Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভামঞ্চে ফের বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা গেল শাসকদলের নেতাকে। তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তুই-তোকারির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গেল তাঁকে। গত শনিবার বিকেলের দিকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ফুটবল মাঠে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। সেই সময়েই বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। সেদিন সেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও।

    বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার

    সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি মানে ‘পাগল দিলীপ’, ‘চিটিং সৌমিত্র খাঁ’ আর ‘মিরজাফর শুভেন্দু অধিকারী’। এই সব মন্তব্যেই শোরগোল পড়ে যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “উস্কানিমূলক কথা বললে, বড়জোড়ার মানুষ পিঠের চামড়া তুলে নেবে।” তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নাকি তাদের বাধা দেবে। আমি শুভেন্দু অধিকারীকে বলছি, তোদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা আছে? বিজেপি বলে এখানে কিছু নেই। তাঁদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই। শান্ত বাঁকুড়াকে আজ যদি অশান্ত করার চেষ্টা করে ওই সৌমিত্র খাঁ, শুভেন্দু অধিকারীকে বলে রাখছি আমরা তৃণমূল হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। যদি পরবর্তীতে এমন উস্কানিমূলক কথা বলেন, তাহলে বড়জোড়ার মানুষ শুভেন্দুকে চাবকে পিঠের চামড়া তুলে দেবে।”

    আরও পড়ুন:রাতভর নদীতে আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালেই বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সভা করে বিজেপি। আর তার পর শনিবার সেই একই জায়গায় পালটা সভা করে তৃণমূল। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই সব মন্তব্যের পরেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায় ও তাঁকে নিন্দাও করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

    সোমনাথের সমালোচনা করে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা যোগ্য জবাব দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বরাবরই হিটলার রাজ চালাচ্ছে। তৃণমূল এ রাজ্যে আসায় রাজ্যের মানুষ ভেবেছিল সিপিএম-এর অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাতকে এ রাজ্যের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তৃণমূল আপাদমস্তক চুরি দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই সত্যটা বুঝতে পেরে এই সমস্ত কথা বলে তৃণমূল পাগলের প্রলাপ বকছে।” 

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশার দাপটে বন্ধ হল গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Mela) সমস্ত বাস পরিষেবা। আর সে কারণেই মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ল না গঙ্গাসাগরের লঞ্চ। আর তার জেরে কচুবেড়িয়ার ৮ নম্বর লটেও লঞ্চ এবং ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বাবুঘাটেও বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের এমন অব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর অসুবিধায় পড়লেন পুণ্যার্থীরা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান করার জন্য লঞ্চের অপেক্ষা করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সেখানে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হলেও, বাধ সেধেছে কুয়াশা। অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তে তীর্থযাত্রীদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। 
      
    কুয়াশার জেরে কাকদ্বীপের লট নম্বর–৮ থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল লট নম্বর–৮ এবং কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা। গতকাল রাত থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছেন এই এলাকায় (Gangasagar Mela)। ঘন কুয়াশার দাপটে এদিন সকাল থেকে নামখানা–বেনুবন পয়েন্টের লঞ্চ–বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে শনিবার সকালে ক্রুজ ছাড়ার কথা থাকায় মিলেনিয়াম পার্কের কাছে জেটি ঘাটে উপস্থিত হন কমপক্ষে ২২১ জন তীর্থযাত্রী। যদিও ঘন কুয়াশার জেরে বন্ধ ভেসেল।

    ভোর সাড়ে ৫টায় এই ক্রুজ ছাড়ার কথা ছিল মিলেনিয়াম পার্ক (Gangasagar Mela) থেকে। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা সেখানে পৌঁছেও যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, বেসরকারি সংস্থার কাউন্টার বন্ধ। কোনও কর্মী সেখানে নেই। এরইমধ্যে কারও কারও ফোনে মেসেজ আসে ঘন কুয়াশার কারণে ক্রুজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুণ্যার্থীরা।

    এক অভিযোগকারী জানান, গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রুজ বুক করেছিলেন তাঁরা। অনলাইনে বুকিং প্রক্রিয়া চলে। ই-টিকিটও পেয়েছিলেন। সেই টিকিটের প্রিন্ট আউট সঙ্গে নিয়ে শনিবার মিলেনিয়াম পার্ক জেটি ঘাটে তাঁরা পৌঁছে যান। সকাল ৫টায় ছিল মিলেনিয়াম পার্কে পৌঁছনোর সময়। সকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এদিকে নির্ধারিত সময় পার করে গেলেও কাউকে দেখতে পাননি তাঁরা।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? 

    আজ শনিবার ভোরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল। রাত ৩টে ৪৫ মিনিটের আপ ক্যানিং–শিয়ালদা লোকাল হঠাতই চম্পাহাটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটির ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিনে এই সমস্যার কারণেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং (Gangasagar Mela) আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়। বাবুঘাট থেকে বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সিএসটিসি, সিটিসি, এসবিএসটিসি’‌র প্রায় ৪০টি বাস এখনও বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডেই রয়েছে।  

    কী জানা গিয়েছে? 

    বেলা গড়াতে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় আসতে আসতে ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও লট নম্বর–৮ এর কাছে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীরা আটকে রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যেবেলায় শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নান। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মকরসংক্রান্তি। আর তার আগেও রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত (West Bengal Weather)। শহর কলকাতায় পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বাড়ল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকর থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল কলকাতার আকাশ। বেলা বাড়লে মেঘ কেটে পরিষ্কার হয় আকাশ। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। 

    শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) সূত্রে খবর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি করে বেড়েছে। যদিও উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হয়নি। কয়েকটি জেলাতে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও এখনও কার্শিয়াং এবং দার্জিলিঙের মতো জেলায় শীতের দাপট কমেনি। 

    কী জানাল হাওয়া অফিস? 

    হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। মৌসম ভবনের খবর, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে পারছে না রাজ্যে। পরিবর্তে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সংক্রান্তির সময় ঠান্ডার আমেজ পাবে না বাঙালি। কমছে পিকনিকের সংখ্যাও। শীতে কাঁপতে কাঁপতে নলেন গুড়ের পায়েস এবং পিঠে খাওয়ার মজাও মাটি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    উত্তরবঙ্গে (West Bengal Weather) আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা। আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকবে। শনি ও রবিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ হাল্কা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

         

  • Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। এদিকে, হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, গত কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা…

    গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। ডাক দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাসও। কিছু মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশে অসন্তুষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। মান্থার এজলাস বয়কটের পাশাপাশি পোস্টার পড়ে তাঁর বাড়ির সামনেও। আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালত কক্ষ অবরোধ করে বিচার করতে না দেওয়া অপরাধের সমতুল্য। কারণ এর ফলে বিচারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। এভাবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই গঠিত হয়েছে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ঘটনার তদন্ত করতে বাংলায় তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তারা। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো দল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে যাবেন। যেখানে ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন। তাঁরা কথা বলতে পারেন বিচারপতি মান্থার সঙ্গেও। অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হলেও, অচল হয়ে রয়েছে বিচারপতি মান্থার ১৩ নম্বর এজলাস। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০টি মামলায় যোগ দেননি সরকারি আইনজীবীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে এসে ধরা পড়ে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক যুবক। শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। পর্ষদ সূত্রে খবর, ইন্টারভিউ চলাকালীন এক পরীক্ষার্থী ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসে। ওই প্রার্থীকে দেখেই সন্দেহ হয় পর্ষদ কর্মী সৌরভ ঘোষের। মূলত তাঁর তৎপরতাতেই আটক করা হয় ওই যুবককে। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে, যাঁদের ওই যুবক আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। 

    ভুয়ো কললেটার 

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। গোটা বিষয়টি বিধাননগর কমিশনারেটকে লিখিতভাবে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আধিকারিকদের অনুমান, এর পিছনে কোনও চক্র থাকতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইছে গোটা বিষয়টির তদন্ত হোক। ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপর্যায়ের পুলিশের আধিকারিকরাও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই পরীক্ষার্থীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতম ঘোষের পাড়ার পরিচিত এক কাকার কাছ থেকে তিনি ইন্টারভিউ লেটার পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কললেটার তিনি পান বলেও সূত্রের দাবি। শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে। প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গেই পর্ষদ অফিসে প্রবেশ করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। কললেটার যাচাই করে দেখা যায় সেটি ভুয়ো। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রীতম নামে ওই যুবক ইন্টারভিউয়ের জন্য যে ‘কল লেটারে’ এনেছিলেন তাতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই চতুর্থ পর্যায়ের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পঞ্চম পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার কথা। আগামী সপ্তাহ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পঞ্চম পর্যায়ে ইন্টারভিউ। মোট ছ’টি জেলার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে এই পঞ্চম পর্যায়ে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালপাতায় সাজানো ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। ভাতের পাশেই সাজানো অদিনের এঁচোড়ের তরকারি, মাছ, খাসির মাংস। দাওয়ায় পাতা এই পাতের আসনে যিনি বসে রয়েছেন তিনি বীরভূমের (Birbhum)  সাংসদ তৃণমূলের (TMC) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তাঁর ডানদিক বাঁদিকের আসনে বসেছেন তৃণমূলেরই আরও কয়েকজন নেতা। নেত্রী পাতে বসেই সযত্নে টেনে নিলেন ভাতের পাতা। সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে উঠল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা।

    অস্বস্তিপর্ব…

    পোজ দেওয়া শেষ হতেই পাত ছেড়ে শতাব্দী পড়লেন উঠে। খাবেন বলে যাঁরা এতক্ষণ ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন, তাঁরা খানিক থমকে গেলেন। অস্বস্তিপর্ব কাটিয়ে তাঁরা অবশ্য জমিয়ে খেলেন মাংসভাত। শুক্র-দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেল বিষ্ণুপুরে, এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। ঘটনার জেরে যারপরনাই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন ভাত না খেয়েই পাত ছেড়ে উঠে গেলেন, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ শতাব্দীর। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সাফাই, দিদি হয়তো বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    এদিন দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শতাব্দী। তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে করা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। সেখানেই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন দলের নেতারা। সেই অনুযায়ী ময়দানে নেমেও পড়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে গিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ছবি তোলার ছিল, তোলা হয়ে গিয়েছে, উঠে পড়েছেন। খেতে যে পারবেন না সে তো জানাই ছিল।

    এদিকে, এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন তিনি (Shatabdi Roy)। পরে বলেন, অনেকরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। তিনি বলেন, সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share