Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। একেবারে বাস্তব গল্প। এমন এক গল্প যা রোমহর্ষকতায় পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। হলিউড সিনেমার দৌলতে অনেকেই হয়ত সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলা গুপ্তচর-আততায়ীদের সঙ্গে পরিচিত। তা সে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক উইডো’-ই হোক কিংবা রাশিয়ার ‘রেড স্প্যারো’। তবে, এই গল্পের নায়িকা কোনও পর্দার কাল্পনিক চরিত্র নয়, সত্যিকারের মানুষ। এক কথায়, বাস্তবের ‘ব্ল্যাক উইডো’, রক্ত-মাংসের ‘রেড স্প্যারো’। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এক উচ্চশিক্ষিত ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা গুপ্তচর (Catherine Perez-Shakdam), যিনি কিনা ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। স্রেফ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাই নয়, রীতিমতো আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে জোগাড় করেছিলেন গোপন তথ্য। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদকে (Mossad Spy)। তারপর আচমকা একদিন উধাও! তাঁর দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যুদ্ধে ইরানকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও এখন তাঁর কোনও হদিশ পাচ্ছে না ইরান! কীভাবে সম্ভব হল? জেনে নিন সেই রোমহর্ষক গল্প।

    রহস্যময়ী মোসাদ এজেন্টের পরিচয়…

    প্রথমেই পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গে, যাঁকে নিয়ে আজ কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্বে। মোসাদের এই গুপ্তচরের নাম ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম (Catherine Perez-Shakdam)। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, এবং বলা বাহুল্য প্রচণ্ড সাহসী। ফ্রান্সের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন ক্যাথরিন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন এবং তার পরে অর্থ ও জনসংযোগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি ইয়েমেনের এক সুন্নি মুসলিম ব্যক্তির প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে এই বিবাহের সমাপ্তি ঘটে। এর পরই, ক্যাথরিনের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মোসাদ। তাঁকে রাজি করানো হয় ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার। মুসলিমের সঙ্গে সংসার করায় ইসলামিক রীতিগুলো রপ্ত ছিল ক্যাথরিনের। ফলে, মোসাদের খুব বেশি সময় লাগেনি ক্যাথরিনকে গড়ে তুলতে।

    মাথায় হিজাব, মস্তিষ্কে মোসাদ!

    মোসাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে সাংবাদিক, গবেষক ও চিন্তাবিদের পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করেন ক্যাথরিন। তিনি নিজেকে এক মুসলিম নারী এবং একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। ইরানে তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজাব পরতেন। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী। তাই তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ইরানের সরকার এবং সেনার প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন তিনি। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল টিভির বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে। তিনি ইয়েমেন যুদ্ধ, সৌদি নীতিমালা ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন, যা তাসনিম, মেহর এবং এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই পরিচালিত ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পেত। খামেনেই ডট আইআর–এ তাঁর লেখা ১৮টির বেশি প্রতিবেদন রয়েছে।

    ইরানের শীর্ষকর্তাদের স্ত্রীদের হাত করেন!

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন ক্যাথরিন। সেই মওকায় শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, যেসব বাড়িতে এবং স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত খুব কড়া, সেই ব্যক্তিগত স্থানেও প্রবেশ করতে পারতেন। ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আড্ডা ও বিশ্বাসের আড়ালে গৃহিণীদের মুখ থেকে তুলে আনতেন চরম গোপন তথ্য—স্বামী কোথায় কর্মরত, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কারা তাঁর সঙ্গে থাকেন ইত্যাদি। এই কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করতেন ক্যাথরিন।

    ক্যাথরিনের তথ্য দিয়েই হামলার নকশা!

    ইরানি সেনা অফিসারদের একাংশের বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের গতিবিধি চলে যায় ক্যাথরিনের নখদর্পণে। তরুণী গুপ্তচরের (Mossad Spy) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে চলে আসে মোসাদের। ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শিয়া কমান্ডারদের নিকেশ করার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজরায়েল। যুদ্ধ বাঁধতেই, একের পর একে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তার মৃত্যু হতে থাকে ইজরায়েলি হানায়। ইজরায়েলি হানার জেরে অনেক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য নিজেদের লোকেশন পরিবর্তন করেছিলেন। হয়ত ভেবেছিলেন যে, তাঁরা এখন নিরাপদ। কিন্তু প্রতিবারই যখনই কোনও আক্রমণ হয়েছিল, তখন তা এত নির্ভুল ছিল যে, মনে হয়েছিল যেন কেউ সঠিক লোকেশন ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি, নিহত কমান্ডারদের জায়গায় যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁরাও ইজরায়েলের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমায় নিশানা করা হয়েছে তাঁদের। সেই আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছু সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    আচমকা ভ্যানিশ হয়ে যান ক্যাথরিন…

    এর পরেই নড়েচড়ে বসে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান’। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে। বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে ক্যাথরিনকে (Catherine Perez-Shakdam) চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যাথরিন ততদিনে ভ্যানিশ। ক্যাথরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও আজও তাঁর কোনও নাগাল পাননি ইরানের গুপ্তচররা । কারও মতে, ক্যাথরিন তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন অন্য দেশে বাস করছেন। কিন্তু কোথায় তিনি? কেউ জানে না। তাঁর কোন চিহ্ন নেই, যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছেন। শুধু রয়ে গিয়েছে ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম নামটা। ইজরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী গুপ্তচরদের (Mossad Spy) একজন, যিনি ইরানকে হতবাক করেছেন এবং বিশ্বকে হতবাক করেছেন।

  • PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থায় গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at BRICS)। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে অনুষ্ঠিত ১৭তম ব্রিকস (BRICS)  শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশের শতকে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আজকের দিনে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। যেসব দেশ আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে, তাদের কোনও জায়গা নেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। এটা শুধু প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নও বটে।”

    পুরাতন কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান

    রিওর আইকনিক মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কারের জন্য জোরালো আবেদন করেন মোদি (PM Modi at BRICS)। তিনি বলেন, “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলতে পারে না”। এই কটাক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, যেখানে প্রযুক্তি প্রতি সপ্তাহে বদলাচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ বছরেও একবার বদল হয় না— এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সংস্কার শুধুমাত্র প্রতীকী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত।

    ব্রিকস কী

    ব্রিকস (BRICS) হল উদীয়মান অর্থনীতির ৫টি দেশের গোষ্ঠী – ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এতে যোগ দেয়। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান। ক্রমে এই গোষ্ঠী বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির জোটে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া বাদে সব দেশই উন্নয়নশীল। ব্রিকসের মূল লক্ষ্য হল বিকল্প অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

    গ্লোবাল সাউথ-এর কণ্ঠস্বর

    দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল (PM Modi on Global South) এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলির প্রতি ‘বঞ্চনা’ হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করলেন মোদি। যদিও এই দেশগুলি বিশ্ব কূটনীতির ময়দানে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট বা গোষ্ঠীগুলিতে এই দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “গ্লোবাল সাউথ বহুবার দ্বৈত মানদণ্ডের শিকার হয়েছে। উন্নয়ন, সম্পদের বণ্টন বা নিরাপত্তা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বৈষম্য স্পষ্ট।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যেসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, সেগুলো এখনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মঞ্চে যথাযথ স্থান পায় না।” তিনি জানান, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। সরাসরি বলেন, “জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলার অর্থ, উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই দেশগুলিকে বেশির ভাগ সময়েই নামমাত্র কিছু দেওয়া হয়ে থাকে।” মোদির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে এই বঞ্চনা চলছে। তাঁর কথায়, “গ্লোবাল সাউথকে ছাড়া আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি যেন এমন একটি মোবাইল ফোন, যার সিম আছে কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই।”

    আগামী বছর ভারতে ব্রিকস সম্মেলন

    সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে মোদির  (PM Modi at BRICS) উষ্ণ সাক্ষাত্‍ ও আলিঙ্গন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। “সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শাসন ব্যবস্থার জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা”— এই মূল উদ্দেশ্যে ব্রাজিলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আলোচনা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শাসনব্যবস্থা, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে। সম্মেলনে মোদি ব্রিকস (BRICS)-কে একটি “সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ও অভিযোজনক্ষম সংগঠন” হিসেবে বর্ণনা করেন। সম্প্রতি ব্রিকস-এর সম্প্রসারণকে স্বাগতও জানান। বলেন, “ব্রিকস সম্প্রসারিত হয়েছে, নতুন বন্ধুরা যোগ দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে, আমরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারি। এখন একই ইচ্ছাশক্তি দরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মতো প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্যও।” উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে ভারত ব্রিকস (BRICS)-এর সভাপতিত্ব নিতে চলেছে।

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

  • Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যর্পণের কথা বিবেচনা করতে পারে।” কথাগুলি বলেছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto)। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে শাহবাজ শরিফের দেশে। ভুট্টোর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রধান হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে ভুট্টোকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    কী বলেছিলেন ভুট্টো (Pakistan)

    ৪ জুলাই সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো বলেন, “হাফিজ সঈদ ও জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের মতো ব্যক্তিদের ভারতের হাতে তুলে দিতে পাকিস্তানের কোনও আপত্তি নেই। যদি নয়াদিল্লি সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবেই।” তিনি এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে আস্থা গড়ে তোলার একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। ভুট্টো বলেন, “ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই দুই জঙ্গিকে ঘিরে পাকিস্তান, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে মামলায় এগোতে পারছে না।”

    কী বললেন হাফিজের ছেলে

    ভুট্টোর মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই এক ভিডিও বার্তায় তালহা সঈদ ভুট্টোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, “এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের সম্মানহানি হয়েছে (Pakistan)।” তিনি বলেন, “ভুট্টো যে তাঁর (তালহার) বাবাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” তালহা আরও বলেন, “পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা না করে বরং পাকিস্তান সরকারের উচিত ভারতের নেতাদের প্রত্যর্পণের দাবি জানানো।”

    তিনি ভুট্টোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ভুট্টোর পরিবার ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিমী ও ভারতীয় ভাবধারার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। উল্লেখ্য, হাফিজ সঈদ এবং তালহা সঈদ দু’জনেই এখনও মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি। তালহার ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মার্কাজি মুসলিম লিগ এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতকে দায়ী করে (Bilawal Bhutto)। দলটির দাবি, পাকিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি কাজকর্মের মূল ষড়যন্ত্রকারী (Pakistan) হল ভারত।

  • PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবার পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS Summit)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক। তাই আক্রান্ত ও সমর্থককে একই পাল্লায় বিচার করা যায় না।’’ এই সময় যে দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, তাদের তীব্র ধিক্কার জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “চুপ থেকে জঙ্গিদের সম্মতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছে যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি বলে চালাচ্ছে।”

    মানবতার উপর আঘাত

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয় তা শুধুমাত্র ভারতের উপর নয়, এটি মানবতার উপর আঘাত। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে একটি অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তবে তাকে অবশ্যই এর মূল্য চোকাতে হবে।” আগামী বছরের ব্রিকস সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। তার আগেই ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শান্তির পথই সর্বোত্তম

    ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসন সংস্কার’ শীর্ষক অধিবেশনে, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি ভারতের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi At BRICS Summit)। তিনি মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের শান্তির বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, মানবতার কল্যাণের জন্য শান্তির পথই সর্বোত্তম।” মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা আমাদের সুবিধামতো নয়, বরং নীতিগত অবস্থান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না, তারা প্রকৃতপক্ষে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির প্রায়শই দ্বিচারিতার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলি বর্তমান বিশ্ব কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও এই দেশগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।

    ভারতের সঙ্গে সহমত

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলার দায় গ্রহণ করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ওই হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে তা সামনে আসার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে একটি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে সমহত প্রকাশ করে যৌথ ঘোষণাপত্র ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, যে বা যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের অপরাধী বলেই অ্য়াখ্যা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, যেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদ থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া- সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি আমরা।”

    ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়

    যদিও ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের নাম সরাসরি লেখা হয়নি, কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ, অর্থ জোগান, ও নিরাপদ আশ্রয়ের মতো শব্দগুলি দিয়ে যে ইঙ্গিত কোথায়, তা স্পষ্ট। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্বাস করি। ব্রিকসের এই ঘোষণায় স্বাগত জানানো হয়েছে জোটের ‘কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর চলমান কর্মসূচিকে। রাষ্ট্রসংঘে ‘কমপ্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসের এই সরাসরি এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কূটনীতির এক বড় জয় হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের উপস্থিতিতেই এই সম্মেলনে ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-নীতির সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। চিনের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।

  • PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে শেষমেশ ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর আগে তিনি সফর করেছেন তিন দেশ। ব্রাজিল (Brazil) হল চতুর্থ দেশ। ভারতে ফেরার পথে তিনি আসবেন নাবিমিয়া হয়ে। ব্রাজিলে পৌঁছে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রাজিলের ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা রিও ডি জেনেইরোয় খুবই উজ্জ্বল ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে এখনও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতের উন্নয়ন নিয়ে এতটাই আগ্রহী — তা সত্যিই বিস্ময়কর!”

    নৃত্যের থিম নেওয়া অপারেশন সিঁদুর থেকে (PM Modi)

    ব্রাজিলে পৌঁছানোর পর ভারতীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক প্রাণবন্ত অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একটি সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনা, যার থিম অপারেশন সিঁদুর থেকে নেওয়া। এদিন রিও ডি জেনেইরোর হলঘরটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য ও লোকসঙ্গীতের ছোঁয়ায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রশংসা ও করতালির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে তিনি নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে ছবিও তোলেন এবং তাঁদের উৎসাহিত করেন। এই নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন রেখাও। তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য একটি আধা-ধ্রুপদী নৃত্যের পরিকল্পনা করেছিলাম। এটি অপারেশন সিঁদুরকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল এবং আমাদের সাহসী সৈন্যদের প্রতি আন্তরিকভাবে উৎসর্গ করা হয়েছিল।”

    কী বলছেন স্থানীয়রা?

    আর একজন অংশগ্রহণকারী স্নেহা বলেন, “আমি আমাদের পরিবেশনায় অপারেশন সিঁদুরের একটি চিত্রকর্ম অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। মহিলা শিল্পী হিসেবে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি শক্তি এবং অনুপ্রেরণার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যোমিকা সিং এবং সোফিয়া কুরেশিকে উৎসর্গ (PM Modi) করেছি।” উত্তেজনা কেবল শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ব্রাজিলের বাসিন্দারাও প্রধানমন্ত্রীর আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর দেখে আমি রোমাঞ্চিত। এটা ব্রাজিলের জন্য সত্যিই সম্মানের।” আর একজন বলেন, “এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো মনে হচ্ছে। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই।”

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী রিও ডি জেনিরোয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলন হবে ৬-৭ জুলাই। এই সফরে তিনি ব্রাজিলের (Brazil) রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করতে পারেন বলে খবর (PM Modi)।

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আর্জেন্টিনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতীয় সময় শনিবার সকালে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Argentina)। ৫৭ বছর পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন ওই দেশে। ২০১৮ সালে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেও আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, দু’দিনের এই সফরে মোদি আর্জেন্টিনার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের যে সহযোগিতা চলছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। আলোচনা করবেন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির উপায় নিয়ে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছেছি। আমি রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহী।” এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি দেশ সফর করবেন। এটি তাঁর তৃতীয় গন্তব্য। এদিন হোটেলে পৌঁছানোর পর প্রবাসী ভারতীয়রা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দেন। চিৎকার করেন ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলেও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে একটি নৃত্যও পরিবেশন করা হয় প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব অর্জন করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সরকারি সফরে আর্জেন্টিনার প্রাণবন্ত শহর বুয়েনোস আইরেসে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। ৫৭ বছরের মধ্যে এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্জেন্টিনা সফর, যা ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর সফরকালে মোদি প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারত-আর্জেন্টিনা (Argentina) অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি মিলের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”

    আর্জেন্টিনার খনিজ সম্পদ

    দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা লিথিয়াম, তামা এবং শেল গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। যা এই দেশটিকে ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি অংশীদার করে তুলছে। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন ভারত তার জ্বালানির উৎস বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। আর্জেন্টিনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেল গ্যাসের মজুত রয়েছে। এর বেশিরভাগই এখনও অনুসন্ধান করা হয়নি। এই দেশে রয়েছে চতুর্থ বৃহত্তম শেল তেলের ভান্ডার। এছাড়াও দেশটিতে রয়েছে প্রচলিত তেল ও গ্যাসেরও বিপুল ভান্ডার।

    লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের একটি

    মনে রাখতে হবে, আর্জেন্টিনা লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের তিনটি দেশের একটি। বাকি দু’টি দেশ হল – বলিভিয়া ও চিলি। লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেল হল একটি অঞ্চল যা আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ আমেরিকার এই তিনটি দেশের সীমান্তে বিস্তৃত। এই অঞ্চল লিথিয়াম সম্পদের জন্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। লিথিয়াম ভারতবর্ষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক যানবাহন ও গ্রিড স্টোরেজের রিচার্জেবল ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়। ভারতের পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্যের জন্য এটি অত্যাবশ্যক (Argentina)। ভারত ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনার লিথিয়াম সংগ্রহের দিকে একটি পদক্ষেপ করেছে। খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ভারত সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ) আর্জেন্টিনার ক্যাটামার্কা প্রদেশে লিথিয়ামের ভান্ডারের খোঁজ চালানোর অধিকার পেয়েছে। আর্জেন্টিনা একটি বৃহৎ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প, ‘আর্জেন্টিনা এলএনজি’, বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল এখনও পর্যন্ত অপ্রচলিত থাকা ভাকা মুইর্তা শেল গঠনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা। এটি আর্জেন্টিনার নিউকেন অববাহিকায় অবস্থিত একটি বিশাল শেল গঠন, যা বিপুল পরিমাণ অপ্রথাগত তেল ও গ্যাসের জন্য পরিচিত (PM Modi)।

    এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনা ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৩০ মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ধাপে ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে এলএনজি রফতানি বাড়ানোর কথাও ভাবছে এবং ভারতের উৎপাদন-পূর্ব খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগ্রহ দেখিয়েছে (Argentina)। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর জ্বালানি সরবরাহ নির্ভরতা কমাতে চাইছে। বাজারের ওঠানামা এড়াতেও তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে। আর্জেন্টিনা-সহ পাঁচটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সেই দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

    বিকল্প জ্বালানির খোঁজ

    গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধভেরী বাজছে, সেই সময় ভারত উপলব্ধি করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল একাধিক বিকল্প থাকা। আমেরিকার হুমকি সত্ত্বেও, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পর সস্তায় রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করার ভারতের সিদ্ধান্ত, তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করার ভারতের কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মোদি সরকার এমন দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের (Argentina) জন্য কাজ করছে যারা ভারতের সম্ভাব্য জ্বালানি অংশীদার হতে পারে (PM Modi)।

  • BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় চাপে ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এতদিনে সেই কথা মানলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিশেষ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতের নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল (BrahMos Strike) যখন পাকিস্তানের চট্টগ্রামের নুর খান এয়ারবেসে আঘাত হানে, তখন পাকিস্তানের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড। মিসাইলটি পারমাণবিক কিনা তা নির্ধারণ করাই ছিল লক্ষ্য।

    ব্রহ্মস আক্রমণের প্রেক্ষাপট

    চলতি বছর ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান ঘেঁষা সন্ত্রাসীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। এই ঘটনার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিহত হয় ১০০-র বেশি জঙ্গি। পাকিস্তান পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে সেগুলি প্রতিহত করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা। এরপর ভারত সোজাসুজি পাক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস হামলা চালায়। ৯ মে রাত থেকে ১০ মে ভোর পর্যন্ত একযোগে ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়— যার মধ্যে ছিল সর্গোধা, রফিকি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চকলালার নুর খান এয়ারবেস।

    কেন এত গুরুত্বপূর্ণ নুর খান ঘাঁটি?

    নুর খান এয়ারবেস পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ভিআইপি ফ্লিট, তুরস্ক থেকে কেনা উন্নত ড্রোন (Bayraktar TB2), এবং স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু। এটি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের পাশেই। এমন স্পর্শকাতর স্থানে ভারতের এই সুপারসনিক হামলা ছিল নজিরবিহীন।

    ব্রহ্মসের গতি এবং পাকিস্তানের বিভ্রান্তি

    ব্রহ্মস একটি ইন্দো-রাশিয়ান যৌথভাবে তৈরি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি মাক ২.৮–৩.০ (প্রায় ৩৪৫০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুটে আসে এবং মাটির কাছাকাছি উড়ে আসায় সহজে ধরা যায় না। রানা সানাউল্লাহ বলেন, “এই মিসাইল যদি পারমাণবিক হতো, পাকিস্তানের সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড। পরিস্থিতিটা ছিল সত্যিই ভয়ানক।” তিনি এটিকে বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলেও মন্তব্য করেন। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, নুর খান ঘাঁটিতে রানওয়ে ভাঙা, হ্যাঙ্গার বিধ্বস্ত, রাডার ইনস্টলেশন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই ধ্বংসের ছবি দেখা যায় সর্গোধা, ভোলারি, রহিম ইয়ার খান, ও সুক্কুর ঘাঁটিতে। এই হামলায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা কার্যত বিপর্যস্ত হয়। পাকিস্তান শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার স্বীকার করেন— “ভারত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে হামলা করেছে।”

    যুদ্ধবিরতির বিতর্ক

    পাকিস্তান দাবি করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি করান এবং তাঁকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার কথাও বলেন রানা সানাউল্লাহ। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তা খণ্ডন করে জানায়, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন (DGMO) নিজেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠান। আসলে ভারতের হামলায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। রানা সানাউল্লাহ-এর কথা থেকেই তা স্পষ্ট। তবে পারমাণবিক হামলায় যে আশঙ্কার কথা রানা সানাউল্লাহ উল্লেখ করছেন, তা অমূলক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতির (No First Use) ভিত্তিতে পাকিস্তানের বোঝা উচিত ছিল, ব্রহ্মসে পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা কম। এই কথা বলে পাকিস্তান পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই পাক আতঙ্কের কথা জানালেন সানাউল্লাহও। এই ব্রহ্মস হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কতটা অসহায় করে দিয়েছিল, রানা সানাউল্লাহর স্বীকারোক্তি থেকে তা জলের মতো পরিষ্কার।

  • India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে (Turkey) সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশেষ বিমানে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। অথচ, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন নয়াদিল্লির অবদান ভুলে গিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক (India Greece Missile Deal)! উন্নত ড্রোন, অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে বন্ধু পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেই তুরস্ককেই এবার উপযুক্ত জবাব দিতে চলেছে ভারত! তুরস্কের জাতশত্রু গ্রিসকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক গ্রিস সফরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরি গ্রিসের বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গ্রিসে লং-রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের একটি সম্ভাব্য চুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।

    ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব (India Greece Missile Deal)

    তুরস্কের সংবাদসংস্থা টিআর হেবার জানিয়েছে, ডিআরডিও নির্মিত এই মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। যদিও ভারত বা গ্রিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ওই সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ভারত ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম একটি ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সম্ভাব্য মিসাইল দেওয়ার খবরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তুরস্কে। ভারতের কাছ থেকে গ্রিস এই ধরনের কৌশলগত অস্ত্র পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় কাঁটা আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)। ভারতের এই মিসাইলটি বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা (Turkey) ব্যবস্থা, রাডার ইনস্টলেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আঙ্কারার (India Greece Missile Deal)।

    ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক

    এই জল্পনা এমন একটা সময়ে উঠেছে যখন ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। বস্তুত তার পরেই ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের অস্ত্রের ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে তামাম বিশ্ব। তাই আরও বেশি করে ভয় পেয়েছে তুরস্ক। কারণ গ্রিস যদি ভারতের এলআর-এলএএসিএম মিসাইল পায়, তাহলে তারা তুরস্কের বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন হবে, যেমনটা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারত বেছে বেছে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

    এলআর-এলএএসিএম মিসাইলটি বৈশিষ্ট্য 

    প্রসঙ্গত, এলআর-এলএসিএম মিসাইলটি ব্রহ্মোস মিসাইলের মতোই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম উচ্চতায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে চলা, যার ফলে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। ২০২৪ সালে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় (Turkey)।

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম এই জল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেবারের একটি প্রতিবেদনের হেডলাইনই ছিল, “ভারত ১,০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল এজিয়ানে নিয়ে এসেছে! তারা তুরস্ককে টার্গেট বানাবে!” ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস সম্ভবত ভারতের “অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত দিকগুলি বিশ্লেষণ করে তুরস্কে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও দাবি করা হয়েছে, গ্রিস ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে (India Greece Missile Deal)।

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা নতুন নয়। এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সামরিক সংঘর্ষ এবং আইজিয়ান সাগর, আকাশসীমা লঙ্ঘন, সাইপ্রাস ইস্যু এবং সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদের ওপর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। একই সামরিক জোটের অংশ হওয়া এবং ইউরোপীয় (Turkey) ইউনিয়নের কিছু সহযোগিতা কাঠামো শেয়ার করা সত্ত্বেও, গ্রিস-তুরস্কের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে (India Greece Missile Deal)।

    প্রসঙ্গত, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে গ্রিস আর তুরস্ক। গ্রিসের দাবি, কোস, সামোস, লেসবস-সহ পূর্ব এজিয়ান সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে তুরস্ক। ওই দ্বীপগুলির ওপর দিয়ে তারা নাকি নিয়মিত যুদ্ধবিমানও ওড়ায়। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান (Turkey) সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস (India Greece Missile Deal)।

LinkedIn
Share