Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার কুর্সিতে বসেছেন গত জানুয়ারি মাসেই। এই আবহে তাঁর নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার আমেরিকান। শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনের রাস্তাতে। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছেন আমেরিকার মানুষ। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার (USA) ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার এইরকমের মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রশাসনে পর পর কর্মীছাঁটাই, অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য নয়া নিয়ম চালু, শুল্ক নীতি- এই প্রতিটি সিদ্ধান্তেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। এই আবহে মসনদে বসার ৩ মাসের মধ্যেই দেখা গেল বিক্ষোভ।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?

    ম্যানহাটনে ট্রাম্প-বিরোধী (Donald Trump) মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে এক প্রতিবাদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ভীষণ ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত একদল মানুষ নিজেদের ইচ্ছামতো আমাদের দেশটাকে চালাচ্ছেন। আমাদের দেশ আর মহান নেই।’’ অন্যদিকে ওয়াশিংটনের রাস্তায় স্লোগান দিতে দিতে এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে বাসে করে আমরা প্রায় ১০০ জন এখানে প্রতিবাদ (USA) জানাতে এসেছি। এই প্রশাসনের জন্য বিশ্ব জুড়ে বন্ধুদের হারাচ্ছি আমরা। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। দেশের মধ্যেও তারা বিভাজন তৈরি করছে। আমাদের সরকারকে ওরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    নীতি বদলাবে না সাফ জানালেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত দেখা গিয়েছে সেদেশের রাজধানী ওয়াশিংটনেই। হোয়াইট হাউসের অদূরে ন্যাশনাল মলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। আমেরিকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে এসেছেন তাঁরা। ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে ওয়াশিংটন। কিছু রিপোর্ট বলছে, শুধু ওয়াশিংটনেই ২০ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জমায়েতে শামিল হয়েছেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি, সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে ট্রাম্প (Donald Trump) অবশ্য কোনও বিরোধিতায় আমল দিচ্ছেন না। হোয়াইট হাউসে বসে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমার নীতি কখনও বদলাবে না।’’

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির মুকুটে নয়া পালক! এবার শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আজ শনিবারই একথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েক। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ (Mitra Vibhushana) পাওয়ার পরে, এই সম্মান মোদি ১৪০ কোটি ভারতীয়র উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। সম্মান পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটাল এই সম্মান। এর জন্য আমি রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার সরকার এবং এর জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’’

    স্বাধীনতা স্কোয়ারে প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হয় সম্মান

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) শ্রীলঙ্কা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফরে একদিকে যেমন সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় দ্বীপরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা স্কোয়ারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে (PM Modi) স্বাধীনতা স্কোয়ারে এভাবে সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগে অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এমন সম্মান দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, শ্রীলঙ্কার সরকারের এমন সম্মানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

    মিত্র বিভূষণ পদকের বিশ্লেষণ (Mitra Vibhushana)

    মিত্র বিভূষণ বা ধর্মচক্র উভয় দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কা) সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই সম্মানে বৌদ্ধ ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। চালের সজ্জিত একটি উপাদান দেখতে পাওয়া যায় মিত্র বিভূষণ। এটি পুন কলস নামে পরিচিত যা সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এরসঙ্গে মিত্রবিভূষণে রয়েছে নবরত্ন (নয়টি মূল্যবান রত্ন)। এই নবরত্ন দুই দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কার) মধ্যে অমূল্য এবং স্থায়ী বন্ধুতের প্রতীক বলে মনে করা হয়। অবশেষে, পদকে রয়েছে সূর্য ও চন্দ্র। এই দুই প্রতীক অতীত ও ভবিষ্যতের বন্ধনকেই নির্দেশ করে। একইসঙ্গে চন্দ্র ও সূর্য ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক সংযোগকেও প্রতিফলিত করে।

  • Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার দাদা। তিনি আমার গুরু।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই প্রশস্তি করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী (Bhutan PM) শেরিং টোবগে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইল্যান্ডে শুক্রবার শেষ হয়েছে ষষ্ঠ বিমস্টেকের (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই শেষ দিন হয় ভারত ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর গলায়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টোবগে বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার দাদা বলে মনে করি। তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন। তাই আমি তাঁকে আমার গুরু বলেও মনে করি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকই আমার জন্য খুব বিশেষ।’’

    মোদি ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ (Bhutan PM)

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ বলেও অভিহিত করেন। আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে তাঁর পডকাস্টের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাগুলি শুনতে শুনতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর কথা শুনছি।” তিনি জানান, পডকাস্টটি তিনি ইংরেজি এবং হিন্দি উভয় ভাষায়ই শুনেছেন। শেরিং টোবগে (Bhutan PM) বলেন, ‘‘আমি লেক্স ফ্রিডম্যানের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার শুনেছি। আমি এটি ইংরেজিতে শুনেছি। হিন্দিতেও শুনেছি। যদিও আমি খুব বেশি হিন্দি বুঝি না। তবে আমি এটি মূল ভাষায় শুনতে চেয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েওছি।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছিলাম, দাদা, আমি সেই পডকাস্টটি শুনেছি এবং আমি একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে দেখেছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর ভাষণ শুনছি। এটি খুবই আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ ছিল।’’

    ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকায় জোর

    বিমস্টেকের মধ্যে ভারত সব চেয়ে বড় দেশ। তাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “এই বৈঠকের সময় আমরা খুব সংক্ষেপে বিমস্টেকের কার্যক্রম ও ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ ভারত বিমস্টেকের সব চেয়ে বড় সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে জনবহুল সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে বড় অর্থনীতি এবং বিমস্টেক অঞ্চলের সব চেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা ভারতের নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সেই নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাই আমি বলেছি যে বিমস্টেকের জন্য অনেক ভালো কিছু (Bhutan PM) পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।”

  • Pakistan: বন্ধ দুই দেশের বাণিজ্য, চাহিদার কারণে অতিরিক্ত কর দিয়ে ঘুরপথে ভারতীয় পণ্য কিনছে পাকিস্তান!

    Pakistan: বন্ধ দুই দেশের বাণিজ্য, চাহিদার কারণে অতিরিক্ত কর দিয়ে ঘুরপথে ভারতীয় পণ্য কিনছে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই ঘটনাকে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিশোধ হিসেবে ব্যাখ্যা করে। এরপরেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা করে তারা। সেসময় পাকিস্তান সরকার জানায়, পরবর্তীকালে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তখনই আবার পুনরায় বাণিজ্য শুরু হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই পুলওয়ামার ভয়ঙ্কর হামলা ঘটে। ঠিক তার দিন কয়েক আগেই মোস্ট ফেভারড নেশনসের তালিকা থেকে ভারত বাদ দিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। এমএফএন-র মর্যাদা প্রত্যাহারের পাশাপাশি এরপরে ভারত বেশিরভাগ পাকিস্তানি পণ্যের (Pakistan) ওপরে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ভারতের এমন সিদ্ধান্ত ছিল পাকিস্তানের প্রতি একটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একেবারে ভাটা পড়ে যায়।

    ২০১৮-১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২.৫৬ বিলিয়ন ডলারের

    মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় বাজারে পাকিস্তানি (Pakistan) পণ্যের দাম খুবই বেশি হয়ে যায়। এর ফলে এই সমস্ত পণ্যগুলোর চাহিদা অনেকটাই কমে যায় ভারতের বাজারে। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮-১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২.৫৬ বিলিয়ন ডলারের। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য কমেনি বরং বেড়েই যাচ্ছিল এখানে বেশি লাভ ভারতেরই হচ্ছিল। তার কারণ এই মোট বাণিজ্যের দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পণ্য বা পরিষেবা ভারত থেকে রফতানি করা হত। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হত এমন পণ্য (Indian Goods) ছিল ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হত মূলত সিমেন্ট এবং ফলমূল। জানা যাচ্ছে, ৬০টিরও বেশি জীবনদায়ী ভারতীয় ওষুধ পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। সমগ্র পাকিস্তানে এগুলো বহুল ব্যবহৃত হত।

    বাণিজ্যের বদলে সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ২০১৮ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন বের হয় এবং সেখানে বলা হয় যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যদি অবাধ বাণিজ্য চলতে থাকে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এর পরিমাণ ৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু আদতে দেখা যায় পাকিস্তান ব্যবসার চেয়ে বেশি উৎসাহিত হয় সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিতেই এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ করতে। এ কারণেই ভারতকে ঘোষণা করতে হয়, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ একসঙ্গে চলতে পারে না।

    ঘুরপথে পণ্য যাচ্ছে পাকিস্তানে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে পাকিস্তান সরকার আসলে নিজেদের নাকই কেটেছে। তার কারণ হল পাকিস্তানে বর্তমানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বিপুল রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য না হলেও পাকিস্তানে ভারতের পণ্য দুবাই, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা হয়ে ঘুর পথে ঢুকছে। এর জন্য পাকিস্তানকে অতিরিক্ত পঁচিশ শতাংশ বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে এমনই একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে ফ্রাইডে টাইমস নামের একটি জার্নাল। বেশিরভাগ পাকিস্তানি বিশ্লেষকই মনে করছেন, পাকিস্তানেরই ভালো হত যদি ভারতের সাথে বাণিজ্য বন্ধ না হত।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    খুব সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে। ওই তথ্যে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের মার্চে ঘুর পথে পাকিস্তান ২৬.৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় পণ্য আমদানি করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে এই পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২০.৯৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরেই পণ্য আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য বন্ধ করলেও সে দেশে ভারতের ব্যবসা বন্ধ হয়নি এবং উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে।

    সরাসরি চিনি আমদানি করতে চেয়েছিলেন ইমরান, হয়নি কার্যকর

    ভারতীয় পণ্যের চাহিদার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান অনেক চেষ্টাই চালাচ্ছে যাতে আবার বাণিজ্য শুরু করা যায়। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। ২০২৪ সালে লন্ডনে বসে পাকিস্তানের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার এবং বিদেশ মন্ত্রী ইশাক ডর এবং তাঁর রাজনৈতিক গুরু নওয়াজ শরিফ ভারতের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য যাতে শুরু হয়, তার পক্ষে সওয়াল করেন। এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান এ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও পরিকল্পনা করেছিলেন ভারত থেকে চিনি আমদানি করার। কিন্তু যাই হোক এগুলো কোনওটাই কার্যকরী হয়নি।

    কী বলছেন ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

    ইসলামাবাদের একজন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক কুরেশি জানাচ্ছেন, ভারতীয় পণ্য জাহাজের মাধ্যমে পাকিস্তানের ঢুকছে। দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে। এটি অনেকটাই ব্যয়বহুল। এর জন্য ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় পণ্যের চাহিদা একেবারেই কমেনি পাকিস্তানে। প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষক কুরেশি নিজের এক্স মাধ্যমে এটি পোস্টও করেছেন।

  • PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মুখোমুখি বৈঠক হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। তাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হল পার্শ্ববৈঠক।

    বৈঠকে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের রাশ নেয় ইউনূস প্রশাসন। তারপর এই প্রথম হল মোদি-ইউনূস বৈঠক। বৃহস্পতিবার বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার। সেই সময়ও দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার হয় মুখোমুখি বৈঠক। ব্যাংককের শিংরিলা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু দয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতের কাছে একাধিকবার আর্জি জানানো হয়েছিল। প্রথমে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী। শেষমেশ অনেক অনুরোধ করায় রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী নিয়ে হল আলোচনা?

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাত্কার সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘মোদি বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত ভারতের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন। বিদেশ সচিব জানান, বৈঠকে ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থনের কথাও ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সীমান্ত আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ নিয়েও আলোচনা করেন।’’

    এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী। দীর্ঘ সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এদিনের বৈঠকে ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে মিস্রি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি শুধু বলেন, এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না, এবং আগেই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছ থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছে (PM Modi)।

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • PM Modi: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ,” তাইল্যান্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ,” তাইল্যান্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ।” বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ড সফরে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “ভারত ও তাইল্যান্ডের শতাব্দীপ্রাচীন (BIMSTEC Summit) সম্পর্ক আমাদের গভীর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত। বৌদ্ধধর্মের প্রসার আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করেছে। আয়ুথায়া থেকে নালন্দা পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের আদান-প্রদান হয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ।”

    সহযোগিতার বন্ধন (PM Modi) 

    ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান উপপ্রধানমন্ত্রী তথা পরিবহণমন্ত্রী সুরিয়া জংরুংগ্রেয়াংকিট। ব্যাংককে অবতরণের পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারত ও তাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন জোরদার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” তাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংস্কৃত ও পালি ভাষার প্রভাব আজও ভাষা ও ঐতিহ্যে প্রতিফলিত হয়। আমি তাইল্যান্ড সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যে, আমার সফরের সময় ১৮শ শতকের রামায়ণ ম্যুরাল চিত্রভিত্তিক একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছিল।”

    ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি

    তিনি বলেন, “ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে তাইল্যান্ডের একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। ভারত ও তাইল্যান্ড মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে সমর্থন করে। আমরা উন্নয়নবাদের নীতিতে বিশ্বাস করি, সম্প্রসারণবাদে নয়।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা ভারত-তাইল্যান্ড সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে তাই প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা “ওয়ার্ল্ড তি-পিটক: সজঝায়া ফোনেটিক সংস্করণ” নামক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ উপহার দেন। ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল অদুল্যাদেজ ও রানি সিরিকিটের ৭০ বছরের রাজত্বের স্মরণে এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছিল তাইল্যান্ড সরকার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন (BIMSTEC Summit), “প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা এইমাত্র আমাকে ত্রিপিটক উপহার দিয়েছেন। ‘বুদ্ধ ভূমি’ ভারতের পক্ষ থেকে আমি বিনম্রভাবে এটি গ্রহণ করেছি। গত বছর ভারত থেকে তাইল্যান্ডে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র ধ্বংসাবশেষ পাঠানো হয়েছিল। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ৪ মিলিয়নেরও বেশি ভক্ত সেটি দর্শনের সুযোগ পেয়েছেন (PM Modi)।”

  • Pakistan: আন্দোলনের চাপে নতি স্বীকার পাক সরকারের, মুক্ত বালোচ নেত্রী সাম্মি দীন বালোচ

    Pakistan: আন্দোলনের চাপে নতি স্বীকার পাক সরকারের, মুক্ত বালোচ নেত্রী সাম্মি দীন বালোচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের আন্দোলনের চাপে মুক্তি দেওয়া হল বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির (বিওয়াইসি) (BYC Leader) অন্যতম প্রধান নেত্রী সাম্মি দীন বালোচকে। তাঁকে (Pakistan) পাবলিক অর্ডার মেইনটেন্যান্স (পিওএম) আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাম্মি দীনকে যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করেছেন তাঁর বোন মেহলাব বালোচ। তিনি বলেন, “আমার দিদি সাম্মি দীন শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে।” তিনি আইনজীবী জিবরান নাসির, মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য যাঁরা তাঁদের সংগ্রামকে সমর্থন করছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

    সাম্মি দীনের আইনজীবীর বক্তব্য (Pakistan)

    সাম্মি দীনের আইনজীবী জিবরান নাসির জানান, সিন্ধু প্রদেশের সরকার এমপিও তালিকা থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নেওয়ায় সাম্মি দীন মুক্তি পেয়েছেন। তিনি জনগণ ও মিডিয়ার চাপকে সাম্মি দীনের মুক্তির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ওই আইনজীবী বলেন, “লালা ওয়াহাব, শেহদাদ, রাজিক এবং নাবালক সুলতান-সহ অন্যান্য বিওয়াইসি সদস্যদের বিরুদ্ধে এমপিও অর্ডার এখনও বলবৎ রয়েছে।” তিনি সরকারের কাছে সব আটক কর্মীর বিরুদ্ধে এমপিও প্রত্যাহারের দাবি জানান। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের যে অধিকার তাঁদের রয়েছে, পাকিস্তান সরকারকে তাও ফের মনে করিয়ে দেন তিনি।

    আটকদের মুক্তির জোরালো দাবি

    এদিকে, বিওয়াইসি নেতা লালা ওয়াহাব বালোচও মুক্তি পেয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে। এই দুজনকে মুক্তি দেওয়া হলেও, করাচি ও বালুচিস্তানে বিওয়াইসির বেশ কিছু সদস্যকে এখনও আটকে রাখা হয়েছে (Pakistan)। মাহরাং বালোচ, বেবার্গ বালোচ এবং শাহ জি সিবগাতুল্লাহর মতো প্রধান নেতারা এখনও হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের আটক করার প্রতিবাদে গত ১০ দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি হিংসার খবরও রয়েছে। সাম্মি দীনের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জিরবান নাসির। তাঁর দাবি, বালুচিস্তান সরকারের হেফাজতে থাকা মাহরাং বালোচ ও অন্যান্য আটক বিওয়াইসি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, বালোচ কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। তাঁদের জোরপূর্বক গ্রেফতারের জেরে ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে বালুচিস্তানে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি (BYC Leader) সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। তিনি এই অঞ্চলে দমন-পীড়ন বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন (Pakistan)।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

LinkedIn
Share