Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি যোগের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) গ্রেফতার করেছিল মহম্মদ সাদ্দাম ও মহম্মদ সঈদকে। সেই সূত্রে ৯ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুল রাকিব কুরেশিকে (Abdul Raquib Qureshi)। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    কুরেশি…

    জানা গিয়েছে, কুরেশির নিজের একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আড়ালেই চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ। সরকারি আইনজীবীর দাবি, কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জঙ্গিদের ফিনান্স করত, সংগঠনের প্ল্যানিং করত, টেররিস্টদের লজিস্টিক সাপোর্টও দিত। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি বই, মোবাইল, চিপ, মানি ব্যাগ, টাকা এবং পেন ড্রাইভ। সে যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল, তারও প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী হামলার ছকও কষেছিল কুরেশি। গোটা দেশে জাল বিস্তার করেছিল এই জঙ্গিরা। কুরেশির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নোটবুক থেকে জেহাদি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। যুবকদের মগজধোলাই করে স্লিপার সেল চালানোর চেষ্টাও করছিল সে। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে পাওয়ায় কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে কুরেশিকে। তাকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    প্রসঙ্গত, তদন্তকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, জঙ্গি সংগঠন আইএসের (IS) নামে শপথ নিয়েছিল হাওড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম। তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে যে ডায়েরি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে। ওই ডায়েরিতে যা লেখা হয়েছে, তা আরবিতে। এই ডায়েরির এক জায়গায় ধৃত সাদ্দাম লিখেছে, আইএসের প্রতি তার আনুগত্য বজায় রাখবে সে। সংগঠনের হয়ে কাজ করবে। এ ব্যাপারে শপথও নিয়েছে সে। এই ডায়েরি থেকেই জঙ্গি সংগঠনে কুরেশির (Abdul Raquib Qureshi) যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। শেষমেশ মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো মামলা’র তদন্তে এবার মামলাকারী কাকলী পণ্ডার স্বামী তথা কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডাকে তলব করল সিবিআই। একই সঙ্গে  কাঁথি থানার দুই আধিকারিককেও বুধবার  নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী কাকলি পণ্ডা অর্থাৎ শান্তনুর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার শান্তনুর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজামপ্যালেসে কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    গত ২৮ ডিসেম্বর  রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাকলি। তাঁর অভিযোগপত্রটি থানায় জমা করে আসেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাক্রমে অভিযোগকারী কাকলিও আদালতে জানান, কয়েক জন প্রভাবশালীর চাপে তিনি এই মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। এর পরেই আদালত কাকলি ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। আর রামচন্দ্রকে নিঃশর্ত জামিন দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    কারা জড়িত 

    জামিনে মুক্তির পরই রামচন্দ্র দাবি করেছেন যে পুলিশি জেরার নামে তাঁর উপর অত্যাচার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে তথ্য চায় পুলিশ। এমনকি, জোর করে নন্দকুমারের একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে শুভেন্দুর টাকা কোথায় রয়েছে, তা জানতে চেয়ে চাপ দেওয়া হয়।  এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে দীর্ঘক্ষণ নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পর কাঁথি থানার এক এসআই-সহ দুই কনস্টেবলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার যে দাবি করেছিলেন কাকলি, তাঁদের কারও নাম এখনও জানা যায়নি। এই গোটা ঘটনার পিছনে ঠিক কারা রয়েছেন, এ রকম নানা তথ্য জানতে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বয়কট উঠল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীদের একাংশ। আগেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, বিচারপতিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলেন। আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরই আইনজীবীদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcuta High Court) পরিস্থিতি।

    আইনজীবীদের রণে ভঙ্গ!

    গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে দেখা যাচ্ছিল আইনজীবীদের ভিড়। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবারই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। পরে আজ সকালে বিক্ষোভ করতে না দেখা গেলেও বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বয়কটও উঠিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসে আদালত। স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় আদালতের কাজ। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে ৭টি মামলার শুনানি হয়েছে।

    বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কী বলা হল?

    এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মৌলিক বলেন, “এই এজলাসের সামনে আর অবস্থান করা হবে না, বারের সম্পাদক হিসেবে আশ্বস্ত করছি। কোনও মামলায় দুপক্ষ উপস্থিত না থাকলে সেই মামলায় কোনও রায় না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, কোর্টের সম্মান নষ্ট করবেন না। শুধু মাত্র আমার এজলাস নয়, অন্য কোনও বিচারপতির ক্ষেত্রেও এমনটা যেন না ঘটে। দয়া করে সে দিকে নজর দিন।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। তিনি গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করে বিচারপতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সবরকম সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তাঁর বাড়ির বাইরে লাগানো পোস্টার খোলা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে তথ্য জানাতেও বলেছেন রাজ্যপাল।

  • Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। ভয় দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছা চরিতার্থ করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীদের একাংশের তাণ্ডবকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abijit Ganguly)। 

    বিচারপতি যা বললেন 

    মঙ্গলবার আদালতের বাইরে গণদর্পণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সাংবাদিকরা তাঁকে সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও কোর্ট রুমের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে এটা ঠিক, পৃথিবীশুদ্ধু সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আইনজীবীদের একটা অংশ বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। তবে গতকাল প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় একটা যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।’ বিচারপতি এও বলেন, সোমবার হাইকোর্টে যা ঘটেছে তা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে। গতকাল দেখা গিয়েছিল, হাইকোর্ট ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য না করেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, আমিও দেখেছি কী হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন কিছু আইনজীবী। কেন বারবার বিচারপতি মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়। আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় কারা কারা দোষী তা চিহ্নিত করবেন প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এসআই অনির্বাণ রায় ও এক কনস্টেবল।  সিবিআই দফতরে তাঁরা ঘণ্টাখানেক ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের মোট ৩ জন পুলিশকর্মীকে তলব করেছিল। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন ২ জন। বুধবার আরও এক জন সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেবেন। এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    কাঁথির শ্মাশান দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার রাম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন যে মহিলা তিনি দাবি করেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে তাঁকে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পর আদালত সাজানো এফআইআর-এর নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ দিকে,কাকলি নামে ওই মহিলাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এরপরই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পান রামচন্দ্র। জামিনের পর রামচন্দ্র জানায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।”  এরপরই কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’ সিনেমাকে নন্দনে চলতে না দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি হলেও, বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই সিনেমায় থাকায় নন্দন বয়কট করে সিনেমাটিকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছবিতে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্যই নাকি দেবের ওই ছবি ফ্লপ করেছে৷ তাঁর জায়গায় দেব পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে অনেক ভালো করতেন ৷ 

    যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সর্বসমক্ষে খারিজ করে দিয়েছেন দেব (Mithun Chakraborty)৷ তিনি বলেছেন, “কুণাল ঘোষ ছবির বিষয়টি বোঝেন না৷ তাই এটা আমাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত৷” নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রজাপতি ছবির একটি দৃশ্যও পোস্ট করে দেব ক্যাপশনে লেখেন ‘এমনি’৷ এই পোস্টের মাধ্যমেই দেব কুণালের মতো সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন অনেকে।

    কী বলেছেন মিঠুন? 

    এবার কুণাল ঘোষকে কড়া জবাব দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কুণাল ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি৷ মিঠুন কুণালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “যতই চেষ্টা করা হোক, তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তাঁর টিআরপি নামাতে পারবেন না৷” ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মিঠুন আরও বলেন, “আমার টিআরপি কোনওদিনই কমানো যাবে না। আমার টিআরপি নামাতে চেয়েছিলি। আমার মরা পর্যন্ত সেটা পারবি না।” কুণাল ঘোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি এলি তেলিদের কথার জবাব দিই না। ওসব গঙ্গারামদের কথায় জবাব দিই না।‌”

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর ট্রেলার, উন্মাদনা নেট পাড়ায়

    ত্রিপুরায় প্রচারের জন্য বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে ত্রিপুরাতেও প্রচার করবেন তিনি। প্রচারের জন্য প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে চলেছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি মিঠুন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

  • NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল আইএস (IS) জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশি (NIA Arrest)। দীর্ঘ দিন সংশোধনাগারে থাকলেও, সে নিজেকে সংশোধন করেনি। ২০১৯ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের সে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও আইএসের স্লিপার সেল চাঙা করার কাজে নেমে পড়ে। ২০০৯ সালে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। কুরেশিকে রাতভর জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    টাস্কফোর্স…

    এর আগে কুরেশিকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এমপি নগর থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, কুরেশি তালিবানি স্লোগান দিতে থাকে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এহেন কুরেশিকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স (STF)। হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সাদ্দাম। ২০২০ সালে সেই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিল কুরেশি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মধ্য প্রদেশেও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে এবং সংগঠনকে চাঙা করতে বৈঠক ডেকেছিল সে। জানা গিয়েছে, শিক্ষিত, বেকার যুবকদের টার্গেট করত সে। টাকার বিনিময়ে তাদের সংগঠনে শামিল করাই লক্ষ্য ছিল কুরেশির। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    নতুন বছরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ নামের দুই যুবককে। সূত্রের খবর, সাদ্দামের চ্যাট গ্রুপ ডি-কোড করে জানা গিয়েছে একে ৪৭ জোগাড় করতে মরিয়া ছিল সাদ্দাম। হাওড়ার আফতাবউদ্দিন লেন ও শিবপুরের গোলাম হোসেন লেনে সাদ্দাম ও আহমেদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু নথিপত্র। কেবল তাই নয়, সাদ্দামের যোগাযোগ ছিল সিঙ্গাপুরের এক মহিলারও। ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলত সে। টেলিগ্রামে কোড নামে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তি সিরিয়ার আইসিস (ISIS) নেতা। সাদ্দামের নিশানায় ছিলেন দিল্লির দুই নেতা। তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্য নয়ডার একটি সংস্থায় চাকরিও নিয়েছিল সাদ্দাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Justice Rajasekhar Mantha: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের

    Justice Rajasekhar Mantha: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশে কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআরটি দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই সময়ের হাইকোর্টের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।   

    বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে সোমবার থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার তাঁরা বিচারপতির এজলাস বয়কটের ডাকও দেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হাই কোর্টে বিচারপতি মান্থা আদালত অবমাননার রুল জারি করলেও সেই বয়কট ওঠেনি। বুধবার সকালে আইনজীবীরা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেও জানিয়ে দেন বয়কট চালু থাকবে। 

    প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বার অ্যাসোসিয়েশনের

    এবার আইনজীবী এবং বিচারপতিদের (Justice Rajasekhar Mantha) মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ময়দানে নামল বার অ্যাসোসিয়েশন। চিঠি দেওয়া হল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সাম্প্রতিককালে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবী এবং বিচারপতিদের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে। এই ধরনের আচরণের মাধ্যমে বিচারপতিদের সঙ্গে আইনজীবীদের সুসম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    এখন প্রশ্ন উঠছে যে, বার অ্যাসোসিয়েশন যদি বিচারপতির বিরুদ্ধে না হয়, তাহলে বিক্ষোভ দেখালেন কারা? নাকি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) অবমাননার রুল জারি করার পরেই অবস্থান থেকে সরে আসল বার অ্যাসোসিয়েশন? 

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    এদিকে আইনজীবীদের আচরণে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) সামনে দুঃখপ্রকাশ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতি মান্থা বুধবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, “অধিকাংশ মামলায় রাজ্যের অনেক আইনজীবী উপস্থিত থাকছেন না। কেন এমন হচ্ছে? রাজ্যের আইনজীবীরা আসছেন না কেন?” এর জবাবেই  রাজ্যের এজি বলেন, “এই ঘটনায় আমি দুঃখিত। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এখনও কেন এটা হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। কথা বলছি ওই আইনজীবীদের সঙ্গে।” 

    কলকাতা হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Rajasekhar Mantha) এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “কারা করেছেন, তাঁদের আমরা চিনি। তাঁরা আগেও এই কাজ করেছেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share