Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jadavpur University: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    Jadavpur University: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে ভয়াবহ র‌্যাগিং করা হয়েছিল নদিয়া থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে। বাকি ব্লকগুলিতে অল্পবিস্তর র‌্যাগিং হলেও, এই ব্লকটি ছিল ছাত্রদের কাছে ত্রাস। প্রাণভয়ে এই হস্টেলে কখনও নজরদারি করতে আসতেন না স্বয়ং সুপারও।

    কী করতে হত ‘বাচ্চা’দের?

    রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৬ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত এই ব্লকের ৫৯, ১০৪, ১০৮, ১১০ এবং ১১৪ নম্বর রুমে ভয়াবহ র‌্যাগিংয়ের আসর বসে। হস্টেলের সিনিয়ররা জুনিয়রদের ‘বাচ্চা’ বলে ডাকেন। এই বাচ্চাদের সবসময় ফুল প্যান্ট পরতে হবে। ঘড়ি পরা চলবে না। চুলের ছাঁট হবে মিলিটারিদের মতো। সিনিয়রদের সামনে ফোনে কথা বলা যাবে না। সিনিয়রদের (Jadavpur University) জলের বোতল ভরে দেওয়া, খাবার কিনে আনা, মদ, বিড়ি, সিগারেট – যখন যা প্রয়োজন এনে দিতে হবে জুনিয়রদের। তাঁদের জামাকাপড় কেচে দিতে হবে। করে দিতে হবে পড়াশোনা সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্টও।

    নগ্ন হয়ে দেখাতে হবে নাচ 

    পরিচয় পর্বে জুনিয়রদের পার্শ্ববর্তী পুলিশ কোয়ার্টারের মহিলাদের উদ্দেশে বাংলায় গালিগালাজ করতে হবে। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নাচ দেখাতে হবে সিনিয়রদের। কাউকে আলমারির ওপর উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কাউকে আবার দেওয়ালে ঘষতে হবে মুখ। খাটের তলা দিয়ে হামাগুড়ি দিতে হত কাউকে। কাউকে আবার দিতে হত ব্যাঙ-লাফ। পারফর্মেন্স খারাপ হলে বাড়ত র‌্যাগিংয়ের মাত্রা। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই ব্লককে ‘মোস্ট নটোরিয়াস’, ‘ফিয়ার-সাইকোসিস’আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের অভিযোগ, এই ব্লকটি ছিল ‘কালেক্টিভ’ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের ডেরা।

    আরও পড়ুুন: পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন! গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু নতুনের

    র‌্যাগিংয়ে যুক্ত পাসড আউট ৬জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। হস্টেলে (Jadavpur University) ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক আরও ২৫ জন প্রাক্তনী ও বহিরাগতের। ইউজি তৃতীয় বর্ষের পাঁচজন পড়ুয়াকে চারটি সেমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড এবং হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। ১১ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে দুটি সেমেস্টারের জন্য ক্যাম্পাসে ও সারা জীবনের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হোক। ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার ও হস্টেল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। এ-২ ব্লকের মোট ৯৫ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Price Hike: গণেশ পুজোয় অগ্নিমূল্য ফল-ফুলের দাম, কেমন রয়েছে বাজারদর?

    Price Hike: গণেশ পুজোয় অগ্নিমূল্য ফল-ফুলের দাম, কেমন রয়েছে বাজারদর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিমূল্য বাজারের জেরে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড়। উপলক্ষ– বিশ্বকর্মা, রান্না পুজো ও গণেশ পুজো। এক লাফে সবুজ শাক সবজি এবং ফলমূলের বাজার অনেকটাই চড়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে কলকাতার বাজারে চড়া দরে বিকিয়েছে ফল। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে শশা, কলা, পেয়ারা, লেবুর মতো ফল। শশার প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৮০-১০০ টাকা। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আপেল, লেবুও। পাশাপাশি জামরুল, আঙুরে হাত ঠেকানো দায়।

    ফলের দাম জানেন

    আজ আবার গণেশ পুজো। তাতেও ফল তো দরকারই। দাম যা-ই হোক তা-ও কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সকলে। এদিন কলকাতা ও শহরতলির বাজারে পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। রীতিমতো হাতে তীব্র দামের ছ্যাঁকা দিচ্ছে জামরুল। ৪৫০- ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জামরুল। নাসপাতি তুলনামূলক সস্তা দামে বিকোচ্ছে। নাসপাতির প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১০০-১৫০ টাকা। ফলের খুচরো বাজারে শহরতলিতে বেদানার কেজি রয়েছে ২০০ টাকা। এছাড়া আঙুরের প্রতি কেজিতে দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০- ৩৫০ টাকা।

    গণেশ পুজোতে ফুলের বাজারও আগুন

    বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলায় মায় শহর কলকাতা, গণেশ পুজো বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের দামও। সাধারণ গাঁদা-রজনীগন্ধার মালা স্বাভাবিকের তুলনায়  ২-৩ গুণ দরে বিকোচ্ছে। হাওড়ার ফুল ব্যবসায়ীদের মতে, উৎসবের মরশুমে এমনিতে দাম চড়া থাকে। তার ওপর গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে, ফুলের দাম আরও বেড়ে গিয়েছে। ফুলেও হাত ঠেকানো যাচ্ছে না। ১৫ টাকার মালা ২৫ টাকা, ২৫ টাকার মালা বিকোচ্ছে ৫০ টাকায়।

    আরও পড়ুুন: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    সবজিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না

    সবজি বাজারেও হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ আলু, পটল, লাউ, বেগুনের দাম অন্য দিনের তুলনায় বেশি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রয়োজনের অর্ধেক আনাজপাতি ও পুজোর উপকরণ কিনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। সোমবার গিয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। আগের দিন আবার রান্না পুজো। রান্না পুজোর মূল উপকরণ চিংড়ি ও ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে খাদ্য রসিক এপার বাংলার গৃহস্থের। গত ২ দিন মাছের দরও ছিল আকাশছোঁয়া। ২০- ২২ টাকা কেজি দরে কেনা যাচ্ছে জ্যোতি আলু। পটলের কেজি রয়েছে ৬০ টাকা। তুলনামূলক সস্তা হয়েছে টমেটোও। মাত্র এক মাস আগেই টমেটোর দামে গেল গেল রব উঠেছিল। তা এখন শান্ত। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। কাঁচা লঙ্কার প্রতি ১০০ গ্রামের দাম রয়েছে ১০ টাকা। এই দাম দেড় মাস আগে ছিল ২৫-৩০ টাকার আশেপাশে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এই মামলায় ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানবে আদালত। তার পরেই জানা যাবে, কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হবে নাকি আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করবে আদালত।

    ২৬ মামলা দায়ের

    চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক হিংসা। পুরো নির্বাচন-পর্বে যার বলি হন একজন ভোটার সহ মোট ৫৪ জন। নির্বাচন পর্বে সব মিলিয়ে দায়ের হয় ২৬টি মামলা। এর মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রসের নেতা অধীর চৌধুরী, প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল এবং সিপিএমের জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের মামলাই মূল মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, এই মর্মে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু, অধীর সহ আরও অনেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয় বলেও অভিযোগ।

    হলফনামা চাইল আদালত 

    আদালত অবমাননা প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য ও কমিশনের কাছ থেকে হলফনামা তলব করেছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতজন মারা গিয়েছেন, কতজন হোমগার্ডকে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল, রাজ্যের প্রকল্প অনুযায়ী কোন কোন মৃতের পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন, আহত বা গুরুতর আহতরা কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন না। নির্বাচন-পর্বে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের নাম-ধাম সহ সম্পূর্ণ তালিকা দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ৬ দিন পার! এখনও চলছে অনন্তনাগ অভিযান, উদ্ধার এক জঙ্গির পোড়া দেহ

    মৃতদের পরিবারের যাঁরা হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা দু’ লক্ষ করে টাকা পেয়েছেন, তাঁদের সবার নাম সহ যাবতীয় তথ্য হলফনামা আকারে ২৬ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে। মামলাকারীর অভিযোগ, এতদিনে মাত্র ১৭ জন সেই চাকরি পেয়েছেন। বাকিদের কী হল, তা-ই জানতে চায় আদালত (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Weather Update:  সকাল থেকে রোদ-ছায়ার লুকোচুরি! কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: সকাল থেকে রোদ-ছায়ার লুকোচুরি! কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজোয় সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা। তবে বেলা বাড়তে মেঘ সরিয়ে সূয্যি মামার দেখা মিলেছে। তবে হাওয়া নেই। তাই আকাশে ঘুড়ির দেখা নেই। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দিনভর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ ভিজতে পারে বৃষ্টিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আবারও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা সংলগ্ন উপকূলে এর অভিমুখ।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির আরও একটি স্পেল চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সোমবার ও বুধবার অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজোয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়।

    শহরে হতে পারে বৃষ্টি

    শহর কলকাতায়ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশই থাকবে দিনভর। সোমবার সকালে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। বেলা বাড়লে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬০ থেকে ৯৪ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন! কাল নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত সেখানে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় বাড়বে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার থেকে আবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল রান্না পুজো। শনিবার রান্না পুজোর বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান বাঙালির। বাজারে ইলিশ (Hilsa Fish) অমিল। যা গুটি-কয়েক রয়েছে, তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় উত্তাল সমুদ্র। যার জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে। ফলে রান্না পুজোর আগে বাজারে ইলিশ মিলছে না। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durgapuja) এবার জমিয়ে পেটপুজো করা যাবে ইলিশ (Hilsa) দিয়ে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী শুক্রবার জানিয়েছেন সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে ইলিশ রফতানি নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গকে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। 

    রান্না পুজোয় পাতে ইলিশ নেই

    ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে গিয়েছে। তবুও ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কমছে না। দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার থেকে ইলিশের জোগান নেহাতই কম। যেটুকু ইলিশ মিলছে বাজারে, তার দাম আকাশছোঁয়া।ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে যন্ত্রদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর রান্নাঘরে যাঁরা হাতা-খুন্তি নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন তাঁরা মাতেন রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসবে। এই উৎসবের মধ্যমণি অবশ্যই ইলিশ। তবে এবছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। 

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    পুজোর প্লেটে ইলিশ থাকার সম্ভাবনা

    বাঙালির এই প্রিয় মাছ নিয়ে রীতিমতো শঙ্কার মেঘ তৈরি হলেও শেষমেশ দরাজ মনে ইলিশ (Hilsa Fish) পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। পুজোর আগেই বাংলা তথা ভারতে ঢুকবে ৫ হাজার টন ইলিশ।  বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “গত বছর আমরা পাঁচ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠিয়েছিলাম। এই বছরও সেই পরিমাণ ইলিশই রফতানি করা হবে।” যদিও বাংলাদেশের বাজারে এর জন্য আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ইলিশ নিয়মিত দিই না। কিন্তু, দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি ইলিশ খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আমরা এই উৎসবে ইলিশ পাঠিয়ে থাকি। ঠিক যেমন আমের মরশুমে আম। উৎসবের সময় ১৫ দিনের জন্য তাই ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দেওয়া হচ্ছে।” বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকলে দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। শনিবার সকাল ৯:৫২ মিনিটে দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ঘটনাটি ঘটে। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোন খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার (Dumdum Train Derailed) সময় ট্রেনের গতিবেগ খুবই কম ছিল যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। তবে এটাই প্রথম নয় গত পাঁচ দিনে এনিয়ে, দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনের কাছে। মঙ্গলবারই মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদাগামী একটি ট্রেন। স্টেশনে ট্রেন না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারছিলে না যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে।

    লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন  

    জানা গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালে চার ও পাঁচ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। এক রেলযাত্রী বলেন, ‘‘আচমকাই একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা একে ওপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। তখন ব্যাপারটা সেভাবে বুঝতেই পারিনি। ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই লাইন দিয়ে নীচে নেমে আসেন। তারপর বুঝি লাইনচ্যুত (Dumdum Train Derailed) হয়েছে ট্রেন।’’

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    রেলের বিবৃতি 

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের (Dumdum Train Derailed) মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার ওসি, আইসি কিংবা বিডিও-কার্যত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের ভূমিকাও একইরকম। শাসকদলের ব্যাটন এখন দলের নেতাদের থেকে আমলাদের হাত বেশি। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ দলেরই কর্মীদের একাংশই একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নেতাকে পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ না হলে তার পদে ঠিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আনন্দবাজার পত্রিকার খড়গপুরের প্রতিনিধি দেবমাল্য বাগচীকে গ্রেফতার করার ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    নদিনের মাথায় দেবমাল্যের জামিন, শর্ত কী জানেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পরে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফশিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩৫৪বি, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয় দেবমাল্য এবং বাসন্তী দাসকে। বাসন্তীদেবী চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আর দেবমাল্য সেই খবর প্রকাশিত করেছিলেন। গ্রেফতারের ৯ দিন পর তিনি মুক্তি পান। জামিনের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, যে এলাকায় অভিযোগকারী থাকেন, আগামী ১৪ দিন সেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় (অর্থাৎ খড়্গপুরে) দেবমাল্য এবং বাসন্তী ঢুকতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

    দেবমাল্যকে গ্রেফতারের পিছনে আসল কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে জানেন?

    খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্যই এই রমরমা এবং কীভাবে বাড়িতে বসে বসেই চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে তা বিশদে তুলে ধরেন দেবমাল্য। গত ২৭ অগাস্ট আনন্দবাজার পত্রিকার খড়্গপুর সংস্করণে খবর প্রকাশের পরেই স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ ওই চোলাই ঠেকের কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু মূল অভিযুক্তরা পালায়। এই ঘটনার পর, বাসন্তী দাস নামে ওই মহিলা যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে চোলাই মদের কারবারিরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই চোলাই কারবারিদের থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয় পুলিশ। সেই মাসোহারা পুলিশের বিভিন্ন মহলে পৌঁছে যেত। এই মৌচাকেই ঢিল মেরেছিলেন দেবমাল্য। আর পুলিশের চেহারা জনগনের কাছে বেআব্রু করে দিয়েছিলেন। এবার পুলিশ যেটা বিরোধী দল বিজেপি ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে করছে, মিথ্যা কেস দিয়ে লকআপে ঢোকানো, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই বাহদুরি কাজ দেখিয়েছে পুলিশ। খোদ বিরোধী দলনেতা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

    দেবমাল্য গ্রেফতারি নিয়ে কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাটি টুইট করে লিখছেন, অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাস এবং এলাকার অন্যান্য মহিলারা ওইখানকার কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এই অবৈধ ব্যবসাকে আইনত বাধা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। ওই এলাকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল যে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে খবর হতেই শোরগোল পড়ে। সংবাদ সংস্থার বাধ্যতা তাঁর কাছে অজানা নয়। তাঁরা ‘নির্লজ্জভাবে নীরব’ কারণ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিজ্ঞাপন রাজস্বের উপর তাদের নির্ভর করে চলতে হয়। ছদ্ম উদারপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীরাও খানিক এই কারণেই চুপ।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দল থেকে আদিবাসী সংগঠন

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, এই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপির বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।

    কী বললেন দেবমাল্য?

    জামিনে মুক্তি পেয়ে দেবমাল্য বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই, এখনই এই ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে যা বলার তা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করতে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে প্রতারকরা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যেখানে এটিএম থাকে না অথবা ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই, সেখানে সিএসপি সেন্টারের উপরে নির্ভর করতে হয় গ্রাহকদের। এখানেই তাদের দিতে হয় যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য (Biometric Fraud)। তাই সেক্ষেত্রে এই সিএসপি সেন্টারের কোনও কোনও কর্মীর জোগসাজশে প্রতারকরা বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং জালিয়াতি করে।  

    সম্প্রতি কলকাতার মহেশতলাতেও এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখেন, তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে (Biometric Fraud)। প্রসেনজিৎ বাবু বলতে থাকেন, তিনি টাকা তোলেননি। মহেশতলার এই প্রোমোটার তখন মনে করেন যে প্রায় দু মাস আগে তিনি জমির রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কেউ তথ্য চুরি করেছে।  বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি অফিসগুলি এখন বায়োমেট্রিক তথ্যচুরির ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। ফাঁদ পেতে বসে থাকে প্রতারকরা এবং বায়োমেট্রিক চুরি করে তথ্য। 

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক আধিকারিকের কথায়, সম্প্রতি এই অভিযোগ লাগাতার আসছে আমাদের কাছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাঁরা ওটিপি শেয়ার (Biometric Fraud) করেননি। কারও কথায় তাঁরা কোনও লিঙ্কও খোলেননি, অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারীরা আরও জানাচ্ছেন যে মেসেজে লেখা হচ্ছে আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)-এর মাধ্যমে টাকা তোলা হচ্ছে। এইপিএস হল এক ধরনের সুবিধা যেখানে এটিএম কাউন্টার নেই সেখানে এই পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। 

    কীভাবে মিলবে রেহাই

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা বলছেন, মোবাইল ফোনে mAdhaar অ্যাপ রয়েছে। এটি ইনস্টল করে আধার অথেন্টিকেশন করতে হবে। এরপরে বায়োমেট্রিক (Biometric Fraud) অথেন্টিকেশন অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক লক করে দেওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে নিজের যে কোনও কাজে প্রয়োজন হলে আবার এটি খোলা যেতে পারে। বায়োমেট্রিক লক থাকলে তার অপব্যবহার হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share