Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) জেরে অবশেষে ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুরের। তরুণ তাজা একটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ার পর টনক নড়লো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এখন ‘নিজেদের পিঠ বাঁচাতে’ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও, তাতে আদৌ কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    রাতে প্রবেশে লাগবে বৈধ পরিচয়পত্র

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর চারদিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল চাপের মধ্যে অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি আরোপ করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র লাগবে। অর্থাথ, ক্যাম্পাসে রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না।

    কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ 

    এছাড়া, নির্দেশিকায় বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে কোনও জাতীয় মাদক সেবন করা যাবে না। কেউ যদি মাদক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাইক বা চারচাকার সামনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন স্টিকার না থাকলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রোজ রেজিস্ট্রার মেনটেন করা হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের গেটগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসছে।

    বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকেই গেল…

    স্নেহমঞ্জু বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, ‘ছাত্র মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে কী কী করা উচিত তা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি।’ অথচ, র‌্যাগিং বন্ধ করতে কী কী বদক্ষেপ, তা সম্পর্কে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস শোনা গেল না তাঁর কথায়। ফলে, এই নির্দেশিকায় কতটা লাভ হবে, বা আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে কেউ-ই বলতে পারছেন না। এমনকী, এই নির্দেশিকা কার্যকর কোন পদ্ধতিতে করা হবে, বা একে লঙ্ঘন করলে, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি জেনেই থাকতো যে, সেখানে মাদক সেবন হয়, তাহলে, এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে গেল। 

    আরও পড়ুন: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    মেডিক্যালে আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা 

    যাদবপুর (Jadavpur University) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। হস্টেলে কারা থাকছেন, প্রাক্তনীরা থাকছেন কিনা, থাকলেও কী প্রয়োজনে? সবটাই খতিয়ে দেখছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ২ টি আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি গার্লস হস্টেল ও আরেকটি বয়েজ হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গিরিবাবু লেনের বয়েজ হস্টেলে রাখা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। পুনর্গঠন করা হয়েছে হস্টেল কমিটি ।হস্টেলে কারা থাকছে এবং কারা প্রাক্তনী হয়েও হস্টেলে রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন হস্টেল সুপার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আরএসএফের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরে এবিভিপির সভা সেরে ফেরার সময় ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ হামলা চালানো হয় তাঁর ওপর। এ ব্যাপারে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লিখেছেন, “গতকাল আমি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার সময়, বিকেল ৫:৪০ এর দিকে আমি হঠাৎ করে একদল অজানা আততায়ীর দ্বারা আক্রান্ত হই, যারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে সক্ষম হয় এবং স্লোগান দিচ্ছিল এবং কালো পতাকা দেখাচ্ছিল। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিপ্লবী ছাত্র ফেডারেশন এর সদস্য; নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের একটি অতি-বাম ফ্রন্টাল সংগঠন।”

    ‘সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানা’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানায় পরিণত করেছে ওই দলের সদস্যরা। তারা প্রতিষ্ঠান বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শকে আশ্রয় করে; যাঁরা সর্বদা সরকারের সমালোচনা করছেন, কিন্তু একই সাথে তাঁদের আনুষ্ঠানিক সমিতি শেষ হওয়ার পরেও, শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত সুবিধাগুলি উপভোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে আঁকড়ে ধরে আছেন। আমি এই ঘটনার বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছি।”

    এদিন এফআইআরে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘গতকাল আমি যাদবপুর গিয়েছিলাম ভারতীয় যুব মোর্চার সভায় যোগ দিতে। তখন আমার ওপর আক্রণ করে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। তারা আমার নিরাপত্তা ভেঙে কালো পতাকা দেখায় এবং স্লোগান দিতে শুরু করে। এই সব অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী অতি বাম সংগঠন রেভোলিউশনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের অন্তর্গত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরতেই কপটতা নেমে আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ চলে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি এফআইআর করলাম’।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    প্রসঙ্গত, প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Suvendu Adhikari) তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে এবিভিপি এবং আরএসএফের সংঘর্ষ বাঁধে। রক্তাক্ত হয় যাদবপুর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় রক্ত ঝরল যাদবপুরে (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কর্মসূচি সেরে শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি এবং আরএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনায় দু পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন।

    এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে এবিভিপি এবং আরএসএফের মধ্যে। তার আগে স্থানীয় থানার ওসি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বেরতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে (Jadavpur University) শুভেন্দু বলেন, “ওসি আমার পথ আটকে ছিলেন। আমি ওঁকে বলি, মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে বেতন দেন? মনে রাখবেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন হয়। পুলিশ তো তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এরপর মিছিল করতে হলে সঙ্গে কাঁচা বাঁশের লাঠি রাখতে হবে।”

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু জানান, শুক্রবার ১৫ জন বিধায়ককে নিয়ে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “আগামিকাল (শুক্রবার) মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাব, সঙ্গে থাকবে ১৫ বিধায়কের দল। ছাত্রের পরিবার চাইলে আইনি লড়াই লড়বে বিজেপি।” তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর ভরসা নেই। যাদবপুরে তিন-চারটি সংগঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বি-টিম। ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে এদের পরিষ্কার করতে হবে। এদের উপড়ে ফেলব।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৃত ছাত্রের নাম নেওয়ায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে তাঁকে নোটিশ পাঠানোর দাবিও জানান শুভেন্দু। বিশ্ববিদ্যালের (Jadavpur University) ভূমিকা নিয়ে ইউজিসিকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান তিনি।

    সিবিআই / এনআইএ দাবি

    যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন এক কাশ্মীরি পড়ুয়া। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হিসেব বুঝে নেব। শিক্ষামন্ত্রী আপনি পালিয়ে যাবেন না।” এদিকে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: বড় চমক বিজেপির! ভোট ঘোষণার আগেই মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jadavpur University: উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১২ প্রশ্নের জবাব তলব

    Jadavpur University: উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১২ প্রশ্নের জবাব তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জবাব তলব করেছিল ইউজিসি। তবে এ বিষয়ে যে রিপোর্ট যাদবপুর কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছিলেন, তাতে এ বার ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আবারও জবাব তলব করা হল ইউজিসি-র তরফে। মোট ১২টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। 

    কেন রিপোর্ট তলব

    মূলত র‍্যাগিং ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তথ্য ও সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে পাঠাল ইউজিসি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হস্টেলে র‍্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে।ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    কী কী জানতে চাওয়া হল

    ভর্তির সময়ে ছাত্রদের যে ‘ব্রোশিওর’ দেওয়া হয়েছিল, তাতে কি র‌্যাগিং-বিরোধী হেল্পলাইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং-বিরোধী সংগঠনের নম্বর রয়েছে? সেই ‘ব্রোশিওর’ পাঠাতে হবে। র‌্যাগিং-বিরোধী হেল্পলাইন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ওয়ার্ডেন, র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি, পুলিশের নম্বর লেখা ‘লিফলেট’ বিলি করা হয়েছিল নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের? সেই ‘লিফলেট’ পাঠাতে হবে। র‌্যাগিং প্রতিরোধের জন্য যে পদক্ষেপ এবং শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে, তা পড়ার পর একটি হলফনামায় সই করার কথা পড়ুয়াদের। সেই হলফনামার প্রতিলিপি কি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে? থাকলে তা জমা করতে হবে। শুধু পড়ুয়া নয়, তাঁদের অভিভাবকদের সই করা এ ধরনের হলফনামার প্রতিলিপি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। থাকলে সেটাও পাঠাতে হবে। নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের কি হস্টেলের আলাদা ব্লকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল? ওই ব্লকে কোনও সিনিয়র ছাত্র যাচ্ছেন কি না, তা নজরে রাখার ব্যবস্থা কি হয়েছিল? পড়ুয়াদের হস্টেলের ঘর বণ্টনের বিষয়ে বিশদে জানাতে হবে। এরকম আরও বেশ কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চিঠির উত্তর খতিয়ে দেখে তারপর ইউজিসি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে (GRSE) নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) নামের এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সহ শীর্ষ পদাধিকারীরা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন ভারত ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

    বোতাম টিপে রণতরীর শুভ-সূচনা

    এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’কে (INS Vindhyagiri Launch) জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। সেই শুভ কাজ করেন রাষ্ট্রপতি। তার পর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের জলসীমার সুরক্ষিত রাখার জন্য ভারতীয় নৌসেনার প্রশংসা করেন। সময়মতো জাহাজের নির্মাণ শেষ করার জন্য জিআরএসই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। 

    ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    নৌসেনার ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের অধীনে সাতটি নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) হলো এই প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। সেই দিক থেকে কলকাতার জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা জিআরএসই-র মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬, লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্তাকে

    Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬, লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্তাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে ছ’জনকে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৯ জনকে। আজ, বুধবার আদালতে তোলা হবে তাদের। সূত্রের খবর, পুলিশের সামনে কী বয়ান দিতে হবে, সে ব্যাপারে আগাম শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    বৈঠকে রাজ্যপাল 

    এদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে আজ, বুধবার দুপুর তিনটেয় তলব করা হয়েছে লালবাজারে। এদিনই বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিশ পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। রাজ্যের কাছে তলব করেছে রিপোর্টও।

    গ্রেফতার ৯

    বুধবার গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেইন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে। এঁদের মধ্যে কয়েকজন জন প্রাক্তন ছাত্র। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা মেইন হস্টেলের আবাসিক।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    গত বুধবার ওই ঘটনার পরে পরেই অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন আনন্দ বোস। শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেদিন রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, কেবল যাদবপুর নয়, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির মাথায় থাকবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। আজ, বুধবার বিকেলে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিনিধি দলের।

    লালবাজার সূত্রে খবর, পাশ করে যাওয়ার পরেও অন্তত ২০ জন ছাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাসে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। তাঁদেরও তলব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের মোবাইল ফোনও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIT Kharagpur: আজকের খড়্গপুর আইআইটির পুরনো ভবন ছিল বিপ্লবীদের জন্য হিজলী জেল

    IIT Kharagpur: আজকের খড়্গপুর আইআইটির পুরনো ভবন ছিল বিপ্লবীদের জন্য হিজলী জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। বিপ্লবীদের উপর নির্মম অত্যাচারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন তাঁর প্রশ্ন কবিতা। দেশকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একদল তরুণ তরুণী। আজ যেখানে আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur), সেখানেই ছিল বিপ্লবীদের বন্দিনিবাস। সশস্ত্র আন্দোলন হোক কিংবা অসহযোগ আন্দোলন, ব্রিটিশ পুলিশের হাতে বন্দি হতে হয়েছিল একাধিক স্বাধীনতার সংগ্রামীকে। বন্দি করা হয় হিজলী বন্দি নিবাসে। এই জেলের মধ্যে অন্যতম বন্দি ছিলেন বিপ্লবী সন্তোষ মিত্র।

    কার নামে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার?

    ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন সন্তোষ মিত্র। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ১৫ অগাস্ট এবং মৃত্যু ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১। মাত্র ৩১ বছরের জীবন, দেশের স্বাধীনতার জন্য নিবেদন করেছিলেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ফলে কারাদণ্ড হন। এছাড়াও শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯২৩ সালে গুপ্ত বিপ্লবী দলের সঙ্গে যোগদান করে বিপ্লবী কর্মে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করেন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলেনের সময় গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতেন বিপ্লবীদের। এরপর গ্রেপ্তার হলে তাঁকে হিজলী (IIT Kharagpur) জেলে পাঠানো হয়। কলকাতা শহরে আজকের দিনে সবথেকে বড় দুর্গা পুজো গুলির মধ্যে একটি পুজো হল, বিপ্লবী সন্তোষ মিত্রের নামাঙ্কিত পার্কের পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো।

    হিজলী জেল (IIT Kharagpur) এক ঐতিহাসিক পীঠস্থান

    ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত্রি প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ, নিরস্ত্র বন্দিদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। চালানো হয় গুলিও। নিরস্ত্র বন্দিদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই বীর বিপ্লবীর। এই দুই বিপ্লবীরা হলেন সুভাষচন্দ্র বসুর সহপাঠী সন্তোষ মিত্র এবং মাস্টারদা সূর্যসেনের অনুগামী তারকেশ্বর সেনগুপ্ত। ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। হিজলী (IIT Kharagpur) হত্যাকাণ্ডের পর রবীন্দ্রনাথ লিখলেন প্রশ্ন কবিতা, “ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে, দয়াহীন সংসারে।”

    আজকের আইআইটি খড়্গপুর

    এখন যেখানে খড়্গপুর আইআইটির (IIT Kharagpur) পুরনো ভবন, পরাধীন ভারতে সেখানেই ছিল হিজলি বন্দিনিবাস। অদূরে প্রথম মহিলা জেল। ১৬ সেপ্টেম্বরের সেই রাতে হিজলি বন্দি নিবাসে ‘পাগলা ঘন্টা’ বাজিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় ইংরেজ পুলিশ। খবর পেয়ে সুভাষচন্দ্র ও যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত হিজলিতে আসেন। হিজলি ও চট্টগ্রাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় একটি সভা হয়। সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্তমানে আইআইটি নির্মিত হয়েছে বন্দিনিবাসের বিশাল ইমারতে। বর্তমান প্রজন্ম মনে রাখে না ইতিহাস, মনে রাখে না সংগ্রামের কালো দিনের কথা। স্বাধীনতা দিবসে ফের স্মৃতিতে অম্লান হিজলীর সেদিনের সেই কালো ঘটনার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে বঙ্গে এসে বিজেপির ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসুচীর অঙ্গ হিসাবে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের বাড়ি দেউলটি থেকে মাটি সংগ্রহ করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের নিয়ে হাওড়ার দেউলটির একটি হোটেলে এদিন সকালে একটি  কর্মশালার উদ্বোধন করেন নাড্ডা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে দুপুরে দেউলটিতে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে পরিদর্শনে আসেন জে পি নাড্ডা।

    ভিজিটার্স বুকে কী লিখলেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)?

    দেউলটিতে শরৎচন্দ্রের বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। “আমার মাটি আমার দেশ” কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির কর্তব্যপথ বাগানে। এদিন দেউলটিতে এসে শরৎচন্দ্রের বাসভবনে, সেখানকার লাইব্রেরি রুমে ঘুরে দেখেন তিনি। সেখানকার ভিজিটার্স বুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখেন তিনি। তিনি লেখেন ‘আজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহান মানুষের নিবাস স্থানে আসতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্য প্রাপ্ত মনে করছি। এই জায়গা থেকে অনেক প্রেরণা পেলাম।’ তিনি প্রথমে ওই বসতবাড়িতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তিনি ওই বাসভবন চত্বরে একটি আম গাছ রোপণ করেন। পরে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রূপনারায়ণ নদীতীরে এই বাড়িতে যে কক্ষতে বসে তাঁর সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছিলেন সেই ঘর পরিদর্শন করেন। এরপর জেপি নাড্ডা আরেকটি কক্ষে গিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত জিনিসগুলো পরিদর্শন করেন। পরে, ওই বাড়ির দোতলার ঘরগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন। দোতলা বাড়ির বারান্দাতে উঠে উপস্থিত সমর্থক মানুষদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, অনুপম হাজরা, রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া, অমিত মালব্য, বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সেখানে এক জাতীয় পতাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাড্ডা। জে পি নাড্ডার সফর উপলক্ষে দেউলটির সামতাবেড়ে শরৎচন্দ্রের বসতবাড়ি এলাকাকে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। দুপুরে জে পি নাড্ডা সেখানে আসেন। ১.৪০ নাগাদ তিনি দেউলটি আসেন। প্রায় আধ ঘন্টা ছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের পুলিশ হেফাজত, কী বলছেন স্বপ্নদীপের বাবা-মা?

    JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের পুলিশ হেফাজত, কী বলছেন স্বপ্নদীপের বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে (JU Student Death) তোলপাড় সারা রাজ্য। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর অভিযোগ যে তাঁর ছেলেকে হস্টেলে খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর যাদবপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকে। ধৃত সৌরভকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এদিন বিচারক তাকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের নিচে সম্পূর্ণ রক্তাক্ত অবস্থায় উলঙ্গ স্বপ্নদীপকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু (JU Student Death) হয় বলে জানা যায়।

    কী বলছেন স্বপ্নদ্বীপের বাবা?

    অন্যদিকে সৌরভ চৌধুরীর গ্রেফতারির পর স্বপ্নদীপের বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘সৌরভকে ধরা হয়েছে শুনে আমি খুব খুশি। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর পাচ্ছি যে ওরা বাইরের লোককে ডেকে এনে হস্টেলে নতুন ছাত্রদের উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং অত্যাচার করতো। সৌরভের মতো কয়েকজনকে ধরা হলে আমার কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। আমি চাই খুনিরা (JU Student Death) উপযুক্ত শাস্তি পাক। এদের ফাঁসি হোক। যাতে দ্বিতীয় কোন স্বপ্নদীপের স্বপ্ন না ভেঙে যায়। আর কোনও বাবা যেন এত আর্তনাদ না করে। ছেলে হারানোর আর্তনাদ কী, আমি জানি। আমাদের হীরের টুকরো হারিয়ে গিয়েছে।’’ 

    স্বপ্নদীপের মায়ের বিবৃতি

    শোকে আচ্ছন্ন রয়েছেন স্বপ্নদীপের মা স্বপ্না কুণ্ডু। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ছেলে কারও কষ্ট দেখতে পারতো না। আর ওকে ওরা খুন (JU Student Death) করলো।’’ স্বপ্নদীপের মা এদিন আরও বলেন, ‘‘আমি সেদিন রাতে যেতে চেয়েছিলাম। সৌরভ আমাকে ফোন করে বললো, না সকালে আসুন। কিন্তু আমার ছেলে বারবার বলছিলো মা খুব ভয় করছে। আমাকে নিয়ে যাও। সৌরভ ফোনে এও বলে, স্বপ্নদীপ ওপরে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছে, কোনও চিন্তা করবেন না।’’

    এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস হওয়ার পরেও সৌরভ চৌধুরী কিভাবে হস্টেলে থাকতে পারলো? কেন ঘটনার দিন, রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল? তবে কি সত্যিই এমন কিছু ঘটেছিল, যা চাপা দেওয়ার জন্যই এই কাণ্ড করল হস্টেলের প্রাক্তনীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Medinipur: ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক, অপহৃত বান্ধবী! শুনুন হাড়হিম করা ঘটনা

    Medinipur: ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক, অপহৃত বান্ধবী! শুনুন হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে অপহৃত তরুণী। চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করে, নার্সিং পড়ুয়া ওই চিকিৎসকের বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক ভর্তি মেদিনীপুর (Medinipur) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় ছয় ঘণ্টার চিরুনি তল্লাশির পর গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার হয় তরুণী। হাড়হিম করা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Medinipur)?

    শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর (Medinipur) হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের এক হাউস স্টাফ চিকিৎসক তাঁর বান্ধবী নার্সিং পড়ুয়াকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ী ড্যামে। সন্ধ্যার মুখে হঠাৎই মোটরবাইকে করে মুখে গামছা বেঁধে দুই ব্যক্তি হাজির হয় সামনে। প্রথমে চিকিৎসকের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল এবং পকেটে থাকা টাকা। এরপর বেধড়ক প্রহার করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্যের জন্য যখন চিকিৎসক চিৎকার শুরু করে, আর ঠিক তখনই তরুণীকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুই দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খবর দেয় গুড়গুড়িপাল থানায়। রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসককে উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওঁই চিকিৎসক।

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিলে, ঘটনাস্থলের চারপাশে কার্যত চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে (Medinipur) পৌঁছায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। মেদিনীপুর পুলিশ লাইন থেকে নিয়ে আসা হয় বিশাল বাহিনী। আশেপাশের প্রতিটা গ্রামে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় তরুণীকে। প্রায় ছয় ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থানীয়দের তৎপরতায় জঙ্গল লাগোয়া একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে তরুণীকে ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জেলা পুলিশের ডিএসপি ওয়াই কাদেরির দাবি, কিভাবে ঘটলো এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    ঘটনার পর এলাকাবাসীদের দাবি, রাত বাড়লেই ফুলপাহাড়ী (Medinipur) ড্যামে বাড়ছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। বাড়ছে অসামাজিক কাজ। অবিলম্বে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে এলাকাবাসীর তরফে। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে এখনও পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটারের দূরত্বে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হাড়হিম করা এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর শহরজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share