ্কায় ওয়াগনার সেনা তাদের মূল ঘাঁটিতে ফিরে আসছে। তিনি জানান, ওয়াগনার গ্রুপ রোস্তভ শহর দখল করে নিয়েছে। মস্কো থেকে তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে ১১০০ কিলোমিটার দূরে। অন্য একটি সূত্রে খবর, ওয়াগনার (Russian Wagner) বাহিনী যাতে আর অগ্রসর না হয়, তাই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রিগোজিনের। রাশিয়ায় গতিবিধি থামানোর বদলে ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তরফেও জানানো হয়েছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ-মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এর বদলে প্রিগোজিন তাঁর বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার পরিবর্তে চলে যাবে বেলারুশে। সেটিংয়ের তত্ত্ব যে নিছক মিথ্যা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে রাশিয়ার স্টেট মিডিয়া রিপোর্টেও। 

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত। তার পরেই রাতারাতি ফার্স্টপেজ নিউজ হতে থাকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবর। প্রথম দিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিরোধের মুখে পড়ায় ওয়াগনার (Russian Wagner) গ্রুপকে কাজে লাগান পুতিন। পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন এই বাহিনীর জওয়ানরাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • PM Modi: নীলনদের দেশে পা রাখলেন মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উন্মাদনা মিশরেও

    PM Modi: নীলনদের দেশে পা রাখলেন মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উন্মাদনা মিশরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সফর শেষ করেই শনিবার সকালে ওয়াশিংটন থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন মিশরের উদ্দেশ্যে। এদিন সন্ধে ৬টার কিছু আগে কায়রো বিমানবন্দরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ এল-সিসির আমন্ত্রণেই দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মিশর গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবউলি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। ২৬ বছর পরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে গিয়েছেন।

    হোটেলে ‘গান্ধী’

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে কায়রোর হোটেলে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন মিশরীয় কবি আহমেদ শাওকি। কবিতার নাম ছিল গান্ধী। সেই কবিতার ছবি দিয়েই সাজানো হয়েছে হোটেল। হোটেলের করিডর সাজানো হয়েছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল সিসির ভারত (PM Modi) সফরের ছবি দিয়ে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিশরের প্রেসিডেন্টকে। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি দিয়েই সাজানো হয়েছে করিডর।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    জানা গিয়েছে, এদিন রাতেই মিশরের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে। পরে সাক্ষাৎ করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। রাত পোহালে রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ এল সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মিশরের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন তিনি।

    রবিবার মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পরিদর্শন করবেন একাদশ শতকের আল হাকিম মসজিদ। সেখানে থাকবেন প্রায় আধ ঘণ্টা। ষোড়শ ফাতিমিদ খলিফা আল হাকিম বাই আমর আলহের নামাঙ্কিত ওই মসজিদ ইতিহাস খ্যাত। কায়রোয় দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের কাছে এই মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থল।

    মসজিদ থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন হেলিওপলিস ওয়ার সিমেট্রিতে। সেখানে শায়িত রয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিশরের জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগকারী বীর ভারতীয় সৈনদের দেহ। সেই বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ওই সিমেট্রিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির সফর শেষে সেপ্টেম্বরে ফের ভারতে আসছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসছেন তিনি।

     

     

     

  • Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে দশা রাশিয়ার (Russia Crisis) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। বছর দেড়েক ধরে যুদ্ধ চললেও, এখনও সম্ভব হয়নি ইউক্রেন বিজয়! এমতাবস্থায় রাশিয়ার অন্দরেই মাথাচাড়া দিল বিদ্রোহ। মস্কোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ার পেশাদার যোদ্ধারা। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ হাজার সেনার বাহিনী ক্রমেই এগোচ্ছে মস্কোর দিকে। বিদ্রোহ দমন করতে পেশাদার যোদ্ধাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    ওয়াগনারের প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশ

    পেশাদার যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজিন প্রগোজিনকে সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া সরকার। দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারের নির্দেশও। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। মস্কোর (Russia Crisis) সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেছে তারা। এমতাবস্থায় পুতিনের কড়া বার্তা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন, তাঁরা দেশের কাছে বিশ্বাসঘাতক বলে গণ্য হবেন।

    পুতিনের হুমকি

    এদিকে, ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের চেষ্টা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, পুতিন প্রতিরক্ষমন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক ও ন্যাশনাল গার্ডের কাছ থেকে নিয়মিত এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেশের অভ্যন্তরণী বিদ্রোহ (Russia Crisis) ঠেকাতে শনিবার জাতির উদ্দেশে আবেগতাড়িত ভাষণ দেন পুতিন। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের পিঠে ছুরি মারা। এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা। অতি উচ্চাকাঙ্খা এবং ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। যে বা যাঁরা দেশের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, সচেতনভাবেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা যাঁদের, সন্ত্রাসবাদীদের মতো ব্ল্যাকমেল করছেন, দেশের আইন এবং নাগরিকদের কাছে তাঁদের কঠোর শাস্তি অনিবার্য। তিনি বলেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ অশান্তি আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতিগত পরিচয়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটা সমগ্র রাশিয়া ও দেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত ধাক্কার। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি আমাদের নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই সময় জাতীয় ঐক্য অবশ্যই জরুরি।

    এদিকে, ওয়াগনার (Russia Crisis) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ক্রেমলিনকে দায়ি করে প্রগোজিন বলেন, আমরা মস্কো যাচ্ছি এবং যে কেউ আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আমাদের শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, আমাদের প্রচুর সংখ্যক যোদ্ধা, আমাদের কমরেডদের হত্যা করেছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share