Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Surya Kumar Yadav: ‘‘দেখলাম আমাদের ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল’’, ক্ষোভ উগরে দিলেন সূর্য

    Surya Kumar Yadav: ‘‘দেখলাম আমাদের ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল’’, ক্ষোভ উগরে দিলেন সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ট্রফি-বিতর্ক (Asia Cup Final Drama) চলছিলই। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। বললেন, ‘‘দেখলাম, ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা।’’

    ‘‘ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা’’

    পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হলেও হাতে ট্রফি পায়নি। ম্যাচের পরে এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav) আর তাঁর দলকে ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার সেই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললে ‘স্কাই’। ট্রফি বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মোটেও দরজা বন্ধ করে দিইনি। ড্রেসিংরুমের ভিতরেও বসে থাকিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাউকে অপেক্ষাতেও রাখিনি। জটলার মধ্যে কেউ কেউ চিৎকার করতে শুরু করে। তার পরেই ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা। এটাই আমি দেখেছি। কিছু লোক আমাদের ভিডিও করেছে। তবে আমরা ড্রেসিং রুমের ভিতরে যাইনি।’’

    ‘‘মাঠে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি’’

    পিসিবি প্রধান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির (Mohsin Naqvi) কাছ থেকে ট্রফি চায়নি ভারতীয় দল। সেটা ফের একবার পরিষ্কার করে দেন সূর্য (Surya Kumar Yadav)। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমেই আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, পুরো টুর্নামেন্টে সরকার বা বিসিসিআইয়ের কেউ আমাদের এমন কিছু বলেনি যে, কেউ যদি ট্রফি দেয় তবে আমরা তা নেব কি নেব না। আমরা নিজেরাই মাঠে দাঁড়িয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি জানান, কেবল তিনি নন, দলের বাকি খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফও একই মত পোষণ করেছিলেন। এর পরে যা ঘটেছে, তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। ভারতীয় দল ট্রফি হাতে না পেলেও সাজঘরে নিজেদের মতো করে উদযাপন করেছে। সূর্যকুমার হাসতে হাসতে বলেন, “আমরা সবাই মিলে এআই ট্রফি বানালাম। কাপ না পেলেও ক্রিকেটে আমরা যা করেছি, সেটাই আমাদের প্রকৃত পুরস্কার।”

    ট্রফি রয়েছে নকভির জিম্মায়!

    এদিকে, বিসিসিআইয়ের (BCCI) দৃঢ় বিশ্বাস, ট্রফি রয়েছে মহসিন নকভির ব‍্যক্তিগত জিম্মায়। ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা জানান, সেদিন দেখা যায়, নকভি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন একটি রুপোলি মোড়কে ট্রফি নিয়ে তাঁর পিছন পিছন আসছেন এসিসির কয়েক জন কর্তা। নকভি পাকিস্তানের মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম‍্যান। জানা যাচ্ছে, এশিয়া কাপের ট্রফি রয়েছে দুবাইয়ে এসিসি-র সদর দফতরে। এটি দুবাইয়ের যে স্টেডিয়ামে ফাইনালে হল, সেখান থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। এই বিল্ডিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদর দফতরের সমনে। এদিকে, সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আয়োজকদের নকভি জানিয়েছেন, ভারতীয় দল তাদের পদক পেতে পারে। এমনকি ট্রফিও তারা পাবে। তবে সেই পদক এবং ট্রফি দু’টিই নকভি নিজের হাতে ভারতের হাতে তুলে দিতে চান। তার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে ভারতীয় বোর্ড (Surya Kumar Yadav) যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই (Asia Cup Final Drama)। ভারতীয় বোর্ড এই নিয়ে মঙ্গলবার দুবাইয়ের বৈঠকে প্রতিবাদ জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই থামছে না বোর্ড। নভেম্বরে আইসিসির বৈঠকেও বিষয়টি তুলবে বিসিসিআই।

  • India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ-জয়ের আনন্দ! ঘড়িতে তখন রাত ১২টা। পুজোর কলকাতায় মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল। তবে মাঝেই মাঝেই প্রতিমা থেকে চোখ সরছে মোবাইল স্ক্রিনে। চলছে ভারত-পাক এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনাল। তিলক বর্মার ছয়, শান্ত-ধীর ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরও আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। উচ্ছ্বসিত আসমুদ্র হিমাচল। পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের তিনটিতে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন ভারত (India vs Pakistan)। যোগ্যদের সম্মান দিতে জানে না পাকিস্তান। একইভাবে বিতর্ক জিইয়ে রেখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ট্রফি ও মেডেল নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তাতে কী? রেকর্ড বলছে, বাস্তব বলছে ভারত চ্যাম্পিয়ন। রবিবার পাকবধ করে এশিয়াসেরা হওয়ার পরেই সেকথা টুইট করে মনে করালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন, “এবার খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর।”

    খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর

    পহেলগাঁওয়ে পাক জঙ্গিদের হামলায় একাধিক ভারতীয় নারীর সিঁথির সিঁদুর মুছেছিল। যুদ্ধের ময়দানে তার বদলাও নিয়েছিল ভারত। এবার খেলার মাঠে দেবীপক্ষে প্রতিশোধ নিল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছে ভারত। এরপরেই এক্স হ্যান্ডেলে সংক্ষিপ্ত টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘‘খেলার মাঠেও ‘অপারেশন সিঁদুর’, ফলাফল একই, ভারত জিতল! আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই।” উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বদলা নিতে ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর জেরে ধ্বংস হয় পাকিস্তান (India vs Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চার দিন পর সংঘর্ষবিরতি হলেও এখনও উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। বারবার বাইশ গজে দুই দলের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসে চোখে পড়েছে সেই ছবি।

    ভারতের জয়ের তিলক

    এদিন এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে উঠে যায় ৮৪ রান। সাহিবজাদা ফারহান করেন ৫৭ রান। ফখর জামান ৪৬ রান করেন। তবে ভারতীয় স্পিনারদের আসতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। প্রথম তিনজনের পর আর কেউ দুই সংখ্যায় পৌঁছয়নি। ১১৩ রানে ২ উইকেট থেকে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাক বাহিনী। কুলদীপ যাদব পান ৪ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে তিলক বর্মা প্রথমে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর শিবম দুবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যান। দুবে আউট হলেও দমানো যায়নি তিলককে। ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    এশিয়ায় সেরা, টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড

    ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল ভারত (India vs Pakistan)। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (T20I) ফরম্যাটে রান তাড়া করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা নয়টি ম্যাচ জিতল ভারত। এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে কোনও ম্যাচে হারেনি ‘মেন ইন ব্লু’। এটি বিশ্বরেকর্ড – একশো শতাংশ জয়ের হারে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পাওয়ার রেকর্ড গড়ল ভারত। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি টিম ইন্ডিয়া। এশিয়া কাপ ২০২৫-এ আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়েছে তারা। এশিয়া কাপে টানা ৫০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ধারাবাহিক সাফল্য ও এশিয়া কাপে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রমাণ করে দিচ্ছে – ভারতীয় দল এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে কতটা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

    ট্রফি নিয়ে নাটক নকভির

    পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) জিতেও ট্রফি পেল না ভারতীয় দল। অভিযোগ, ট্রফি এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে নিজের হোটেলের ঘরে চলে গিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। এই ঘটনায় হতবাক ভরতীয় ক্রিকেট দল। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানালেন, এমন ঘটনা তিনি জীবনে দেখেননি। এশিয়া কাপ জিতে ট্রফি ছাড়াই উল্লাস করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। ২০২৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে রোহিত শর্মা যে কায়দায় ট্রফি তুলেছিলেন, সেই একই কায়দায় উল্লাস করলেন সূর্যেরা। পার্থক্য একটাই। সেবার রোহিতের হাতে ট্রফি ছিল। এবার কল্পনায় ট্রফি তুললেন সূর্য। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন সূর্য। তিনি বললেন, “চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি। সকলে বলছেন, ভারত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই আসল কথা।”

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান, জবাব বুমরার

    ফাইনাল (Asia Cup 2025) শুরুর আগে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় খোশগল্প করছিলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার হ্যারিস ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। ক্রিকেটের নিয়মে রয়েছে, অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময়ও সোজা হয়ে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। গল্প করা যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার সেটাই করেন। তার জন্য দু’জনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সমর্থকদের অভিযোগ, ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করেছেন তাঁরা। হ্যারিস ও শাহিনের শাস্তির দাবিও উঠেছে। ফাইনালে হ্যারিসকে বোল্ড করে তাঁকে জবাব দেন জসপ্রীত বুমরা। তিনিও ‘প্লেন ক্র্যাশ’ উল্লাস করেন।

    সেনা-ছাউনিতে উল্লাস

    গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) হারিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সূর্য। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের জয় টেলিভিশনে দেখেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানেরা। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁদের উল্লাসের ছবিও দেখা গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। টুর্নামেন্ট জিতে নিজের প্রতিটা ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাকে উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, সূর্যকুমারেরা ট্রফি নিতে অস্বীকার করায় এশিয়া কাপের ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন নকভি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, “যেহেতু ভরত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে তাই আমরা এমন কারও কাছ থেকে পুরস্কার নেব না, যিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী। নীতিগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় যে ভদ্রলোক ট্রফি ও মেডেল নিয়ে পালিয়ে যাবেন। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি ভদ্রলোক দ্রুত ট্রফি ও মেডেল ভারতকে ফেরত দিয়ে দেবেন।”

  • Surya Kumar Yadav: ‘রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না’, সূর্যকুমারকে বলল আইসিসি, কী হবে ফারহান-রউফের?

    Surya Kumar Yadav: ‘রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না’, সূর্যকুমারকে বলল আইসিসি, কী হবে ফারহান-রউফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসির শুনানিতে হাজির ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুবাইতেই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন সেই শুনানির দায়িত্বে ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্যকুমার যাদবকে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন রিচি রিচার্ডসন। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারত অধিনায়ক জানান, এই জয় পহেলগাঁওয়ে নিহতদের উৎসর্গ করছেন। সেই সঙ্গে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এহেন মন্তব্য করা থেকে সূর্যকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি।

    সূর্যকে সতর্ক থাকতে বলল আইসিসি

    পহেলগাঁও হামলার প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সূর্য বলেছিলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” এই মন্তব্যেই রাজনীতির গন্ধ পেয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল পিসিবি। সূত্রের খবর, পাক ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শুনানি ধার্য করেছিল আইসিসি। ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সামনে হাজিরা দেন ভারত অধিনায়ক। সেখানে পিসিবির আনা কোনও অভিযোগ স্বীকার করেননি সূর্য। তারপর আপাতত ভারত অধিনায়ককে সতর্ক করা হয়েছে, তিনি যেন রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তবে, ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার দায়ে সূর্যকুমারের থেকে জরিমানা বাবদ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হতে পারে। অথবা কেবলমাত্র ওয়ার্নিং দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হবে ভারতীয় অধিনায়ককে। আনুষ্ঠানিক রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটমহল।

    রউফ আর ফারহান-এর হাজিরা শুক্রবার

    বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা পৌঁছে গিয়েছে অন্য স্তরে। নিছক খেলার দ্বৈরথ পেরিয়ে দু’দেশের ক্রিকেট প্রশাসকরা একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ জানাচ্ছে। দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফের আচরণের বিরুদ্ধে আইসিসি-র কাছে কড়া অভিযোগ দায়ের করে ভারতীয় বোর্ড। শাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফের শুনানি শুক্রবার। যা হবে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সামনে। তারপর তাঁদের ভাগ্য জানা যাবে। আসলে সুপার ফোরের ম্যাচে ‘গান সেলিব্রেশন’ করা শাহিবজাদা ফারহান এবং হাতের মুদ্রায় ‘জেট ক্র্যাশ’ -এর ইঙ্গিত করে মহাবিতর্কে জড়িয়েছেন হ্যারিস রউফ। যা এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে চিন্তায় রাখবে পাকিস্তানকে।

  • India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ইতিহাসে এই প্রথম। ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। চলতি আসরে ইতিমধ্যেই দুবার মুখোমুখি হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। দুই ম্যাচেই জয়ী হয়েছে ভারত। ফাইনালে তৃতীয়বার মুখোমুখি হলে কি পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে পারবে পাকিস্তান? নাকি ভারত টানা তিনবার জিতে এশিয়া সেরা হওয়ার মুকুট পরে নেবে? পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের মেজাজ বাইশ গজেও চোখে পড়েছে। বারবার বিতর্কের বাতাবারণ তৈরি হয়েছে ক্রিকেট ময়দানেও। এবার তারই চূড়ান্ত রূপ। ইতিমধ্যেই আসন্ন ফাইনাল ঘিরে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

    ফাইনালে বদলা নেওয়ার চেষ্টা

    গতকাল সুপার ফোর পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল দুই দলের জন্য। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে সলমন আলি আঘার দল। আর ম্যাচ জিতেই ভারতকে ‘সতর্কবাণী’ সলমনের। ম্যাচ শেষে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের দল এখন সত্যি স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। আমরা যে কাউকে হারাতে যথেষ্ট ভালো দল। আমরা উচ্ছ্বসিত এবং আমরা ফাইনালে তাদের হারাতে চাইব।” পাক তারকা খেলোয়াড় শাহিন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi) বলেই রেখেছেন, “আমরা এখানে এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। ফাইনাল তো জিততেই হবে। আমরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে তৈরি। আমরা ভারতকেও হারাতে পারি।”

    রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত

    পাকিস্তান মুখে যাই বলুক রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত (India vs Pakistan)। বৃহস্পতিবারও বিশেষ ভাল খেলা উপহার দেয়নি পাক ক্রিকেটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। আরও এক বার দলের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ম্যাচ জিতলেও দলের ব্যাটিং চিন্তায় রাখবে পাকিস্তানকে। তবে, ভালো বল করলেন পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন ও হ্যারিস। দু’জনেই ৩টি করে উইকেট নিলেন। তাঁদের পেস ও বৈচিত্রের কাছে হার মানতে হল বাংলাদেশকে। দুই স্পিনার সাইম ও নওয়াজও ভালো বল করলেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুললেন তাঁরা। একটা ভুলও করলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। প্রত্যেকে শুরু থেকে বড় শট খেলার চেষ্টা করলেন। সময় নিলেন না। তাড়াহুড়ো করে উইকেট দিয়ে এলেন। তার খেসারত দিতে হল তাঁদের। ১৩৬ রানও তাড়া করতে পারলেন না তাঁরা। টানা দু’দিন দুবাইয়ের মাঠে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শারীরিক ধকল স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে। এর সঙ্গে যোগ হয় দলের প্রধান ব্যাটার লিটন দাসের অনুপস্থিতি। ভারতের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলতে পারেননি তিনি। ফলে ব্যাটিং অর্ডারে ভাটা পড়ে যায়। বল হাতে ভালো করেও জয়ের স্বাদ পেল না বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে (Bangladesh) ১১ রানে হারিয়ে আগামী রবিবার ভারতের (India) বিরুদ্ধে এশিয়ার সেরা (Asia Cup) হওয়ার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান। তৃতীয় বার কি বদলা নিতে পারবে সলমন আঘারা? নাকি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন সূর্যকুমারেরা? ফের এক মহারণের অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া।

  • BCCI Complaint To ICC: মাঠে ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন, ফারহান-রউফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিসিসিআই-এর

    BCCI Complaint To ICC: মাঠে ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন, ফারহান-রউফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন নিয়ে আইসিসির (BCCI Complaint To ICC) কাছে অভিযোগ দায়ের করল বিসিসিআই। সূত্রের খবর, পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান এবং পাক পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে সরকারিভাবে ভারতের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে পিসিবি।

    আইসিসি’র দ্বারস্থ হল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড

    আগামী রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে আবারও ভারত-পাক লড়াই হলে অবাকের কিছু থাকবে না৷ কিন্তু তার আগে মাঠের বাইরের লড়াই থামছে না কোনওভাবেই৷ গ্রুপ পর্বের ম্য়াচে হ্যান্ডশেক-বিতর্কের রেশ যেতে না-যেতেই সুপার-ফোরের ম্য়াচে পাক ক্রিকেটারদের উস্কানিমূলক অভিব্যক্তি নিয়ে চর্চা চলছেই৷ এর মধ্যেই আইসিসি’র দ্বারস্থ হল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড৷ গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে দুরমুশ হয়েছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদব এবং ভারতীয় ক্রিকেটাররা কেন হাত মেলাননি, এই নিয়ে কাঁদুনি গাইছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সুপার ফোরে ভারতের বিরুদ্ধে জোড়া জীবনদান পেয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। এরপরই দেখা যায় ব্যাট তুলে একে-৪৭ ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করছেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি পেসারও নানা অঙ্গভঙ্গি করেন। শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মার সঙ্গে বাগবিতণ্ডাতেও দেখা যায়। এ বার পদক্ষেপ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।

    দ্রুত শুনানি করবে আইসিসি

    পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান এবং পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালো ভারতীয় বোর্ড। কোনও মৌখিক নয়, সরকারি ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার কাছে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল বিসিসিআই। আইসিসি দ্রুতই এর শুনানি করবে বলে খবর। আইসিসির দুই ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন ও অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট এই অভিযোগের বিষয়টি দেখবেন।

    পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যুকে বিদ্রুপ

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উন্মাদনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে তা মাত্রা ছাড়ালে বিরক্তি হওয়ারই কথা। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের আচরণ এমনই ছিল। সাহিবজাদা ফারহানের গান সেলিব্রেশন পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যুকে বিদ্রুপ করা। যা একেবারেই ভালো ভাবে নেয়নি ভারতীয় বোর্ড। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা এই হামলা চালিয়েছিল। সেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের এমন ঘৃণ্য আচরণ। তেমনই ফিল্ডিংয়ের সময় দেখা যায়, ভারতীয় সমর্থকদের দিকে ফাইটার জেটের মতো অঙ্গভঙ্গি করেন পাক পেসার হ্যারিস রউফ। তিনি ইশারা করেন, উড়তে উড়তে আচমকাই ভেঙে পড়ছে যুদ্ধবিমান। তারপর হাতের ছয় আঙুল দেখান। আসলে অপারেশন সিঁদুরের সময় ছ’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল বলে দাবি করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কোনও প্রমাণও মেলেনি। নেটিজেনদের মতে, এই সেলিব্রেশন ‘ভারতবিদ্বেষী’।

    সূর্যকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ভারতীয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবও সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পাকিস্তানের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। শুনানির জন্যও ডাকা হতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। রিপোর্টে প্রকাশ, এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে একটি ইমেলও করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পরে সূর্যকুমার যাদব বলেছিলেন, ‘পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করছি এই জয়।’ এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শেষে প্রেস মিটে হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে তিনি জানান, বিসিসিআই এবং ভারত সরকারের নীতি একই ছিল। শুধুমাত্র ম্যাচ খেলতেই এসেছিল ভারতীয় দল। সৌজন্য না দেখানো নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান। খেলার মাঠে রাজনীতিকে টেনে আনা ও আইসিসি-র আচরণবিধি ভঙ্গের ভিত্তিতে সূর্যকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তারা।

    ফাইনালে জিতলেই কেল্লা ফতে

    এ বারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে থেকেই ক্রিকেটের বাইরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত কি না তা নিয়ে তরজা চলেছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয়ের পর ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেন। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই কথা শোনা যায় ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও। সুপার ফোরের ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। অর্ধশতরান করার পর বন্দুক চালানোর কায়দায় উল্লাস করেন ফারহান। অনেকের অভিযোগ, ভারতীয় ডাগ আউটের দিকে তাকিয়ে একে-৪৭ চালানোর কায়দায় উল্লাস করেছেন তিনি। সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রউফ। এই গরম গরম আবহেই ফের রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান। কুড়ির ফর্ম্যাটে ১৫ ম্য়াচের মধ্যে ১১টি জিতেছে ভারত ও পাকিস্তান জিতেছে ৩ ম্য়াচে। তাই দেবীর বোধনের দিনে ফের একবার বাইশ গজে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই কেল্লা ফতে।

  • India vs Bangladesh: এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চলবে জানালেন সূর্য

    India vs Bangladesh: এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চলবে জানালেন সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ফাইনালে উঠল ভারত (India vs Bangladesh)। তর্জন-গর্জনই সার হল। টিম ইন্ডিয়ার সামনে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বল হাতে ভারতকে মিডল অর্ডারে একটু বেগ দিলেও সেই অর্থে খেলা ছিল একপেশে। যদিও ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমারের দাবি, ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। তাই টস জিতলেও আগে ব্যাট করার কথাই ভেবেছিল ভারতীয় শিবির। বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার পর দলের ব্যাটিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারত অধিনায়ক।

    অভিষেকের মারকাটারি ইনিংস

    এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য রাখে সূর্যকুমারের ভারত। জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বুধবার টসে জিতে ভারতকে (India vs Bangladesh) ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। জাকের আলির এই সিদ্ধান্ত কার্যত বুমেরাংয়ে পরিণত হয়। কারণটা অবশ্য অভিষেক শর্মা। তাঁর মারমুখী মেজাজের সামনে রীতিমতো পরিত্রাহি অবস্থা হয় বাংলাদেশি বোলারদের। বাঁ-হাতি ওপেনার রান আউট হন ৩৭ বলে ৭৫ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে। তিনি ফিরতেই ভারতের রানের গতিও কমে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ব্যর্থ হন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (৫), তিলক বর্মারা (৫)। শেষের দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়া (৩৮) এবং অক্ষর প্যাটেলের (১০) সৌজন্যে ১৬৮ রানে তোলে ভারত। ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। যশপ্রীত বুমরা ফেরান তানজিদ হাসানকে (১)। প্রথম দিকে বুমরাকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদবের শিকার ৩ উইকেট। বুমরা এবং বরুণ চক্রবর্তী পান ২টি উইকেট। অক্ষর প্যাটেল এবং তিলক বর্মা নেন ১ উইকেট।

    ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা

    ম্যাচের পর সূর্যকুমার বললেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ বেশি পাইনি। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা ব্যাটিং দেখে নিতে চেয়েছিলাম। সুপার ফোরে আমাদের ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কতটা কী করতে পারছি, সেটা বুঝে নেওয়ার দরকার ছিল। এখানকার পিচ পরের দিকে একটু মন্থর হয়ে যাচ্ছে। এখানে শিশিরের সমস্যা নেই। তাই পরে বল করতে অসুবিধা হচ্ছে না। সব মিলিয়েই আমরা ২০ ওভার ব্যাট করার কথা ভেবেছিলাম।’’ শিবম দুবেকে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে পাঠানো পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ভালো বাঁহাতি স্পিনার এবং লেগ স্পিনার রয়েছে। শিবম স্পিন ভালো খেলে। ওদের সামলানোর জন্য শিবমকেই সঠিক ব্যক্তি মনে করেছিলাম আমরা। সেই পরিকল্পনা থেকেই ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, সাত থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ব্যাট করতে নামুক শিবম। ঠিক সেটাই হয়েছে। একদম আমাদের পরিকল্পনা মতো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শিবম রান পেল না ঠিকই। তবে আমরা পরের ম্যাচেও চেষ্টা করব।’’

    ফাইনালে ভারতের সামনে কে

    সুপার ফোর পর্বে ভারতের পরের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। শুক্রবারের সেই ম্যাচ এখন নিয়মরক্ষার। কারণ ভারত ফাইনালে (Asia Cup 2025) উঠে গিয়েছে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে যে জিতবে, রবিবার ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

  • India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে পর পর সাফল্যের পর এবার ক্রিকেট মাঠেও পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে টানা দু’বার হারিয়ে ক্রিকেট যুদ্ধেও জয়ী ভারত। তবে শুধু ব্যাট ও বলেই নয়, কথিত ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ যুদ্ধ’-এও ভারত দিয়েছে চোখে চোখ রেখে জবাব। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং পাকিস্তানের হারিস রউফকে পাল্টা এক ইঙ্গিত দেন। এই ‘জবাব’-কে ভক্তরা বলছেন পাকিস্তানের আগ্রাসী বার্তার যোগ্য প্রত্যুত্তর।

    পাকিস্তানের আগ্রাসী ভঙ্গি ও ভারতের শান্ত-তীক্ষ্ণ জবাব

    ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোর ম্যাচে পাক পেসার হারিস রউফ দর্শকদের ভিড় থেকে “কোহলি-কোহলি” ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়ে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর ভঙ্গিতে ভারতের দিকে কটাক্ষ ছোড়েন। তিনি হাত দিয়ে ‘৬-০’ দেখিয়ে দাবি করেন মে মাসের চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা শুধুই প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একে-৪৭’-এর মতো তুলে ধরে ভারতীয় ডাগআউটের দিকে ‘গোলাগুলি’র ভঙ্গি করেন। এই কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই অনেকের অভিমত। ভারতের ব্যাটসম্যান শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা জবাব দেন ব্যাটে-বলে। ১৭২ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে অর্শদীপ সিংয়ের ‘বিমান ভেঙে পড়া’র ইঙ্গিত মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পাকিস্তানের আগ্রাসনকে ব্যঙ্গ করে দেওয়া এই সাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ড করে।

    সীমান্তে পাকিস্তানের বিপর্যয়

    ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার সম্মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পিওকে-র (India vs Pakistan)  ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। সরাসরি আক্রমণের পাশাপাশি ভারত সুনির্দিষ্ট উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার ভেঙে দেয়। লস্কর এবং জইশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরাই তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, যা ভারতের তথ্যভিত্তিক কূটনৈতিক জয়ের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (S-400 ও আকাশতীর সিস্টেম) কারণে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ড্রোন ও মিসাইল হামলা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

    ‘ভারতের সাংকেতিক ভাষা’ বনাম ‘পাকিস্তানের প্ররোচনা’

    পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বোলাররা যেখানে স্লেজিং, অঙ্গভঙ্গি ও মৌলবাদী ভঙ্গিমায় মাঠকে উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল, ভারতীয় দল তাদের খেলায় এবং সূক্ষ্ম বার্তায় তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অর্শদীপের ছোট্ট কিন্তু মারাত্মক ‘সংকেত’-ই বুঝিয়ে দিয়েছে— ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত। যুদ্ধ হোক বা খেলা— ভারত জানে কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হয়। অপারেশন সিঁদুর থেকে দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠ সর্বত্রই ‘চক দে ইন্ডিয়া’

    এশিয়া কাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান!

    চলতি এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এখন মূলত রয়েছে তিনটি দল – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) কাছে পরাজয়ের পরে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে। সুপার ফোরে ওঠা বাকি সবকটি দল ১টি করে ম্যাচ জিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার খাতায় এখনও শূন্য। তবে তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। সেই অর্থে, আজকের ম্যাচটি ভারত বা বাংলাদেশের জন্য নকআউট না হলেও ‘সেমিফাইনাল’। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সঙ্গে ভারতের এখন নেট রান রেট +০.৬৮৯। আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশেরও এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কারে হারিয়েছিল। এদিকে সলমন আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এদিকে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের পরবর্তী এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই পাকিস্তানও উঠে যাবে ফাইনালে। তাই বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

     

     

     

     

     

  • Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan)। ক্রিকেট মাঠে ভারতকে কী করে পাকিস্তান হারাতে পারবে, জেলে বসেই তার উপায় বাতলে দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামা উচিত। তা হলেই পাকিস্তান হারাতে পারবে ভারতকে!

    নকভির অযোগ্যতার ফল ভুগছে পাক ক্রিকেট

    একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, “ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।” ১৯৯২ সালের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, নকভির অযোগ্যতা এবং স্বজনপোষণই পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার কারণ।

    মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন

    ইমরান মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -এর ভরাডুবির কারণ জেনারেল মুনির। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইশা এবং মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক রাজার সাহায্যেই মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ২০২৩-এর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলবন্দি। প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।

    স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস

    দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান। মাঠে ভরাডুবি, মাঠের বাইরে চরম বিতর্ক। আর এতকিছুর ভিড়ে ফের একবার আলোচনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো দলনেতা ইমরান খান (Imran Khan)। এবার জেল থেকে ছুড়লেন তির। লক্ষ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন—ভারতকে হারাতে চাইলে পাকিস্তানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নামতে হবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) আর আর্মি চিফ আসিম মুনিরকে (Asim Munir)। এ ছাড়া টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করার অন্য কোনও গতি নেই।

  • India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে সেলিব্রেশন করেন। গান (বন্দুক)-এর জবাব রানে দিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাহিবজাদার বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করলেন অভিষেক ও গিল, এমনই অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য দেশে-বিদেশে নিন্দিত হচ্ছে পাকিস্তান দল। সৌজন্যে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উচ্ছ্বাসের একটি ধরন। অর্ধশতরানের পর ব্যাটটিকে নিয়ে বন্দুক ধরার মতো একটি বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাস করেছেন তিনি, যা সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস

    দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ‘গান সেলিব্রেশন’ করেছিল পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বন্দুক যেমনভাবে ধরে, সেরকম কায়দায় ব্যাট করে গুলি চালানোর মতো সেলিব্রেশন করেছিল। আর সেই অদৃশ্য ‘গুলিটা’ ফারহানদের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে গেল। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস মিসাইলে যেরকমভাবে পাকিস্তানি অসংখ্য সামরিক ছাউনির অবস্থা হয়েছিল, ফারহানদের হাল সেরকমই করে দিলেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলরা। রবিবার দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। ভারত যদি ঠিকঠাক ক্যাচ ধরত, তাহলে সলমন আঘাদের রান এতটা হত না। কিন্তু ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নেন তাঁরা। ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৯০ রান। পাকিস্তানেরর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন গান-সেলিব্রেশন করা ফারহান। যদিও ব্যাট করতে নেমেই তাঁর এই আচরণের জবাব দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শাহিন আফ্রিদিকে ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। গিল-অভিষেকের ইনিংসের প্রশংসা করে পাক স্পিনার কানেরিয়া বলেন, “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করেছেন অভিষেকরা।”

    বিতর্কিত উচ্ছ্বাস

    পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক, বুমরার উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এশিয়া কাপে দুই দেশ মুখোমুখি হবে কি না, তা নিয়েই নিশ্চয়তা ছিল না। তার উপর প্রথম ম্যাচের পর করমর্দন-বিতর্কে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। সে সবের মাঝে ফারহানের এই উচ্ছ্বাস বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কটাক্ষ করতেই এই উচ্ছ্বাস করেছেন ফারহান। সাধারণ সমর্থকরা তো বটেই, ধারাভাষ্যকারেরাও এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    ম্যাচের শুরুতেই অভিষেক শর্মা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। এই শটের মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ভারতের হয়ে একাধিকবার ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটার হন। ম্যাচে অভিষেক ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এবং গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৯.৫ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। গিলও নিজের ইনিংসে ৮টি চার মারেন। অভিষেক তাঁর ৫০তম টি-টোয়েন্টি ছক্কাটি হাঁকান নিজের ৩৩১তম বল খেলার মধ্যেই, যা তাকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটার করে তোলে। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তিনি যুবরাজ সিং-এর রেকর্ড (২৯ বল) ভেঙে দেন। প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া মনে করেন, ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এমনকি অর্ধশতরানের পর অভিষেকে ‘ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন’ নিয়ে কানেরিয়া বলেন, “ভালোবেসে মুখের উপর জবাব দিয়েছে ভারত।”

    গিল-অভিষেকের ট্যুইট ভাইরাল

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায়। অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ এবং গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার সৌজন্যে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন অভিষেক ও গিলের সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিষেক শর্মা যখন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তখন রউফ রেগে যান এবং অভিষেককে স্লেজ করতে শুরু করেন। অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। পাকিস্তানি প্লেয়াররা তাদের গালি দিচ্ছিল বলেও ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিষেক শর্মা। মাঠে বিপক্ষকে নিজেদের ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। যেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনেই এক্সে চার শব্দের বার্তা দিয়ে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান দলকে। গিল লেখেন, “খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়” (Game speaks, not words) এবং অভিষেক লেখেন, “তোমরা কথা বলো, আমরা জয় করি” (You talk, we win)। চলতি প্রতিযোগিতাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।

  • India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বনাম পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও মাইন্ড গেমে নেমেছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুংকার, এশিয়া কাপ বয়কটের দাবি, একাধিক সমস্যা তৈরি করে আলোচনায় থাকার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু খেলার মাঠে পারফরম্যান্স সেই তলানিতেই। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এ দিনও দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাননি। তবে আগের দিনের মতো ভারত সাজঘরের দরজা বন্ধ করেনি। আসলে খেলাটা তো মাঠেই জিতে গিয়েছে ভারত।

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। সেটাই ফের দেখা গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে। ভারত জেতার পরে শোনা গেল ‘চক দে’। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে চলে গেল ভারত। সূর্যকে সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, এই ‘ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ নিয়ে তিনি কী বলবেন? ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় আপনাদের সকলের ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে এ বার প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ভারত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘আমার মতে, যদি দুটো দল ১৫-২০টা ম্যাচ খেলে এবং স্কোরলাইন ৭-৭, অথবা ৮-৭ হয়, তবেই সেটাকে ভালো ক্রিকেট বলা যায়। আমি সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। কিন্তু একটা দলের পক্ষে যদি স্কোরলাইন ১৩-০, ১০-১ হয়, তা হলে এখন আর এটা কোনও লড়াই নয়। আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’’ সত্যিই ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে ভারত পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছে ভারত।

    পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল

    পরিসংখ্যান যাই হোক, ভারত-পাকিস্তান লড়াই তা সে বাইশ গজেও হোক আর সীমান্তে সবসময় উত্তেজনার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বারবার তা চোখে পড়েছে। ম্যাচে ভারতের ইনিংস চলাকালীন শাহিন আফ্রিদিকে কোনও কথার জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। কয়েক বল পরেই আবার অন্য এক দৃশ্য। এ বার হ্যারিস রউফের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিষেক শর্মার। তখন স্পষ্ট বোঝা যায়নি কী হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, পাকিস্তান বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। সেটারই জবাব ব্যাট হাতে দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই জন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।” এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচেই ভালো খেলেছেন অভিষেক। রবিবারই প্রথম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। সাফল্যের নেপথ্যে দলের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “যখন দেখবেন কোনও ব্যাটার এত ভালো খেলছে, তখন বুঝবেন নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দল রয়েছে। কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে খুবই সমর্থন করে। তাই জন্যই এত ভালো খেলার সাহস পাই।”

    শুভমন-অভিষেক ঝড়

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমন গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। রুদ্রমূর্তি ধরেন অভিষেক। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০ অপরাজিত) ও হার্দিক। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে।

    পাকিস্তান ম্যাচই রানে ফেরার মঞ্চ

    তিন ম্যাচে ৩৫ রান করা শুভমনকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানে ফিরতেই হত। পাকিস্তান ম্যাচেই সেই মঞ্চটা বেছে নিয়েছিলেন শুভমন। শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও তিনি অনুশীলন করেছিলেন। আর অনুশীলন করিয়েছিলেন তাঁর ওপেনিং সতীর্থ তথা ছোটবেলার বন্ধু অভিষেক শর্মা। তার প্রতিফলন দেখা গেল রবিবার। আকাশে শট খেলার দিকে নজর দেননি শুভমন। বরং মাটিতে রেখে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। ইনিংসে আটটি চারই তার প্রমাণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুভমনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে ভারতের চাপ অনেকটাই হালকা করে দেন অভিষেক। ছোটবেলা থেকেই দু’জনে একসঙ্গে খেলেছেন। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে সঙ্গ দিতে পছন্দ করি। আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আজই কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে শুভমন খেলছিল সেটা দারুণ লেগেছে।”

LinkedIn
Share