Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    Weather Update: সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। এরই প্রভাবে সপ্তাহ শেষে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় হতে পারে বৃষ্টি। এই জেলাগুলি হল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্যদিকে, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস মনে করছে, এর ফলে আপাতত শীতের আমেজে কিছুটা বাধা পড়বে। নিম্নচাপের কারণে প্রভাব পড়বে পারদ পতনেও। পুদুচেরি থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এই নিম্নচাপটি (Weather Update) অবস্থান করছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এর অভিমুখ বর্তমানে তামিলনাড়ুর দিকেই রয়েছে। শনিবারই ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি প্রভৃতি এলাকায়।

    তামিলনাড়ুতে হবে অতিভারী বৃষ্টি (Weather Update)

    ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, তামিলনাড়ুতে এর প্রভাবে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি (Rain Forecast) হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। শুক্রবার থেকে হালকা বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। ৩০ নভেম্বর শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ১ ডিসেম্বর রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    নভেম্বরের শেষে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে

    হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে (Weather Update) ঠান্ডার আমেজ তুলনায় বেশি থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার হালকা চাদর দেখা যাবে দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি ও মালদা জেলাতেও কুয়াশার (Rain Forecast) সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবারই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল। আগামী শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নভেম্বরের শেষে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    BJP: চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিস ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) বিধায়করা বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিস ঘেরাও করেন। সেখানেই বাংলাদেশ সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা। জানিয়ে দিলেন, চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। না হলে এবার বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবে বঙ্গ বিজেপি। একই সঙ্গে সোমবার থেকে সীমান্ত অবরোধের ডাকও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?(BJP)

    শুভেন্দু বলেন, “এর আগেও বাংলাদেশের অনেক সরকার দেখেছি। তবে এই রকম ভারত বিরোধী আচরণ, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন আগের কোনও সরকারকে করতে দেখিনি।” বাংলাদেশে সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (BJP) বলেন, “উনি কোনও অন্যায় করেননি। মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়েছে ইউনূসের তালিবান সরকার। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসে দাবি জানিয়ে গেলাম।” তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনে ১ দিন অপেক্ষা করে ভিসা দফতরে যাব। কেন্দ্রকে বলব, এরকম চলতে থাকলে বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ করে নিন। বাকিটা আমরা সীমান্তে বুঝে নেব।”

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের (BJP) জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বার বার সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ইউনূসের সরকার। তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতেও। মঙ্গলবার থেকে পথে নেমেছে বিজেপি। লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: কথার মাঝেই বন্ধ করা হল বিধায়কের মাইক! প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিজেপির, উত্তাল বিধানসভা

    BJP: কথার মাঝেই বন্ধ করা হল বিধায়কের মাইক! প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিজেপির, উত্তাল বিধানসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিজেপির (BJP) মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা। বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। এর পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (BJP)

    ২৫ নভেম্বর থেকে বিধায়সভায় (BJP) শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। বুধবার ছিল তৃতীয় দিন। জানা গিয়েছে, এদিন আরজি করকাণ্ড ও পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের ওপর ঘটা অত্যাচারের প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু, তাঁদের এবিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরই ওয়াক আউট করে বিজেপি। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিধায়করা। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার পরেও আমাদের রাজ্যে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন চলছেই। শারীরিক অত্যাচার ও খুন ক্রমবর্ধমান। এর বিরুদ্ধে আমাদের মহিলা বিধায়করা এদিন বিধানসভায় একটি মুলতুবি প্রস্তাব জমা করেন। এই মুলতুবি প্রস্তাবের ভাষ্যে এডিটেড পার্ট তাঁদেরকে পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু আলোচনার সুযোগ রাখা হয় না। আমাদের বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, শিখা চট্টোপাধ্যায়, মালতি রাভা, চন্দনা বাউড়ি সবাই মিলে যখন প্রতিবাদ করেন, তখন তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে তাপসী মণ্ডলের যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য মহিলা ও শিশুদের কথা বলার মাইক ছিল। তাঁদেরই কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।” শঙ্করের কথায়, স্পিকারের এই আচরণের প্রতিবাদ করতেই তাঁরা ওয়াক আউট করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই বলেছিলেন, বিরোধীদের মুখে সেলোটেপ মেরে দিতে। এদিন স্পিকার সেটাই করেছেন। এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর আচরণেরই ভাষ্য।”

    স্পিকার কী বলেছিলেন?

    যদিও বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, এডিটেড ভার্সনই পড়তে হবে, সেটাই নিয়ম। কিন্তু তাপসী মণ্ডল তার বাইরের অংশ পাঠ করছিলেন বলে সেটা রেকর্ড না করার নির্দেশ দেন তিনি। তাও তাপসী মণ্ডল বলতে থাকলে মাইক বন্ধের নির্দেশ দেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বাংলাদেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারির আঁচ পড়ে বিধানসভায়। প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। বিধানসভার বাইরে মিছিলও করেন বিজেপি বিধায়করা। আগামী দিনে কলকাতায় রাস্তায় নামার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা (BJP) শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ১২ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ২৮ অগাস্ট ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে হামলা হয়। গুলি চালানো হয় গাড়ি লক্ষ্য করে। তিনি ওই দিন কাঁকিনাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অপর এক বিজেপি নেতা রবি সিং। চালকের পাশেই বসেছিলেন প্রিয়াঙ্গু। পিছনে ছিলেন রবি। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় জখম হন প্রিয়াঙ্গু ও রবি দু’জনেই। সঙ্গে গাড়ির চালক রবি ভর্মাও জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপি প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেছিলেন, চালককে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তাঁর কপাল ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। মূলত, তৃণমূল নেতা তরুণ সাউ এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে, ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    ১২ জন অভিযুক্ত কারা?

    এনআইএ (NIA) একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিশেষ আদালতের সামনে বিএনএস, অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে চার্জশিট জমা করা হয়েছে। হামলার পিছনে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এনআইএ-এর তদন্তে ১২ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের কর্মীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন মহম্মদ আবেদ খান, মহম্মদ আরিফ, ওয়াসিমুদ্দিন আনসারি, মহম্মদ নাসিম, ফিরদুশ ইকবাল, মহম্মদ তানভীর, সঞ্জয় সাউ, মহম্মদ চাঁদ, আকাশ সিং, মহম্মদ সোহেব আকতার, মহম্মদ আকবর এবং সাগর সিং। মামলার তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬ নভেম্বর এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে।

    ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু?

    একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে যা ঘটনার দিন গুলি চালানোর মুহূর্তটি দেখানো হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও নিজের এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছিলেন, ভাটপাড়ায় বিশিষ্ট বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডা গুলি চালাচ্ছে। গাড়ির চালককে গুলি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও, সোমবার সীমান্তে অবরোধ বিজেপির

    BJP: আজ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও, সোমবার সীমান্তে অবরোধ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনীদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার বেড়ে চলেছে। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই আন্দোলনের আঁচ এসে লাগে ভারতে। বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে কড়া বার্তা দিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও করবেন বিজেপি বিধায়করা। ফলে, ক্রমশ চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের ওপর।

    লাগাতার আন্দোলনের ডাক বিজেপির

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন্ময় প্রভুকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গর্জে ওঠেন। ইতিমধ্যেই চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেহালা চৌরাস্তা থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বাংলাদেশের সনাতনীদের ওপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়। ধ্বজা, মশাল নিয়ে সামিল হন সনাতনীরা। আজ, বুধবার, দুপুর তিনটের সময় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর ঘেরাও করবেন বিজেপি (BJP)  বিধায়করা। রবিবারের (১ ডিসেম্বর) মধ্যে কৃষ্ণদাস প্রভুকে মুক্তি না দিলে সোমবার (২ ডিসেম্বর) পেট্রাপোল সীমান্ত অবরোধ করবেন বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক। সীমান্ত অবরুদ্ধ করে ইউনূস সরকারকে বার্তা দেবে বিজেপি।

    কী বলেছেন শুভেন্দু?

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় থাকবেন হাজার হাজার হিন্দু। সব এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। শিয়ালদা স্টেশন থেকে ডেপুটি হাইকমিশন পর্যন্ত মিছিলের আহ্বান জানিয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এক লাখ হিন্দু জমায়েত করবেন। সোমবার, পেট্রাপোলের কাছে বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেবেন হিন্দুরা। আমি সেখানে উপস্থিত থাকব। সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমদানি-রফতানির কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল

    এমনিতেই মঙ্গলবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) বিধায়করা বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদে সামিল হন। এর পাশাপাশি হিন্দু সুরক্ষা দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাড়ে সাতটা নাগাদ মৌলালি মোড় অবরোধ করা হয়। আন্দোলনকারীরা চিন্ময় প্রভুকে মুক্ত করার দাবি জানান। শুধু মঙ্গলবার নয়, এই একই ইস্যতে বৃহস্পতিবার রয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল। জানা গিয়েছে, শিয়ালদা স্টেশনের কাছে থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হবে। ফলে, মঙ্গলবার থেকে বিজেপি সহ বিভিন্ন সনাতনী ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা পথে নেমে যেভাবে আন্দোলন শুরু করেছেন, তাতে চিন্ময় প্রভুর জামিন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। বরং, আন্দোলন ক্রমশও জোরদার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়ার ছয়দিন পর আবার গ্রেফতার শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Case) অভিযুক্ত বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’ (Ranjan) ওরফে চন্দন মণ্ডল। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাবশালী একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করেছিল সিবিআই। এবার ফের গ্রেফতার করেছে ইডি। অপর দিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন দুজনই।

    গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে দুর্নীতির অভিযোগ (SSC Recruitment Case)

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে টাকা নিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বাগদার বাসিন্দা রঞ্জনের (Ranjan)। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (বিচার ভবনে) তাঁর ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। সিবিআই তাঁকে দুটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এই দুটি মামলা হল, গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগ মামলা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত রঞ্জন।

    আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস ‘রঞ্জন’ নাম বলেছিলেন

    গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নয়জনের জামিন মামলায় রায়দান ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন রঞ্জন (Ranjan)। তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি সিনহা রায়। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি। একইভাবে রঞ্জনের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, “হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার যাবতীয় কাজ ২২ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হয়। কিন্তু তারপরও কেন তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল জানা নেই। এই বিষয়ে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” কিন্তু মঙ্গলবার ফের তাঁকে গ্রেফতার (SSC Recruitment Case) করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছরের প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস এই ‘রঞ্জন’-এর কথা তুলে ধরেছিলেন। টাকার বিনিময়ে লোককে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমানতকারীদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টর বাসুদেব বাগচী ও অভীক বাগচী। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের (Prayag Group) দুই ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। এরপরই গ্রেফতার। প্রসঙ্গত, ফের চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে চিটফান্ড প্রতারণা কাণ্ডে শেষ গ্রেফতারি হয়েছিল রোজভ্যালি কাণ্ডের সময়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ওড়িশায় দায়ের হওয়া মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াগ গ্রুপের কর্ণধাররা। বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবারই দিল্লি, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেহালা, নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন বেআইনি স্কিমের টোপ দিয়েই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা তুলেছিল প্রয়াগ গ্রুপ। আমানতকারীদের এই বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। তারপরই ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। শুধু বাংলাতেই নয়, ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রয়াগ গ্রুপ।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    রাজনীতির যোগ খতিয়ে দেখতে পারে ইডি!

    প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগসূত্র ছিল বলেই জানা গিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতিতে রাজনীতির যোগও খতিয়ে দেখতে পারে ইডি (ED)। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১২ সালে একাধিক হোটেল, রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় মঙ্গলবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারীদের বিশেষ দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশের সম্মিলিত জাগরণ জোটের প্রধান মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। ভারতের পক্ষ থেকে ইউনূস সরকারকে ইতিমধ্যেই হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন কলকাতার ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ।

    ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    মঙ্গলবার মুখ খুললেন ইসকনের (ISKCON) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধা রমণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেভাবে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল, মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছিল, সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিনি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বিক্ষোভ থামাতেই বাংলাদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল চিন্ময় প্রভুর এক সহকারী আমাকে ফোন করে জানান যে চিন্ময় প্রভুকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন শুনলাম, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা হয়েছে। তারজন্য হিন্দুরা সকলে পথে নেমেছেন। অথচ প্রতিবাদীদের ওপর মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাচ্ছে,পুলিশও তাতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা এসব মেনে নিচ্ছি না। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। কলকাতায়ও চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হবে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিও খুব শীঘ্রই নেওয়া হবে। ভারত সরকারের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। ”এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    ৫১ জন আইনজীবী লড়াই করলেও মেলেনি জামিন

    গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। হাজার হাজার হিন্দু পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একটাই দাবি, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে সনাতন হিন্দু প্রতিনিধি (ISKCON) চিন্ময় প্রভুকে। কিন্তু মুক্তি দূর অস্ত, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহের মামলা। মঙ্গলবার ৫১ জন আইনজীবী চিন্ময় প্রভুর হয়ে লড়াই করলেও জামিন মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন হিন্দুরা। এবার প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল ভারতেও। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তারা মিছিল করে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় সীমান্তে অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউনূস সরকারকে।

    বিজেপির কী কী কর্মসূচি রয়েছে? (BJP)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেহালায় মশাল মিছিল। বুধবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও অভিযান রয়েছে। বৃহস্পতিবার শিয়ালদা স্টেশনের কাছে রয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি না দিলে, সীমান্ত অবরুদ্ধ করবেন সনাতনীরা। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট করে দেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন না দিলে পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ ও অবরোধ করবে হিন্দুরা। বুধবার বাংলাদেশ নিয়ে রাজ্য বিধানসভার সামনে প্রতিবাদ জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েও এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন (BJP) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রতিবাদ করবে না। ওরা মুসলিম লিগ ২। আমরা করব। বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মৌলবাদী ডক্টর ইউনূস সরকার গ্রেফতার করেছে। আমরা এই খবর পেয়ে অত্যন্ত বিচলিত ও চিন্তিত। আমরা সকলে ভাবিত। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে সনাতনীরা ধ্বজা নিয়ে অবরোধ করবে। বাংলাদেশে ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা নিতে দেব না। অবিলম্বে ইউনূস সরকারকে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে লড়াই করছি। তাঁকে দ্রুত না ছেড়ে দিলে আমরা সব পরিষেবা বন্ধ করে দেব। মনে রাখবেন, এখান থেকে কিন্তু সমস্ত পণ্য পৌঁছয় ওপার বাংলায়।” মঙ্গলবার এনিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা, চিন্ময় মহাপ্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করেছে ইউনূস সরকারের পুলিশ। মঙ্গলবার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে না চাওয়ায় তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজি শরিফুল ইসলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের, কী কথা হল?

    RG Kar Incident: বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে দেখা করতে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) সঙ্গে বিধানসভায় গেলেন আরজি করের (RG Kar Incident) নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা (RG Kar victim’s family)। সেখানে পৌঁছেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছান নির্যাতিতার বাবা-মা। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দু’জনেই। শুভেন্দু ছাড়া সেখানে বিজেপির অন্য বিধায়করাও ছিলেন।

    কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতার মা

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মা। তিনি বলেন, ‘‘আমার পাশে সবাই দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে আপনাদেরও আমার পাশে চাই। আমার মেয়েটা এমন কী অপরাধ করল, যে তাঁকে এমন নির্মম ভাবে মারা হল?’’ এরপরই তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখতে দেখতে ১০০ দিন পেরিয়ে গেল। কিন্তু আজও জানতে পারলাম না, সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মেয়েটা কী অপরাধ করল! হাসপাতাল ওর দ্বিতীয় বাড়ি ছিলাম। আমি বলতাম, হাসপাতালে গেটে ঢুকে ফোন করবি, আমার আর চিন্তা থাকবে না। সুরক্ষিত জায়গায় তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হল।’’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবাও। এরপর রুমাল দিয়ে তাঁর চোখের জল মুছিয়ে দেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার বাবার কথা শুনে কেঁদে ফেলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও।

    আরও পড়ুন: কলকাতাতেও বিষ-বাতাস! রাজ্যে শীতের আমেজ, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলে

    পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    এরপরই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশ্বাস দিয়ে জানান, নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণভাবে, আইন এবং গণতন্ত্র মেনে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে বিজেপি বিধায়করা ধর্নায় বসবেন। অভিযুক্তদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিও জানাবেন তাঁরা। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘১০ তারিখে সারাদিন রাজ্যপালের সামনে ধরনা দেব আমরা। ৫ দিন পুলিশের হাতে ছিল এই তদন্ত। থানার ওসি আর হাসপাতালের সুপার জেলে, এমন ঘটনা বিশ্বে বিরল। আমরা সবাই আছি আপনার সঙ্গে।’’ প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। এমনকী, প্রতিবাদের আঁচ রাজ্য থেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছয়। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলছে এই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share