Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তার জেরে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হলফনামা জমা দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে চাওয়া হয় হলফনামা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।

    কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে, তা আটকে রেখে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যদি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোনও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারে না? এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না?”

    কী জবাব দিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী?

    কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “সংবিধান রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।”

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন (Calcutta High Court), “একটি বিল যাওয়ার পরে রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিলটি তাঁর কাছে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রাজ্যপাল এই তিনটি পদক্ষেপের কোনওটিই করেননি।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৫ জুন বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। বিলটিতে তিনি সই করলে সেটি আইনে পরিণত হত। রাজ্যপাল বিলটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এর প্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Loksabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Elections 2024)। তার আগে ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে জেলাশাসকদের সতর্ক করে দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পদমর্যাদার দুই আধিকারিক ধর্মেন্দ্র সাউ ও নীতীন ব্যাস।

    কমিশনের কড়া নির্দেশ

    সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোটার তালিকায় কোনওরকম ত্রুটি থাকা চলবে না। সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। ধর্মেন্দ্র ও নীতীন জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে যেসব নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কমিশনের নির্দেশ যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা না হয়।

    ভোটার তালিকা প্রকাশ কবে?

    ভোটার তালিকা সংশোধনের পর ১ নভেম্বর সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, এমনই ঠিক আছে। ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে অভিযোগের আঙুল তুলতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক হয়ে এগোতে হবে। বুথগুলোকে (Loksabha Elections 2024) এখনই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। সেখানকার সুবিধা-অসুবিধাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    জেলাশাসকদের সঙ্গে নির্বাচনী আধিকারিকদের এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। প্রত্যেক জেলাশাসকের  সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন তাঁরা। এদিন জেলাশাসকদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভোটারের নাম (Loksabha Elections 2024) যেন দু’ জায়গায় না থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দু’ জায়গায় নাম থাকলে কমিশনের নিয়ম মেনে একটি জায়গা থেকে নাম বাদ দিতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে নতুন ভোটাররা যাতে প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হন, সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। কাটাতে হবে প্রতিকূলতা। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, এদিন তার তালিকা জমা নেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। এই সব অভিযোগের নিষ্পত্তি কীভাবে হয়েছে, তাও শোনেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Bengal Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুর থেকেই আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামল কলকাতায় (Kolkata)। সকাল থেকে গুমোট গরমে হাঁসফাঁস করছিল শহরবাসী, কিন্তু দুপুরের পরে তুমুল বৃষ্টিতে কাটল সেই অস্বস্তি। হাওয়া অফিস (Bengal Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে টানা চারদিন এমনই বৃষ্টি (Rain) হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।  হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরেই আগামী চারদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Bengal Weather Update) সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার কথা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের দু’একটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শুক্রবার অবধি। কলকাতা সহ বাকি জেলার দু’একটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণাবর্তের কারণে বুধবার থেকেই তাপমাত্রা একটু কমবে।

    উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে অল্প। মঙ্গল এবং বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদহের কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী কয়েকদিন। সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত। এদিকে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আগামী কয়েকদিন। এই সপ্তাহে উত্তরের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    শহরের আবহাওয়া

    মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাস অনুযায়ী, শহরে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে। মঙ্গলবার সকালে শহরের আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। দুপুর গড়াতেই মেঘের চাদরে ঢাকল সূর্য। কয়েক পশলা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বেশ কিছু অঞ্চল। আগামিকাল, বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। এর জেরে গোটা দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা। 

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্কুলের হদিশ মিলেছিল। এবার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও (Manik Bhattacharya) স্কুলের সন্ধান পেলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল ইডি। মানিককে আদালতে হাজির করানোর অনুমিতও চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, আপাতত এর প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে শুনানির সময় কোনও অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় না।

    মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?

    আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একটা স্কুলের সন্ধান পেয়েছি। পার্থর মতো মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।” মানিকের আইনজীবী অবশ্য জানান, যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকারি স্কুল এবং তা একশো বছরের পুরনো। মানিকের মালিকানাধীন কোনও বেসরকারি স্কুল নেই।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’

    এর আগে মানিককে (Manik Bhattacharya) নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছিল ইডি। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ইডির তদন্ত নিয়ে এদিনও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কী করেছেন?” ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। খিরিন্দা মৌজায় সাড়ে তিন একর জমিতে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য তাঁর মামার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে স্কুলটি করেছিলেন। পার্থ নিজেও দু’ বার গিয়েছিলেন স্কুলটিতে। ইডির দাবি, এরকম একটি স্কুল রয়েছে মানিকেরও।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    এদিকে, এদিন বিচারপতি ঘোষের এজলাসে শুনানি হয়নি মানিক (Manik Bhattacharya) ও তাঁর ছেলে সৌভিকের জামিনের আবেদনের। অগাস্টে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে নিয়োগ মামলায় জামিন দেয় আদলত। তার পর থেকেই বিচারপতি ঘোষের এজলাসে জামিনের আবেদন করতে শুরু করেন নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা। এই তালিকায় পার্থর পাশাপাশি রয়েছেন মানিক ও তাঁর পুত্র সৌভিকও। ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’!  মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে (Mamata Foreign Tour) যাচ্ছেন। আগেও বহুবার গিয়েছেন কিন্তু রাজ্যে শিল্পের প্রসার চোখে পড়েনি, অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, “টাকার সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট হল দুবাই। যা আগেই রেডি করেছেন ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।”  তিনি বলেন, ভোটের আগে ডাবল ডাবল চাকরি, ছয়মাসে শিল্প এনে দেখিয়ে দেবো, এইসব প্রতিশ্রুতির তিনি কিছুই করতে পারেননি। এবার সেই আবারও মিথ্যার আশ্রয়। 

    টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই!

    স্পেন যাওয়ার আগে একদিন দুবাইতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, পাশ্চাত্যের দেশে যেতে দুবাইকেই কেন ট্রানজিট পয়েন্ট করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘দুবাইয়ে টাকা সাইফন হচ্ছে। দুবাইতে কিছু আইন আছে যেখানে বেআইনি টাকা সাইফন হয়। এর আগে ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী ও ভাইপোর শ্যালিকা প্লট রেডি করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্লটের সাক্ষী। তিনি দুবাইকে ট্রানজিট পয়েন্ট করেছেন স্পেনে যাওয়ার জন্য নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাওলার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা তার পরিবার সরাচ্ছে সেই টাকাকে ওখানে সুরক্ষিত করার জন্য’। উল্লেখ্য, গত মাসেই বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও দুবাই হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। 

    রাজ্যের দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকা

    নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের (Mamata Foreign Tour) সময় রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে। এব্যাপারে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল দলের একটাই পোস্ট আর বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। বিধান রায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু বিদেশ সফরে গেলে সিনিয়র মোস্ট সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বিশ্বাস করেন না, তাই এক শীর্ষ আমলাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন।” শুভেন্দু আরও বলেন, “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর আমাকে জেলে ঢোকাতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। যা পুরোটাই জনসাধারণের। কিন্তু আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল, আমি সহজে মাথা নত করব না।” 

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেন বিদেশ সফরে মমতা

    মঙ্গলবার সকালে ১২ দিনের বিদেশ সফরে দুবাই, স্পেনের মাদ্রিদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। মূলত বিনিয়োগ টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন দুবাইয়ে একটি বাণিজ্য সম্মেলন ও প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। স্পেনেও একটি বিজনেস সামিটে যোগ দেবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, স্পেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বৈঠক ফুটবল নিয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর, মাদ্রিদে লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। বাংলা ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সরকারের সঙ্গে কোনও বিশেষ চুক্তি হতে পারে লা লিগার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, জানেন কি? তবে এটা জানলে অবাকই হবেন যে, চন্দ্রযান ৩ তৈরির যা বাজেট, তার ৫৭ শতাংশ মমতা বিলিয়েছেন পুজো কমিটিগুলিকে। দেশ যেখানে কম খরচে চাঁদে যান পাঠাচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকা ডোল দিল স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে? বাজারে অন্তত এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023) দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা করে। ইসরো এত কম খরচে চাঁদে চন্দ্রযান ৩ পাঠাল, অথচ এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে পুজোর ক্লাবগুলির পিছনে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দুর্গাপুজো কেবল উৎসব নয়! প্রচুর বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, তাই এই অনুদান। পাল্টা রাজ্যের অনুদান বিতরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তারা বলছে, ক্লাবের নামে তৃণমূলের চোরেদের টাকা দিচ্ছে সরকার। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অর্থ সঙ্কটের কথা বলছেন। তাহলে এই টাকা আসছে কোথা থেকে?

    মোট কত অনুদান দেওয়া হচ্ছে (Durga Puja 2023)?

    রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ অনুদান ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই বছর প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023)  ১০ হাজার করে টাকা বৃদ্ধি করে, মোট অনুদান দেওয়া হবে ৭০ হাজার টাকা। অর্থ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতার ৪ হাজার সহ রাজ্যের মোট ৪০ হাজার পুজোর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এক কথায় বেরিয়ে যাবে ২৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাবদ ৭০ কোটি ধরলে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। আর রাজ্যের পুজো কমিটিকে অনুদানের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা! ফলে সব মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে চন্দ্রযান তৈরি করতে যত টাকা খরচ হয়েছে, তার ৫৭ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী খরচ করছেন পুজোর ক্লাবগুলির জন্য। অথচ রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মিলছে না। তাই একে কটাক্ষ করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। যে টাকায় ভারতের চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পৌঁছেছে, সেই টাকার একটা বড় অংশ খরচ হচ্ছে উন্নয়নের জন্য নয়, ক্লাবগুলির জন্য। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বেলাগাম অনুদানে সরব হয়েছে বিজেপিও।

    তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়া হল!

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মতো মানুষরা ভারতের চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ নিয়ে অবিবেচকের মতো মন্তব্য করেছেন। তাঁর কাছে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ মানে অর্থের অপচয় করা মাত্র। রাজ্য সরকার যে অর্থ অপচয় করে পুজো কমিটিগুলিকে দিতে চলেছে, তা তো সাধারণ মানুষের করের টাকা। রাজ্য সরকার এইভাবে সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করতে পারে কি? রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করেছেন, এই পুজোর ক্লাবে অনুদান, কার্যত কিছু তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়ারই সমান। এছাড়াও বিজেপির কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, আমাদের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো (Durga Puja 2023) বেশ বড় পুজো। লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে সরকারের এই অনুদান গ্রহণ করছি না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে ইডির মুখোমুখি তৃণমূল (TMC) নেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ সল্টলেকে ইডির দফতরে নথি হাতে পৌঁছন তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ। এদিন ১১টায় তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তৃণমূল নেত্রী এলেন মিনিট ১৫ আগেই।

    নুসরতকে কেন তলব?

    গড়িয়াহাটের রিয়েল এস্টেট সংস্থা ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে তারা ৫০০ জন প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ কোটি টাকা তুলেছে। তার পর দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি তাঁদের। দু’ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল নেত্রী নুসরত (Nusrat Jahan)। ঘাসফুল চিহ্নে জয়ী হয়ে তিনি হয়েছেন সাংসদ। এই নুসরতের নামেই ইডির দফতরে অভিযোগ জানান প্রতারিতদের কয়েকজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তলব করা হয় তৃণমূলের তারকা-নেত্রীকে।

    হাজিরা এড়িয়েছেন রাকেশ, কে তিনি?

    তৃণমূল নেত্রীর আগে তলব করা হয়েছিল ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও নথি জোগাড়ে সময় চেয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন রাকেশ। মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন নুসরত। বুধবার তলব করা হয়েছিল ওই সংস্থার আর এক ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্রকেও। নথি জোগাড়ে সময় চেয়েছেন তিনিও। তৃণমূল নেত্রী নুসরতকে কী কী প্রশ্ন করা হবে, আগে থেকেই তা প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে’র সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত, সংস্থায় কোন কোন বিষয় দেখতেন তিনি। এর পাশাপাশি জানতে চাওয়া হবে সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে তিনি কি দায়িত্বে ছিলেন, ফ্ল্যাট তৈরির চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য তাঁর জানা ছিল কিনা। নুসরত (Nusrat Jahan) এই প্রশ্নগুলির কী উত্তর দেন, তা দেখেই করা হবে পরবর্তী প্রশ্ন।

    এদিকে, সোমবারও আলিপুরের জজ কোর্টে হাজির হননি নুসরত। আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত নুসরতের এদিন আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ ডিসেম্বর। সেদিন তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Shanti Swarup Bhatnagar Prize: ‘‘এখনও বহু পথ চলা বাকি’’, বললেন দেশের সেরা চিকিৎসক দীপ্যমান

    Shanti Swarup Bhatnagar Prize: ‘‘এখনও বহু পথ চলা বাকি’’, বললেন দেশের সেরা চিকিৎসক দীপ্যমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ অবদানের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন বাঙালি চিকিৎসক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। চার দশক পর বঙ্গের কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বাঙালি হিসেবে এ বছর এই সম্মান পেয়েছেন দীপ্যমান। বাংলায় কাজ করে একমাত্র বাঙালি হিসেবে পুরস্কৃত হওয়ার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সায়েন্স বিভাগে দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়েছেন তিনি। তবে এটা শুরু, এখনও অনেক পথ চলা বাকি বলে জানালেন বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক।

    কেন এই সম্মান

    দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। করোনাকে হারাতে প্লাজমা থেরাপিকে হাতিয়ার করেছিলেন চিকিৎসকরা। প্লাজমা থেরাপির নেপথ্য কারিগর ছিলেন বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এখন ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে গবেষণা করছেন। পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পাওয়া প্রসঙ্গে নির্বিকার দীপ্যমান বলেন, “সম্মান পেয়ে ভাল লাগছে। তবে এখনও বহু পথ চলা বাকি। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই। গবেষণা চালিয়ে যাব। আরও বড় কিছুর সন্ধান করাই আমার লক্ষ।”

    ভিন রাজ্যে বাংলার মেধা

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৫-র পর আর কোনও বাঙালি বাংলায় কাজ করে ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পাননি। নিউরোসায়েন্সে অবদানের জন্য সে বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন ডিকে গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর বীরেন্দ্রনাথ মল্লিক (নিউরোবায়োলজি/২০০১), অনিলকুমার মণ্ডল (নিউরো-ফিজিওলজি/২০০৩), মিতালি মুখোপাধ্যায় (গ্লকোমা/২০১০) ও সন্দীপ বসু (হিউম্যান জিনোমিক্স/২০১২) ভাটনগর পুরস্কার পেলেও তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের বাইরের প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেয়ে দীপ্যমান বলেন, “এত বছর পর মেডিক্যাল সায়েন্সে যে বাংলার প্রাপ্তি হলো, সেটাই আমায় রোমাঞ্চিত করছে। কিন্তু ভাবতে হবে  কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    দীপ্যমানের পড়াশোনা

    রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস উত্তীর্ণ হয়েছিলেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। এখন ঢাকুরিয়ায় থাকলেও দীপ্যমানবাবুদের আদি বাড়ি খড়দহের রিজেন্ট পার্কে। প্রায় এক দশক আগে সেখান থেকে সপরিবারে কলকাতায় চলে আসে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশেরই বক্তব্য, ডাক্তারি পাস করার পরেও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জৌলুস থেকে নিজেকে দূরে রেখে যে ভাবে এই ইমিউনোলজিস্ট নিরলস গবেষণা করে চলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের একেবারে মৌলিক বিষয়ে, তা কুর্নিশ যোগ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁর কনভয়ের রাখা যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখে, এই দাবি তিনি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে করেছিলেন। সোমবার তা হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা এদিন তোপ দাগেন। এমনকী জেলা পুলিশ সুপারকেও তিনি নিশানা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর বিশেষ কাজে তিনি ফিরে আসেন হলদিয়া মোড়ের কাছে। তখন তিনি দেখতে পান জাতীয় সড়কের কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশে স্পিডোমিটার সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মচারীরা। গাড়ি থেকে নেমে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুভেন্দু এবং একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কী অভিযোগ?

    শুভেন্দু বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেল। বিরোধী দলনেতার যানবাহনের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার স্পিডোমিটার যে ব্যবহার করছিল এটাই তার প্রমাণ। আমি চলে যাওয়ার পর ফিরে আসব ওরা বুঝতে পারেনি। আসলে রাজ্য সরকার বিরোধী দলনেতাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণটাই বিফলে পরিণত হয়।’

    পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে তিনি কী বললেন?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসন তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুক।’ জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন বেআইনি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্তটাই দায়ভার চাপিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পুলিশ  সুপার অমরনাথ কে-র উপর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানা যায়, ‘যাই অভিযোগ আসুক না কেন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই স্পিডোমিটার বসানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থে।’

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থেই যদি স্পিডোমিটার বসানোই হয়ে থাকে, তাহলে, আচমকা কেন তা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Abduction: স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রকে ‘অপহরণে’র অভিযোগ, খাস কলকাতার ঘটনায় চাঞ্চল্য

    Student Abduction: স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রকে ‘অপহরণে’র অভিযোগ, খাস কলকাতার ঘটনায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে স্কুলের পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। কলকাতার ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। সেই ঘটনার রেশ এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই ঘটে গেল আরও একটি শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।

    ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ

    এবার দক্ষিণ কলকাতার লেক থানা এলাকার সেলিমপুরের একটি স্কুলের সামনে থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের (Student Abduction) অভিযোগ। এবারও চর্চার কেন্দ্রে সেই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। অভিযোগ, সোমবার দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাইস্কুলের ওই ছাত্রকে মারধর করে একটি বাইকে তুলে নিয়ে পালায় কয়েকজন। লেক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। স্কুলে যায় পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। পরে কসবা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রকে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি

    স্কুলের এক ছাত্রকে যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (Student Abduction), তা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় মিত্র। তিনি বলেন, “স্কুলের ছাত্ররা আমাকে জানিয়েছে, স্কুলের বাইরে রাস্তায় ওই ছাত্রকে প্রথমে সাত-আটজন মিলে মারধর করে। পরে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।” ওই স্কুলের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্র জানায়, এদিন সাড়ে তিনটে নাগাদ স্কুল থেকে বেরিয়েছিল ওই পড়ুয়া। তখনই তাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন। মারধর করে জোর করে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    কী কারণে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে মারধর করা হল, কেনইবা তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যাওয়া হল (Student Abduction), এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশও। পারিবারিক শত্রুতা নাকি অপহরণের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও গল্প, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খোদ কলকাতার বুকে দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছেন অভিভাবকরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পড়ুয়ারাও।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরে পরে বাড়িতে ভিডিও কল করেছিল ওই ছাত্র। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে ছাত্রটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কসবা এলাকায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ছাত্রটিকে। যদিও এদিন দীর্ঘক্ষণ হদিশ মেলেনি দুষ্কৃতীদের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share