Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Election Commission: ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ, জমা ১৭ নভেম্বর থেকে

    Election Commission: ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ, জমা ১৭ নভেম্বর থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত রাজ্যের ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি করেছেন বিএলওরা। জানা গিয়েছে, প্রথম ১০ দিনে ৭.২৭ কোটি ভোটারের কাছে ফর্ম বিলি করেছে। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতর (Election Commission) জানিয়েছে, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। নির্বাচন বাকি কাজ আরও ২-৩ দিনের মধ্যে ফর্ম বিলি শেষ হয়ে যাবে। আগামী সোমবার ১৭ নভেম্বর থেকে ফর্ম জমা (SIR) নেওয়ার কাজ শুরু হবে। এদিকে রাজ্যে এসআইআর আবহে শাসক বিরোধী তর্জা তুঙ্গে।

    লোকজনকে সবরকম সহযোগিতা কমিশনের (Election Commission)

    সময়ের মধ্যেই কমিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার কাজ চলবে। এসআইআর (SIR) কাজ শুরুর পর থেকেই কমিশন বারবার বলেছে সঠিক ভাবে আবেদন পূরণের জন্য সমস্ত লোকজনকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। একই ভাবে সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে বিএলওরা এই কাজ করবেন।

    খসড়ায় কাদের নাম থাকবে না?

    আবার কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতের (Election Commission) ফর্ম বিলি চলাকালীন একটি নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বহুক্ষেত্রে বহুতলের বাসিন্দাদের দোরগোড়ায় বারবার পৌঁছে সাড়া পাচ্ছেন না বিএলও-রা। আর তাই নির্দিষ্ট ভোটারকে না পেয়ে তাঁদের এনুমারেশন ফর্ম চলে যাচ্ছে ইআরও-দের কাছে। তবে এই রকম বাসিন্দাদের সংখ্যাটাও কম নয়। অপর দিকে বিভিন্ন বস্তির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হচ্ছে। বস্তিতে গিয়েও ভোটারদের খোঁজ মিলছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যাপে হয়তো ফর্ম বিলি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে খোঁজ মিলছে না। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ভোটারের নাম আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা থাকবে না কারণ তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দেননি।

    তবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে যাদের নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না, নামের বানান ভুল থাকবে, ঠিকানা পরিবর্তন হবে অথবা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন ছবি ব্যবহার করবেন সেই সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁরা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন ।

  • Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর আবহে রাজনৈতিক উত্তাপ এখনই চরম শিখরে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বোঝা। অপর দিকে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা পাল্লা দিয়ে রোজ বাড়ছে। চাকরি নেই কর্মস্থান নেই, নেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ। সংখ্যালঘু তোষণ এবং হিন্দু নির্যাতণের মতো ঘটনা এই রাজ্যে অহরহ ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের ২০২৬ সালের বিধানসভায় ফের জিতে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সাফ কথা, “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই।”

    আরেকবার জয়ী হয়ে আসতে হবে (Sukanta Majumdar)

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি বিধায়কগণ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করেন। এখানে একদিকে বিভিন্ন এলাকার সমস্যা বিষয়ে যেমন কথা হয়, ঠিক একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন সহযোগিতা প্রয়োজন তা নিয়েও বিধায়কদের মতামত জানতে চান সুকান্ত মজুমদার। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস সময়, তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের বেশি বেশি সমর্থন নিয়ে আরেকবার বিধানসভায় জয়ী হয়ে আসা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই বৈঠককে বিজয়া সম্মিলনী বলা হয়েছে।

    আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক

    এদিনের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে বিজেপি বিধায়কদের সুকান্ত সাফ বার্তা দেন, “প্রত্যেকে বিজেপি বিধায়কদের আবারও ফিরে আসতে হবে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে।” এদিন ঠিক ১২ টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন সুকান্ত। উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভায় নিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সময়েও এসেছলেন। নানা সময়ে বিধায়ক এবং কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছেন। তবে সুকান্তর আসাকে ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের ঘিরে প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। ফটকের বাইরে স্বাগত পোস্ট ঝোলানো হয়েছিল। বেশিরভাগ বিধায়ক এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়। একইভাবে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ২০২১ সালে বিজেপির জয়ী বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা স্তরে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকি বহাল মহল।

  • SIR: রাজ্যে মৃত ভোটার কত? কমিশন কীভাবে বাছাই করছে জানেন?

    SIR: রাজ্যে মৃত ভোটার কত? কমিশন কীভাবে বাছাই করছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা কত? এবার এই পরিসংখ্যান জানতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের সব সামাজিক প্রকল্প এখন থেকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ কমিশন দিয়েছে জেলা শাসকদের। আধার সংস্থা থেকে মিলেছে মৃত ভোটারদের তালিকা। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের মৃত ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৩ লক্ষ। সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক সিইও (Election Commission) মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে আধার দফতরের আধিকারিক শুভদীপ চৌধুরী বৈঠক করেছেন।

    ৪৩ লক্ষ মৃত ভোটার (SIR)!

    রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম (SIR) বিলির কাজ প্রায় শেষের পথে। এবার করা হবে ভেরিফিকেশনের কাজ। জেলা শাসকদের সাফ নির্দেশ, বিভিন্ন জনমুখী পরিকল্পনায় যেসব বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কারা নাম তুলেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ভালো করে। অপরদিকে আধার সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ৩৩-৩৪ লক্ষ মৃত ভোটার রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে কমিশনকে (Election Commission)। ব্যাঙ্কে যাদের কেওয়াইসি দেওয়া হয়নি, সেই সব বন্ধ অ্যাকাউন্টের নিরিক্ষে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও ১৩ লক্ষ লোকের নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যক্তিদের অবশ্য আধার কার্ড নেই। ইতিমধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাই আধার কর্তৃপক্ষকে এই কাজে তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন আধার সংস্থাকে সব রাজ্যে এই মর্মে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যদি কোনও মৃত ব্যক্তির নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া হয়, তাহলে যিনি জমা করেছে তাকে ডাকা হবে। বক্তব্য শুনবেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার।

    ৭৫ শতাংশের কম ফর্ম বিলি হয়েছে

    কমিশন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, তপন, রাণাঘাট উত্তর পূর্ব, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, খড়দহ, পানিহাটি, রাজারহাট, নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর, জয়পুর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণ ও উত্তর, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, মহেশতলা,মেটিয়াব্রুজ, কলকাতা বন্দর, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, কাশীপুর বেলগাছিয়া, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া দক্ষিণ, খড়্গপুর সদর, দুবরাজপুর, সিউড়ি, আলিপুরদুয়ার, কুলটি, কসবা-এই সব জায়গায় ৭৫ শতাংশের কম ফর্ম বিলি (SIR) হয়েছে। বুধবার ৬ কোটি ৮৭ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম (Election Commission) বিলি হয়েছে।

  • Murshidabad: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে এবার বাংলা যোগ, এক সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি

    Murshidabad: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে এবার বাংলা যোগ, এক সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে এবার পশ্চিমবঙ্গ যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় হাজির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বুধবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এসে পৌঁছেছে এনআইএ-এর বিশেষ টিম। তদন্তকারী সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর যেসব অভিযুক্ত এবং সন্দেহকারীদের পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের কাছে মোবাইল নম্বরে এই বাংলা যোগ মিলেছে।

    পরিযায়ী শ্রমিকের জঙ্গিযোগ (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদবাদের নবগ্রাম থানায় অভিযান চালায় এনআইএ। এলাকার মইনুল হাসান নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে যায় এনআইএ-এর তদন্তকারী দল। সন্দেহভাজন মইনুল হাসানকে ডেকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চলে বাড়িতে বাড়িতেও। তবে জেরায় জানা গিয়েছে, তিনি একজন পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও দিল্লি আবার কখনও মুম্বইতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজের সময় কয়েকজন জঙ্গিসংগঠনের লোকজনের সঙ্গে মইনুলের পরিচয় হয়।

    এলাকাবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কিত

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর জঙ্গি সংগঠনের একাধিক ব্যক্তির কাছে এই মইনুল হাসানের নম্বর মেলে। মইনুলের বাড়িতে তল্লাশিও করা হয়। তবে মইনুল ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী অফিসাররা। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অভিযুক্তদের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাই ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আগেও মিলেছে জঙ্গি যোগ

    জঙ্গিযোগে বাংলার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নাম বার বার উঠে আসছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় এই জেলা থেকেই। পরে অসম সহ আরও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এবিটি জঙ্গিদের সন্ধান পায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় ইতিমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন চিকিৎসকদের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। এই বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও অনেক বড় মাথার যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের থেকে একাধিক সামগ্রী পাওয়ার পর সেই সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, জঙ্গি মডিউল আরও সক্রিয় করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক বাংলাদেশিকে এদেশ তথা এরাজ্যে ভুয়ো আইডি বানিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: ১৩ লক্ষ ডবল এন্ট্রি! এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনিয়মের ‘প্রমাণ’ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১৩ লক্ষ ডবল এন্ট্রি! এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনিয়মের ‘প্রমাণ’ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় বড়সড় গরমিল রয়েছে অভিযোগ বিজেপির। বুধবার নির্বাচন কমিশনের হাতে এ বিষয়ে বিস্তারিত নথি তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক নেতৃত্ব। বুধবার ফের একবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজির হয় বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের তথ্য নিয়ে গরমিল রয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, একই নাম একাধিক ভোটার তালিকায় রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ ও কাগজপত্র বুধবার কমিশনের হাতে তুলে দেন বিজেপি নেতারা।

    ভুয়ো ভোটারের সাহায্যেই জয়ী তৃণমূল 

    বুধবার ভুয়ো ভোটারের নথি কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যান শুভেন্দু। তাঁকে এভাবে নথি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রবেশ করতে দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিরোধী দলনেতা জানান, তাঁরা সারা রাজ্যের ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভুয়ো ভোটারের তালিকা জমা দিলেন৷ একটি পেন ড্রাইভে সব তথ্য আছে৷ এর মধ্যে পুরুলিয়া, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি ও কোচবিহারের ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত নথির হার্ডকপি জমা দিচ্ছেন৷ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এই ভুয়ো ভোটারের সাহায্যেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় প্রতিবার৷

    তদন্তের আবেদন শুভেন্দুর

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতার পায়ে কাঁটা ফুটেছে, তাই চিৎকার করছে। নির্বাচন কমিশন এখন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে, তাই তৃণমূলের সাপরা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের তথ্য আমরা কমিশনকে দিচ্ছি — সবই ডাবল এন্ট্রি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া চলাকালীন অনিয়ম হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে ভুল তথ্য ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির দাবি, এই গরমিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর সরাসরি আঘাত। তাই কমিশনের কাছে তারা সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।

    ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা রক্ষা জরুরি

    দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “গণতন্ত্রে ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা রক্ষা করা জরুরি। মৃত বা ভুয়ো ভোটারদের নাম থাকা মানেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।” রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কাজ পুরোদমে চলছে। বাড়ি বাড়ি বিএলও অভিযানে (BLO) এখনও পর্যন্ত ৭ কোটির বেশি এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি হয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করেছে, বহু ভুয়ো ভোটার তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। তাই এসআইআরের বিরোধী তাঁরা। এই অভিযোগ কতটা সত্যি তার ‘প্রমাণ’ দিতেই বুধবার তথ্য জমা দিতে সিইও অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দু। বিপুল নথি জমা দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ভোটার তালিকায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ডবল এন্ট্রি (Double Entry) রয়েছে। সেই তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবই দেওয়া হয়েছে কমিশনে।

    বিএলও নিয়ে অসন্তোষ

    অন্যদিকে, বিএলও নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ECI) কার্যপদ্ধতি ও রিপোর্টে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। অভিযোগ, ৫ হাজার ৭০০ বিএলও-র রাজনৈতিক পরিচয়সহ অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট দেয়নি। বিজেপির তরফে এও দাবি করা হয়েছে, কমিশন জানিয়েছে তারা ৭০ শতাংশ রিপোর্ট পেয়েছে, তবে তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আরও জানান হয়েছে, এ পর্যন্ত ৩০০ জন বিএলও বদলি করা হলেও মূল অভিযোগের সুরাহা হয়নি। গেরুয়া শিবির জানায়, তারা বিশেষভাবে ৬৫ জন বিএলও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু কমিশন সেই অভিযোগকে ‘যথাযথ নয়’ বলে জানিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, আইপ্যাকের সঙ্গে যুক্ত কিছু ইআরও ও এইআরও-কে (ERO, AERO) সতর্ক করা প্রয়োজন। দলের দাবি, অনেক জায়গায় বিজেপির বিএলএ-২ কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এছাড়া দলের বক্তব্য, “পুলিশের আচরণ তৃণমূল ক্যাডারের মতো।” বিজেপি কমিশনের কাছে বিএলও-বিএলএ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মৃত ভোটার নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, নন-আধার মৃতের সংখ্যা ১৩ লক্ষ, আধার-সংযুক্ত মৃতের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ। এই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির দাবি, যাদের ভাতা বন্ধ হয়েছে (যেমন মৃত ভোটারদের), সেই তথ্য সরকার থেকে কমিশন যেন সরাসরি সংগ্রহ করে। সিইও অফিসে বসে ভুয়ো ভোটারদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর সরাসরি হুঁশিয়ারি – যারা জল মিশিয়ে ভোটার তালিকায় থাকার চেষ্টা করছেন, তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। এক্ষেত্রে কমিশনের সব কাজ নিয়েও যে তারা সন্তুষ্ট নয় সে কথাও স্পষ্ট করেছে বিজেপি। এমনকী কমিশন স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে পারবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে।

  • SIR: বিএলএ নিয়োগে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কমিশন, নির্দেশ এসেছে লিখিত আকারে

    SIR: বিএলএ নিয়োগে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কমিশন, নির্দেশ এসেছে লিখিত আকারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এ (SIR) বিএলএ নিয়োগে রাজ্যে বড়সড় পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। আগের নিয়মে নির্দিষ্ট পোলিং স্টেশনের উপর বিএলও নিয়োগ করা হত। এইবার থেকে সেই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। নিয়োগে যুক্ত বুথ লেভেলের এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের খসড়া ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে এবং মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম চিহ্নিত করতে হবে। এই নতুন নিয়ম এবার লিখিত ভাবে এসে গেছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    তালিকা তৈরিতে আরও বেশী কার্যকর (SIR)

    কমিশনের নির্দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। পুরোনো নির্দেশিকাতে বর্ণিত ছিল যে শুধুমাত্র উক্ত বুথের ভোটারই ওই বুথের বিএলএ হতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নতুন নির্দেশিকাতে উল্লেখ করেছেন যদি কোনও বুথে বিএলএ নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় তবে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্য যে কোনও বুথের ভোটার অন্য কোনও বুথেও বিএলএ হতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের বিএলএ নিয়োগের এই পরিধি বৃদ্ধিতে সকল রাজনৈতিক দল উপকৃত হবেন। এতে অনুপ্রবেশকারী ও মৃত ভোটারদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে। নতুন এই নির্দেশিকা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরিতে আরও বেশি কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিচার করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপের জন্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।”

    বিএলওদের কাজে নজর রাখতে পরাবেন বিএলএরা

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসআইআর (SIR) করার ক্ষেত্রে বিএলও-দের পাশাপাশি বিএলএ-দের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভোট কেন্দ্র অনুসারে নিযুক্ত বিএলএরা থাকবেন বিএলওদের সঙ্গে। তাঁরা এবার থেকে নজর রাখতে পরাবেন বিএলওদের কাজে। কমিশন ৮ দিনের সময় দিয়েছিল। এই সময়ে মোট ৬ কোটি ৫৬ লক্ষের বেশি ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিয়েছে বিএলওরা। মোট ভোটারের ৮৫.৭১ শতাংশ ফর্ম বিলি হয়েছে। তবে এখনও ১৫ শতাংশ ভোটার এনুমারেশন ফর্ম পাননি। তবে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক ভোটারের কাছে ওই ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর নেওয়া হবে ফর্ম গ্রহণ, আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫২৯।

  • Winter Update: সিউরিতে ১৪, কলকাতায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দ্রুত রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত!

    Winter Update: সিউরিতে ১৪, কলকাতায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দ্রুত রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতর যা ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেই মতো এবার শীত (Winter Update) পড়তে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে এবার জাঁকিয়ে শীত পড়বে। উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া এবার বইতে শুরু করেছে। কলকাতার তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কলকাতার পারদ নেমে দাঁড়িয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৪১ থেকে ৮৯ শতাংশের মধ্যে।

    হালকা কুয়াশার প্রভাব থাকবে (Winter Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত শুষ্ক থাকবে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। কম বেশি সব জায়গাতে স্বাভাবিকের তলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে তাপমাত্রা। ধীরে ধীরে পশ্চিমী হাওয়ার দাপট বাড়বে। আর তাই শীতের তিব্রতাও বাড়বে। সকালে হালকা কুয়াশার প্রভাব থাকবে তবে ঘন কুয়াশার আপাতত কোনও সতর্কতা নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার বিচারে বীরভূমের সিউরিতে তাপমাত্রা (Winter Update) ছিল সব থেকে কম। সেখানে তাপমাত্রা নেমে যায় ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    কেমন উত্তরের আবহাওয়া?

    তবে উত্তরবঙ্গেও আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন থাকছে না। মোটামুটি সব জেলাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম থাকবে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাগুলির মধ্যে দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা (Winter Update) সবথেকে কম ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

    অপরে উত্তর ও মধ্যে ভারতে চরম শৈত্য (Weather Update) প্রবাহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে গতকাল পর্যন্ত ছিল চরম শীত। রাজধানী দিল্লিতেই প্রবল শীত পড়েছে। হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামিকাল থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং করাইকালে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় আবার বজ্র বৃষ্টিসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ নভেম্বর ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর ১৮তম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৮ বছর আগে এদিন ঘটেছিল ‘অপারেশন সূর্যোদয়’। নন্দীগ্রাম (Nandigram), শুধুমাত্র একটি জায়গার নাম নয়, নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস, যা কোনও সময়েই বাংলার মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটি আন্দোলনের মাটি, জমি রক্ষা, মাটি রক্ষা এবং এক আশ্রয়ের মাটি। মানুষের বিশ্বাসের মাটিকে কেড়ে নিতে পারেনি তৎকালীন বাম শাসনও। সিপিএমের অশুভ শক্তি জোর করে জমি দখল করতে চাওয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    লালকৃষ্ণ-রাজনাথ-সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন (Suvendu Adhikari)

    ১৮ বছর আগেকার অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এইদিন এইভাবেই উদযাপন করি। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে চপ্পল পরে কালো পোশাক পরা গড়বেতা কেশপুর থেকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল। হামলা করেছিল সাধারণ জনতার উপর। মোট ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই জন্য আত্মবলিদান যারা দিয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তবে শাসন ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এখানেই তৃণমূলের লোকজনও আসে। কিন্তু একক ভাবে শুধু তৃণমূল ছিল না, নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। খেজুরির দিকে সমস্ত অবরোধকে তিনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ সকলে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। টানা ৬২ দিন সংসদ বন্ধ ছিল। তাই নন্দীগ্রামের উপর নেমে আসা তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলেই আসতে পারেন।”

    কালো পতাকায় বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে নিজের কর্মসূচি পালন করেন। অপর দিকে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ডের পর তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করে। শুভেন্দু নিজের নির্ধারিত সময়েই শহিদ বেদিতে পৌঁছে যান। কালো পতাকা হাতে পদযাত্রা করে বেদিতে মাল্যদান করেন। তিনি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় নয়, বাম শাসনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যে কোনও মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। তবে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনি অবরোধ তুলে ধরেছিলেন।”

    চারপাঁচটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেননি

    তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পরবর্তী সময়ে সেই কথা পালন করেনি। আর তাই নন্দীগ্রামে এই শহিদ দিবসের দিনেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেননি। আপনাকে শহিদ মিনার সভার উদ্বোধনে ডাকেনি বলে রাগ করেছেন। আপনাকে কেন ডেকে উদ্বোধন করতে হবে? আমি ফিরোজা বিবি এবং রাধারানী আড়িকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি। আমি আপনি তো ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। উনারা কিছুই পাননি। একজন নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন অপর জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।” শুধু এখানেই শুভেন্দু থেমে থাকেননি, শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি। চারপাঁচটি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ওদের দোষ ছিল কারণ বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি। এই ঘটনার কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। এইবার জনগণকে নিয়ে আসল পরিবর্তন আনবো।”

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Hooghly: তারকেশ্বরে ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ! আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Hooghly: তারকেশ্বরে ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ! আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারকেশ্বরে (Hooghly) ফের এক ধর্ষণের ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। হুগলি জেলার তারকেশ্বর রেল স্টেশনের একটি শেডের নীচ থেকে বানজারা সম্প্রদায়ের চার বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্যে আরজি কর থেকে দুর্গাপুর এবং জয়নগর থেকে দমদম লাগাতার ধর্ষণের (Tarakeswar Rape Case) ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন নারী সুরক্ষায় ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছে বিজেপি। নাবালিকা ধর্ষণের ওই ঘটনায় মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু।

    মশারি কেটে তাকে তুলে নিয়ে যায় (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের বেলায় ওই নাবালিকা রেল স্টেশনের শেডে মশারির ভেতরে তার দিদার পাশে ঘুমোচ্ছিল। গভীর রাতে কে বা কারা মশারি কেটে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওই নাবালিকার দিদা বলেন, “আমার নাতনি আমার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। ভোর ৪টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাকে তুলে যায়। তবে কখন তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, তা আমি টেরও পাইনি। বেশ কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরেও তার খোঁজ মেলেনি। পরের দিন ৮ নভেম্বর বিকেলে, তারকেশ্বর রেলস্টেশনের কাছে একটি ড্রেনের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় নাতনিকে পাই।” আহত নাবালিকার গালে কামড়ের চিহ্নও ছিল। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারকেশ্বর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা জানান, অবস্থা গুরুতর (Tarakeswar Rape Case) এবং আঘাত থেকে রক্তপাত অব্যাহত। অভিযুক্তকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করছে। অপরাধীকে খুঁজে বের করতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। শিশুটি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

    আর কত নিষ্পাপ মেয়ে এভাবে কষ্ট পাবে?

    ঘটনার তীব্র নিন্দে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে অপরাধ ঢাকছেন খোদ রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। পুলিশ অফিসাররা জনগণের সেবা করার বদলে সরকারের অনুগত দাসের মতো আচরণ করছে। একটি শিশুর  জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তবুও পুলিশ রাজ্যের মিথ্যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সত্য গোপন করতে ব্যস্ত। আর কত নিষ্পাপ মেয়ে (Tarakeswar Rape Case) এভাবে কষ্ট পাবে?”

    শিশুদের সুরক্ষা আইনে মামলা

    হুগলি জেলা (Hooghly) পুলিশ ইতিমধ্যেই যৌন অপরাধ এবং শিশুদের সুরক্ষা ( POCSO) আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই পুলিশ খুব একটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না বলেই অভিযোগ। আরামবাগ জেলা বিজেপির সম্পাদক পর্ণা আদক বলেন, “শিশুটির অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে বর্তমান সরকারের রাজত্বে নারী ও শিশুরা কতটা অসুরক্ষিত! ধর্ষণ মামলায় (Tarakeswar Rape Case) পুলিশের নিষ্ক্রিয় পদক্ষেপ এই মর্মান্তিক ঘটনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”

LinkedIn
Share