Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে ওই জয়ী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের বোর্ড গঠন রুখে দিতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। ওই মামলাতেই এদিন আবেদনকারীদের রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। আগামী শনিবার পর্যন্ত নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। এবার বোর্ড গঠনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। 

    আরও পড়ুন: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    বিজেপির স্বস্তি

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই (Central Force) নন্দীগ্রামে (Nandigram) পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামিকাল অর্থাৎ, ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের পরও পুলিশি গ্রেফতারি নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে। সেই আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। শেষ পর্যন্ত আজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী নির্দেশে ওই বিজেপি প্রার্থীদের ১২ তারিখ পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হল। ফলে এখন কিছুটা স্বস্তির শ্বাস গেরুয়া শিবিরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, “আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?” 

    আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    সাত দিন সময়

    বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।” বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay)। এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay) পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে, চোখের সামনে একটা সিস্টেম খারাপ হয়ে গেল।’’ তিনি এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তি জীবনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।

    কী বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

     বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমিও একসময় পিএসসির পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি করেছি। আমি দুটো সরকারি চাকরি করেছি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তখন অত্যন্ত স্বচ্ছ নিয়োগ হত।’’ এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) কথায় উঠে আসে পিএসসি নিয়োগের দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘পিএসসিতে ২৮ নম্বর ৮২ হয়ে গেল, ভাবা যায়! খারাপ লাগে।’’ আবার রাজ্যের নিম্ন আদালতের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের!

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) এজলাসে। জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে শাসকদলের আরও অনেক নেতার নাম। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশন বা প্রাথমিক টেট নয় পিএসসিরও দুর্নীতি সামনে এসেছে। এছাড়া রাজ্যের ৮০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চলছে। দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় পরিকাঠাময় বড় বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, মেট্রো (Kolkata Metro)  পরিষেবা শুরুই হয়েছিল ৩৮ বছর আগে। জানা গিয়েছে, প্রতি আড়াই মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে প্রায় চার দশক আগেকার ইস্পাতের থার্ড রেল বদলে এবার অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, ইস্তানবুল, বার্লিন শহরে যেমনভাবে মেট্রো (Kolkata Metro) চালানো হয়, সেই ধাঁচেই এবার চলবে কলকাতার মেট্রো। ওই সমস্ত দেশগুলিতে মেট্রো পরিষেবার শুরুর দিকে ইস্পাতের থার্ড রেল ব্যবহার করা হতো এবং তা পরবর্তীকালে বদলে ফেলা হয় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলে। এবার ঠিক এমনটাই হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোতে।  কিন্তু হঠাৎ ইস্পাতের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার কেন? এর উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ইস্পাতের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম উত্তম পরিবাহী এবং অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলের বিদ্যুতের অপচয় ইস্পাতের তুলনা অনেক কম হবে। সাধারণভাবে ইস্পাতের রোধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যখন বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তখন তা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ প্রবাহের ক্ষেত্রে রোধকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয় থার্ড রেল অত্যন্ত উত্তপ্ত হলে তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং ট্রেনের বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন। এর ফলে মেট্রো চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। মূলত এই সমস্ত সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, জোকা-তারাতলা, নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোতে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    কি বলছেন মেট্রো আধিকারিকরা

    মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামী দু বছরের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামে থার্ড রেল বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং প্রথম পর্যায়ে এই কাজ চলবে দমদম থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত। আরও খবর মিলেছে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানো হলে বিদ্যুতের অপচয় ৮৪ শতাংশ কমানো যাবে। হিসাব বলছে থার্ড রেল বসানো হলে যা খরচ হবে, সেই খরচ তিন বছরের বিদ্যুৎ সাশ্রয়তেই উঠে আসবে। এছাড়াও ইস্পাতের থার্ড রেল উত্তপ্ত হওয়ার হলে মেট্রো সুরঙ্গ যেভাবে গরম হয়ে যেত সেটাও বন্ধ হবে। 

    বর্তমানে উত্তর দক্ষিণ লাইন বা ব্লু লাইনের মেট্রো সবচেয়ে কম পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চলাচল করে, ট্রেনের (Kolkata Metro) এই ব্যবধান আড়াই মিনিটে নিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিগন্যাল ব্যবস্থা তেও পরিবর্তন করতে হবে এবং আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কমিউনিকেশন বেস্ট ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার জন্য থার্ড রেল বদল এর কাজ করা হচ্ছে।  ওয়াকিবহুল মহল বলছে এই ব্যবস্থার ফলে মানুষ আরো দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে যাত্রী বৃদ্ধি ৪৩৬ শতাংশ 

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, যা গ্রীন লাইন নামে পরিচিত। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই মেট্রো (Kolkata Metro) চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান শহর এবং শহরতলীর অসংখ্য মানুষ।  চলতি বছরে, শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ায় এই লাইনে যাত্রীবৃদ্ধি হয়েছে প্রথম চার মাসে ৪৩৬ শতাংশ যা নয়া রেকর্ড। এই মেট্রোতে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। তার কারণ চলতি বছরের শেষেই হুগলি নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সঙ্গে তা জুড়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সহ এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। সেই মতো বিরোধীদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বামেরা। সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করল বিজেপি (BJP)। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

    কীভাবে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করল?

    অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। বিজেপি ও তৃণমূল ৮ টি করে আসন পেয়েছে। আর সিপিএমের দখলে রয়েছে দুটি আসন। বোর্ড গঠনের সময় সিপিএমের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বিজেপিকে সমর্থন করেন। সিপিএমের সমর্থনে ভোটে এক আসনে জিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বিজেপি বোর্ডের প্রধান হন শুভ্রা পন্ডা এবং উপপ্রধান হন পরেশ পানিগ্রাহি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপিকে সমর্থনকারী সিপিএমের জয়ী সদস্য?

    সিপিএমের জয়ী সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বলেন, স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই আমি বিজেপিকে সমর্থন করেছি। তৃণমূলকে হারাতেই এই সমর্থন। নতুন বোর্ডের হাত ধরেই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একসঙ্গে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করব।

    কী বললেন বিজেপির প্রধান?

    বিজেপির (BJP) প্রধান শুভ্রা পন্ডার বক্তব্য, তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল তা রাজ্যবাসী জানেন। এই এলাকার মানুষ জানেন, তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসলে কাটমানি, তোলাবাজি শুরু হয়ে যাবে। এলাকায় আর উন্নয়ন হবে না। তাই, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেছেন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকেই প্রয়োজন। আর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীদিনে এই পঞ্চায়েতের হাত ধরে এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র বলেন, উঁচুতলার নেতাদের কথা মানছে না নিচুতলার কর্মীরা। তার জন্য এই ঘটনা ঘটছে। আসলে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই, বামেদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) কার্যালয়। বুধবার দুপুরে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তির অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিল আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ভবানীপুর-১ নম্বর অঞ্চলের শ্যামনগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঝাড়গ্রামের মঞ্চে আদিবাসী সমাজের কল্যাণে বক্তব্য রাখছেন, ঠিক সেই সময় ডেবরার শ্যামনগর গ্রামে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে আদিবাসীদের মিছিল যাওয়ার সময় পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে যোগ দেওয়া আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে থাকা আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে ছেড়ে দৌড়ে পালান। পরে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

    কী বললেন আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের নেতা?

    আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের তারাপদ সিং বলেন, এদিন আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের (TMC) ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন আদিবাসীর নাম করে নানা কটূক্তি করেন। যা আমাদের সমাজের সদস্যদের চরম অসন্মান করা হয়। এতেই কিছু সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের বিরুদ্ধে যতদূর যেতে হয় তা আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার স্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় বুধবার রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তলব করা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদেরও। এর পরই মামলাটির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শুনানির সময়,  বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “আমি আমার বিশ্বাস ভরসা সিআইডির উপর হারাচ্ছি।” ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও উঠে আসে যে, সাত জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: চিনকে টক্কর! উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আরও সাতটি টানেল তৈরি করছে ভারত

    তলব তদন্তকারী আধিকারিকদের

    বুধবার বিচারপতি বসু (Justice Biswajit Basu) এজলাসে এই মামলার শুনানিতে বলেন, ‘রাজ্যের এজেন্সিকে ভরসা করেছিলাম। আমার মোহভঙ্গ হচ্ছে। তাহলে এবার কেন সিবিআই নয়? বৃহস্পতিবার এজলাসে এসে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিতে হবে ডিআইজি সিআইডিকে।’ শুধু তিনি একা নন, তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যদেরও আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এদিন আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সিআইডির তরফে। সেই রিপোর্টে খুশি নন বিচারপতি। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন তদন্তকারী অফিসারদের কেউ আদালতে উপস্থিত নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অফিসাররা তদন্তের কাজে গিয়েছেন। যা শুনে রেগে যান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে গেছেন? কাল আদালতে এসে তাঁরা সবাই আজ কোথায় গেছেন তা জানাতে হবে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করানোর অনুমতি পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় ইডি (ED)। তার পরেই অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যদিও আজ, বুধবারও তাঁকে জামিন দেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশ, যেহেতু সুজয়কৃষ্ণের জামিন হয়নি, তাই হাসপাতালে জেল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

    বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছে প্রকাশ

    কিছু দিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয় সুজয়কৃষ্ণের। সেই সময়ও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। তবে স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়া করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কাজ শেষে ফের সুজয়কৃষ্ণ ফেরেন প্রেসিডেন্সি জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই। সম্প্রতি আদালতে (Calcutta High Court) অসুস্থ বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান বলেও জানান তিনি। তবে কেন তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান, তা জানতে চান বিচারপতি। বিচারপতি জানান, এসএসকেএম হাসপাতাল যতক্ষণ না বলবে তাঁরা বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না।

    সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইডির

    এর পর সুজয়কৃষ্ণের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়ে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। ইডিকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করার নির্দেশও দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। এই টিমের চিকিৎসকরাও জানান সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট দেখেই আদালত অনুমতি দেয় সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচারে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, এসএসকেএম বা তাঁর পছন্দের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে খুশি চিকিৎসা করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ।

    আরও পড়ুুন: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম শোনা যায় কালীঘাটের কাকুর কথা। পরে জানা যায়, এই কালীঘাটের কাকুই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও নাকি বারবার বলতেন কালীঘাটের কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব, আগামী একমাস থাকবেন হাসপাতালের নজরদারিতেই

    Buddhadeb Bhattacharjee: বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব, আগামী একমাস থাকবেন হাসপাতালের নজরদারিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই শ্বাসনালীতে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। ভর্তির ১২দিনের মাথায় বাড়ির পথে পা দিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে ওঠে তাঁর বাড়ি ফেরার মুহূর্তের ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়ি ফেরার পথে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দাড়ি-গোঁফ পরিষ্কারভাবে কামানো। এবং মুখে রয়েছে মাস্ক। পাশে দেখা যাচ্ছে টাইলস টিউবও।

    বুধবার দুপুরে বাড়ির পথে বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)

    বুধবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (Buddhadeb Bhattacharjee) সঙ্গে নিয়ে বাড়ি পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স।  প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি পাঠানো হবে বুধবার। সেইমতো বুধবারেই তিনি বাড়ির পথে রওনা হলেন। শনিবার পর্যন্ত তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল এবং তারপর থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন। সোমবার তাঁর ফের কতগুলো রক্ত পরীক্ষা করানো হয় এবং তার প্রতিটি রিপোর্ট সন্তোষজনক আসে। এদিন বাড়ির পথে পা বাড়ালেন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরলেও সেখানেও থাকবে হাসপাতালে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। এবং একজন নার্স সবসময় সেখানে উপস্থিত থাকবেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) বাড়িতে যাবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। আপাতত এক মাস তিনি এভাবেই থাকবেন।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবৃতি

    হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ঠিক আগে, কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলে, ‘‘যখন ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন উনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরীক্ষার পর অ্যান্টিবায়োটিক, নেবুলাইজেশন থেরাপি দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসার জন্য ১১ সদস্যের একটি মেডিক্যাল দল তৈরি করা হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন ওঁকে ভেন্টিলেশনের রাখার। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়।’’ ওই মেডিক্যাল বুলেটিনে আরও বলা হয়, ‘‘৩১ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপিও বদল করা হয়। এরপর সংক্রমণ কমতে থাকে। সার্বিকভাবে উনার ওর শরীরের উন্নতি হয়। উনি বাড়ি ফিরছেন এবং ওখানে আমাদের নজরে থাকবেন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে অন্তত এক মাস। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কামনা করছি আমরা।’’

    প্রসঙ্গত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) এদিন বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যান মীরা ভট্টাচার্য। তিনি জানান. বুদ্ধদেব বাড়ি ফিরল তাঁকে নজরদারির মধ্যেই রাখা হবে। তিনি আরও বলেন ‘‘আপনারা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করুন, শুভেচ্ছা জানান, উনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। বাড়িতেও যেন সুস্থ হয়ে থাকতে পারেন।’’ জানা গিয়েছে আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টাফদের প্রাণ ভরে আশীর্বাদও করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মগরাহাটে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের বোর্ডে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির, কী করে?

    South 24 Parganas: মগরাহাটে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের বোর্ডে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির, কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে বোধ হয় ভাগ্য। বিজেপির ঝুলিতে আসন সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। তাতে কী হয়েছে, নাম মাত্র আসন নিয়ে পঞ্চায়েতে প্রধান হল বিজেপি (BJP)। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও তৃণমূলকে কিছুটা বাধ্য হয়ে তা হজম করতে হল। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী করে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির? (South 24 Parganas)

    পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীকে পঞ্চায়েত প্রধান করল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (South 24 Parganas) প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত। পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি পেয়েছে ৫টি, সিপিএম-১টি, কংগ্রেস-১টি এবং নির্দল-১টি আসনে জয়লাভ করেছে। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান হলেন বিজেপির জয়ী সদস্য। কারণ, হিসেবে জানা গিয়েছে, প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত। শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটিমাত্র আসন এসসি সংরক্ষিত রয়েছে। সেই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের পদ্মা মিস্ত্রির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিজেপির সুপ্রিয়া মণ্ডল। জয়লাভ করে বিজেপি প্রার্থী সুপ্রিয়া মণ্ডল। ফলে, তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত থাকায় তা বিজেপি প্রার্থীকে প্রধান নির্বাচিত করতে হয়েছে বলা জানা যায়।

    প্রধান নির্বাচিত হয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্য?

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্য তথা পঞ্চায়েত প্রধান সুপ্রিয়া মণ্ডল বলেন, নিয়ম মেনেই এই পঞ্চায়েতে আমি প্রধান নির্বাচিত হয়েছি। আগামী দিনে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমি লড়াই চালিয়ে যাব। বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই একসাথে মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ করব। এলাকার উন্নয়ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

    কী বললেন তৃণমূল নেতত্ব?

    মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূলের সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কিন্তু, প্রধান পদটি সংরক্ষিত থাকায় বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে প্রধান করা হয়েছে। তিনি আমাদের উন্নয়নে সামিল হয়ে মানুষের জন্যই কাজ করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share