Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gotabaya Rajapaksa:  সিঙ্গাপুরেই স্বস্তি! আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে

    Gotabaya Rajapaksa: সিঙ্গাপুরেই স্বস্তি! আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে (Singapore) থাকতে পারবেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (Former President) গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। সিঙ্গাপুর থেকে শীঘ্রই দেশে ফিরবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এমনই জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) মন্ত্রিসভার মুখপাত্র (Spokesperson) বান্দুলা গুণবর্ধণে। তবে দেশে ফিরলে আবারও বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে পারেন এই আশঙ্কায় আরও কিছুদিন দেশের বাইরেই থাকতে চাইছেন গোতাবায়া। তাই সিঙ্গাপুর প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি মেনে নিয়েই গোতাবায়ার সিঙ্গাপুরে থাকার মেয়াদ আরও ২ সপ্তাহ বাড়িয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    প্রসঙ্গত ১৪ জুলাই মালদ্বীপ (Maldives) থেকে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ওই সময় ১৪ দিনের জন্যে সিঙ্গাপুরে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় ১১ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে থাকতে পারবেন গোতাবায়া। চরম আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থাকা শ্রীলঙ্কায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। গত ১৩ জুলাই তিনি মালদ্বীপে পৌঁছন। কিন্তু সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি বিশেষ চার্টাড বিমানে করে মলদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান সস্ত্রীক গোতাবায়া। সেখান থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদের ইস্তফাপত্র পাঠান। কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    সিঙ্গাপুর প্রশাসন (Singapore Administration) সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন রাজাপক্ষে। তিনি হোটেল ছেড়ে কোনও পরিচিতের বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলেও অনুমান। তবে রাজাপক্ষে কোনও রাজনৈতিক আশ্রয় (Political Asylum) চাননি বলে দাবি সিঙ্গাপুর সরকারের। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী সাধারণত কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয় না। চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা ক্যাবিনেটের মুখপাত্র বান্দুলা গুণবর্ধনে জানান, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোটেও আত্মগোপন করে নেই। তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বিশেষ দরকারে। শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তবে এবার তাঁর দেশের বাইরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর তাঁকে দেশে ফেরানো যাবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। 

  • Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

    ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের  
     
    মারবার্গ  ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা। 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

    মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।

     

  • Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka economic crisis) পড়েছে। রান্নার গ্যাস, বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে। জনতার রোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যাচ্ছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরই মাঝে খবর, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ২০ জুলাই নতুন রাষ্ট্রপতি (New President) নির্বাচন করবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। আবেওয়ার্দেনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শুক্রবার পুনরায় লোকসভা অধিবেশন বসবে এবং পাঁচ দিন পরে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট হবে।”

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের         
     
    তিনি আরও বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে পুনরায় সরকার গড়া আবশ্যক। ক্ষমতাসীন দল বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।”   

    সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। সপ্তাহান্তে, রাজধানী কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) সরকারী বাসভবনে হামলা চালায় এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালাতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তাঁরা পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার দুই নেতার পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলো সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?       

    এএনআই সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী, সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (SJB) সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সাজিথ প্রেমাদাসাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসজেবি পার্টির সচিব রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন এবং সংসদীয় গ্রুপে পার্টির চেয়ারম্যান ফিল্ড মার্শাল শরথ ফনসেকা প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন। সংসদে এসজেবির প্রায় ৫০  জন সাংসদ রয়েছে এবং সংসদ ভোটে জিততে তাদের ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন৷    

    শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই পদত্যাগ করলে স্পিকার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সংসদকে তার সদস্যদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। তিনি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ার মেয়াদের বাকি দুই বছরের জন্য পদে বহাল থাকবেন।     

      

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় সরকার (All Party Government) গড়তে সহমত হল শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সমস্ত বিরোধী দল (Oppositions)। আগামী বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (President Gotabaya Rajapaksa)। রাষ্ট্রপতির ইস্তফার পর দেশ চালানোর জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার একটি বৈঠকের পর এই কথা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka Economic Crisis) পড়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশজুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নেতা, ক্রিকেটার থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সঙ্কট থেকে টেনে তুলতে ব্যর্থ সরকার। বিক্ষোভ কর্মসূচী হিসেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দখলও নিয়েছে দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে সরকার চালানোর বিষয়ে রবিবার বৈঠকে বসে বিরোধী দলগুলি। তার পরেই শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (SLPP) দলের নেতা বিমল বীরাবানসা বলেন, ‘‘কিছু সময়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ সরকার গড়তে আমরা সব দল সম্মত হয়েছি।’’ 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা  

    বিমল আরও বলেন, ‘‘এই সরকারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’’ এসএলপিপির আরেক নেতা বাসুদেব নানাইয়াক্কারার বলেন, “১৩ জুলাই গোতাবায়ার ইস্তফার জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। তার আগেই সরকার গড়া উচিত।” 

    শনিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই বিরোধী নেতারাও রাষ্ট্রপতির ইস্তফা দাবি করেন। সেই বার্তা গোতাবায়ার কাছে পৌঁছে দেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। তারপরেই ১৩ জুলাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন গোতাবায়া । ইস্তফা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিঙ্ঘে।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    প্রধান বিরোধী দল সমাগী জন বলাওয়েগায়া দলের নেতা র়ঞ্জিত মাদ্দুমা বানদারা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ায় সম্মত হয়েছি আমরা। এর পর দেশে সংসদীয় নির্বাচন হবে।’’

    হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি: তবে এখনও হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। জনরোষের ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে থেকেও দিচ্ছেন সরকারি নির্দেশ। রবিবার শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা জানান, রাষ্ট্রপতি সরকারি আধিকারিকদের জনগণের মাঝে রান্নার গ্যাস বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ এখনও খোলা রয়েছে, এতে জনতার সমর্থন কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। রাজাপক্ষের এই পদক্ষেপে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে এখনও কী পদে থাকার আশা ছাড়েননি তিনি! সত্যিই কী ইস্তফা দেবেন?  

    শ্রীলঙ্কার জনগণের পাশে ভারত: এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধন রয়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কা এবং তার জনগণ যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে সম্পর্কে অবগত। অরিন্দম বাগচি আরও বলেছেন, “আমরা চাই শ্রীলঙ্কা খুব অল্প সময়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসুক। ভারত এই বছর শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সেই দেশকে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবিষয়ে বলেন, “ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য করবে।”

    শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত? সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছিল যে ভারত নাকি সেনা পাঠাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। তবে কলম্বোতে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের রিপোর্ট ভারতের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। বিদেশ দফতরের মুখপাত্রও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে দেশের উন্নতি চাইছেন। 

  • Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্ত জাপান শুক্রবার হয়ে উঠেছিল অশান্ত। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নারা শহরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান  জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। গুলি করার পরই এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তেতসুয়া ইয়াগমি। তবে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। জাপান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৯০ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার তদন্ত করছে।

    আরও পড়ুন: খুনের লক্ষ্যেই বন্দুক বানানো! অকপট স্বীকারোক্তি আবের আততায়ীর

    বাড়িতে তৈরি শটগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো তেতসুয়া পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে শিনজো আবেকে হত্যা করেছে তবে, হামলা করতে চেয়েছিল অন্য একজনকে। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তেতসুয়ার। সেই ধর্মগুরুকে হত্যা করতে চেয়ে শিনজো আবের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেতসুয়া। প্রয়াত শিনজো আবে ওই ধর্মগুরু ও তাঁর সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে আসেন তাঁর শাসনকালে। এমনই অভিযোগ তেতসুয়ার। আর সেই রাগ থেকেই সে শিনজোর ওপর গুলি চালায় সে। জাপানের নারা শহরে তেতসুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বহু অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, জাপানে সব থেকে বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আবে। এক সময়ে জাপানি অর্থনীতিকে মন্দা থেকে টেনে তোলার জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর— ‘আবেনমিক্স’। অথচ, তাঁকে ঘোর অপছন্দ বলেই হত্যা করেছে আততায়ী! শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ২০২০ সালে সরে দাঁড়ান শিনজো। তবে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। প্রিয় নেতার শোকে মুহ্যমান জাপান। ‘সূর্যোদয়ের দেশে’ শনিবার ছিল বিষণ্ণতার ছাপ। শোকের ছায়া ভারতেও। প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে গভীরভাবে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই জাতীয় শোক ঘোষণা করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। দেশজুড়ে পালিত হবে রাষ্ট্রীয় শোক। সেই মতোই এদিন দেশের সমস্ত অফিস ও সরকারি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাতিল করা হয় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান।

  • I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটুইউটু-র (I2U2) প্রথম প্রজেক্ট হতে চলেছে ভারতে (India)। কৃষি (Agriculture), খাদ্য (Food) এবং গ্রিন এনার্জি-র (Green Energy) ক্ষেত্রে হবে এই বিনিয়োগ। চার দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একথা।

    আই টু ইউ টু-র অর্থ ইন্ডিয়া ও ইসরায়েল এবং আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। বৃহস্পতিবার হয় এই চার দেশের প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন। এদিনের সম্মেলেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। উদ্বোধনী বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা সংকট ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকেই ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইটুইউটু গোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, গোটা বিশ্বে যেভাবে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, তার মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য এটি অত্যন্ত ভাল একটি মডেল। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী শক্তি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রথম শীর্ষ সম্মেলন থেকেই আইটুইউটু একটি ইতিবাচক অ্যাজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প চিহ্নিত করেছি এবং সেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছি।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    মোদি জানান, আইটুইউটু গোষ্ঠীর কাঠামোর অধীনে জল, শক্তি, পরিবহণ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য- নিরাপত্তার এই ছটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাজেন্ডা প্রগতিশীল ও বাস্তবোচিত। তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতামূলক কাঠামো ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল অনিশ্চয়তার মুখে ব্যবহারিক সহযোগিতার জন্য একটি ভালো মডেল।

    জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যে দুশো কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এ দেশে, তাতে তারা বেশ কয়েকটি খাদ্য নিরাপত্তা পার্ক গড়ে তুলবে। প্রকল্পের জন্য জমি দেবে ভারত সরকার। পার্কগুলির সঙ্গে কৃষকদের যুক্ত করার কাজও করবে সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রথম যে দুটি প্রজেক্টের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, সে দুটি হল খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রিন এনার্জি। এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য নিরাপত্তা। কারণ তামাম বিশ্ব আপাতত ভুগছে খাদ্য অনিশ্চয়তায়।

     

  • Donald Trump: দেড় বছর পর ওয়াশিংটনে, আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

    Donald Trump: দেড় বছর পর ওয়াশিংটনে, আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে হোয়াইট হাউস (White House) ছেড়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (Former US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এরপর আর ওয়াশিংটনে ফেরেননি তিনি। তবে গতকাল মঙ্গলবার আবারও ওয়াশিংটনে দেখা গেল তাঁকে। এদিন সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প আবারও ইঙ্গিত করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। তিনি প্রায় ১৮ মাস আগে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে গেলে তাঁকে আর ওয়াশিংটনে দেখা যায়নি। কিন্তু ফিরে এসেই তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সমস্ত দেশের রাজনৈতিক মহলে।

    তিনি এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়েছেন, তিনি প্রথমবার লড়ে জিতে গিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েও ভালোই করেছিলেন। তাই আবারও হয়তো তাঁকে প্রার্থী হতে হবে, তবেই দেশকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারবেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস পরবর্তী রিপাবলিক প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনি। এছাড়াও ২০২০ সালের নির্বাচনে নিজেকে জয়ী উল্লেখ করে ট্রাম্প যে মিথ্যা দাবি করে থাকেন তা নিয়ে আবারও বলেছেন এদিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    আবার তিনি এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, দেশের এমন অবস্থার জন্য বাইডেনই দায়ী। তিনি দাবি করেছেন, দেশ এখন অবনতির দিকে এগোচ্ছে আর এসবের জন্য দায়ী জো বাইডেন। ৪৯ বছরে মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেশি, গ্যাসের দামও ইতিহাসে প্রথমবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাইডেনের অনুমতিতেই বহিরাগতরা তাদের দেশে প্রবেশ করছে। ফলে সব দেশের অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দিচ্ছে আর সবকিছুর পেছনে বাইডেন দায়ী। এমনকি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পেছনেও বাইডেনই আছেন বলেছেন ট্রাম্প। এসবের কিছুই হত না যদি তিনি কমান্ডার-ইন-চিফ হতেন এমনটাই দাবি ট্রাম্পের।

    এছাড়াও ট্রাম্পের বক্তব্য রাখার আগে এদিন তাঁর প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট, মাইক পেন্স (Mike Pence) বক্তব্য রাখেন ও তিনিও যে ২০২৪ -এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা, স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলি, মৃত ৯

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি 

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহাসনের আরও একটু কাছে এগিয়ে গেলেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister Election) হওয়ার লড়াইয়ে ফের করলেন বাজিমাৎ। দ্বিতীয়  ধাপের ভোটেও কনজারভেটিভ দলের এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা পেলেন সবচেয়ে বেশি সমর্থন। 

    তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি পেয়েছেন ১০১টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রিটেনের  সহ-বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডন্ট। তিনি পেয়েছেন ৮৩টি ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস। পেয়েছেন ৬৪টি ভোট। বরিস সরকারের মন্ত্রী কেমি বেডনোচ পেয়েছেন ৪৯টি ভোট। টম টুগেনধাত ৩২টি ভোট পেয়ে এখনও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন। আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্লেভারম্যান ২৭টি ভোট পেয়ে লড়াই থেকে বাদ পড়েছেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম দিয়ে কটাক্ষের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি – সুয়েলা 

    এ অবধি ভোটের  ট্রেন্ড দেখে অনেকেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুকুট উঠবে ঋষির মাথাতেই। 
     
    প্রথম ধাপের ভোটেও সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন ঋষি। দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে? 

    ঋষি সুনকের বয়স ৪২। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনই (Boris Johnson) তাঁকে নির্বাচন করে অর্থমন্ত্রী করেন। মহামারী চলাকালীন ব্যবসা এবং  কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি।  

    স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তির কারণে মাঝে মাঝেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঋষিকে। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় তাঁকে। ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা ঋষির স্ত্রী। তাঁদের দুই কন্যাও রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়াশোনা করা কালীন তাঁদের আলাপ হয়।

  • Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কেনার কথা ছিল টেসলার (Tesla) মালিক ইলন মাস্কের (Elon Mask)। কিন্তু সেই চুক্তি (Agreement) বাতিল করেছেন বিশ্বের এই ধনীতম ব্যবসায়ী। ধনকুবেরের অভিযোগ, ভুয়ো ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে তাঁকে কোনও তথ্য দেখাতে পারেনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তাই ট্যুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ইলন মাস্ক।

      আরও পড়ুন: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    গত ২৫ এপ্রিল ট্যুইটারের মালিকানা পান ইলন। প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে এই সংস্থাটি কেনেন তিনি। সংস্থাটি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও নেন। ঋণ পরিশোধ করতে শেষ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটারও আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, খরচ কমানোর জন্যে সংস্থার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মীর বেতন কমানোও হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদতে বানচাল হয় সব পরিকল্পনা। 

    আরও পড়ুন: ভুয়ো অ্যাকাউন্টের জের! ট্যুইটার কেনা আপাতত স্থগিত, জানালেন ইলন মাস্ক

    ইলন মাস্কের আইনজীবী জানান, ট্যুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্মে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে একাধিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন তাঁর মক্কেল। 

    ইলন মাস্কের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলো জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। অর্থাৎ, এর ফলে আমেরিকার ধনকুবের এবং সান ফ্রান্সিসকোর সংস্থার মধ্যে দীর্ঘ আইনি লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা।  

    ট্যুইটার অভিযোগ করে, ইলন মাস্ক ইচ্ছাকৃত চুক্তি বাতিল করেছেন। ট্যুইটারের তরফ থেকে ধনকুবেরকে কোনও রকম অসহযোগীতা করা হয়নি। 

    ট্যুইটারের তরফ থেকে একটি  চিঠিতে বলা হয়েছে, “ইলন মাস্কের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ভুল এবং অবৈধ। নিয়ম মেনে চুক্তি বাতিল করা হয়নি। ব্যাঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি পত্র এবং ইক্যুইটি প্রতিশ্রুতি পত্র কার্যকর থাকবে। মাস্ক এবং তাঁর সহকারী সংস্থাগুলি যেন তা মেনে চলে।”  

     

  • Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাড়াটে সৈন্য (Mercenaries) দিয়ে ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ করাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করল যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষমন্ত্রক (UK Defence Ministry)। মন্ত্রকের দাবি পাঁচ মাসের এই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেশের বহু সৈন্য হারিয়েছে পুতিন সরকার। সৈন্যের ঘাটতি পড়েছে সে দেশে। তাই টাকার বিনিময়ে বহাল করা সেনা দিয়েই যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে রাশিয়াকে।  

    ওয়াগনার গ্রুপের (Wagner Group) সরকারি সৈন্যদের থেকে ভাড়াটে সৈন্যদের প্রতি বেশি বিশ্বস্ততা দেখাচ্ছে পুতিন সরকার। তাদেরকেই রাখা হচ্ছে সামনের সারিতে। টানা যুদ্ধ যে অনেকটাই মনোবল ভেঙে দিয়েছে রাশিয়ার এ তার বড় প্রমাণ। 

    আরও পড়ুন: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের
     
    যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ভাড়াটে সৈন্যরা সরকারি সৈন্যদের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ। আর সেকারণেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারছে না। 

    ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ২০১৫ সাল থেকেই রাশিয়া এই ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগ করা শুরু করেছিল। 

    কিভের আধিকারিকরা বুধবার জানিয়েছেন, দক্ষিণে রুশ সেনাদের ফের ঘাঁটি গাড়তে দেখা গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিশ্বাস, যে রাশিয়ার ৪৯ তম সেনাবাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থান করছে। এই রুশ সেনাবাহিনী দুর্বল।  

    কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দাবি করেছে পাঁচ মাসের এই টানা যুদ্ধে রাশিয়ার ১৫০০০ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি সৈন্য। রাশিয়ার জন্যে যা বিরাট ক্ষতি। আর এতে সরকারি সৈন্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধে আসতে চাইছেন না সেনাকর্মীরা। আর তাতেই ভাড়া করা সৈন্যতেই আস্থা রাখতে হচ্ছে রাশিয়াকে।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র

    এছাড়া ভাড়াটে সেনা যুদ্ধে প্রাণ হারালে তার দায়ও নিতে হচ্ছে না পুতিন সরকারকে। কিন্তু সরকারি সেনা প্রাণ হারালে বা আহত হলে সমস্ত আর্থিক দায় বহন করতে হয় যেকোনও দেশকে। আর এটাও ভাড়াটে সেনাকে সামনের সারিতে রেখে, সরকারি সেনাকে পিছনে রাখার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক। 

    সম্প্রতি ইউক্রেনে অভিযানের ক্ষেত্র বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বুধবার বলেন, ইউক্রেনে মস্কো যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার ভৌগলিক পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এখন আর শুধু পূর্ব ডনবাস অঞ্চলই নয়,  ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন, জাপোরিঝিয়াসহ আরও কিছু অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এই অবস্থায় এখনই সেই পথে হাঁটতে পারবে না রুশ বাহিনী। 

     

     

LinkedIn
Share