Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মা মাটি সরকারের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে থাকলো মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। তৃণমূল মানবিক! বার বার শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে শোনা যায়। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ল সারি সারি গাড়ি। আর এই গাড়ির ভিড়ের মধ্যে আটকে গেল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনায় ক্লোজ করা হল এক পুলিশ আধিয়ারিককে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।  

    কিন্তু প্রশ্ন হল শাসক দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে। নাগরিক সমাজের প্রতি যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্বশীল থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার জন্য নেতা-মন্ত্রীদের কি কোনও শাস্তির বিধান রয়েছে? নাকি সব দায় আমলাদের? এই প্রশ্নই উঠছে ধূপগুড়িতে (Jalpaiguri) কালীপুজোর উদ্বোধন করতে আসা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের ভূমিকা নিয়ে।

    নেতা-মন্ত্রীর ভিড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স (Jalpaiguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ধূপগুড়িতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার। গাড়ির ভিড়ে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়। এই অবস্থায় রাস্তায় আটকে পরে এক অসুস্থ মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আধ ঘণ্টার সময়ের বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন রাস্তায়। এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে এলাকায় শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এরপরই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়লে ঘটনায় ক্লোজ হন এক পুলিশ আধিয়ারিক।

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার জেলা শাসক উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি চালাচল করছিল। প্রাথমিক ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় কোনও চক্রান্ত হয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে কর্মীদের রাজনীতির পাঠ শেখালেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুক্রবার শ্যামনগরের সুব্রত পল্লিতে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন।  তাঁর কথায়, আগামিদিনে নির্বাচন আছে। শত্রুকে কোনও দিন কমজোরি ভাববেন না। শত্রু কখনও কমজোরি হয় না। আর আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। যদি বুথে কর্মী সঠিক না থাকেন, ভোটার লিস্ট যদি আপনাদের মুখস্থ না থাকে, কে বিরোধী রাজনীতি করেন, তা যদি বুঝতে না পারেন, তা হলেই সমস্যা। মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে।

    বিজেপি থেকে অনেক কিছু শিখেছি, স্বীকার অর্জুনের (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, রাজনীতিতে সব সময় শিখতে হয়। আমি ভোট করতে শিখেছি। কংগ্রেস থেকে শিখে এসেছি। এমনকী, ভোটের রাজনীতি করতে গেলে বিজেপির কাছেও অনেক শিখতে হয়েছে। আমি শিখেছি। জ্ঞান নিতে গিলে মাস্টারমশাইয়ের জামার কলার ধরলে হবে না। মাস্টারমশাইকে প্রণাম করতে হবে। হাতজোড় করে জ্ঞান নিতে হবে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়ে কী বললেন অর্জুন

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেদেরও ঠিক থাকতে হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করবেন, সেই অনুযায়ী আমাদের সবাইকে চলতে হবে।“দলের কিছু সদস্যের জন্য যদি সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়েন, আমি মনে করি, সেই লোককে দলে না রাখাটাই ভাল। যে লোকটা দু’দিন আগে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, সেই মানুষ যদি বুথে বসে থাকে, মানুষ অন্য কাউকে ভোট দেবেন। তাই আমাদের নজর রাখতে হবে। কোনও নাককাটা, গালকাটা বা কানকাটাকে বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। সভ্য, ভদ্র মা-দিদি কাউন্সিলর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বুথে ফিরিয়ে আনুন।

     তৃণমূলের ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না, আক্ষেপ অর্জুনের

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, এখন তো আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসতেই ভুলে গিয়েছি। পাড়ায় আড্ডা মারছি না। ভেবে নিয়েছি, সবাই আমাদের ভোট দিয়ে দেবেন। আমাদের এই অঞ্চলে ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না। কিন্তু অফিসে বসুন। সময় দিন। আমি কিন্তু এলাকায় থাকলে অফিসে বসি। মানুষের সমস্যা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যে একাধিক রেশন ডিলার, রাইস মিল মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন ইডি হেফাজতে। এরইমধ্যেই নদিয়ার (Nadia) বীরনগরে এক ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে রেশনের আটার বস্তা উদ্ধার হয়েছে। যাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বীরনগরের প্রশান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি এলাকারই বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। আগে পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি করে হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠে। শনিবার ওই ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানে প্যাকেটে সরকারি সিল মারা আটার বস্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কয়েকশো খালি বস্তাও পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সরকারি শিলমারা আটার বস্তা থেকে আটা বের করে লোকাল ব্র্যান্ডের স্টিকার মেরে তা খোলা বাজারে তা বিক্রি করত বলে অভিযোগ। আজ ওই ব্যক্তির কুকীর্তি সকলের নজরে পড়ে। এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপর রেশন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি সাংসদ। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রশান্ত পাল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, রেশন দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তবে, প্রশান্তের মতো রাজ্য জুড়ে রেশন চুরির বড় চক্র রয়েছে। আমরা না আসলে পুলিশ এই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দিত। আমরা এই চক্রের সঙ্গে যে বার যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা দিতে ক্লাব প্রাঙ্গনে না আসায় রায়গঞ্জের এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) থানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বণিক সংগঠনের কাছেও পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)

    রায়গঞ্জের (Raiganj) ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ আগরওয়াল পুলিশের কাছে করা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত ‘বয়েজ সুকান্ত’ ক্লাবের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর অফিসে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে চাঁদা দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হন এই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাবের কয়েকজন যুবক তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে আসেন। সংস্থার ম্যানেজারের কাছে পুজোর চাঁদার বিষয়ে জানতে চান। ম্যানেজারের ফোন থেকে ক্লাবের এক সদস্য জয়প্রকাশবাবুকে ফোনে জানান, পুজোর চাঁদা ক্লাবে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জয়প্রকাশবাবু। চাঁদার জন্য নিজের অফিসে ক্লাব সদস্যদের আসতে বলেন তিনি। এরপরেই ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যরা কর্মরত শ্রমিকদের জোর করে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে যায় বহুতল নির্মাণের কাজ। জয়প্রকাশ বাবুকে বলা হয় পুনরায় কাজ শুরু করতে হলে ক্লাবের মূল কর্মকর্তা রন্তু দাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ততক্ষন বন্ধ থাকবে বহুতল নির্মাণের কাজ। উল্লেখ্য, রন্তুবাবু জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির পাশাপাশি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অতি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

    কী বললেন ব্যবসায়ী?

    এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, হুমকির মুখে স্থানীয় শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এতো বড় প্রজেক্ট। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রেশন, প্ল্যান পাস, জি এস টি সহ সমস্ত টাকা সরকারকে দিয়েছি। তারপরেও এধরণের ঘটনা ঘটলে কী ভাবে কাজ করবো? কাজ যাতে পুনরায় শুরু করতে পারি সেজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।

    তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব কমিটির কর্মকর্তার কী বক্তব্য?

    যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন,আমাদের ক্লাব কখনও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করে না। স্বেচ্ছায়,ভালোবেসে যে যা চাঁদা দেয় সেটাই নেওয়া হয়। জয়প্রকাশবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তাকে সামনে রেখে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণের পর এবার বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বের হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তপন ব্লকের বাদ শংকরের যুবক মাধাই পাল। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওই যুবক সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করেন। আপাতত সার্কভুক্ত দেশগুলিতেই যাওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে ওই যুবকের। সাইকেল নিয়ে যাত্রার একটাই উদ্দেশ্য, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তা পৌঁছে দিতে এই যাত্রা বলে ওই যুবক জানিয়েছেন।

    সাইকেল চড়ে দেশ ভ্রমণ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই (Dakshin Dinajpur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাই পেশায় গাড়ি মিস্ত্রী। করোনার সময় প্রথম মাথায় আসে সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। গত দুই বছরে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণ করেন। এরপর বাড়িতে কিছু দিন থেকে, এখন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) থেকে বিশ্ব ভ্রমণে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিয়েন তিনি। বিশ্ব ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তা দিতে চান মাধাই। অনেক সময়ের ব্যাপার। তবু যতদিন শরীরে ক্ষমতা থাকবে বিশ্বের সার্কভুক্ত দেশ ঘুরবেন বলেই মাধাই জানিয়েছেন। এদিকে তার এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন জেলাবাসী। এবিষয়ে মাধাই পাল বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে। সেটা শুধুমাত্র সাইকেলেই। সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি। তাই সাইকেলেই নানা দেশ দেখার ইচ্ছা। এছাড়াও সব দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আজ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হলাম। এর আগে আমি ভারতবর্ষের সব জায়গায় সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করেছিলাম।

    কী বললেন সাইকেল আরোহীর মা?

    এবিষয়ে ওই যুবকের মা অঞ্জলী পাল বলেন, এর আগে আমার ছেলে ভারতবর্ষ ঘুরে বেরিয়েছে। এবার অন্যদেশে ভ্রমণ করতে বের হলেন। এনিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। তবে, ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি ছেলে যেন তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে বাড়ি ফিরতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (State Advocate General) পদ ছাড়লেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ইমেইল মারফত নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। কোনও কোনও মহলের দাবি, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লাগাতার সংঘাত চলছিল নবান্নের। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। আবার আইনজীবীদের একাংশের মতে, সৌমেন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন সংবিধান সম্পর্কিত মামলা ছাড়া আর কিছু তিনি কিছু লড়তে যাবেন না। সম্প্রতি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করেন সৌমেন্দ্রনাথবাবুও। এরপরেই শাসক দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল।

    কে হচ্ছেন নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল?

    সূত্রের খবর, নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) হতে চলেছেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরে মুখ্যসচিব এবং আইনমন্ত্রীকেও পদত্যাগ পত্র পাঠাবেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখেই সরিয়ে দেওয়া হয় পাবলিক প্রসিকিউটার শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হন দেবাশিষ রায়। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে অ্যাডভোকেট জেনারেল পদেও বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত যে কিশোর দত্তের নাম আবার অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে উঠে আসছে তিনি এর আগেও ওই দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে তাঁকে সরিয়ে দেয় মমতা সরকার।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলদের ইস্তফার ইতিহাস 

    তৃণমূল জমানায় এর আগে একাধিক অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) ইস্তফা দিয়েছেন। সেই ইতিহাসটাও একবার জেনে নেওয়া যাক। ২০১৩ সালে অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। অনিন্দ্য মিত্রের পরেই বিমলবাবু ওই পদে বসেছিলেন। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তখনই অনিন্দ্য মিত্রকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। এর পরবর্তীকালে দেখা যায় ২০১৭ সালের তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্রও ইস্তফা দেন। সে সময় কারণ হিসেবে উঠে আসে সরকারের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) পদে নিয়োগ করা হয় কিশোর দত্তকে। ২০২১ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য মঞ্চে এবার মস্তান তৈরির কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে (Memari) মন্ত্রী মস্তান তৈরির কথা বলেন। তবে, বিরোধী দলের কাউকে এমন হুমকি দিচ্ছেন এমন নয়, দলের অন্দরে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে এই ভাষায় কথা বলে মন্ত্রী সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। একজন মন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মন্ত্রী বলেন, আমি মস্তান নয়, কিন্তু ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করতে পারি। তেলপোড়া, পানিপোড়া কানে দেব, মাস্তান তৈরি হয়ে যাবে। মস্তানকে জন্ম করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তবে,  মস্তানি নয়, ভালোবাসার রাজ্য চাই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) সাতগেছিয়া বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে সিদ্দিকুল্লা সাহেব উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু অঞ্চলের ছেলেরা মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাল  ঠুকছে। বাঘ, সিংহ গর্তে চলে গেল। তোমরা মশা-মাছি কত ভাল তাল ঠুকবে। আমার কাছে নাম আছে, বলব না। তাদের শুনিয়ে দিচ্ছি, হাত তোলা বন্ধ করো। না হলে হাত ভেঙে দেব একদম। ইয়ার্কি করতে আমরা আছি নাকি। মন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই হুঁশিয়ারিতে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     তৃণমূলের  দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি-২ ব্লকে (Memari) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বহুদিন ধরেই রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বড়পলাশনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মোট তিনজন জখম হন। পুলিস ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে কোন্দল চরমে উঠেছে। এক গোষ্ঠীর নেতাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। দলের এক নেতা বলেন, কোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্ব একাধিকবার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধ থামেনি। মন্ত্রী দলের সেই বিরোধী গোষ্ঠীকে বার্তা দিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে ছুটির তালিকা সামনে এল, এদিনই তা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। ওই তালিকায় (Holiday List 2024) দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে বেশ কিছু ছুটির দিন রবিবারেও পড়ে গিয়েছে। আবার দুর্গাপূজার সময় সরকারি কর্মচারীদের একনাগাড়ে ১৬ দিন ছুটি থাকছে। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে মমতা সরকার। এমনিতেই রাজ্য সরকারের অফিসগুলি নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগ কম কিছু নয়। সঠিক পরিষেবা মেলে না, বারবার চক্কর কাটতে হয়। রাজ্য সরকারি অফিসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ব্লক অফিস থেকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত সর্বত্রই। এরই মাঝে পুজোর মরসুমে ১৬ দিনের ছুটি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।

    মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে….

    আগে আগে পঞ্চমী থেকে ছুটি ঘোষণা করা হতো কিন্তু এবারে তা চতুর্থী থেকেই। স্বাভাবিকভাবে এই সময় যে সরকারি অফিসগুলোতে কাজকর্ম শিকেয় উঠবে একথা বলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স অ্যাক্ট বাই এনআই অ্যাক্টে ২০২৪ সালে ছুটি থাকার কথা ২২ দিনের এবং তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের ছুটি ২৩ দিন। অর্থাৎ জরুরী পরিষেবাকে বাদ দিলে বছরে মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে। রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে (Holiday List 2024) অবশ্য বেশ কিছু বাতিলও হয়েছে। কারণ দুটো ছুটি একই দিনে পড়েছে।

    নতুন দুটি ছুটি..

    যেমন, ২০২৪ সালের বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল এবং ডঃ বি আর আম্বেদকর এর জন্মদিন একই দিনে। আবার ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন এবং সরস্বতী পুজো একই দিনে পড়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিন এবং গুরু নানকের জন্মদিনও ১৫ নভেম্বর একই দিনে (Holiday List 2024) পড়েছে। রথযাত্রা, ভাইফোঁটা সমেত বেশ কিছু ছুটি বাংলার এরকম ভাবে বেশ কিছু ছুটি মারও গিয়েছে। দুটো নতুন ছুটির সংযোজনও হয়েছে ৬ এপ্রিল শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন এবং ১৩ জুলাই কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে সিভিককে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    Ranaghat: রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে সিভিককে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম সরকারি জায়গায় দলীয় পার্টি অফিস করে নিজের দাপট দেখিয়েছিলেন। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার কল্যাণীর এক তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদাগিরি দেখলেন রানাঘাটবাসী (Ranaghat)। প্রকাশ্যে রাস্তায় কর্তব্যরত তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। যদিও এই পালোয়ানগিরি দেখিয়ে খুব বেশিক্ষণ তৃণমূল কাউন্সিলারের হিরোগিরি চলেনি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত কাউন্সিলারকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,  সিভিকদের কাজে বাধা দেওয়া ও মারধর করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লক্ষ্মী ওরাওঁ গাড়ি করে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরসঙ্গে আরও দু-তিন জন ছিলেন। রানাঘাটের (Ranaghat) মিশন গেটের কাছে তাঁদের গাড়ি আসার সময় যানজট ছিল রাস্তায়। দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের গাড়ি দাঁড় করাতেই প্রথমে রঞ্জিৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী গাড়ি থেকে বেরিয়ে গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। এরপরই সিভিকদের প্রকাশ্যেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তৃণমূল কাউন্সিলার সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।

    আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বক্তব্য, আমরা রাস্তায় ডিউটিতে ছিলাম। রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকায় তা মুক্ত করার কাজ করছিলাম। ওই সময় ওই গাড়িটি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা সেটা আটকেছিলাম। এটাই আমাদের অপরাধ। তার জন্য প্রকাশ্যে তারা গাড়ি থেকে আমাদের মারধর করে কাউন্সিলার এবং তাঁর সঙ্গীরা। এ নিয়ে রানাঘাট (Ranaghat) থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের রাইস মিলে চলছে আয়কর তল্লাশি। টানা দুদিন ধরেই চলছে এই তল্লাশি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও রাইস মিলে হাজির হন বিধায়ক তন্ময়। তলব করা হয় তাঁর হিসাবরক্ষক অরূপ সামন্তকেও। সূত্রের খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা।

    রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা (Bankura)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তন্ময় ঘোষ পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলার হন তিনি। ২০২০ সালের মে মাসে বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীতে আনা হয়। পাশাপাশি, ওই বছরই তন্ময়কে বিষ্ণুপুর শহরের যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় তিনি তৃণমূলের টিকিটের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় প্রার্থী করে অর্চিতা বিদকে। এর পরই বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয় পান তন্ময়। কিন্তু এ বছরের অগাস্টে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন। বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সেই মঞ্চ থেকেই বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময়কে খাদ্য দফতরের দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুরের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেছিলেন, বাকিবুরের মতোই এই রাইস মিলকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অন্যদিক রাইস মিলে আয়কর দফতরের ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বুধবার। জানা গিয়েছে, ওইদিনই রাতে আয়কর প্রতিনিধিদের রাইস মিলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বিছানা, বালিশ নিয়ে। সেগুলিই ব্যবহার করেছেন আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের জন্য খাবারও আসছে বাইরে থেকে।

    আয়কর হানা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, এই চালকলের ব্যবসা তন্ময়ের বাবার আমলের। তাই আয়কর দফতর যত চেষ্টাই করুক, আদপে তা টিকবে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share