Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED Raid: শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    ED Raid: শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অন্য সন্দেশখালি। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে শাহজাহানের বাড়ির সামনে। ইডি আধিকারিকদের (ED Raid) ঘিরে ধরে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে জায়গায় মারধর শুরু করেছিল তৃণমূল কর্মীরা, বুধবার সকালে সেই জায়গাই বিলকুল ফাঁকা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম অনেক খুঁজেও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পেলনা। কেউই নাকি কিছুই দেখেননি। ইডি আধিকারিকদের (ED Raid) মারধরের দিন, কেউ দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। কেউ বাজারে গিয়েছিলেন। কেউ গিয়েছিলেন অন্য কোনও কাজে।

    ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    হাজার লোকের জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সেদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ওপরে। সেই সরবেড়িয়াতেই বুধবার ফের গিয়েছিল ইডি (ED Raid)। কিন্তু সেখানেই অস্বাভাবিক নীরবতা। শাহজাহান নিজের নামে বাজার তৈরি করেছেন। সেখানকার দোকানপাট সবই বন্ধ। কোনও এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে রাস্তাতেও বিশেষ লোকজন নেই। বুধবার রণসাজে সজ্জিত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি, পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা, সেই ঘটনা ঘটতে নাকি দেখতেই পাননি শাহজাহানের (ED Raid) গ্রামের বাসিন্দারা! কোনও সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউই মুখ খোলেননি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED Raid) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম দর্শনে অযোধ্যা যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি একদিনের সফরে অযোধ্যা যাবেন তিনি। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি বিধায়কেরা।  ওই দিনই আবার তাঁরা সকলে কলকাতায় ফিরবেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন, তারপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন। তাই এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে একদিনের সফরেই রামের আশীষ নিতে অযোধ্যা যাওয়ার ইচ্ছা বিরোধী দলনেতার।

    একদিনের ঝটিতি সফর

    দলীয় সূত্রের খবর, ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার রয়েছে। তাছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। বাজেটে যোগ দিতে বিজেপির উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত বিধায়করা বিধানসভায় আসবেন। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিমান পথে সেদিনই অযোধ্যা গিয়ে আবার ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কারণ, পরের দিন আবার বাজেট অধিবেশন রয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘রামমন্দির আসলে হিন্দুদের আবেগ। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করার পর সেই দিন এসেছে, তাই এমন একটি পবিত্র মন্দির দেখতে পাওয়া অনেক বড় বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’

    আরও পড়ুন: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধনের দিন দলীয় নেতাদের নিজ নিজ রাজ্যে থেকেই রামমন্দিরের সূচনাপর্ব উদ্‌যাপন করতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যেই। এবার তিনি অযোধ্যা যাবেন রাম দর্শনের জন্য। সোমবার অযোধ্যার নবনির্মিত রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেদিন ভিআইপি ছাড়া সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না মন্দির চত্বরে। সেই অর্থে মঙ্গলবারই ছিল সর্বসাধারণের জন্য রাম দর্শনের প্রথম দিন। মন্দির কমিটির হিসেব অনুযায়ী, প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই জন জোয়ার আরও তীব্রতর হবে বলেই অনুমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধিকারিকদের নিরাপত্তায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠাল ইডি।  এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন ইডির যুগ্ম নির্দেশক। ওই বাহিনী বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির সদর দফতরেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incidents) দফায় দফায় বেপরোয়া হামলার ঘটনার পর থেকেই সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কেন কোম্পানি চাইছে ইডি

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহনের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ওই রাতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বনগাঁয় গিয়ে আরও একবার হামলার মুখে পড়ে ইডি। তারপর ৬ জানুয়ারি থেকে বাড়ানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা। ধাপে ধাপে আনা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আর এবার নিজেদের জন্য এক কোম্পানি সিআরপিএফ চাইল ইডি। তবে অনেকে এর পিছনে অন্য কারণ দেখছেন। অনেকের অনুমান, আগামী দিনে আরও বড় কোনও নেতার বাড়িতে তল্লাশির প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই অভিযানে গেলে ইডি আধিকারিকদের বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    কী বলছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন সিবিআইয়ের জন্য বরাদ্দ বাহিনী নিয়ে অভিযানে যেতেন ইডি আধিকারিকরা। সেই বাহিনী থাকে নিজাম প্যালেসে। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না ইডি আধিকারিকরা। তাই ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে নিরাপত্তায় মোতায়েন বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে সিজিও কমপ্লেক্সে জওয়ানের সংখ্যা ছিল ১৫, এখন তা বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ১ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দরকার মতো ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে তল্লাশিতে যাবেন এই বাহিনীর সদস্যরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Cas) মামলায় এবার তলব তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয়কে। মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্করের যে সংস্থার হাতফের হয়ে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করা হত, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন মলয়। শুধু তাই নয়, মলয়ের স্ত্রী তানিয়া বনগাঁর মিল মালিক কালিদাস সাহার ভাগ্নি।

    আঢ্য ফোরেক্স

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শঙ্করকেও। এবার তলব করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। জ্যোতিপ্রিয় ছাড়া রেশন কেলেঙ্কারির যে ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর মারফত বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে কালিদাসের টাকাও রয়েছে বলে অনুমান ইডির। তৃণমূল নেতা শঙ্করের বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার নাম ‘আঢ্য ফোরেক্স’। এই (Ration Distribution Cas) সংস্থার ডিরেক্টর মলয়। ‘ত্রিনয়নী ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে শঙ্করের আরও একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা রয়েছে। মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নাম রয়েছে এই সংস্থায়। শঙ্করের একটি ভুয়ো সংস্থাও ছিল। ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই জাল সংস্থায় নাম ছিল সস্ত্রীক মলয়ের।

    বিদেশে পাচার হাজার হাজার কোটি টাকা 

    ইডি জেনেছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে শঙ্করের মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে। এই টাকার পরিমাণ ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দু’ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ‘আঢ্য ফোরেক্স’ মারফত। এর আগে তিনবার ইডি তলব করেছে মলয়কে। প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিন ফের একবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, মলয় এদিন ইডির সমন উপেক্ষা করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    শঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেও তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। প্রায় ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে ইডির জেরা-পর্বে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা বলেননি ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণার পর এবার সমন গেল তাঁর কাকু মলয়ের কাছে (Ration Distribution Cas)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TET OMR sheets: ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট পরিণত হয়েছে কাগজের ঠোঙায়

    TET OMR sheets: ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট পরিণত হয়েছে কাগজের ঠোঙায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট (TET OMR sheets) এখন কাগজের ঠোঙায় পরিণত হয়েছে তেলেভাজার দোকানে। মিলেছে ১০০ টির বেশি রোল নম্বর যুক্ত ছেড়া উত্তরপত্র। স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকাণ্ডে এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে বর্ধমান শহরে।

    রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতি মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ আরও একাধিক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তৃণমূল সরকার এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ব্যাপক চাপে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণরা চাকরি পাননি (TET OMR sheets)

    রাজ্যে টেট পাশ করা প্রার্থীরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের জন্য আন্দোলন করছেন। ২০১২ সাল থেকে টেটে পাশ করে এই রাজ্যের মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁরা লাগাতার নিজেদের প্রাপ্র্য চাকরি থেকে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে আন্দোলন করছেন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, মিছিল, ধরনা, অনশন সবরকম চেষ্টা করে সরকারের কাছে নিজেদের দাবি রাখছেন। কিন্তু সরকারের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর। নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই বর্ধমান শহরের তেলেভাজা দোকানে ঠোঙায় করে দেওয়া হচ্ছে চপ বেগুনি। এমনই একটি ঠোঙায় দেখা গেল টেটের ওএমআর (TET OMR sheets) শিটের চিত্র। এটি ২০১২ সালের টেটের শিটের একটি ছেড়া অংশ। সেখানে লেখা রয়েছে ১১০৫২৩০০ নম্বরের একটি রোল নম্বর। প্রশ্নের বুকলেটের জায়গায় রয়েছে সেই নম্বর।

    প্রায় ১০০ জন প্রার্থীর পরীক্ষার্থীর শিট কাগজের ঠোঙা

    এই ওএমআর (TET OMR sheets) শিটের নম্বর দেখে জানা গিয়েছে এই শিটের পরীক্ষার্থীর নাম স্বপন বেরা। একই রকম আরও অনেক ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রোল নম্বর ১১০৫২৪১৩, প্রার্থী হলেন কলকাতা নিবাসী সুরজিৎ দে। এছাড়াও আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের নাম শেখ সেলিম আহম্মদ, রোল নম্বর ১১০৫২২৯৯, মিলি বেহেরা তাঁর রোল নম্বর ছিল ৩৩০৫৯৯০৫, শত্রুঘ্ন দাশ তাঁর রোল নম্বর ছিল ১২০৩৬২০৯, শুভেন্দু মিশ্র, রোল নম্বর ১১০৫২৪১৬, এরকম পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ১০০ টির বেশি উত্তরপত্রের ওএমআর শিট এখন কাগজের ঠোঙা হিসাবে দোকানে দোকানে ঘুরছে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সরকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর মেলেনি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cheetah: কুনো ন্যাশনাল পার্কে ‘জোয়ালা’ চিতা জন্ম দিল ৩টি শাবকের

    Cheetah: কুনো ন্যাশনাল পার্কে ‘জোয়ালা’ চিতা জন্ম দিল ৩টি শাবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নামিবিয়া থেকে আনা ‘জোয়ালা’ চিতা (Cheetah), ৩টি শাবকের জন্ম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব এই চিতার বাচ্চা প্রসবের কথা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। একই ভাবে বন্য প্রাণী ও পশু প্রেমীদের অভিনন্দন জানান।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Cheetah)?

    তিনটি চিতা (Cheetah) শাবকের কথা জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব বলেন, “কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতার নতুন তিনটি শাবক জন্মগ্রহণ করেছে। নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা চিতা যার নাম ‘জোয়ালা’, তার তিনটি বাচ্চার জন্ম হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই নামিবিয়া থেকে আনা আশা নামে আরও একটি চিতা বাচ্চাদের জন্ম দিয়েছে। সমস্ত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিযুক্ত সকল যোদ্ধা এবং সারা দেশে বন্যপ্রাণী প্রেমীদের অভিনন্দন জানাই। ভারতের বন্যপ্রাণীরা আরও সমৃদ্ধ হোক এই কামনা করি।”

    ১৯৫২ থেকে ভারতে চিতা বিলুপ্তি

    ১৯৫২ সালে ভারতে চিতার (Cheetah) বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২২ সালে একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করে তাকে পুনরায় চালু করা হয়। এই সময় নামেবিয়া থেকে মোট ৮টি চিতা আনা হয় ভারতে। পরবর্তীকালে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা এনে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কুনো ন্যাশনাল পার্কেই ছাড়া হয়েছিল। এর ফলে দেশের বন্যপ্রাণী ও পশু প্রেমীরা ব্যাপক ভাবে উৎসাহ পেয়ছিলেন। উল্লেখ্য গত সপ্তাহে একটি চিতার মৃত্যু ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট সাতটি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা এবং তিনটি শাবকের মৃত্যু ঘটেছে। এই নিয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে কেন্দ্র সরকারের কাছে হলফনামা দিয়ে চিতা মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নবান্ন অভিযান ডাকুন, আমি সঙ্গে থাকব”, ডিএ আন্দোলনকারীদের আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নবান্ন অভিযান ডাকুন, আমি সঙ্গে থাকব”, ডিএ আন্দোলনকারীদের আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নবান্ন অভিযান ডাকুন, আমি সঙ্গে থাকব।” মঙ্গল-সকালে ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে এই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বকেয়া ডিএর দাবিতে কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের একাংশ শুরু করেছেন আমরণ অনশন।

    নবান্ন অভিযানের পরামর্শ

    এদিন সাত সকালে সটান এই মঞ্চেই হাজির হন শুভেন্দু। আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার পরামর্শ দেন। কড়া সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এঁদের যদি কিছু হয়, আগুন জ্বলবে বাংলায়। রাজ্য সরকারের দুর্নীতিতে এঁরা প্রশ্রয় দেননি বলেই ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিরুপ আচরণ করা হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলনে বিজেপির নিঃশর্ত সমর্থন রয়েছে।”

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতির খতিয়ান

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকারি কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনায় ঘর না দিয়ে তৃণমূলের নেতা নিজের গোয়াল ঘর দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে নিয়েছেন। এই সরকারি কর্মীরা দেখেছেন শৌচালয়ের টাকা গরিব মানুষকে না দিয়ে হাজার হাজার টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। এই সরকারি কর্মীরা দেখেছেন চুরি, এই সরকারি কর্মীরা দেখেছেন স্থায়ী ছ’ লক্ষ পোস্ট অবলুপ্ত করেছে সরকার। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন চার থেকে বারো হাজার।”

    আরও পড়ুুন: ‘রামের আলো’ থেকে বিদ্যুৎ! ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র ঘোষণা মোদির

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূল নেতারা কীভাবে বেকার ভাতার নামে ধাপ্পাবাজি করছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় কারচুপি হয়েছে, পিএসসির কর্মচারিরা আমায় সে তথ্য দেন। বামপন্থী কর্মীরা আমায় জানিয়েছেন মিড-ডে মিলের টাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণ করেছেন।” তিনি বলেন, “এ সবের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত। এই সরকারি কর্মীদের তিনি যে পাশে পাবেন না, তা আগেই বুঝে গিয়েছেন। তাই এঁদের ডিএ আটকে রয়েছে।” এর পরেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি সঙ্গে থাকব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mohan Bhagwat: ২ দিনের সফরে ফের বঙ্গে এলেন মোহন ভাগবত, রয়েছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ২ দিনের সফরে ফের বঙ্গে এলেন মোহন ভাগবত, রয়েছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ দিনের কর্মসূচি নিয়ে ফের বঙ্গ সফরে এলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সোমবার, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিলেন সরসঙ্ঘচালক। গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সেখান থেকেই সরাসরি রাতের বিমান ধরে কলকাতায় আসেন সঙ্ঘ প্রধান। জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন তিনি।

    ২ দিনের সফরে কলকাতায় মোহন ভাগবত

    সোমবার রাতে কলকাতায় আসেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। রাত্রিবাস করেন কেশব ভবনে। জানা গিয়েছে, আজ ও আগামিকাল— বঙ্গে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। যদিও, সূত্রের খবর, তাঁর এই সফর সাংগঠনিক নয়, ব্যক্তিগত। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার, উত্তর কলকাতায় শোভাবাজার এলাকায় এক সঙ্ঘকর্তার (RSS) মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এর পাশাপাশি, এদিনই বারাসাতে ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন। এদিন তিনি কলকাতায় সঙ্ঘের দফতর কেশব ভবনে থাকবেন। আগামিকাল তিনি ফিরে যাবেন।

    ২ মাসে ২ বার রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    ২ মাসে ২ বার রাজ্যে এলেন আরএসএস (RSS) প্রধান। এর আগে, ডিসেম্বরের গোড়ায় তিনি এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সেবার তিনি দেখা করেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের সঙ্গে। এছাড়া, প্রবীণ অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকে বিশিষ্ট তবলা বাদক বিক্রম ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী জয়া শীলের বাড়িতে যান। শেষে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্ঘ প্রধানের বঙ্গ সফর নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, উনি বছরে বেশ কয়েকবারই এ রাজ্যে আসেন। আরএসএসের কাজের কিছু ধরন রয়েছে। প্রচারে আসে না বলে অনেকে তা জানতে পারেন না।

    রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানে কী বলেছেন ভাগবত?

    সোমবার, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সরসঙ্ঘচালক (RSS) বলেন, “আজ ৫০০ বছর পরে, রামলালা এখানে ফিরে এসেছেন এবং তাঁর প্রচেষ্টার ফলে আমরা আজ এই সোনালী দিন দেখতে পাচ্ছি, আমরা তাঁকে আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা জানাই। এই যুগের ইতিহাসে এতই শক্তি আছে যে, যেই রামলালার গল্প শুনবে তাঁর সব দুঃখ-বেদনা মুছে যাবে।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আজকের অনুষ্ঠান এক নতুন ভারতের প্রতীক। যা সমগ্র বিশ্বকে সাহায্য করবে। সর্বত্র রাম আছেন জেনে আমাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। একত্রে থাকাই ধর্মের যথার্থ অনুশীলন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে বাংলার ‘রাম রঘুনাথের বাড়ি’ যেন অযোধ্যাধাম

    Murshidabad: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে বাংলার ‘রাম রঘুনাথের বাড়ি’ যেন অযোধ্যাধাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বহরমপুরের খাগড়া এলাকাতেও রামের পুজো হয়। এখানে দীর্ঘ প্রায় ৮০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন শ্রীরাম। তবে এই রাম, রঘুনাথ নামে পরিচিত। বাংলা যে রামনবমীর ঐতিহ্য রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। খাগড়ায় রাম রঘুনাথের বাড়িতেও রাম নবমীর দিনে ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালিত হয় ধর্মীয় উৎসব। অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণে পূজিত হলেন এই মন্দিরের রাম রঘুনাথ। তাই বাংলার এই ‘রাম রঘুনাথের বাড়ি’ যেন অযোধ্যাধামে পরিণত হল। 

    মন্দিরে কাঠের মূর্তি শ্রীরাম (Murshidabad)

    খাগড়ার (Murshidabad) রাম রঘুনাথের বাড়িতে রাম, লক্ষ্মণ ও সীতার মূর্তি হল কাঠের মূর্তি। আগে যে মন্দিরটি ছিল সেটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পাশে স্মৃতি বহন করে চলেছে। যখন থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তখন থেকেই এই রাম রঘুনাথের বাড়ির সদস্য নমিতা মজুমদার কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছেন। আজকে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দিনে প্রধানমন্ত্রী যখন রাম মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করবেন, ঠিক সেই সময় এই মন্দিরে রাম রঘুনাথের কাঠের মূর্তির বিশেষ পুজো করলেন বাড়ির সদস্যরা। 

    কী বলেন বাড়ির সদস্য?

    বাড়ির (Murshidabad) সদস্য নমিতা মজুমদার তিনি জানান, “আমাদের বাড়ি রাম রঘুনাথের বাড়ি বলে পরিচিত। প্রত্যেক বছর রামনবমীর দিনে আমাদের বাড়ির মন্দিরে শ্রীরামের পূজা এবং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করছেন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছেন, তাই আমারাও রাম রঘুনাথের পুজো করলাম। এই রাম রঘুনাথ আমাদের কুলদেবতা। আমরা ৮০০ বছরের এই বিগ্রহের পুজো করে আসছি। আজ রাম লালার অভিষেকের দিনে রঘুনাথকে আরতি করে পূজা-অর্চনা করা হয়েছে। রামের জন্মভূমিতে আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাড়িতও যেন একটা অযোধ্যাধামে পরিণত হয়েছে। আজকের পুজোপাঠ, প্রসাদ বিতরণ, রামকথা পাঠ সব মিলিয়ে এক বড় উৎসবের আকার ধারণ করেছে। আমরা ভীষণ খুশি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee Sanghati Rally: ‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি’, সংহতি যাত্রা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপির

    Mamata Banerjee Sanghati Rally: ‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি’, সংহতি যাত্রা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির তুষ্টিকরণ করে বাংলার দশ কোটি মানুষকে আলাদা করার চেষ্টা করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে তৃণমূলের সংহতি যাত্রাকে কটাক্ষ করল বিজেপি। ৫০০ বছর লড়াইয়ের পর রাম এদিন তাঁর নতুন গৃহে প্রবেশ করেন। রাম সর্বদাই সর্বত্র বিরাজমান। তাই এদিন মমতার এই মিছিল বিজেপির মতে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই রাজনীতি করে তিনি বাংলাকে আলাদা করতে চাইছেন বলে অভিমত গেরুয়া শিবিরের।

    শুভেন্দু যা বললেন

    এই মিছিল প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া, অন্য কোনও রাজ্যে এইভাবে প্রকাশ্যে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন পাল্টা কর্মসূচি ডেকে, পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়নি। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন।’ শুভেন্দু বলেন, ‘উনি ২টো কারণে মিছিল করছেন, মুসলিম ভোটকে লোকসভা ভোটের আগে একজোট করার জন্য। কারণ ওনার কাছ থেকে মুসলিম ভোট সরে গেছে। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবাই ওনাকে চোর বলে ডাকে। তাই তিনি মুসলিম ভোট ফেরাতে চান। দ্বিতীয় তিনি, রাজ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে যারা গেরুয়া ধ্বজ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন তাদেরকে জেলে পুরতে চান। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একাধিক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে ফোন করে ‘না’ বলা হয়েছে। হাজার হাজার জায়গায় তৃণমূলের কাউন্সিলররা রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছে’।

    সুকান্তর তোপ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাম নিজেই সম্প্রীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। রাম সবার। সেজন্যই তৃণমূল কংগ্রেস সহ যারা এই ধরণের সম্প্রীতি যাত্রা, সম্প্রীতি সভা যা করার চেষ্টা করছেন, এগুলো আসলে উস্কানিমূলক কাজকর্ম তার বেশি কিছু না।’ এদিন সিঙ্গুর স্টেশন সংলগ্ন রাম মন্দিরে পূজো দিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি শুধুমাত্র ভোটের পলিটিক্সের জন্য রামের মধ্যে ধর্ম ঢোকাচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গটাকে দেশ থেকে আলাদা করতে চাইছেন। ১৪০ কোটি মানুষ আজ রাম নাম করছেন, আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী রামের বিরুদ্ধে গিয়ে মিছিল করছেন। উনার কোনওদিন ভালো হতে পারে না।’ 

    আরও পড়ুন: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    সংহতি কোথায়?

    সোমবার দুপুর ৩টেয় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর হাজরা মোড় থেকেই মিছিল শুরু করেন তিনি। পার্ক সার্কাস ময়দানে মিছিল শেষ হবে। এরইমাঝে একটি গির্জা ও একটি মসজিদেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মিছিলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই সংহতির নামে পশ্চিমবাংলায় সব জায়গায় গান গাওয়া হয়েছে। সেই দেশভাগের পর থেকে সংহতির আয়োজন আগেও ছিল। কেন সংহতি হয়নি? যাঁরা সংহতি মিছিলের নামে সংহতি নষ্ট করেন, তাঁরা আবার রাস্তায় নেমেছেন। কেবল যাঁরা টিএমসির উচ্ছিষ্টভোগী, তাঁদের আমলে করে খাচ্ছে সেরকম কিছু দোকলা লোক যাবে।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share