Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙার অভিযোগ (Vandalism Durga Puja Pandal) উঠেছিল। সেই ঘটনাগুলির স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এনিয়েই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর সময় যে গোলমাল হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই সব রিপোর্ট জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপি-রা রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পাঠাবেন। সেই সসমস্ত তথ্যগুলি খতিয়ে দেখে ডিজি রাজীব কুমারকে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই রিপোর্ট (vandalism Durga Puja pandal) রাজ্যকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷

    মামলা (Calcutta High Court) করেন নদিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেখানে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নদিয়া জেলার নেতা ঋতু সিং। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গার্ডেনরিচ পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। কোচবিহারের শীতলকুচি, হাওড়ার শ্যামপুর এবং নদিয়া জেলায় মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কী চান? তদন্তের হস্তান্তর? কিন্তু, কেন?’’ যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে ৷ ওই ঘটনাগুলির তদন্ত রাজ্য পুলিশ করতে পারবে না।’’ এরপর বিচারপতি জানতে চান, ‘‘কোন গ্রাউন্ডে ট্রান্সফার চাইছেন?’’ মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না, যদি রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’’ তার জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে এজি রিপোর্ট পেশ করতে কিছুটা সময় চান। অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদন মেনে নিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ডিজি-র রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে (Calcutta High Court) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Forces: শাহি-দরবারে আর্জি বিজেপির, উপনির্বাচনে রাজ্যে আসছে আরও ১৯ কোম্পানি বাহিনী

    Central Forces: শাহি-দরবারে আর্জি বিজেপির, উপনির্বাচনে রাজ্যে আসছে আরও ১৯ কোম্পানি বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয় না। বাম জমানা পেরিয়ে তৃণমূল আমলেও একই অভিযোগ করে আসছেন শাসক-বিরোধী নেতা-কর্মীরা। সুষ্ঠু নির্বাচন (By Polls) হলে বিরোধীদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ত। বিরোধীদের মুখে এমন দাবি হরবখত শোনা যায়। দুয়ারে রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬ আসনে উপনির্বাচন। তার আগে, আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েনের দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরেই এক লপ্তে বাড়িয়ে দেওয়া হল ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রথমে ছিল ৮৯ কোম্পানি। পরে ১৯ কোম্পানি বাড়ানোয় সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে এ রাজ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ১০৮ কোম্পানি।

    শাহের কাছে দাবি (Central Forces)

    দিন তিনেক আগে রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির সূচনা করতেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানান তিনি। তার পরেই জানা গেল, রাজ্যে উপনির্বাচন উপলক্ষে আসছে আরও ১৯ কোম্পানি বাহিনী।

    দুয়ারে উপনির্বাচন

    আগামী ১৩ নভেম্বর হবে উপনির্বাচন (Central Forces)। নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের দুটি আসনে। একটি কোচবিহারের সিতাই এবং অন্যটি আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট। দক্ষিণবঙ্গের চারটি আসনেও হবে উপনির্বাচন। এগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার তালডাংলা কেন্দ্র। প্রথমে যে ৮৯ কোম্পানি বাহিনী আসার কথা ছিল, তার মধ্যে সিআরপিএফ ছিল ২৪ কোম্পানি, বিএসএফ ছিল ৩০ কোম্পানি, সিআইএসএফ ছিল ১২ কোম্পানি। ১০ কোম্পানি আইআইবিপি এবং ১৩ কোম্পানি এসএসবি। এখন যে ১৯ কোম্পানি বাড়ানো হয়েছে, তাতে থাকছে ৫ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১০ কোম্পানি বিএসএফ, ২ কোম্পানি করে সিআইএসএফ এবং আইটিবিপি।

    আরও পড়ুন: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    প্রসঙ্গত, যে ছয় আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে, সেই কেন্দ্রগুলির বিধায়করা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ হয়েছেন। তাই হচ্ছে অকাল ভোট। এই কেন্দ্রগুলির ৫টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। একটিতে ফুটেছিল পদ্ম। আরজি করকাণ্ডে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ (By Polls)। সেই ক্ষোভ ইভিএমে প্রতিফলিত হলে পাশা উল্টে যাবে বলেই (Central Forces) ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Assembly Bypoll: নভেম্বরে রাজ্যে ৬ আসনে উপনির্বাচন, ভোটারদের তালিকা প্রকাশ কমিশনের

    Assembly Bypoll: নভেম্বরে রাজ্যে ৬ আসনে উপনির্বাচন, ভোটারদের তালিকা প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা আসনে (Assembly Bypoll) উপনির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালড্যাংড়ায় উপনির্বাচন রয়েছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। 

    সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মেদিনীপুর

    বিধাসভা উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll) জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের অন্দরে৷ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও৷ নির্বাচন সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লোকসভা নির্বাচনের মতো গুরুত্ব সহকারে করাতে হবে উপনির্বাচনও। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না৷ রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন মেদিনীপুর। এখানে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৭১৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭৩ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৪০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন মাত্র একজন। মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ৩০৪।

    আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    কোথায় কত ভোটার

    কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সিতাইয়ে ভোটারের (Final voter List) সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৭৪ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯১। তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই এই কেন্দ্রে। মোট ৩০০টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। মাদারিহাট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৪৩ জন। পুরুষের থেকে মহিলা বেশি এখানে। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৬৭ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৭০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার রয়েছেন এই কেন্দ্রে। মোট ২২৬টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। বাঁকুড়ার তালড্যাংড়া কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৯৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫০৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই এই কেন্দ্রে। মোট পোলিং স্টেশন রয়েছে ২৬৪টি। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৩৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ৭৪ জন ও মহিলা ভোটার ৯৭ হাজার ৭৫৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার এই কেন্দ্রে রয়েছে ৪ জন। মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ২১০টি। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১০৩ জন। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭০৫ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৯৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৫ জন। এখানে পোলিং স্টেশন রয়েছে ২৭৯টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: থানায় ঢুকে ‘পুলিশকে মারধর’! অভিযুক্ত ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা, তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    South 24 Parganas: থানায় ঢুকে ‘পুলিশকে মারধর’! অভিযুক্ত ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা, তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। লক আপ থেকে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে। অভিযোগের তির ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বসুর দিকে। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিজির কাছে থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানা (South 24 Parganas) এলাকার রায়বাঘিনীর মোড়ে টহলরত পুলিশ মঙ্গলবার জয়ন্ত ঘড়াই নামে এক ব্যক্তিকে চাঁদা তোলার নামে জুলুমবাজির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তাঁকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগ, এরপরই অরিত্র বসু নামে এক তৃণমূল নেতা এলাকার লোকজনকে নিয়ে ক্যানিং থানায় ঢুকে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আটক জয়ন্ত ঘড়াইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। অভিযোগ, সেই সময় থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরও করেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খান ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ। পরে আরও লোকজন থানায় ঢুকে ঝামেলা করতে থাকেন। থানার আইসি-র গায়ে হাত তোলা হয়। দুজন সাব ইন্সপেক্টরকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে থানায় যান ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল। যদিও থানায় ঢুকে হামলার অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। জানা যাচ্ছে, পুলিশের দুই আধিকারিক সৃজন সারথী নামের এক সাব ইন্সপেক্টর ও দেবজ্যোতি সরকার নামে এএসআই পদমর্যাদার দুই আধিকারিককে বারইপুর জেলা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    ডিজিপি-র কাছে তদন্ত দাবি করলেন শুভেন্দু

    ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি ( Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘থানাতেই (South 24 Parganas) পুলিশকে মেরে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত ঘড়াইকে লকআপ থেকে বের করে আনেন অরিত্র বসু। অরিত্র ও জয়ন্ত দুজনই ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ দাসের ঘনিষ্ঠ। কালীপুজোর চাঁদার নামে তোলাবাজির অভিযোগ জয়ন্তর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে ক্যানিং থানার পুলিশ পৌঁছলে জয়ন্তর দলবলের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। পুলিশ জয়ন্তকে থানায় নিয়ে এলে দলবল নিয়ে চড়াও হন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অরিত্র বসু। এসআই-কে মারধর করে জয়ন্তকে লকআপ থেকে বের করে নিয়ে যান অরিত্র। তারপর থেকেই অরিত্র ও জয়ন্তকে বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন ক্যানিং থানার আইসি এবং এসডিপিও।” থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে ডিজিপি-র কাছে তদন্ত দাবি শুভেন্দুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শক্তির দেবী মা কালীর পুজো। এই বছর একই দিনে পড়েছে কালীপুজো (Kali Puja 2024) এবং দীপাবলি। সারা রাত ধরে চলবে মা কালীর আরাধনা। এই কালী পুজো হয়ে থাকে সাধারনত অমাবস্যায়। তিথি যোগে এই সময়পর্ব অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যলগ্ন। যে কোনও ভালো কাজের সফল কামনা করতে মায়ের পুজো করতে হয়। দেওয়া হয় দেবতার উদ্দেশে বলি। এই মা কালী হলেন দীপান্বিতা, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়। এবছর কালীপুজো এবং অমাবস্যার (Amavasya) সময়সূচি কেমন আসুন জেনে নিই।

    কোন সময়ে পুজো (Kali Puja 2024)

    মা কালীর পুজোর দিন হল আজ, বৃহস্পতিবার। এদিন রাতে মায়ের আরধনা হবে। তান্ত্রিক মতে এই রাতেই পুজো (Kali Puja 2024) হবে। বেণী মাধব শীলের পঞ্জিকা মতে, কার্তিক অমাবস্যা (Amavasya) তিথি পড়বে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বেলা ৩টে ৫২ মিনিটে। অমাবস্যার অবসান হবে ১ নভেম্বর ২০২৪ বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে। কালীপুজোর মূল সময় হল ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। কালী মায়ের উপাসনা সারা রাত ধরে হয়ে থাকে। এই ১ ঘণ্টা হল যে কোনও মানত পূরণে ভক্তের কাছে পুণ্যের বা শুভ সময়।

    আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    ধনতেরাস থেকে ভাতৃদ্বিতীয়া

    অনেকেই আবার কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিনে লক্ষ্মীর পুজোও করে থাকেন। কেউ কেউ গোবর্ধন পুজো করে থাকেন। এই দিনেই গোকূলকে রক্ষা করতে গোবর্ধন পর্বতকে নিজের আঙুলে তুলে নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তবে কোনও কোনও বছর দীপাবলি এবং কালীপুজো একদিন আগে পরেও হয়ে থাকে। কালীপুজোর আগের দিন থাকে ভূত চতুর্দশী। এবছর তা হবে বুধবার, ৩০ অক্টোবর। বাড়িতে ১৪ শাক এবং ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্ব পুরুষদের মুক্তি কামনা করা হয়। একই ভাবে অতৃপ্ত আত্মাকে শান্ত করতে বিশেষ উপাচার করা হয়। আবার ভূত চতুর্দশীর একদিন আগে ধনতেরাস বা ধন ত্রেয়োদশী পালন করা হয়। এদিন অনেকে মঙ্গল কামনায় সোনা-রূপা কেনেন। একই ভাবে কালীপুজোর ঠিক দুই দিন পর ভাতৃ দ্বিতীয়া পালিত হয়। ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় বোন বা দিদিরা ফোঁটা দিয়ে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ট্যাব (Tab) কেনার টাকা দিতে শুরু করে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু, অনেকের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছে। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের ভূমিকাও।

    বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি টাকা! (Tab)

    এ বারই প্রথম রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়াকে এই টাকা (Tab) দিচ্ছে। যা বাজেট পেশের সময়েই রাজ্যের পক্ষে জানানো হয়েছিল। প্রথমে ঠিক ছিল প্রতি বছরের মতো এ বারেও শিক্ষক দিবসের দিন ৫ সেপ্টেম্বর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। শেষ বেলায় তা পিছিয়ে যায়। তবে পুজোর আগেই টাকা পাঠানো শুরু করে দেয় শিক্ষা দফতর (Education Department)। দীপাবলি এসে গেলেও বেশির ভাগ পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা জমা পড়েনি। বিভিন্ন জেলা থেকেই এমন অভিযোগ এসেছে যে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা থেকে বঞ্চিত বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীরা। সরকারি পোর্টালে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত না থাকার কারণেই এই জটিলতা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠলেও শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলমাল হয়ে থাকলেও তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক হয়ে যাবে, সকলেই টাকা পাবে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘বৃত্তিমূলক শাখার পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা এখনও আসেনি। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নাম নেই বলেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।’’

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

     কী সাফাই দিল বিকাশ ভবন?

    শুধু বৃত্তিমূলক পড়ুয়ারাই নয়, বিভিন্ন জেলার কোথাও চার হাজার, কোথাও ছ’হাজার পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Tab) এখনও টাকা পৌঁছয়নি। তবে এই টাকা না পৌঁছনোর কারণ হিসেবে বিকাশ ভবনের দাবি, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল দেওয়া, অন্যের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া এমন কারণেও অনেকের টাকা পৌঁছায়নি। ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ায় অনেকের টাকা সেখানে চলে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তবে পুজোর ছুটি মিটে যেতেই দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে বিকাশ ভবন। ৩০ অক্টোবর থেকেই সব পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে কি না তার খোঁজ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু পড়ুয়া টাকা পাননি বলে অভিযোগ।

    সরকারি অর্থের অপচয়

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিদ্যালয়গুলোকে বাঁচাতে, পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে যদি এর দশ ভাগের এক ভাগ (Tab) তৎপরতা দেখাত, তা হলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা বেঁচে যেত। সরকারি অর্থের অপচয় কী ভাবে করতে হয় তা এই সরকারের কাছ থেকে শেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোয় বিশেষ মেট্রো ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। দর্শনার্থীদের যাতে ঠাকুর দর্শন এবং বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। কলকাতা শহর এবং শহরতলির প্রচুর মানুষ কালীপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। বড় বড় ক্লাব এবং প্রসিদ্ধ মন্দিরস্থল দর্শন করে থাকেন ভক্তরা। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।

    কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ব্যাপক লাইন পড়ে (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও (Kolkata Metro) ব্যাপক ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রচুর লাইন পড়ে। এবার যাতে ভক্তদের ভিড়ে অসুবিধা না হয় তাই গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো ট্রেনের সূচিতে বদল করা হয়েছে। মেট্রো জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে চার জোড়া বিশেষ মেট্রো ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো পড়েছে তাই শহরের কিছু বিখ্যাত ঠাকুর দেখার জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। সাধারণ দিনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়া হয় ৯টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে এই দুই স্টেশন থেকে আরও রাত পর্যন্ত অতরিক্ত দুটো করে মোট চারটি ট্রেন চলবে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    কোন কোন সময়ে চলবে মেট্রো

    মেট্রোর (Kolkata Metro) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯টা ৪০ মিনিটের পর রাত ১১টা পর্যন্ত, ২০ মিনিট অন্তর অন্তর স্পেশ্যাল মেট্রো চলবে। কবি সুভাষ থেকে যে চারটি বিশেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা, ১০টা ২০ মিনিট, ১০টা ৪০ মিনিট এবং ১১টায়। অপর দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে স্পেশ্যাল মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৮ মিনিট, ১০টা ০৮ মিনিট, ১০টা ২৮ মিনিট এবং ১০টা ৪৮ মিনিটে। তবে কালীপুজোতে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গ্রিন লাইনে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। এই লাইনে শিয়ালদা থেকে প্রথম ট্রেন চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। একই ভাবে সেক্টর ফাইভ থেকে ৭টা ৫ মিনিটে প্রথম ট্রেন চলবে। অন্যান্য দিন ওই লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ১০৬টি ট্রেন চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গ্রিন লাইনে ৯০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় সূচিতে তেমন পরিবর্তন হয়নি। পার্পেল লাইন, অরেঞ্জ লাইনে তেমন কিছু বদল নেই। একইভাবে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রোতে কোনও ভাবেই আতশবাজি বা দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বাইকে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খুঁজতে এনআইএ দিয়ে তদন্ত করার জন্য বার বার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবার এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করল এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ অগাস্ট রাতে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা। ঘটনায় মৃত্যু হয় জয়দেব মণ্ডল নামে এক বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাইক আরোহীর বাড়ি শালতোড়া থানারই ঝনকা এলাকায়। বাইকে চড়ে শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাইকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু, কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, ওই ব্যক্তি বাইকে করে বিস্ফোরক বহন করছিলেন কিনা তা নিয়ে এতদিন তদন্ত করছিল পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোরও হয়। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে পথে নামে বিজেপি। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকায় অবৈধ খননকাজের জন্যই বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ডিনামাইটের মতো ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক। স্পষ্ট অভিযোগ ছিল বিরোধী দলনেতার। শেষ পর্যন্ত এনআইএ মাঠে নামায় তদন্ত সঠিক পথে এগোবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেনি। কী কারণে বিস্ফোরণ হল এখনও পরিষ্কার নয়। এনআইএ তদন্তে সব কিছু এবার প্রকাশ্যে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেই মরচে ও পচন ধরেছে, এমনই অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে রোগীর পেট কাটতে গিয়ে মরচে ধরা কাঁচি ভেঙে যাওয়ার অভিযোগে সরব শুভেন্দু। শহরে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করার সময় চিকিৎসক দেখতে পান যে হাতের কাঁচি জং ধরা। জানা গিয়েছে, সদ্য মেডিক্যাল স্টোর থেকে নতুন কাঁচি হিসেবেই এগুলোকে পাঠানো হয়েছে। এই জং ধরা কাঁচি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারত ওই প্রসূতির অপারেশনে। নতুন স্টকের যে ক’টি কাঁচি বা সিজার এসেছে তার সবকটিতেই পুরনো জং ধরা কাঁচিতে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, চিকিৎসক সংগঠনের। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন ধরে গিয়েছে। ভালো ভালো যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সামগ্রী আরজি কর হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে নেতাদের হাসপাতালে পাঠানো এবং সেই শাসক ঘনিষ্ঠ হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলোর পচা এবং বাতিল যন্ত্রপাতি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে এই অবস্থাই হবে। জং ধরা কাঁচি পাওয়া গিয়েছে এরপর আরও অনেক কিছুই পাওয়া যাবে।’’

    আরও পড়ুন: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গিলোটিনে তোলা হয়েছে

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, এসএসকেএম নিয়ে একসময় গর্ব হতো, এখন বেহাল দশা। তিনি বলেন, ‘‘জং ধরা কাঁচি পাওয়া যাচ্ছে এসএসকেমে, যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, যে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। আমাদের তো বলার কিছু নেই। ১৩ বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় স্বাস্থ্য বাজেট হয় না। এরাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গিলোটিনে পাঠানো হয়েছে। এজন্য দায়ী রাজ্যের অপদার্থ-অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যিনি সন্দীপ ঘোষের মাথার উপরে হাত রেখেছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share