Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: হেলে পড়া বাড়ি! মেয়রের গ্রেফতারির দাবিতে বিধানসভা উত্তালের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হেলে পড়া বাড়ি! মেয়রের গ্রেফতারির দাবিতে বিধানসভা উত্তালের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় একাধিক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এনিয়ে চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এবার এর প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভার সামনে সভা করে বিধানসভা উত্তাল করার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা দেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে পুর-প্রতিনিধিদের লুকিয়ে রাখা টাকা ‘পাতাল ফুঁড়ে বার’ করে আনার হুঙ্কারও দেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে মেয়রের গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অধিবেশনে মেয়রের গ্রেফতারি এবং মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহির দাবিতে বিধানসভা উত্তাল করে তুলব।’’

    হেলে পড়া বাড়ি

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা এতদিন শুনে এসেছি প্রাচীন বাড়ি, ঐতিহ্যের বাড়ি, রাজবাড়ি, রবি ঠাকুরের বাড়ি… এই প্রথমবার কলকাতা মহানগরীর ছাপ্পা মেরে চেতলা থেকে জেতা মুখ্যমন্ত্রীর আলালের দুলাল জনাব ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একটা নতুন সংযোজন করেছেন, হেলে পড়া বাড়ি। নতুন সংযোজিত বাড়ি।” গতকাল শুক্রবারই কলকাতা পুরসভার সামনে সভা করতে চেয়েছিল বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলা। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি এই সভার। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গেরুয়া শিবির। পরে আদালতের সভার অনুমতি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যার সভায় বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ, বিজেপির দুই পুর-প্রতিনিধি ও দলের নেতা তাপস রায় প্রমুখ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    সভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ তোলেন, বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা তুলছেন। তাঁর আরও দাবি, “সব জায়গায় অবৈধ সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। আর রয়েছে নব্য প্রোমোটাররা। তাঁরাই ভোটের সময়ে ভোট লুট করে। পাঁচ হাজার জলাশয় বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যে পুর-প্রতিনিধিরা পয়সা খেয়েছেন, অর্পিতা (মুখোপাধ্যায়), হামিদদের চেয়েও বেশি পয়সা রয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাটি ফুঁড়ে হলেও সেই টাকা উদ্ধার হবে!” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও দাবি করেছেন, “যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে তার পরে যেন বাড়ি ভাঙা হয়।”

  • Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ জানুয়ারি মরিচঝাঁপি দিবস (Marichjhapi Massacre)। ১৯৭৯ সালের এই দিনেই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপকে মৃত্যুপুরী করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৯ সালের মরিচঝাঁপি গণহত্যা, আজও সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার অধ্যায় হয়ে আছে। শরণার্থী হিন্দুদের (Hindu Refugees) ওপর সংঘটিত একটি নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল কমিউনিস্ট শাসনে, এমনটাই মত গবেষকদের। অনেকে বলেন, এই ঘটনা শুধু নৃশংসতার জন্য নয়, বরং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্টদের শ্রেণি-রাজনীতি ও উদ্বাস্তু বিরোধিতার এক কালো অধ্যায়।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, লক্ষ লক্ষ হিন্দু শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে, নিম্নবর্ণের হিন্দুরা (যেমন নমঃশূদ্র সম্প্রদায়) পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সরকার তখন তাঁদের যথাযথ পুনর্বাসন দিতে ব্যর্থ হয়। ১৯৫০-এর দশকে, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার হিন্দু শরণার্থীদের অপসারণের উদ্দেশ্যে মধ্য ভারতের দণ্ডকারণ্য অঞ্চলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দণ্ডকারণ্যে থাকা উদ্বাস্তু পরিবারগুলি মানিয়ে নিতে পারেনি সেখানকার আবহাওয়া। কারণ পূর্ববঙ্গে নরম আর্দ্র জল-হাওয়ার পরিবেশেই বেড়ে ওঠা তাঁদের। এই আবহে দণ্ডকের রুক্ষ পাথুরে জমি, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ১৯৫৮ সাল থেকেই উদ্বাস্তুরা যখনই সুযোগ পেয়েছেন ছোট ছোট দলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছেন। জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন বামফ্রন্টের নেতা জ্যোতি বসু দণ্ডকারণ্যের একটি উদ্বাস্তু শিবির (Marichjhapi Massacre), মানা ক্যাম্পের কাছেই ভিলাই শহরে এক বিরাট জনসভায় বক্তব্য় রাখেন। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আপনাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে উদ্বাস্তুদের সুন্দরবনে বসতি স্থাপনের ন্যায্য দাবি অবশ্যই মানা হবে।’’ অবশেষে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। ১৯৭৮ সালের প্রথমদিক থেকেই উদ্বাস্তুদের দল দণ্ডকারণ্য থেকে আসতে থাকে দলে দলে। সুন্দরবনের জনমানবশূন্য মরিচঝাঁপি দ্বীপে তাঁরা বসতি স্থাপন করেন।

    কৃষিকাজ-মাছধরা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন উদ্বাস্তুরা

    প্রথমদিকে, মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়ে তোলার পরে শরণার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে কৃষিকাজ, ছোটখাটো ব্যবসা এবং মাছ ধরা শুরু করে। কিন্তু তখনই বামপন্থী সরকার দাবি করল, সুন্দরবনের এই এলাকা পরিবেশগতভাবে সংরক্ষিত এবং সেখানে বসবাস অবৈধ। গবেষকরা বলেন, আসল সত্যি হল, শরণার্থীরা সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু সিপিআই(এম) সরকার তা মানেনি। বরং, তাঁদের উচ্ছেদ করতে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

    শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, পুলিশের কঠোর অবরোধের ফলে দ্বীপের ভেতর খাদ্য সংকট ও রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১১ মে পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ ও বামপন্থী ক্যাডারদের যৌথ অভিযানে হাজার হাজার শরণার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের এই অভিযানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারাত্মক অভিযোগ ওঠে বাম সরকারের বিরুদ্ধে, শরণার্থীদের নৌকায় করে নদীতে কুমিরমারি এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। যাতে করে মৃত, অর্ধমৃত দেহগুলি কুমিরে খেয়ে ফেলতে পারে। এভাবেই অত্যাচার চালায় বাম সরকার। সুন্দরবনের বাঘ যে এলাকায় সংরক্ষিত আছে, সেই এলাকায় মৃত অর্ধমৃত দেহগুলিকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অর্ধমৃত মানুষগুলি আমাদের বাঘের পেটে দেবেন না বলে চিৎকারও করেন।

    প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন

    বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। যদিও কমিউনিস্ট সরকার এই সংখ্যা কখনও স্বীকার করেনি এবং এই অপরাধের জন্য কোনও বিচারও হয়নি আজ পর্যন্ত। জানা যায়, ১৯৭৯ সালের এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পরেও গণমাধ্যম এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নীরব ছিল। বামপন্থী সরকার এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে একাধিক সংবাদপত্রের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় কিছু সাংবাদিক মরিচঝাঁপি কভার করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয় এবং তথ্য সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি।

    আজও কারও হয়নি সাজা

    অনেক গবেষেক বলেন, মরিচঝাঁপির শরণার্থীরা মূলত নমঃশূদ্র ও অন্যান্য তথাকথিক নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল। ফলে, বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের অবহেলা করে এবং নিষ্ঠুর দমননীতি গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত,রাষ্ট্রীয় মদতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তার আজও বিচার হয়নি। বামফ্রন্ট সরকার এই ঘটনার দায় আজও স্বীকার করেনি। দীর্ঘকাল ধরে এই গণহত্যার কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে। গবেষক বিমল দাসের মতে, ‘‘মরিচঝাঁপি গণহত্যা ভারতের শরণার্থী নীতির এক নিষ্ঠুর রূপ এবং কমিউনিস্ট সরকারের অত্যাচারের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দলিত নিপীড়নের এক চরম উদাহরণ, যা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক কালো দাগ হয়ে চিরদিন থাকবে।’’

  • Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন সরস্বতী পুজো করলে খুন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এক আইন পড়ুয়াকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। এই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। মমতা সরকারকে এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। এঁদের দুজনই আবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী। মালা রায় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পড়ুয়াদের (Saraswati Puja) করা সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফিরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সমাজমাধ্যমে (Saraswati Puja) কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনও আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গিয়েছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। তবুও তিনি কিছুই জানেন না!’’

    শুভেন্দু অধিকারীর বিবৃতি

    গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরস্বতী পুজো বন্ধ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোয় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মন দিন।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সনাতনীরদের একটা কর্মসূচি দেখে ওদের হিংসা হয়। তাই এই কথা বলছেন! বিরোধীরা তুষ্টিকরণের কাজ করছে। হরিণঘাটায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরস্বতী পুজো রুখছে, সেদিকটা দেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’

    ‘‘সাব্বির আলির দাপটে কলেজ যেতে পারি না’’, দাবি অধ্যক্ষের

    এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে।’’

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হত না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে।’’

    এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

    এই ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংঠনের রাজ্য নেতাদের সাফ কথা, আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ও পুজো বন্ধ করার নিদান দিয়ে ফের একবার নিজেদের ছাত্রবিরোধী প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবিভিপি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এমন অবস্থায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টালিগঞ্জে নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

    গুন্ডাগিরির অভিযোগ আগেও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে

    উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো করলে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাব্বির আলি। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অধ‍্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের বিস্ফোরক অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলের নেতা সাব্বির আলি। একইসঙ্গে ওই পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। এর আগেই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তাঁর শাগরেদরা ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন। পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দিন। এরপরে ফের সামনে এল দক্ষিণ কলকাতার ঘটনা।

  • BSF: মালদায় রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান, গুলি করতেই পালাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: মালদায় রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান, গুলি করতেই পালাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) ঠেকাতে রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান (BSF)। মঙ্গলবার রাতে মালদার অনুরাধাপুর বর্ডার আউটপোস্টের কুটাদহ সীমান্তে ছ’জন অনুপ্রবেশকারীকে হাতে অস্ত্র নিয়ে এগোতে দেখেন বিএসএফের ২ মহিলা জওয়ান। জানা গিয়েছে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে সেই অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ফেলার চেষ্টাও করে। তখনই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ার করতে চিৎকার করে বাধা দেন দুই মহিলা জওয়ান। এরপর মহিলা জওয়ানদের ওপর ২ অনুপ্রবেশকারী ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃীতিদের লক্ষ্য করে ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান (BSF) গুলিও চালিয়েছিলেন বলে খবর। তবে এই ঘটনায় কোনও অনুপ্রবেশকারী জখম হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

    গতকাল বুধবারও ছড়ায় উত্তেজনা

    অপরদিকে, গতকাল বুধবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদার শুকদেবপুরে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতের জমি দখলের চেষ্টা চালায় বাংলাদেশিরা। এমনই অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে ভারতের জমিতে বড় বড় গর্তও খোঁড়ার অভিযোগও ওঠে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। এরপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেখেই ধাওয়া করেন ভারতের স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন ছুটে যায় বিএসএফ (BSF)।

    বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফ-কে

    বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা বিবাদ লেগেই রয়েছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি বা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি জানাচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়েও সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। মালদা সহ একাধিক জায়গায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফ-কে (BSF)। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গাতেই ছড়িয়েছে উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ লিখিত আকারে ভারতকে জানিয়েছিল যে, সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে এসব কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবারই শাহের বাসভবনে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্যালাইনকাণ্ড, আরজি কর কাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। আলোচনায় উঠে এসেছে নদিয়ার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার প্রসঙ্গও। প্রসঙ্গত, বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে দিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার করছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গতকাল বুধবার তিনি সিআর পার্কে প্রচার করেন। বুধবার বিকেলে তিনি করোলবাগে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন। এরপর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুভেন্দুর কথা শোনার পরে অমিত শাহ দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা

    এক্স হ্যান্ডলে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্ককে শাহকে জানিয়েছেন। মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। বুধবার মূলত সেই নিয়েই শাহি দরবারে পৌঁছন শুভেন্দু। এই সমস্ত কিছু আলোচনার পাশাপাশি ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও। বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও তাই কথা বলেন শুভেন্দু।

    পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই!

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী ডিজি নিয়োগ করতে হলে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনটি নাম পাঠাতে হয় রাজ্যকে। তারপর সেখান থেকে একজনকে নির্বাচন করা হয়। রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। রাজীব কুমারকে তাই স্থায়ী ডিজি বলতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। জানা গিয়েছে, সমস্ত কিছু শোনার দেখে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ভারত সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।

  • Birbhum: আইসির কলার ধরে টান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর, পাল্টা ঘুসি পুলিশ কর্তার, ধুন্ধুমার সিউড়িতে

    Birbhum: আইসির কলার ধরে টান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর, পাল্টা ঘুসি পুলিশ কর্তার, ধুন্ধুমার সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়িতে তাণ্ডব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর। আইসির কলারে ধরে টান। এর পাল্টা আবার দুষ্কৃতীকে ঘুসি মারলেন আইসি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় বাবু আনসারির সঙ্গে ইকবাল আনসারির দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। বাবু আনসারি এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। ইকবালের দাবি, সেও তৃণমূলকর্মী। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রামে ঢুকে স্থানীয়দের হুমকি দিতে থাকে বাবু ও তার এক শাগরেদ। এর পর একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা তাদের ধরে ফেলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই (Birbhum)

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। জমি দখল করতে প্রায়ই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবারও সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় জমি দখল করতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢোকে দুই দুষ্কৃতী। তাদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তবে এদিন গ্রামে জমি মাফিয়ারা যেতেই, তাদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় গণপিটুনিও। এই ঘটনায় ২ সশস্ত্র দুষ্কৃতীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই বাবু আনসারির এত বাড়বাড়ন্ত। এর আগেও গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল সে। তখন পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।

    আইসির সঙ্গে দুষ্কৃতীর ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Birbhum)

    ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় গ্রামে। দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। তারপরেই দেখা যায় এক দুষ্কৃতী আইসির কলার ধরে টান দেয়। তাকে পালটা ঘুসি মারেন আইসি। এরপরে ফের শুরু হয় আইসির সঙ্গে দুষ্কৃতীর ব্যাপক ধস্তাধস্তি।

    টানা হেঁচড়ার দৃশ্য দেখে সকলেই চমকে যায় (Birbhum)

    পুলিশ কর্তাকে দুষ্কৃতীর হাতে হেনস্থা হতে দেখে তাজ্জব বনে যান এলাকাবাসী। তৃণমূলের শাসনে মজার এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বীরভূমের সিউড়িতে। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। সিউড়ির ওই ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম বিবেচিত হয়েছে তাঁর। তার পরেই রাজনীতিতে (Politics) আসার ইঙ্গিত দিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। রবিবার বেলডাঙার আশ্রমে তিনি বলেন, “ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা, তাতে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে।” কার্তিক কোনও দলের নাম না করলেও, বলেন, “যে দল ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে থাকবে, তাদের পাশেই থাকব।”

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)

    কার্তিক মহারাজ বলেন, “সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব চেয়ে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন ৭০ শতাংশ। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।”

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী

    গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকা। পরে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গন্ডগোলের জন্য আঙুল তুলেছিলেন বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের দিকে। প্রসঙ্গত, এবার (Kartik Maharaj) পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে মোট ১১৩জনকে। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছেন কার্তিক মহারাজ-সহ ৯ জন। পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার খবরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমি সন্ন্যাসী মানুষ। মানুষের সেবাই আমার বড় পুরস্কার। এই স্বীকৃতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।”

    এই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি নাম করে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই বলেই অভিযোগ করেন কার্তিক মহারাজ। নির্বাচনী প্রচারে এ রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পেতে সাধুদের ও মহান সংগঠনগুলিকে গালিগালাজ করছেন। সাধুসন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল (Politics) করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কার্তিক মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় (Kartik Maharaj)।

     

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে হদিশ মিলল পর পর ৪টি বাঙ্কারের, অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কা বিএসএফের

    BSF: নদিয়া সীমান্তে হদিশ মিলল পর পর ৪টি বাঙ্কারের, অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কা বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড়সড় সাফল্য বিএসএফের। খোঁজ মিলল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও একটি বাঙ্কারের! আবারও চর্চায় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সেক্টরের টুঙ্গি সীমান্ত এলাকা! এই নিয়ে সীমান্তে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি বাঙ্কারের খোঁজ মিলল। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে টিনের ছাউনির সাদামাটা একটা ঘর, কিন্তু ওই ঘরে মাটির নিচেই খোঁজ মিলছে এই রহস্যজনক বাঙ্কারগুলির। শুক্রবার খোঁজ মিলেছিল ৩টি বাঙ্কারের। শনিবার খোঁজ মিলল আরও একটির। বাঙ্কার নিয়েই এখন বেশ চিন্তায় বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কায় চাপানউতোর তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। আর কত বাঙ্কার রয়েছে তার খোঁজে সীমান্তে চলছে জোর তল্লাশি।

    বাঙ্কার তোলার কাজ চলছে (BSF)

    ইতিমধ্যেই বাঙ্কারগুলি মাটি থেকে তোলার কাজ শুরু করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বাঙ্কার (BSF) তৈরি করেই কী তাহলে ভারতে অনুপ্রবেশের ছক কষছিল বাংলাদেশিরা? এখন সেই প্রশ্নই জোরাল হয়েছে। এদিন যে বাঙ্কারটির খোঁজ মিলেছে তার উপরে অর্থাৎ মাটির ওপরের অংশে আবার কংক্রিটের একটা গেটও করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৈরি করা হয়েছিল বাঙ্কারগুলি। কিন্তু, কীভাবে তা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল? যদি বাংলাদেশিদের কাজ হয়ে থাকে তাহলে তারা তা করল কীভাবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদি এপারের দালালদের কাজ হয় তাহলেও তাঁরা কী করে করল তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

    বাঙ্কারের ভিতর ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ

    নদিয়ায় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত (BSF) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভারত ভূখণ্ডে পাওয়া গেল বাঙ্কার। যে জায়গায় বাঙ্কার পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে কার্যত ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ার সুধীর রঞ্জন মহাবিদ্যালয়। কলেজের অদূরেই কীভাবে এত বড় কাজ হয়ে গেল? এই প্রশ্নেই এখন সবথেকে বেশি চিন্তা বেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। যদিও যে জমির ওপরে এটির খোঁজ মিলেছে সেই জমির মালিকের বিষয়ে কোনও খোঁজই দিতে পারছেন এলাকার লোকজন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন প্রশাসন দেখছে। ওরাই ব্যবস্থা নেবে। শুক্রবার বিএসএফ এই বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করেছে কাশির ওষুধের অসংখ্য বোতল। জানা গিয়েছে, মাজদিয়া কলেজের কাছে চাষের ক্ষেতের পাশে একটি ঘর বানিয়েছিল স্থানীয় কয়েকজন। ওই ঘর থেকে চাষের কাজ দেখভাল করা হয় দাবি ছিল তাদের। সেই ঘরেরই পাশে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল বাঙ্কারের মুখটি যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রায় ৩ ফুট। শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে বাঙ্কারের মুখ খুঁজে বার করে বিএসএফ। বাঙ্কারের ঢাকনা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তাদের। দেখা যায় বাঙ্কারের মধ্যে মধ্যে রয়েছে পেটি পেটি কাশির ওষুধ। এর পর বিএসএফ জওয়ানরা নেমে কাশির ওষুধগুলি উদ্ধার করেন। তল্লাশি চালান গোটা বাঙ্কারটিতে। বাঙ্কারের ভিতর ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। সেগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান বিএসএফের জওয়ানরা।

    বাঙ্কার নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ!

    এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ (BSF) ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বাঙ্কার কি শুধু পাচারের কাজেই ব্যবহার হত, না কি বাঙ্কার ব্যবহার করে ভারতে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মাটির নীচে বাঙ্কারের খোঁজ মেলায় যদিও আশ্চর্য নন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, মাজদিয়াসহ কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে এই কারবার চালায় পাচারকারীরা। মুনাফার বখরা যায় সব মহলে। কৃষ্ণগঞ্জের বহু ব্যক্তির বিনিয়োগ রয়েছে এই কারবারে। তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের দাবি, এই কাফ সিরাপগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে জোগাড় করেছিল। কিন্তু, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ও বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। এর ফলে এগুলি পাচার করতে না পেরে মাটির তলায় বাঙ্কারে ভরে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। বিএসএফের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে এ বিষয়ে বিএসএফ ও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বিএসএফের তরফে আরও বাঙ্কারের খোঁজে শনিবারও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান জারি রয়েছে। এই বাঙ্কারের মধ্যে দিয়ে মাটির তলায় কোনও সুরঙ্গ-পথ লুকনো রয়েছে কিনা, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা। গতকালের এই বাঙ্কারগুলি উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। তবে ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “গ্রাম থেকে বাঙ্কার উদ্ধারে আমরা খুব আতঙ্কিত রয়েছি। সীমান্তের গায়ে আমাদের বাড়ি। তবে বিএসএফকে সাধুবাদ জানাবো তারা বাঙ্কার ও নিষিদ্ধ কাফ সিরাপগুলিকে সফলভাবে উদ্ধার করেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হেলে পড়ছে কলকাতার একের পর এক বহুতল, ফিরহাদকে “হেলে পড়া” খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হেলে পড়ছে কলকাতার একের পর এক বহুতল, ফিরহাদকে “হেলে পড়া” খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, সল্টলেকের পর এবার তপসিয়া। হেলে পড়া বহুতল ঘিরে কলকাতা শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক। কলকাতা পুরসভায় চলছে ‘টক টু মেয়র’। আর দুপুরেই এক্স মাধ্যমে মেয়রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে খোঁচা দিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) বললেন, “হেলে পড়া” হাকিম। মেয়রের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ?

    কলকাতায় একের পর এক হেলে পড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে। বিরাট বিরাট সব বহুতল। সেই বহুতল হেলে পড়েছে। তবে আচমকা সেগুলি হেলে পড়েছে এমনটা নয়। আস্তে আস্তে সেগুলি হেলে পড়েছে। এবার সেগুলির অনুমোদন ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এসবের মধ্যেই মুখ খুলেছিলেন পুরসভার মেয়র (Firhad Hakim) ফিরহাদ হাকিম। মূলত, বাঘাযতীনের ফ্ল্যাট বাড়ি ভেঙে পড়ার পর থেকেই শহরের বুকে একের পর এক হেলে পড়া বহুতলের ছবি সামনে আসছে। তাতে সর্বশেষ সংযোজন তিলজলা। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়। যদি স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি দিয়ে দেয়, যদি স্ট্রাকচার ঠিক আছে, তাহলে সেটা বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় এরকম অনেক বাড়ি রয়েছে, একটু হেলে গিয়েছে।”যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    আর তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুর পোস্ট। তিনি (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়” – ফিরহাদ “হেলে পড়া” হাকিম। হেলায় বলে দিলেন কলকাতার অপদার্থ মেয়র। অবশ্য হাল আমলের বাড়ি হেলে পড়লে মাথা না কাজ করাই স্বাভাবিক! ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, ঐতিহাসিক বাড়ি, জমিদারি বাড়ি, আকাশচুম্বী বহুতল, পোড়া বাড়ি, ভূতুড়ে বাড়ি, জীর্ণ বাড়ির পরে কলকাতা পুরসভার দৌলতে নতুন আকর্ষণ হল ‘হেলে পড়া বাড়ি’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share