Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cut Money: আবাসের টাকা ঢুকতেই শুরু ‘কাটমানি’র খেলা! অভিযোগ করে মার খেলেন তৃণমূল নেতাও

    Cut Money: আবাসের টাকা ঢুকতেই শুরু ‘কাটমানি’র খেলা! অভিযোগ করে মার খেলেন তৃণমূল নেতাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসের টাকা ঢুকতেই ফের শুরু ‘কাটমানি’ (Cut Money)। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই মারধর জুটল খোদ তৃণমূলকর্মীর কপালে। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে সহযোগিতার কথা বললেও এবার নিজের দলের কর্মীরাই আবাসের টাকা হাতানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন। উপভক্তাদের কাছ থেকে জোর করে জুলুম করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে খোদ শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেই। উল্লেখ্য অভিযোগ করে রীতিমতো হামলার শিকার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) স্বয়ং পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। ফলে আবাসে দুর্নীতির অভিযোগে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

    কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ৫ হাজার টাকা আদায় (Cut Money)!

    ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের আরাণ্ডি-১ পঞ্চায়েত এলাকার আরাকুল গ্রামে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরদের অভিযোগ, “জোর করে কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এরকম প্রায় ১০-১২ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিকে ঘিরে গোটা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।” খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির থেকে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের বোঝান যে আপনারা কেউ ভয়ে পালাবেন না, কাউকে কোনওরকম টাকা (Cut Money) দেবেন না। ফলে ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

    আরও পড়ুনঃ উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকার পর থেকেই আতঙ্ক!

    এদিকে উপভোক্তারা জানান, স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাটমানি (Cut Money) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাঁকে মারধর করে তৃণমূলেরই অপর আরেক গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, আমরা দিনমজুর খেটে কোনও ক্রমে সংসার চালাই। আবেদন করার পর টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকে, কিন্তু এরপর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দাবি করে, তাঁদের জন্যই টাকা ঢুকেছে তাই কাটমানি দিতে হবে। ফলে ভয়ে কেউ ১০ আবার কেউ ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।

    তবে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এই ধরনের কাজকে কোনও ভাবে অনুমোদন দিই না। যারা অভিযোগ করেছে মিথ্যা বলছে। পাল্টা স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এটাই তৃণমূলের আসল কালচার। সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে কাটমানি এই রাজ্যে ফ্রি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে শীতের প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Department)। বছরের একেবারে শেষ লগ্ন এবং নতুন বছরের প্রথম দিনগুলিতে রাজ্যজুড়ে পারদপতনের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

    কলকাতার তাপমাত্রা কেমন (Weather Update)?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ডিগ্রি বেশি। আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা অনেক কম ছিল। শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি বেশি। আবহবিদদের আশা নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে।

    শনিবার-রবিবার সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা

    দক্ষিণবঙ্গে অধিকাংশ জেলায় আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে শনিবার-রবিবার সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার পর সকালের দিকে কুয়াশার (Weather Update) কারণে ভ্রমণে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তা নিয়ে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা

    একইভাবে শনিবার-রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের একাধিক জেলায় আগামী দুদিনের তাপমাত্রা ঊর্ধমুখী থাকবে। এরপর উত্তরের হাওয়ার দাপটে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাবে। অনুভূত হবে ঠান্ডার আমেজ। বছরের শেষ দিন এবং প্রথম দিনে শীতের আমেজ ফের নেমে আসবে, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন আবহবিদরা (Alipore Meteorological Department)।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) একাধিক দুর্নীতিতে ব্যাপক ভাবে জেরবার। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একশ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মিড ডে মিল, রেশন বণ্টন, সমবায়, পুর নিয়োগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার রেশন কেলেঙ্কারি চলছে।”

    চাল মিলগুলিতে পাচার করছে রেশন সামগ্রী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) দুর্নীতি প্রশ্নে একহাত নিয়ে বলেন, “রাজ্যের রেশন বিতরণ জন বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই রেশনের চাল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চাল কলের মিলগুলিতে পাচার করছে। পরবর্তী সময়ে এই চাল পালিশ করে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।” একই ভাবে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রেশনের চাল কীভাবে পাচার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সরকার পক্ষের লোক অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। শাসক দলের নেতারা এই দুর্নীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ইডিকে তদন্তের আর্জি

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতাকে তোপ দেগে আরও বলেন, “সরকারের নাকের ডগায় বসে তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রকাশ্যে চুরি করছে। মমতা সরকার বেসরকারি রাইস মিলের কাছে জনগণের প্রাপ্য রেশন চোরা চালান করছে। এই চোরাকারবারকে আটকাতে আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আনুরোধ জানাবো। কেন্দ্র সরকারের সম্পত্তি কীভাবে লুট করছে রাজ্যের তৃণমূলের নেতারা, সেই দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নৃশংস নারকীয় হত্যাকাণ্ডতেই বদলে গেল শহর কলকাতার ইতিহাস। সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদলে গলে গুগল ম্যাপে রাস্তার নাম। শহর কলকাতায় রাতারাতি বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। নতুন নামকরণ করা হল অভয়া ক্রসিং (Abhaya Crossing)। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া গুগলের (Abhaya Crossing)

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) পর কয়েক মাস ধরে রাজপথে লাগাতার চলেছিল বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন খবরের শিরোনামে ছিল শুধুই আরজি কর। এর মাঝে সবেমাত্র যখন বড়দিনে আনন্দের উৎসবে মেতেছিল কলকাতা, ঠিক তখনই আবারও পুরনো ঘটনার স্মরণ। আরও একবার এই কাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিল কয়েক মাস আগের কলকাতার সেই রূপ। যখন মশাল হাতে রাস্তায় নেমে রাত দখল করেন মহিলারা। জনবহুল এসপ্লানেডের এই ক্রসিং (Abhaya Crossing) পেরিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বহু মানুষ। অনেক আন্দোলন, মিছিলেরও সাক্ষী এই ডোরিনা ক্রসিং। সম্প্রতি, আরজি কর মামলায় জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এরই মধ্যে বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। ব্রিটিশ সময় থেকে চলে আসা শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদল করার জন্য ডাক্তারদের তরফ থেকে গুগলের কাছে আবেদন করা হয়। গুগল তাতে সম্মতি জানায়। ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম বদলে করা হল অভয়া ক্রসিং।

    ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র কী বক্তব্য?

    গুগল ডাক্তারদের অনুরোধ গ্রহণ করার পর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র তরফে মুখ্যসচিব-মেয়রকে ইমেল করে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক (Abhaya Crossing) প্রমোদরঞ্জন দাস বলেন, “চিকিৎসকদের অনুরোধ মেনে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভয়া ক্রসিং’। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদল গুগলের। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই ডাক্তারদের অনুরোধ কীভাবে মেলে নিল গুগল? যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবুও ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।”

    বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার কী বললেন?

    এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার অঞ্জন দত্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকে আমরা যে নাম শুনে বড়ো হয়েছি আজ হঠাৎ করে আমার ছেলে অন্য নাম শুনছে। এভাবে কি কোনও শহরের ইতিহাস বদলে দেওয়া যায়?” তিনি উদাহরণ হিসেবে ডেকারস লেনের নাম বদলের প্রসঙ্গ এনেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, “এভাবে কলকাতার নাম বদল করে ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে তা কাম্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের সর্বত্র পর্যটকের ঢল। তারই মধ্যে পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে শনি এবং রবিবার কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। তার জেরেই দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উঁচু পাহাড়ি এলাকা সান্দাকফু, ফালুটেও তুষারপাতের সম্ভাবনা জোরালো। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ০.৮ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। এর আগে ২০ নভেম্বর বরফে ঢেকেছিল সান্দাকফু। এ বার কি তাহলে দার্জিলিং শহরে স্নো-ফল হবে? তবে, পাহাড়ে শীত ফিরলেও শিলিগুড়ি-সহ সমতলে কিন্তু তেমন শীতই নেই।

    স্নো-ফল দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন?(Weather Update)

    ২০২২ সালে রেকর্ড তুষারপাত হয়েছিল দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন জায়গায়। সে বার দু’দশক পরে ঘুম এবং টাইগার হিল ঢেকেছিল বরফে। সেই ছবি এ বারও দেখা যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকের দল। বিশেষজ্ঞেরা (Weather Update) বলছেন, শনিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, ঘুম, সিকিমের লাচুং, লাচেন, ছাঙ্গু, নাথুলা এবং জুলুকে তুষারপাত শনিবার শুরু হয়ে যেতে পারে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “ইংরেজি নতুন বছরের আগে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হোক, এটাই মনে প্রাণে চাইছি। অনেক পর্যটক ভিড় করেছেন স্নো-ফল দেখার জন্য।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা কী বললেন?

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণে স্নো-ফলের সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছি না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হলে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হতেই পারে। কারণ, এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বেশ শক্তিশালী।”

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আকাশ মোটের ওপর মেঘলা থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা মোটের ওপর শুষ্কই থাকবে। আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বছর শেষে তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) খুন-ধর্ষণের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত ঘিরে নানা অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। এর নেপথ্যে কি শুধুমাত্র প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের প্রভাব খাটানোর ব্যাপার আছে, নাকি রয়েছে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত সেরে ফেলে দেহ সৎকারের চেষ্টা, সে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা অবশ্য বরাবরই সরব যে আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে গুচ্ছ গণ্ডগোল রয়েছে। সেগুলো আরও আগেই খতিয়ে দেখা উচিত ছিল সিবিআইয়ের।

    কী কী অনিয়ম নজরে এসেছে সিবিআইয়ের?(CBI)

    ময়নাতদন্ত ঘিরে বেশ কিছু অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। প্রথমত, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে বাদ দিয়ে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় ওই বিভাগেরই অধ্যাপক, এক সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। অথচ প্রথা অনুযায়ী, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধানকেই করার কথা। আর দ্বিতীয়ত, এই মেডিক্যাল বোর্ডে এনআরএসের ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করার এক্তিয়ারই ছিল না আরজি করের উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠের। অন্য হাসপাতালের কাউকে বোর্ডে রাখতে গেলে আদেশনামা জারি করার কথা স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার। এছাড়া ৯ অগাস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি করের ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার রুম থেকে। আর তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মেডিক্যাল বোর্ড গড়েন আরজি করের তৎকালীন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এই বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা অবাক! কারণ মূলত দু’টি। এবং সেই দু’টি বিষয়কেই নিয়ম বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই সিবিআই-কে চিঠিও দিয়েছে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    ময়না তদন্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    সিবিআইয়ের (CBI) একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণ নিয়মে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত হয় না, যদি না আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে কিংবা মরণোত্তর অঙ্গদানের ব্যাপার থাকে। বিশেষ করে যদি খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটনার সন্দেহ থাকে, তা হলেও আরও তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করার কথা নয়। অথচ সেই নিয়ম মানা হয়নি। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ২০২১-এর ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রের ইস্যু করা সেই নির্দেশিকার (ফাইল নং এইচ-১১০২১/০৭/২০২১-এইচ-১) বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও একটি আদেশনামা (মেমো নং এম/ ২৪৮৫-৪) জারি করেছিল ওই বছর ২৩ ডিসেম্বরে। সেখানে উল্লেখিত শর্ত পুরোপুরি মানা হয়নি বলেই মনে করছে সিবিআই। চারটের পরে ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অর্ডার চেয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের আর এক সদস্য, আরজি করেরই ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রিনা দাস। তখন টালা থানার সাব-ইনস্পেক্টর লিখিত ভাবে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, “এমন ক্ষেত্রে একজন সাব-ইনস্পেক্টর কখনই ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না। ন্যূনতম একজন আইপিএস অফিসারের নির্দেশ জরুরি। কিন্তু সে নিয়মও মানা হয়নি।” ফলে বারবার ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন – কেন এত তাড়াহুড়ো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি লিখে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনকে “বেআইনি” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, যে যেহেতু নিয়মিত ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তাই সমাবর্তনটি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?(CV Ananda Bose)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে এই দিন ধার্য করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর বা নির্ধারিত যে কোনও তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি উল্লেখ্য যে ১৭ ডিসেম্বর একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা তাড়াহুড়ো করে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।” রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং এই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য রাজভবনে তলব করেন। চিঠিতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, “এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে বাইপাস করেছে। সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে। পর্যাপ্ত নোটিশ দিয়ে আদালতকে ডাকতে হবে। একইসঙ্গে এই ত্রুটি সমাবর্তনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। আপনার ১৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে, আপনি স্বীকার করেছেন যে বিশাল আর্থিক জড়িত থাকার সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। যা আইনত প্রদত্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মতো বেআইনি।”

    ভাইস চ্যান্সেলর জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”

    চিঠিতে গভর্নর (CV Ananda Bose) আরও বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”। কারণ ভাইস চ্যান্সেলর আইন এবং বিধিতে বর্ণিত আইনি বিধানগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথাযথ অধ্যাবসায় প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেমিনার রুমেই (RG Kar Rape and Murder) কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের (RG Kar) চিকিৎসক পড়ুয়া? নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? ফের নতুন করে এই প্রশ্ন উঠছে। সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্ট। ১২ পাতার এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এখানে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালু থাকে। সেক্ষেত্রে সেই সেমিনার হলে কেউ ঢুকবে আর কেউ জানতে পারবেন না এটা কীভাবে সম্ভব? রিপোর্টে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। সেমিনার রুমে প্রতিরোধের বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। এখানেই উঠছে প্রশ্ন সত্যি কি সেমিনার রুমে খুন, ধর্ষণ হয়েছিল নাকি অন্য কোথাও? তবে কি অন্য কোথাও ধর্ষণ খুন করে সেমিনার রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল দেহ?

    কী বললেন অনিকেত মাহাতো? (RG Kar)

    এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪ ও ৫ নম্বর পয়েন্ট দেখে আমাদের যা মনে হচ্ছে ওই জায়গায় ম্যাট্রেসে কোনও ধস্তিধস্তির চিহ্ন নেই। আমরা এটা আগে বলেছি। এখন সিএফএসএল রিপোর্টও সেটা বলছে। সেমিনার রুমেও ধস্তাধস্তির (RG Kar) কোনও চিহ্ন নেই। সেই সঙ্গেই ওই সেমিনার রুমে কেউ ঢুকবেন অথচ কেউ দেখতে পাবেন না এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা 

    চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ম্যাট্রেস পরিপাটি করে বিছানো ছিল। জলের বোতল, ল্যাপটপ এগুলির কি পজিশন বদলানো হয়েছিল? সঞ্জয় রায় ঢুকল আর কেউ তা জানতে পারল না এটা কীভাবে সম্ভব? আদৌ সঞ্জয় রায় কি একলা নাকি, আরও কেউ। ওখানেই কি খুন হয়েছে নাকি অন্য কোথাও? তবে কি তথ্য প্রমাণ লোপাট (RG Kar) হয়েছে? প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Christmas Cake: বড় দিনের কেকে মেশানো হচ্ছে ভেজাল! অনুসন্ধান করে অভিযান চালাবে পুরসভা

    Christmas Cake: বড় দিনের কেকে মেশানো হচ্ছে ভেজাল! অনুসন্ধান করে অভিযান চালাবে পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছরের বর্ষবরণ, তাই এই সময়ে কেককে (Christmas Cake) ঘিরে ভোজন রসিকদের মধ্যে চলে ব্যাপক উন্মাদনা। আর তাই কম দামে বেশি কেক বাজারে ছাড়তে কেকে মিশছে দেদার ভেজাল। বিশেজ্ঞদের অনুমান এই কেকের ভিতর দিয়ে শরীরের ভিতরে ঢুকতে পারে ক্যান্সারের উপাদান। ভেজাল আটকাতে অভিযান চালাবে পুরসভা (Municipality)।

    উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় কৃত্রিম রং (Christmas Cake)

    কলকাতা পুরসভা (Municipality) সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতে নানা জায়গায় ব্যাপক ভাবে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। তাই সতর্কতার বিষয় মাথায় রেখে বাজারে মেলার ফ্রুট কেকে (Christmas Cake) কতটা ভেজাল রয়েছে তার খোঁজে নামবেন কলকাতা পুরসভার ফুড সিকিউরিটি অফিসাররা। তবে শুধু ফ্রুট কেকেই নয়, পরীক্ষা করে দেখা হবে আরও নানান কেকগুলিও। কেকের মান নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিশেজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফ্রুট কেকের উপরে ছড়িয়ে থাকা লাল, সবুজ, কালো রঙের নজরটানা ফলের টুকরো ক্রেতাদের আকর্ষিত করে। তবে এসব ফলের টুকরো উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় কৃত্রিম রং ও জেল। এতে থাকে ক্রোমিয়াম, আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকারক উপাদান।

    পচা ডিমের গন্ধকে দুর করতে প্রচুর সুগন্ধি মেশানো হয়

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক প্রশান্তি বিশ্বাস বলেন, “কেকের (Christmas Cake) এই সব উপাদান স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি, লিভারের সমস্যাকে বৃদ্ধি করে। এমন কী ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধিও হতে পারে। আবার কেকের দ্বিতীয় ক্ষতিকারক দিক হল, পচা ডিমের গন্ধকে দূর করতে প্রচুর সুগন্ধি মেশানো হয়।”

    জানা গিয়েছে ডিমে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার জন্য পেট খারাপ এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুগন্ধীতে ব্যবহার করা হয় নানা ক্ষতিকারক কেমিক্যাল। একই ভাবে কেকের আরেক ক্ষতিকারক দিক হল ময়দা। উৎসবের মধ্যে ময়দা মেখে ফেলে রাখার একটা রীতি রয়েছে। ফলে ময়দায় ছত্রাক জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। এই ছত্রাক পেটে গেলে নানা রকমের রোগ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অমলকুমার সরকার জানিয়েছেন, “আপনি হয়তো ভাবছেন এক টুকরো কেক খেলে আর কী হবে? কিন্তু ক্ষতিকারক উপাদান থাকলে শরীরে সমস্যা হবেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share