Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue Update: বাড়ছে ডেঙ্গি! পড়ুয়াদের ফুলহাতা জামা, ফুল প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ পুরসভার

    Dengue Update: বাড়ছে ডেঙ্গি! পড়ুয়াদের ফুলহাতা জামা, ফুল প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় (Dengue Scare) কলকাতা পুরসভার তরফে জারি করা হল অ্যাডভাইসারি (Advisory)। শহরের সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুলগুলিকে অ্যাডভাইসরি নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা। মশার কামড় (Mosquito Bite) থেকে বাঁচতে পড়ুয়াদের ফুলহাতা জামা, ফুল প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় বৈঠক

    স্বাস্থ্যভবন (Swastha Bhavan) সূত্রে খবর, ৩ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১। ৩ অগাস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন। স্বাস্থ্যভবন (Swastha Bhavan) সূত্রে খবর, ৩ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১। ৩ অগাস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন। মঙ্গলবার, ডেঙ্গি পর্যালোচনায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নারায়ণ স্বরূপ নিগম-সহ একাধিক অধিকর্তারা ছিলেন। ছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যানও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন কলকাতা পুরসভার পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: করোনায় ফের একের পর এক শিশুমৃত্যু! চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলে!

    স্কুলগুলিকে কী কী নির্দেশ

    স্কুল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে এডিস এজিপ্টাই প্রজাতি মশার লার্ভা না জন্মাতে পারে। প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ।  স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফুলপ্যান্ট ও ফুলহাতা শার্ট পড়া বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ। যাতে  এডিস এজিপ্টাই মশা ছাত্র ছাত্রীদের শরীরের কোনও অংশে কামড়াতে না পাড়ে। স্কুলে কোনও ছাত্র ছাত্রীর জ্বর হলে পুরসভার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কলকাতা পুরসভার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট কলকাতা পুরসভার কাছে পাঠাতে হবে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে। রক্তের নমুনা ডেঙ্গি পজেটিভ হলে তা কলকাতা পুরসভার নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানাতে হবে। যদি বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করা হয়, নমুনা রিপোর্ট মেইল করে কলকাতা পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ে জানানো যেতে পারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) মোবাইল ফোন থেকে মিলল বিস্ফোরক তথ্য।  পুকুরে উদ্ধার হওয়া সেই মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে অবাক সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে (CBI) দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, টাকা দিয়েও হয়নি কাজ, ফেরত চাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। জানা গিয়েছে, টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন বড়ঞার বিধায়ক। টাকা ফেরত পেতে অনুরোধ জানালেই চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে।

    কীভাবে মিলল মোবাইল

    চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার আন্দিতে, নিজের বাড়ি থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার (Recruitment Scam) করে সিবিআই। সেই সময়ই প্রমাণ লোপাটের জন্য়, নিজের ২টি মোবাইলই তিনি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পাম্পের সাহায্য জল ছেঁচে টানা প্রায় তিনদিনের চেষ্টায় পুকুরের কাদা পাঁক থেকে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল দুটি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। টানা প্রায় তিনদিন জলের তলায় থাকা এই মোবাইল দুটি থেকে আদৌ কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কী না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণর দুটি মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামোন্নয়নে মোদি সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ৬০০ কোটি, ১০ দিনে টাকা পাবে রাজ্য

    কী রয়েছে চ্যাটে

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত যাদের চাকরি দিতে পারেননি সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের কথোপকথনের একাধিক তথ্য রয়েছে ওই চ্যাটে। সেখানে টাকা ফেরতের অনুরোধ করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পাল্টা হিসেবে বিধায়কের তরফে কখনও ‘অর্ধেক টাকা ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস’, কখনও বা ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এক পয়সা না দেওয়ার হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে ১২ লক্ষ, কারও কাছে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, “এতদিন যা ছিল অভিযোগ, এবার সেটাই বলছে খোদ বিধায়কের মোবাইলের চ্যাট হিস্ট্রি!” সিবিআই সূত্রে পাওয়া এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থী বলছেন, ‘‘স্য়র, আমার টাকার দরকার। চারদিক থেকে খুব চাপ আসছে।’’ উত্তরে জীবনকৃষ্ণ সাহা, বলছেন, ‘‘আমি অর্ধেক টাকা দিয়েছি। বাকি টাকার জন্য় ধৈর্য ধরতে হবে। বারবার ফোন করলে কিন্তু গ্রেফতার হতে হবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal News: বাংলার গ্রামোন্নয়নে মোদি সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ৬০০ কোটি, ১০ দিনে টাকা পাবে রাজ্য

    Bengal News: বাংলার গ্রামোন্নয়নে মোদি সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ৬০০ কোটি, ১০ দিনে টাকা পাবে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ যে বেশ কিছু প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপির দাবি, প্রকল্পের টাকা বন্ধ নয় উপরন্তু চুরি আটকানো হয়েছে। এবং সত্যিই যে প্রকল্পের টাকা আটকানো হয়নি, বিজেপির এই দাবিতে এবার সিলমোহর দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় সরকারকে। সূত্রের খবর, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা (Bengal News) পেতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এই টাকা পাবে রাজ্য। গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানীয় জল, নিকাশি এই সমস্ত কাজে ব্যয় করা যাবে এই অর্থ। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি রাজ্যই প্রতি আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের এই অনুদান পায়। সেই টাকার প্রথম ধাপের অর্থ পেতে চলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর (Bengal News)। আরও জানানো গিয়েছে, দশদিনের মধ্যে যে টাকা ঢুকবে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের অ্যাকাউন্টে, সেই টাকার ৭৫ শতাংশ খরচের হিসাব দেখানোর পরেই নভেম্বরে মিলবে দ্বিতীয় ধাপের টাকা। হিসাব অনুযায়ী, ১২০০ কোটি টাকা নভেম্বর পর্যন্ত খরচ করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

    কেন্দ্রের টাকা চুরির অভিযোগে সরব বিজেপি 

    বিভিন্ন প্রকল্পে শাসকদলের চুরির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে শুভেন্দু অধিকারীকে অত্যন্ত সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। এবং সেখানে তাঁর অভিযোগ ছিল সারা রাজ্যে ১কোটি ১৭ লাখ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এবং স্থানীয় শাসক নেতারা এর মাধ্যমে দুর্নীতি করছেন। এখানেই থামেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি এই গোটা ঘটনা ক্যাগকে দিয়ে তদন্ত করারও আর্জি জানান। তখন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু নথি পোস্ট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কীভাবে ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে, তার প্রমাণ দেন বিরোধী দলনেতা।

    জনগণের থেকে জব কার্ডের সংখ্যা বেশি!

    গত বছরের ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্টও (Bengal News) তুলে ধরে সরব হন বিরোধী দলনেতা। এবং তিনি অভিযোগ করেন ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু আরও দাবি করেন যে কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং বিডিও-রা এফআইআর করতে চাইলেও সে সুপারিশ কার্য করা হয়নি (Bengal News)। এমনকি বেশ কিছু ব্লক রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, যেখানে জনগণের থেকে জব কার্ডের সংখ্যা বেশি রয়েছে। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরাও রয়েছেন এই তালিকায়, এমনই অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: মন্ত্রীর খাসতালুকে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    Krishna Nagar: মন্ত্রীর খাসতালুকে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের খাসতালুক কৃষ্ণনগর-১ (Krishna Nagar) ব্লকের রুইপুকুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি (BJP)। তৃণমূলের দুই বিক্ষুব্ধ জয়ী প্রার্থী ও সিপিএমের দুজন জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে রুইপুকুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল গেরুয়া শিবির। এই প্রথম বিজেপি এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার দলীয় কর্মী, সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলকে হারিয়ে বাজিমাত বিজেপির (Krishna Nagar)

    রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২২টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২ টির মধ্যে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম পায় ২টি আসন ও বিজেপি জয়লাভ করে ৭ টি আসনে। ভোটের পর তৃণমূলের ১জন জয়ী প্রার্থীর মৃত্যু হলে শাসক দলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ টিতে। প্রসঙ্গত, রুইপুকুর পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বে তৃণমূলের পছন্দের সদস্যকে মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলেরই জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ২জন বিরোধিতা করে। বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। যার ফলে প্রথমদিকে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও পরবর্তীতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ টি। ফলে, সিপিআইএমের দুজন জয়ী প্রার্থী ও তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ দুই প্রার্থীর সমর্থনে মঙ্গলবার রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি ((Krishna Nagar))। প্রধান হন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী অনুপ বিশ্বাস। পাশাপাশি উপপ্রধানের দায়িত্ব পান বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন বিজেপির উপ প্রধান?

    এ প্রসঙ্গে সিপিআইএমের জয়ী প্রার্থী ইসরাফিল শেখ বলেন, স্বচ্ছ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতেই আমরা একজোট হয়ে পঞ্চায়েত বোর্ডটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন সকাল থেকেই রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে ছিল প্রচুর পুলিশ মোতায়ন ছিল। বিজেপির উপ প্রধান সুপ্রিয়া মণ্ডল বলেন, তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা বোর্ড গঠন করেছি। সেখানে সিপিএম, তৃণমূলের একাংশ রয়েছে। গোপনে ভোট হয়েছে। আমাদেরকেই সকলেই সমর্থন করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া। সোমবার তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের প্রাইমারি স্কুলের চার শিক্ষককে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার (Recruitment Scam) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এবার তলব করা হল বাঁকুড়ার প্রাইমারি স্কুলের সাত শিক্ষককে। বুধবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

    হাজিরায় আসতে হবে নথি নিয়ে 

    বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, জেলার এই সাত শিক্ষককে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই। এই শিক্ষকদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতিগত শংসাপত্র সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও ওই সাত শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকদের নথিগুলি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ টেটে

    জানা গিয়েছে, যে সাত শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব (Recruitment Scam) করেছে সিবিআই, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পাশ করে। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিবিআই সাত শিক্ষককে তলব করেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই জেলায়। সিবিআই কাকে, কখন তলব করবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা ২০১৪ সালের টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের একটা অংশ। প্রসঙ্গত, সোমবার যে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, দিনভর অবস্থানে কোভিড যোদ্ধারা

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ২৪ পাতার ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট ও চাকরি প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে তাপস নেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। আর চাকরি বেচে ৭১ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছিলেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। চাকরি করে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শিক্ষকের কাছ থেকে তাপস মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে ধৃত সায়গর দিয়েছিলেন ছ’ লক্ষ টাকা। জহিরউদ্দিন ও সৌগত দেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা। সীমার দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা। ওই চার্জশিটের প্রথমেই নাম রয়েছে আশিক আহমেদের। তিনি অবশ্য এখনও অধরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (Dhupguri byelection) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত ২৫ জুলাই ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হয়। জানানো হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা। ১৭ অগাস্ট ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন।

    উপনির্বাচনের খুঁটিনাটি

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসে অসুস্থ হন বিজেপি বিধায়ক  বিষ্ণুপদ রায়। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ওই আসনে ফের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। অবশেষে সেই তারিখ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ওই আসনে। ৮ তারিখ বেরোবে ফলাফল।

    নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৭ অগাস্টের মধ্যে নমিনেশন ফাইল করা যাবে উপনির্বাচনে (Dhupguri byelection) দাঁড়াতে হলে। নমিনেশন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ২১ অগাস্ট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৭৭ জন বিধায়ককে পেয়েছিল বিজেপি। এটাই বাংলায় বিজেপির সর্বোচ্চ বিধায়ক প্রাপ্তির রেকর্ড ছিল। বিষ্ণুপদ রায় গত বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৪৩৫৫ ভোটে। এই আসন ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। সদ্যই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে ধূপগুড়িতে বিষ্ণুপদ রায়ের স্ত্রীকেই প্রার্থী করতে আগ্রহী দল। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মঙ্গলবার, কমিশনের তরফে ৬ রাজ্যে ৭ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। যে সমস্ত রাজ্যে এই উপনির্বাচন (Dhupguri byelection) ঘোষণা হয়েছে, সেই রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, কেরলা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড। ওই একই দিনে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, উত্তর প্রদেশের ঘোসি, ত্রিপুরার বক্সানগর, ধানপুর, কেরলের পুথুপল্লী, ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেদিন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার ধানপুর আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছিলেন বিধায়ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নেওয়ার আগে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। তারফলে সেই আসনেও হতে চলেছে উপনির্বাচন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে অনেক আগেই। চলছে বোর্ড গঠনের তোড়জোড়। তার আগে অশান্তির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জয়ী প্রার্থীরা। মঙ্গলবার মথুরাপুর, মুর্শিদাবাদ ও রায়দিঘির বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন হওয়ার কথা মথুরাপুর পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের ৯জন জয়ী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নিরাপত্তার নির্দেশ মুর্শিদাবাদে

    মুর্শিদাবাদের তেনকরাইপুর বালুমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ জন প্রার্থী এবং জেলার হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের ১২ জন প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতজন জয়ী বিরোধী দলের প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তেনকরাইপুর বালুমতি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে ১১ অগাস্ট। ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন হওয়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনারই উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২৫ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল যাতে বোর্ড গড়তে না পারে, তাই জোট বেঁধেছে বাম ও কংগ্রেস। এদিন এখানেও বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।

    আদালতে কংগ্রেসের মস্কিনা

    প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতে ১৭টি আসন পেয়েছে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। বাকি ৮টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল জোট প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। এর পরেই প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মস্কিনা মমতাজ। মস্কিনা কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক আবুল বাশার লস্করের স্ত্রী। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকে বিচারপতি সেনগুপ্তের নির্দেশ, বোর্ড গঠনের দিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেদিন প্রার্থীরা যাতে বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামেও। বোর্ড গঠনের দিন ঘনিয়ে আসতেই বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা যাতে বোর্ড গঠনে উপস্থিত থাকতে পারেন, সে বিষয়েও পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের  (Calcutta High Court) নির্দেশ সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট চার মাস আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনও কাউকে চাকরি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মোট ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এনসিটিই-র গাইডলাই অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ নম্বর দরকার স্নাতর স্তরে। ওই আবেদনকারীদেরও ৪৫ শতাংশ নম্বর ছিল। কিন্তু অভিযোগ, পর্ষদ বলেছিল স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ দরকার। এনসিটিই-র সেই গাইডলাইন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলার শুনানিতে গত ১০ এপ্রিল তাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। তাঁর নির্দেশ ছিল, মামলাকারীদের তথ্য যাচাই করে জুন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু সেই জুন পেরিয়ে জুলাইও শেষ হয়ে গেল। অথচ, ওই ৬২ জনের এখনও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এমন অবস্থায় তাই এবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন ওই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    গত ২৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, তথ্য যাচাই করে মামলাকারী ৭৪ জনের মধ্যে ৬২ জনকে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে শূন্যপদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। তালিকা এলেই তাঁদের শীঘ্রই নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পর্ষদ। তার মধ্যেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই অধ্যাপিকাসহ তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই রোডে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে। জখম যুবককে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই অধ্যাপিকা সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। দু-জনেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা নন্দিনী ঘোষ (৩৬) মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশা রায় (৩৩) দূরশিক্ষা বিভাগের পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। মিশার বাড়ি সোদপুরে। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে গাড়িচালক বিশ্বজিত রায়ের(৩১)। বিশ্বজিতের বাড়িও উত্তরপাড়ায়।

    ঠিক কীভাবে দুঘর্টনা ঘটেছে?

    দুই অধ্যাপিকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোয়ার্টার রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে গাড়ি করে যাতায়াত করতেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেলারটি। উল্টো লেনে ছিল গাড়িটি। মেদিনীপুর থেকে নন্দিনীর গাড়ি করে তাঁরা হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন। হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারটি হঠাৎই ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। সেই সময় ওই লেনে কোলাঘাটের দিক থেকে আসছিল নন্দিনীদের গাড়িটি। ট্রেলারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন চালক সহ তিন যাত্রী। খবর পেয়ে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের নিয়ে আসা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    নন্দিনী ঘোষের বাবা সুদীপ ঘোষ বলেন, এক সময় মেয়ে শ্রীরামপুর কলেজে পড়াত। পরে, সে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়। ট্রেনে যাতায়াত করত। কিন্তু, লকডাউনের সময় গাড়ি কিনেছিল। গাড়ি করে যাতায়াত করত। সঙ্গে সোদপুরের মিশা থাকত। সোমবার সকালে আমি নিজে হাতে টিফিন তুলে দিয়েছি। বিকেলের পর মেদিনীপুর থেকে বেরিয়ে ওর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রাত ৮ টার পর আর তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। প্রাক্তন আইপিএস হিসেবে তিনি লালবাজারে পুরানো সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই হাওড়ার (Howrah) পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কার্যত তিনি ভেঙে পড়েন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) বিরুদ্ধে সিবিআই-এর (CBI) ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য।

    গ্রেফতার চার শিক্ষক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে টাকা দিয়ে চাকরি কেনা চার শিক্ষককে (Teacher recruitment scam)। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। তাঁদের ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিবিআই তার নথিতে উল্লেখ করেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চার শিক্ষক ঘুষের টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। সিবিআই আগেই দাবি করছিল যে, একাধিক প্রার্থীর বয়ান থেকে তাপসের টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কে কাকে টাকা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তকারীরা যে নথি পেশ করেন, তাতে ওই চার শিক্ষকের নাম ছিল এবং নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই চার শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি কেনেন।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কার থেকে কত টাকা

    সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়। তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও শিক্ষককে এর আগে গ্রেফতার হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share