Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীকে (Ram Navamai) কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে পারদ। বিগত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। লাখে লাখে রামভক্তরা নেমেছেন রাজপথে। এই আবহে চলতি বছরের রামনবমীতে ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন বলে হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন সাফ বললেন, ‘‘রামনবমীতে ২০০০ মিছিল হবে। ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন। কোনও অনুমতি নেবেন না।’’  ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যে রামনবমীকে কেন্দ্র করেই জনজাগরণ করতে চাইছে বিজেপি।

    হুঙ্কার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari), পথে থাকবে ১ কোটি হিন্দু

    এদিন কার্যত হুঙ্কারের সুরেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘ভালো করে রাম নবমী করবেন। আমিও থাকব মাঠে। গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে। কোনও অনুমতি নেবেন না। কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।’’

    গতকালই বিরোধী দলনেতা হাজির ছিলেন শহিদ দিবসে

    গতকাল শুক্রবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে রাম মন্দির তৈরির এমনই ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৬ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navamai) দিন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন তিনি। একইসঙ্গে শুক্রবার সোনাচূড়া গ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণও করেন তিনি।

    সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর নির্মাণ হবে রাম মন্দির

    জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে। এক বছরের মধ্যে সেই নির্মাণ শেষ হবে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ থেকে সেই কথা ঘোষণা করলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘রাম নবমীর দিন মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। নন্দীগ্রামের দক্ষিণপ্রান্তে সোনাচূড়াতে মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে। এখানে অয্যোধার রাম মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হবে।’’

  • Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! এরই মধ্যে অন্যতম হল দোল বা হোলি (Dolyatra)। আমাদের রাজ্যে যা দোল, বাইরের রাজ্যে তাই হোলি। ভারতবর্ষের প্রতিটা রাজ্যেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। মাঝখানে করোনা মহামারী আসায় বেশ কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছিল। পরে আবার সবকিছুই ঠিকঠাক হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারেই অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মানা হয়। বঙ্গে কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় আবার রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো (Holi)। জেনে নেওয়া যায় বাংলার কোন স্থানগুলি এই উৎসবের জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত।

    শান্তিনিকেতনের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব (Dolyatra) শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর শুরু করা সেই উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেক বাঙালিই। দোল খেলতে চলে যান শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কাঠি নাচ ও গানে-নাচে উদযাপন করেন বসন্তকে। মেয়েদের পরনে থাকে হলুদ শাড়ি। ছেলেরা সাদা পাজামা-পঞ্জাবি। গলায় থাকে উত্তরীয়। আবিরের রঙে ভাসে গোটা শান্তিনিকেতন। প্রতি বছর এই বসন্ত উৎসবের টানে এখানে ভিড় জমান লক্ষাধিক ট্যুরিস্ট।

    নবদ্বীপ ও মায়াপুরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    দোল পূর্ণিমাই হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। এদিনই বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষ রীতিতে। ভক্তদের বিশ্বাস, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। একইভাবে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন। পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন দোল উৎসবে। প্রায় একমাস আগে থেকেই এখানে চলে প্রস্তুতি। কৃষ্ণপ্রেমী বিদেশীরাও রঙের উৎসবে সামিল হল আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে।

    মদন মোহন মন্দিরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরেও বড় করে দোল উৎসব হয়। ১,৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা দুর্জান সিং দেব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত ইত্যাদি মন্দিরের দেয়ালগুলিতে খোদাই করা রয়েছে আজও। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে সম্মান জানাতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাই প্রতি বছর দোলযাত্রায় এখানে বিশেষ উৎসব পালিত হয়।

    নিমদিহির দোলযাত্রা (Dolyatra)

    পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে আগত পর্যটকরা লোকশিল্প উপভোগ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছৌ নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান ইত্যাদি। মূলত বসন্তকেই উদযাপন করা হয় এই সময়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দোল উপলক্ষ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় মথুরা-বৃন্দাবনে। ১৬ দিন ধরে চলে এই উৎসব।

  • Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর (Jadavpur University) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদাসীন, তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, সংসদে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন ওই তালিকা থেকে সরানো হয়েছে এটা জানতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। ঘটনাক্রমে, সাংসদের প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরুতে ৩,২৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই বাজেট প্রস্তাব সংশোধন করে ৬০৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি’ মনে করেছে, এই বাজেটে কোনও প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক। কমিশন সেই সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছে।’’

    তোপ দাগলেন অমিত মালব্য

    এই আবহে যাদবপুরকে (Jadavpur University) নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবে দফায় দফায় প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি প্রচার করতে শুরু করেছে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য বলেন, ‘‘প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ‘উৎকর্ষকেন্দ্র’ প্রকল্পের অধীনে যে বাজেট প্রস্তাব জমা দেয়, কেন্দ্রীয় সরকার তাতে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের অংশীদারি তহবিল দিতে অস্বীকার করায় এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।’’ মালব্যর আরও দাবি, ‘‘প্রথমে প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়ে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা করা হয়েছিল। পরে তা আরও কমিয়ে ৬০৬ কোটি করা হয়। সেই অঙ্কের ২৫ শতাংশ আবার বিশ্ববিদ্যালয়কেই জোগাড় করতে বলা হয়েছিল।’’  বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদাসীনতায় এই সুবর্ণসুযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতছাড়া হল।’’

  • Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল (Temple Vandalised)! এতদিন বাংলাদেশে হামলা চালানো হচ্ছিল হিন্দুদের মন্দিরে। ভাঙচুর করা হচ্ছিল, প্রতিমা, বিগ্রহ। এবার (West Bengal) সেই একই ঘটনা ঘটল এপার বাংলায়ও। এর আগেও যে এ রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে তা ছিল কখনও সখনও। বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের পর বস্তুত এ রাজ্যে আছড়ে পড়েছে মন্দির ধ্বংসের ঢেউ। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমা। একটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, আর একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। যেহেতু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আশঙ্কায় ঘটনা দুটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল, তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    সুকান্তর পোস্ট (Temple Vandalised)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তিটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, মূর্তি ভাঙার আগে মন্দিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্খচূড়া বাজার এলাকায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে (Temple Vandalised) পোস্টে লিখেছেন সুকান্ত।

    হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের ওপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে – প্রস্তুত থাকো।”

    পোস্ট শুভেন্দুরও

    এদিকে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রতিমা পোড়ানো হয়েছে তমলুকের শ্রীরামপুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন একটি মন্দিরে। এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (মমতাকে হারানোয় এখন এই নামেই সবাই ডাকছেন শুভেন্দুকে) শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া ও হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত। তাঁর আরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদেরও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি কালী মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বসিরহাট থানার অধীনে শঙ্খচূড়া বাজারের কালী মন্দিরে দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তাঁর দাবি (Temple Vandalised), মন্দিরে হামলার ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহানুর মণ্ডলের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যও নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে– বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শঙ্খচূড়া বাজারে দেবী কালীর একটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হয়তো আবারও এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেবেন বা এমনও দাবি করতে পারেন যে, এটা হিন্দুদেরই একটা চক্রান্তের অংশ।” তাঁর প্রশ্ন, গত পাঁচ দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখবেন?

    মন্দিরে হামলা হয়েছে আগেও

    বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা। গত বছরও হাওড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছিল ৫টি মন্দিরে। ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে সেবার রেল অবরোধও হয়েছিল। সেবারও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেবার তিনি সাফ বলেছিলেন (Temple Vandalised), দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।

    শুভেন্দুর তোপ

    সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছিলেন, “গত রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি সনাতনী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা রেল অবরোধ করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অনুরোধ করছি দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করুন। সঙ্গে শান্তি ফেরাতে দ্রুত শান্তি ফেরান। যারা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, গণপরিবহণকে প্রভাবিত না করে তাদের প্রতিবাদ করতে দিন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গা ছাড়া ভাবের জন্যই তারা সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা করার সাহস পাচ্ছে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেরই ডিএনএ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শরীরে। তাদেরও হাতিয়ার সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূলের প্রয়োজন একটি বিশেষ(Temple Vandalised) সম্প্রদায়ের ভোট। এ রাজ্যের ওই সম্প্রদায়ের ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটই পড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে। তৃণমূল তাদের তুষ্ট করতে গিয়েই নানাভাবে তোল্লাই দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বিশেষ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের এহেন বাড়বাড়ন্ত!

    শুধু তাই নয়, এই ভোটের স্বার্থেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যারা বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহ ভাঙচুর করছে কিংবা মন্দির অপবিত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ব্যবস্থা নিতেও শোনা যায়নি বলেও দাবি সনাতনীদের একাংশের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের এই বিশেষ ভোটারদের (West Bengal)। যে ভোটারদের ‘দাক্ষিণ্যে’ বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Temple Vandalised)।

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University Incident) নেপথ্যে রয়েছে ঘোর ষড়যন্ত্র। অন্তত এমনই মনে করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে রুখতে ঘুরিয়ে সিপিএমের হাত শক্ত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

    পুরোটা ড্রামা! (Jadavpur University Incident)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা (যাদবপুরকাণ্ড) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটা ড্রামা হতে পারে।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এসএফআইকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন, মানে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চিত্র দেখার পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন আগামীদিনে বাংলাদেশ পার্ট-টু তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। হিন্দু ভোট ভাগ করতে হবে। হিন্দু ভোট যদি সব বিজেপি পেয়ে যায়, আর চার পার্সেন্ট পেয়ে গেলেই তো বিজেপি সরকারে চলে আসবে।”

    হিন্দু ভোট ভাগ করার কৌশল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “আসলে হিন্দু ভোট ভাগ করার জন্য সিপিএমকে তোলা হচ্ছে। এখন তৃণমূল-এসএফআই সংঘর্ষ হবে। সিপিএম নেতাদের ওপর হামলা হবে। সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা হবে। যখনই হামলা হয়, তার মানে আপনি প্রাসঙ্গিক হন। এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো হামলা করে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চলছে।” তিনি বলেন, “সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই তৃণমূলকে সাহায্য করা।”

    নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে

    যাদবপুরকাণ্ডে নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে বলেও (Jadavpur University Incident) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন (BJP) সুকান্ত। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা নতুন যে আইপ্যাক হয়েছে, তার প্ল্যান হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটাই ড্রামা হতে পারে। আইপ্যাক এর আগে এমন বহু কাজ করেছে।” সুকান্ত বলেন, “যারা ভোটে জেতার জন্য নিম্ন রুচির পরিচয় দিতে পারে, তারা এই ধরনের কাজ করতেই পারে। লোকসভা নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধেই আইপ্যাক লিফলেট বিলি করেছিল। আমি ভোটে হার স্বীকার করে নিচ্ছি এই সব বলে লিফলেট বিলি করেছিল আইপ্যাক।”

    কি বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলে যাবে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই খেতাব জোটে) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় নকশালমুক্ত করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।” তিনি বলেন, “জনগণ পুলিশটাকে বিজেপির হাতে দিয়ে দিক, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গিয়েছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না।” তিনি বলেন, “যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলায় এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।”

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পদ্ম-পার্টি দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নকশালদের তাড়িয়েছে। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “এরকম অনেক নকশালপন্থী সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রয়েছে। এরা ভারতের সংবিধান মানে না। ভারতের বর্তমান কাঠামোকে মানে না। এদের তো জিইয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তার পরে আর এরা বেঁচে থাকবে না।” তিনিও বলেন (Jadavpur University Incident), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বিদায় করেছি, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি এক সময় এই নকশালদের গড় ছিল। এখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।” তিনি বলেন, “বিজেপি হচ্ছে এদের ওঝা (BJP)।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। অভিযোগ, এর পরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল এসএফআই এবং ডিএসও।

    তৃতীয় পক্ষে’র হাত!

    যাদবপুরের ঘটনায় ‘তৃতীয় পক্ষে’র হাত দেখছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর বক্তব্যেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রাত্য বলেন, “গুন্ডামি করতে চেয়েছিল এক দল।” তিনি বলেন, “ওঁরা ঘেরাও করতে চাইছিলেন, তাতে অসুবিধা ছিল না। তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের মারধর, তৃণমূলের মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর, এগুলো হতেই পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ভাববেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই লড়তে চাই।” তবে ভাঙচুরের ঘটনা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ঘটায়নি বলেও জানান তিনি। বিজেপির একাংশের দাবি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যই বাম ও তৃণমূলের বোঝাপড়ার তত্ত্ব খাড়া করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলার মানুষ শুধু আমাদের হাতে পুলিশটা তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দুটোকেই উপড়ে ফেলে দেব (BJP)! এর ঘণ্টা লাগবে (Jadavpur University Incident)।”

  • BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানেই গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল। একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দাপটে খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। ১২টি আসনের সবগুলিতেই জিতল গেরুয়া শিবির। অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে পরাস্ত হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘নন্দীগ্রাম ১ এ ৫ নম্বর জিপি’র অন্তর্গত দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিতেই রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। চোরেদের হারিয়ে রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোট দাতা সকল সমবায়ী বন্ধুদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। নির্বাচিত সকল সদস্যদের জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জানাই।’’

    দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন (BJP)

    রবিবারই ছিল নন্দীগ্রাম -১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। এই সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল উভয় দলই ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে বামেরা মাত্র ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। শেষপর্যন্ত ১২টি আসনই দখল করল বিজেপি। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠেন।

    ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন

    জানা গিয়েছে, এই সমবায় আগে তৃণমূলেরই দখলে ছিল। সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন। এদিন ভোট পড়ে ৬৩৯টি। সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিকেলেই সামনে আসে ফলাফল। বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। যাতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    জয়ের পর তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই জয় শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নের জয়। এই জয় মানুষের জয়। এলাকায় অশান্তি নয়, শান্তি চায় নন্দীগ্রামের মানুষ। তাই শাসকদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে।”

    ২৭ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও হয়নি ভোট

    প্রসঙ্গত, এই সমবায়ের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। তবে সেইসময় নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় প্রশাসন নির্বাচন স্থগিত রাখে। এদিন সেই নির্বাচন হয়। আর সেই নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল তৃণমূল।

  • NASA: ইসরোর সাফল্য থেকে এলিয়েন অস্তিত্ব, কী বলছেন নাসার বাঙালি বিজ্ঞানী গৌতম?

    NASA: ইসরোর সাফল্য থেকে এলিয়েন অস্তিত্ব, কী বলছেন নাসার বাঙালি বিজ্ঞানী গৌতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুনীতা ইউলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফেরা, চন্দ্রাভিযানে ইসরো সাফল্য সহ এলিয়নদের অস্তিত্ব নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন নাসার নাসার (NASA) সিনিয়র বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় (Goutam Chattopadhyay)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকাশ গবেষণার খুঁটিনাটি নানা দিক নিয়ে আলোচনা করলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।

    কোন্নগরের নবগ্রাম বিদ্যাপীঠে শুরু পড়াশোনা (NASA)

    ছোট থেকেই মেধাবী গৌতমবাবুর জন্ম কোন্নগরের নবগ্রামে। সেখানেই কেটেছে শৈশব। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠে শুরু পড়াশোনা। শিবপুর বিই কলেজে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর, তারপর বেঙ্গালুরু হয়ে পাড়ি দেন আমেরিকায়। মর্কিন দেশে করেন ডক্টরেট করতে। বিগত ১৪ বছর ধরে তিনি কর্মরত রয়েছেন নাসা’তে (NASA)। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা প্রতিবছর মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকে। ২০২৩ সালে তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নাসার পিপলস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন গৌতমবাবু।

    নাসার (NASA) আসল কাজ বিজ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া

    বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় একাধিক আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যায়। তাঁর মতে, নাসার (NASA) আসল কাজ হচ্ছে বিজ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জল ও প্রাণ কোথা থেকে এল। ধুমকেতু কি পৃথিবীতে জল এনেছে ? পৃথিবীতে জল কোথা থেকে এল বা প্রাণের সন্ধান কিভাবে এল? সেটার সন্ধান করলেই মঙ্গল গ্রহ বা অন্যান্য গ্রহে জল বা প্রাণ আছে কি না, সেটার অনেকটা উত্তর পাওয়া যাবে। এই সব খোঁজার জন্যই আমি একটা যন্ত্র তৈরি করেছি, যার নাম হোয়াটস আপ।’’

    মঙ্গল গ্রহে প্রাণ নিয়ে কী বললেন?

    গৌতম বাবু বলেন, ‘‘মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রে আমরা যেটা করছি, মঙ্গলে কি প্রাণ আছে বা কখনও ছিল সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। নাসার (NASA) তরফে মঙ্গল গ্রহে একাধিক ছোট-বড় রোভার পাঠানো হয়েছে। তাতে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি লাগানো হচ্ছে। ২০২০ সালে নাসা থেকে রোভার গিয়েছিল। যে জায়গায় রোভারটি ল্যান্ড করেছিল, সেখানে আগে একটি লেক ছিল। যদিও নাসা এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণের সন্ধান পায়নি।’’ এলিয়েন নিয়ে তাঁর মত হল, ‘‘পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়নি তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হয় এলিয়েন আছে, তার সম্ভাবনাও আছে। যদিও তা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’

    প্রসঙ্গ সুনীতা ইউলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফেরা

    নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সুনীতার এখনও পৃথিবীতে ফেরেননি। এই প্রসঙ্গে নাসার (NASA) বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখান থেকে একটা ক্যাপসুলে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঝুঁকি না-নেওয়ার জন্যই এই বিলম্ব। এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯ মার্চ অন্য একটি ক্যাপসুলে করে সুনীতা উইলিয়ামস ও অন্যান্যদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ওনারা সুস্থভাবেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। এই ঘটনায় একদিক থেকে সুবিধাই হয়েছে। পরবর্তীকালে যদি মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানো হয়, তাহলে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক কি প্রতিক্রিয়া হবে তা দেখা গেল। কারণ মঙ্গলগ্রহে যেতে আসতে ১৪ মাস সময় লাগে। সুনীতা উইলিয়ামস বা অন্যান্যরা যখনই অভিযানে যান, তাঁরা এই ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকেন।’’

    ইসরোর সাফল্য

    বাঙালি বিজ্ঞানীর (Goutam Chattopadhyay) মতে, ‘‘ইসরো যেভাবে সফলতা পেয়েছে খুবই খুশির ব্যাপার। মহাকাশ গবেষণার জন্য বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেতে হবে। নাসার সঙ্গে ইসরোর কোলাবরেশন আছে। এ বছরই আমরা নিসার মিশনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছি। কোথাও যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তারজন্য এই যন্ত্র সাহায্য করবে। ভারতীয় হিসেবে এটা গর্বের ব্যাপার।’’

  • Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ল ৩ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে, এভাবেই আরও কয়েক ডিগ্রি করে নিয়মিতভাবে বাড়তে পারে পারদ। এর ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝিতেই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) একজন অভিজ্ঞ আধিকারিকের। তাঁর কথায়, যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে আবহাওয়ার ওপর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।

    বাড়তেই থাকবে পারদ (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে। আজ শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি। কলকাতার আজকের তাপমাত্রা ৩১.২ ডিগ্রি। তবে তা অনুভূত হচ্ছে ৩৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে আগামিকাল, রবিবার তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে আগামী সপ্তাহেই

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, রাজস্থানে সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। মরুরাজ্য থেকে আরব সাগর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর জেরেই অসম, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের মতে, ধীরে ধীরে গরম হচ্ছে হাওয়া। আগামী সপ্তাহের শুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে পৌঁছতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। কিন্তু বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে। আজ শনিবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে।

    ২ মার্চ ঢুকবে ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি হবে দেশের একাধিক রাজ্যে (West Bengal)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, ২ মার্চ আরও একটি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে নতুন করে। যার প্রভাবে রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, কেরালা, তামিলনাডু, পুদুচেরি, অরুণাচল প্রদেশ ও লক্ষদ্বীপেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে কর্নাটকেও। মৌসুম ভবন জানিয়েছে, কঙ্কন, গোয়া, কেরালাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।

LinkedIn
Share