Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সাত সকালে তিক্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক আবহাওয়া। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় ৭ জানুয়ারি সিপিএমের দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহতদের স্মরণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বেনজির আক্রমণ করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। পালটা শুভেন্দুর হুমকি, “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সূর্যোদয়ের আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূলের। সেখানে হাজির ছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম করে কুমন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তৃণমূলের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিজেপির শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শেখ সুফিয়ানকে পালটা আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এখানে তারাচাঁদবাড়ের একটা চোর এসেছিল একটু আগে। জাহাজ বাড়ি করেছে। অসংখ্য বউ। সকালবেলা অনেক গালাগালি করে গেছে। দেবব্রত মাইতির খুনের মামলায় শর্তাধীন জামিনে আছে। আমি যার দিকে তাকাই ধ্বংস হয়ে যায়। শাহজাহান ধ্বংস হয়েছে। কেষ্ট ২ বছর জেল খেটেছে। তারাচাঁদবাড়ের এই চোরটাকে আমি বলে গেলাম তোমার অবস্থা আমি কী করব দেখে নেবে। দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ

    ওড়িশার বিজেপি সরকার জঙ্গল থেকে বাঘ ছেড়ে দিচ্ছে। আর সেই বাঘ ধরতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁকে সংযত বক্তব্য রাখার পরামর্শ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এমন কিছু বলবেন না যাতে বাঙালি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।” মমতাকে তাঁর পরামর্শ, ‘উনি তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। আমি ওঁকে বলব, আপনি কান দিয়ে দেখবেন না। চোখ দিয়ে দেখুন। আপনার কাছ থেকে মানুষ এই ধরণের কথা আশা করে না। আপনার অনেক বয়স হয়েছে। আপনি এই ধরণের কথা বললে লোকে হাসে। আমরা আপনার বিরোধী, কিন্তু আমরা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যদি ওড়িশার লোক খিল্লি করে যে আমরা বাঘ ছেড়ে দিচ্ছি, এটা পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গায়ে লাগে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, এমন কিছু বলবেন না যাতে বাঙালি হিসাবে আমরা লজ্জিত হই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সদস্যতা অভিযানে ব্যাপক সাড়া পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও যেভাবে সাফল্য মিলছে সদস্যতা অভিযানে, তাতে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্যতা প্রায় ৫০ লাখ ছুঁই ছুঁই। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর সদস্যতা অভিযানের আবহে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। এনিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, সারাদেশের নিরিখে কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তারপরেও এই ব্যাপক সাফল্য বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থনেরই প্রতিফলন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ১৮২ বিধানসভায় ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য (BJP)

    দেরিতে সদস্যতা অভিযান শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা জানাচ্ছেন, আরজি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো। এই কারণেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচি। তাই সদস্যতা অভিযান শেষ করার দিন ১০ জানুয়ারি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে (West Bengal) বিজেপির লোকসভাভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি জেলাতেই পার করে গিয়েছে ১ লাখ সদস্যতা। অন্যদিকে ১৮২টি বিধানসভাতে ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য করাতে পেরেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    সম্প্রতি সদস্যতা অভিযানের পর্যালোচনা বৈঠক হয় সেক্টর ফাইভে 

    তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও যেভাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা সদস্যতা অভিযানকে সফল করেছেন তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সম্প্রতি, সেক্টর ফাইভে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই সদস্যতা অভিযানের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুমেহ হল মধুময়। নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এলাহি আয়োজন করলেন নদিয়ার (Nadia) পলাশীপাড়া থানার পলশন্ডা গ্রামের ৭৪ বছরের নিতাই প্রামাণিক। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। বিয়ে করেননি। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি থাকেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর এই রোগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই তিনি মহাভোজের আয়োজন করেছেন। আর গৃহশিক্ষকের এই উদ্যোগ দেখে হতবাক সকলে।

    মেনুতে কী কী ছিল? (Nadia)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর যখন ২৪ তখনই সুগার (Nadia) ধরা পড়ে তাঁর। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের ওপর থাকতে হয় তাঁকে। মনে চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। আর তাই তাঁর ইচ্ছা ছিল, নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্যদের বছরের প্রথমেই বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়াবেন। তাঁর আমন্ত্রণে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীসহ অনান্যরা সাড়া দেন। হাজির হন তাঁর বাড়িতে। শুধু এলাকার লোকই নয়, দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, রোগের ৫০ বছর উপলক্ষে এই ধরনের ভোজনের আয়োজন আগে কেউ করেছে বলে জানা নেই। এটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই ধরনের ঘটনার আমরা সাক্ষী হতে পেরে খুবই খুশি। জানা গিয়েছে, নিতাইবাবুর মেনুতে ছিল ডিমের ডেভিল, মটরশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, ফ্রায়েড রাইস, পনির, চিংড়ি দিয়ে ফুলকপির তরকারি, চাটনি, দই, রসগোল্লা, কমলাভোগ।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    কী বার্তা দিলেন নিতাইবাবু?

    এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাইবাবু (Nadia) নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নয় অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন। নিতাইবাবু বলেন, “আসলে ৫০ বছর ধরে আমি সুগারের রোগী। এই রোগকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করলে এই রোগ কিছুই করতে পারবে না। এই বার্তা দিতেই আমি এই আয়োজন করেছিলাম। নতুন বছরের শুরুতে সকলে মিলে একসঙ্গে খেতে পেরেও আমার ভালো লাগছে। আমি সারাদিনে ১২০ গ্রাম চালের ভাত খাই। আর তিন ঘণ্টার বেশি পেট খালি রাখি না। নিয়ম মেনে চললে সুগার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। আমি নিজেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। আর এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আজ ঠান্ডা তো কাল গরম। বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। যার হাত ধরে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে রাজ্যজুড়ে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণেও কুয়াশা দিনভর। নতুন করে ১০ জানুয়ারি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দু’দিন পর থেকে তাপমাত্রা (Weather Update) আবার নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পৌষ সংক্রান্তিতে যেমন কনকনে ঠান্ডা থাকে, এবার তা অনেকটা কম অনুভূত হবে। তবে, কুয়াশার দাপট থাকবে।

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?(Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে। তার পর আবার দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। যদিও, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হলে শীত কমে যাবে আবার। ফলে এখনই জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী দু’দিন কুয়াশার (Fog) প্রভাব বেশি থাকবে দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বাকি জেলাতেও ঘন কুয়াশা থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তাপমাত্রা ওঠানামা এবং আর্দ্রতার কারণে কুয়াশা আরও ঘনীভূত হবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত দক্ষিণের সব জেলাতেই শুকনো আবহাওয়া থাকবে।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা কোথায়?

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে (Weather Update) উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিঙে মঙ্গলবার বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশা থাকবে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর ও মালদায় কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: হু হু করে নামবে তাপমাত্রা, বুধবার থেকে ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়

    Weather Update: হু হু করে নামবে তাপমাত্রা, বুধবার থেকে ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডা কমতেই মন খারাপ শীতপ্রেমী বাঙালির। তাপমাত্রার পারদ আবারও চড়েছে। মঙ্গলবার ঠান্ডা অনেকটাই কম। তবে শীতের কামব্যাক সময়ের অপেক্ষা। খুব বেশি সময় লাগবে না। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী তিনদিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা (Weather Update) ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

    কবে থেকে আরও ঠাণ্ডা নামবে? (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকেই ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের মধ্যে ২-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। ফের ১৩ ডিগ্রিতে নামতে পারে কলকাতার পারদ। ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা। তবে পৌষ সংক্রান্তির আগেই নতুন ঝঞ্ঝার পূর্বাভাসও রয়েছে। ফলে, আবারও বাড়বে তাপমাত্রা।

    উত্তুরে হাওয়ার দাপটে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই চেনা ছন্দে ফিরেছিল শীত। তবে মাঝের দু-একদিনে হঠাৎ ছেদ। প্রথম এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল বেশ খানিকটা। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আবারও তাতে ছেদ পড়ে। তারপর আবারও নিম্নগামী পারদ। কলকাতা-সহ শহরতলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা টানা কয়েক দিন ধরেই থাকবে স্বাভাবিকের নীচে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তন না হলেও তার পর থেকে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে

    আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে না বলেই আপাতত জানানো হয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফ থেকে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না। এদিকে শীতের আমেজ বজায় থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দার্জিলিঙের একটি বা দুটি অংশে বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত হতে পারে। আর জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কোনও বৃষ্টি হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    Passport Scam: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে রাজ্যের আরও ৪ পুলিশকর্মী, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে সব ভূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে ধরা পড়েছেন এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী। এবার তদন্তকারীদের নজরে কলকাতা পুলিশের (Police) আরও ৪ জন কর্মী। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে থাকা পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন দুই অফিসার, এক কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ড। এই চারজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট কাণ্ডে সক্রিয় থাকা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাহলে সর্ষের মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে সব ভূত?

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার কত? (Passport Scam)

    জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের নজরে (Passport Scam) থাকা পুলিশ অফিসারদের একজন একটি থানায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে অপর অফিসার ছিলেন সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুমে। এছাড়া যে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর সিটের নজর আছে, তিনিও সিকিউরিটি কন্ট্রোলরুমেই কর্মরত ছিলেন। এই তিন পুলিশকর্মী সহ হোমগার্ডকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এই চার পুলিশকর্মীর ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম আবদুল হাই। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর তিনি। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসেও কাজ করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে ধরা হয়েছিল তাঁকে। আড়াই বছর কাজ করেছেন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন অফিসার হিসেবে। সবমিলিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এখনও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা!

    জানা গিয়েছে, পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্রেই সমরেশের সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুলের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল হাই। তার পরই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এই চারজনের কাছ থেকে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ছে রাজ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় বাধা পড়েছে শীতের পারদে। অপর দিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়া জেলা ছাড়া দক্ষিণের আর বাকি কোনও জেলায় তাপমাত্রা (Rising Temperatur) ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। ফলে তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে শুরু করেছে।

    জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না(Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন আরও তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়বে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না। হাড় কাঁপানো শীতের আমেজ থাকবে না। মোটামুটি ২ থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তারপর আবার পারদের কিছুটা মান নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবারের থেকে দুই ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে এই ভাবে তাপমাত্রা (Rising Temperatur) বেড়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার এই প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গে এই সময় জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় ব্যাপক কুয়াশা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    উত্তরে তুষারপাতের সম্ভাবনা

    একই ভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রবিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা (Weather Update) থাকবে। মঙ্গলবারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিন দিন পর উত্তারের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নতুন করে দুই ডিগ্রি (Rising Temperatur) কমতে পারে। সিকিমের উপরের অংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    তাপমাত্রা কোথায় কত?

    রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল পুরুলিয়ায়, ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙের তাপমাত্রাও ছিল পুরুলিয়ার চেয়ে বেশি ৯.৫ ডিগ্রি। পুরুলিয়া ছাড়া দক্ষিণের আর কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল না। সব জায়গাতেই ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে পারদ (Rising Temperatur)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) ফের রেকর্ড গড়ল। বড়দিন থেকে ইংরেজি বর্ষবরণ পর্যন্ত মোট ৮ দিনে কলকাতার মদের (Calcutta Record) দোকানগুলিতে ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। রাজ্যের বড় আয়ের উৎস এখন মদের দোকান! তবে এই ভাবনা অমূলক এই মদ সুরারসিকরা ব্যবসার উন্নিতির কথা মাথায় রেখে পান করেছেন। নেশা সমাজের জন্য সব সময় ক্ষতিকারক, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজ তথা দেশ রাষ্ট্রের জন্য এই সংবাদ কখনই লাভজনক নয়। বিরোধীদের তোপ, তৃণমূলের কাছে উন্নয়নের মডেল এখন মদ বিক্রি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেখানে রসাতলে, সেখানে রাজ্যে সরকারি মদতে চলছে দেদার মদ বিক্রির মোচ্ছব!

    বঙ্গ এখন মদবিক্রির মুক্তাঞ্চল (Liquor sale)

    উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাতের মতো রাজ্যে যেখানে মদ বিক্রির (Liquor sale) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে, তুলনায় বঙ্গ এখন মদ বিক্রির মুক্তাঞ্চল। যে রাজ্যের হালকা, মাঝারি এবং ভারী শিল্পের কোনও সম্ভাবনা নেই, সেই রাজ্যে উৎসব-অনুষ্ঠানে মদ বিক্রি একটা বড় ব্যাপার। অবশ্য রাজ্যের শাসক দল এমনটাই মনে করে। তবে রাজ্যবাসী মনে করছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে মদ বিক্রি কার্যত ধ্বংসাত্মক ভাবনারই প্রকাশ। 

    দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি

    রাজ্যের আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আট দিনে কলকাতার বিভিন্ন দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি (Liquor sale) হয়েছে। এই বিক্রি গত বছরের তুলানায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। আবগারি দফতরের কলকাতায় চারটি বিভাগীয় জেলা রয়েছে-কলকাতা উত্তর (Calcutta Record), কলকাতা দক্ষিণ, আলিপুর, বিধাননগর। সূত্রে জানা গিয়েছে আলিপুর জেলায় সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা দক্ষিণ, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা উত্তর এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিধাননগর। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু আলিপুরে ৪২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে সাধারণ সময়ে আলিপুরে প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকা হয়। এবার আলিপুরে গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বিক্রি হয়েছে। এই দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের  ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মরসুমে, সাধারণ সময়ের তুলনায় প্রায় দুইগুণ কলকাতায় মদ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    ২০২১ সালে মদ বিক্রিতে দেশে দ্বিতীয় ছিল বাংলা

    উল্লেখ্য ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় এই রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) দ্বিতীয় স্থানে ছিল। অর্থনৈতিক সংস্থা আইসিআরআইইআর সমীক্ষা করে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মোট ১.৪ কোটি মানুষ মদ্যপান করেন। রাজ্যে সরকারের সবথেকে বেশি আয়ের উৎসগুলির মধ্যে আবগারি দফতর একটি বড় কেন্দ্র। তাই হয়তো শাসক মদ্যপানকে পরক্ষে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আবার ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর ৫ দিনে জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলায়। তবে দশমীর দিনে সব থেকে রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি ছিল। মোট ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। যার মধ্যে দশমীর দিন ছিল ৯৪ লক্ষ টাকা। এখন প্রশ্ন মদ বিক্রি কি রাজ্যের ভবিষ্যৎ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে (Passport Fraud Case) এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় বড় মাথা ছিলেন সমরেশ। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। তদন্তে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৯। জানা গিয়েছে, এই অফিসার কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police Officer arrest) সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসে কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রতি পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন (Passport Fraud Case)

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর (Calcutta Police Officer arrest) গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কার্যত কুমিরের ছানা যেন শিয়ালের কাছে রাখার মতো শোনাচ্ছে। রক্ষক এখন ভক্ষক। যার হাতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার কথা তিনি এখন জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এই অফিসার এক বছর আগে নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। হাবড়া থেকে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টি পাসপোর্টের এনকোয়ারিং অফিসার ছিলেন এই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অভিযোগ রয়েছে প্রতি পাসপোর্ট পিছু তিনি ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন। মূলত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এবং এখানেই নিজে টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করতেন। এখন এই ধরনের কাজে যদি পুলিশ যুক্ত থাকেন, তাহলে জালিয়াতি কারবার নিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত যে রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। এই রাজ্য কি তাহলে জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত মুক্তাঞ্চল? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে।

    আরও পড়ুনঃ “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন”

    প্রসঙ্গত এই পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Fraud Case) মামলায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাই-এর (Calcutta Police Officer arrest) নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভূয়ো মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। টাকা দিয়ে জালিয়াতির কারবার মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করেছে। আমাদের রাজ্যের গোয়েন্দাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিণাম। চোরা কারবারিরা একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে না। প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরাট ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনের পক্ষে অসম্ভব!” আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) এবং আসামিপক্ষ কার্যত একই সুরে জানাল আদালতে। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৫৭ পাতার একটি লিখিত বক্তব্যে বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা।

    কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না (RG Kar Case)!

    ধর্ষক এবং খুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)। আদালতে হাজির ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। শুনানিতে প্রশ্ন করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে দুই পক্ষের বক্তব্যে অমিল থাকলেও একটি বিষয়ে তারা একমত যে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পিছনে কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না। মামলার তদন্তে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে একজনের নামই উঠে এসেছে। এই সিভিক ভালান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চার্জশিটে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই আরও জানিয়েছে, আরও যারা যারা ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ করে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

    অভিযুক্ত কি একজন, নাকি একাধিক? এই নিয়ে দিল্লির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মতামত জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার শরীরে (RG Kar Case) যে সব আঘাত পাওয়া গিয়েছে তাতে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়

    নির্যাতিতার (RG Kar Case) আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’’ একই ভাবে পরিবারের (Victims Family) পক্ষে দাবি, “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, নেপথ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হক। কারা কারা যুক্ত খুঁজে বার করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।”

    অপর দিকে ধৃতের আইনজীবী আদালতে শুনানির সময় দাবি করেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভির সাপেক্ষে বলা যায় একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে অনেকে রয়েছে। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share