Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় গত দুসপ্তাহের মধ্যে দুজন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জেলায় হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গির চোখ রাঙানিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সরকারি হাসপাতালে। নাজেহাল হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই তীব্র হওয়ায় বেডে জায়গা নেই রোগীদের। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের।

    রোগীর পরিবারের লোকজনেরা কী বললেন?

    গত কয়েক মাস ধরে গোটা জেলা জুড়ে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নাজেহাল অবস্থা। অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী পরিবার গুলিকে। বেডে জায়গা না থাকার কারণে মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা চলছে অনেক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের। কিন্তু সেই একই চিত্র ধরা পড়ল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। একটি ওয়ার্ডে রয়েছে চল্লিশটি বেড। আর ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি, তার মধ্যেও অন্যান্য রোগীদেরও চলছে চিকিৎসা। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কিন্তু, বাস্তবে এই হাসপাতালে কোনও পরিকাঠামোই নেই। ফলে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আরও বেড সংখ্যা বাড়লে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত রোগীদের। কিন্তু, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। ফলে, একটি বেডে দুজন আক্রান্তকে রেখেই চলছে চিকিৎসা। ফলে, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসেও রোগীরা আতঙ্কিত রয়েছেন।

    কী বললেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা?

     হাসপাতলে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের বক্তব্য, দিনরাত এক করে আমরা কাজ করছি। কিন্তু, কিছুতেই সামাল দিতে পারছি না। এখন একটাই দুশ্চিন্তা আমাদের, প্রতিদিনই যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে রোগীদের সামলাতে গিয়ে নিজেরাও বেসামাল হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মুখে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ শেষে দুর্যোগের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal)উত্তর বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় ফের ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone) তৈরি হয়েছে। অবস্থান বদল করে মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত বিহারের ভাগলপুর ও মালদার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।  

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    রবিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল। সোমবার কলকাতা সহ জেলায় জেলায় দিনভর চলছে একটানা বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে, কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও আবার প্রবল বর্ষণ জেলায় জেলায়। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আরও আট জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সঙ্গে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগেবইবে ঝড়ো হাওয়া। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।  

    শহরে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে মঙ্গলবার ও বুধবারেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় মেঘলা থাকবে আকাশ । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা মঙ্গলবার এবং বুধবারও সারাদিনে পর্যন্ত ৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। এদিনও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। সোমবার বৃষ্টি হয়েছে ১৫.১ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি

    বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আজ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। মঙ্গলবারে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য এলাকা দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার চার শিক্ষক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় এই প্রথম কোনও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে যাঁদের হাত ধরে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের। আজ, সোমবার আলিপুর আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের ওই চার শিক্ষককে।

    গ্রেফতার ৪ শিক্ষক 

    এর পরেই তাঁদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ওই শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সাইগার হোসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ, সমীর হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল এই চার শিক্ষকের। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে কবুল করেছিলেন এঁরা।

    কবুল করেছিলেন অপরাধ?

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক (Recruitment Scam) স্কুলের শিক্ষক। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাছে এই মর্মে বিবৃতিও দিয়েছিলেন এই চারজন। এঁদের বয়ানকে হাতিয়ার করে তাপসের বিরুদ্ধে তথ্য হিসেবে এবং সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে এদিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নিজেরা অযোগ্য জেনেও এঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন। এঁরা তো বাকিদের সঙ্গে সমান অভিযুক্ত। এর পরেই ওই শিক্ষকদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিন শুনানিতে বিচারক চট্টোপাধ্যায় এই শিক্ষকদের আইনজীবীকে বলেন, “আপনার মক্কেলদের কেন জামিন দেব? এরাই সেই পাবলিক, যার জন্য এতগুলো মানুষ ভুগছে।” অভিযুক্তদের উদ্দেশেও তাঁর প্রশ্ন, “আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেব।” এদিকে, এদিনই নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা। দিন কয়েক আগেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, শতরূপাকে এভাবে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। এদিন বিচারপতি ঘোষই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন শতরূপাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর (Behala accident) পর রাতারাতি বদলে গিয়েছে বেহালার রাস্তার চিত্র। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বসেছে পুলিশি পাহারা, বসানো হয়েছে ড্রপগেট। তার পাশাপাশি এবার রাস্তার দুপাশের হকারদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হল (Behala Hawker eviction)।  রবিবার রাত থেকেই বেহালা চৌরাস্তায় নেমেছে বুলডোজার। ইতিমধ্যেই দু’ফুট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায় বসা হকারদের। বহু গুমটি তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গুমটি মালিকের খোঁজ না মেলায় বুলডোজার দিয়ে সেগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। রাতভর চলেছে এই কাজ।

    বেহালার রাস্তায় বুলডোজার

    গত শুক্রবার বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকার। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এতদিন তাদের চোখ বন্ধ ছিল বলে দাবি, স্থানীয়দের।  ফুটপাথের দু’পাশ থেকে বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান ইত্যাদি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচলের পরিসর প্রশস্ত করার জন্য। সেই মর্মে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক পদক্ষেপের এই পর্যায়ে ভাঙা পড়তে পারে ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরি ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘এসি রুম’। 

    ভাঙা পড়তে চলেছে পার্থের কার্যালয়

    তার মৃত্যুতে বেহালার জনতার ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে চরমে। সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন।গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম তেমনই বলছে। কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা একযোগে বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া অংশে বেআইনি ভাবে তৈরি যাবতীয় নির্মাণ ভাঙতে উদ্যোগী হচ্ছে। সেই সূত্রেই বেহালা ম্যান্টনের কাছের ফুটপাথে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বসার যে বাতানুকূল ঘরটি রয়েছে, সেটি নজরে এসেছে প্রশাসনের। তার পরেই সেটি ভাঙার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এসে ওই বাতানুকূল ঘরটিতেই বসেছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর বিধায়ক কার্যালয় খোলা হলেও ওই ঘরটি আর খোলা হয়নি। তবে সেটি পরিচ্ছন্ন রাখা হত। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী রাখী চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের এত বড় একজন নেতা হয়ে দিনের পর দিন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার আইন সচেতন মানুষ সকলেই জানতেন, তাঁর ওই বসার জায়গাটি বেআইনি ভাবে তৈরি। এ ছাড়াও বেহালা ম্যান্টনের ওই ফুটপাথ এবং ডায়মন্ড হারবার রোডের বড় একটা অংশ পার্থবাবু ও তাঁর অনুগামীদের জন্য গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে রাখতে পুলিশ। ক্ষমতায় আছেন বলে কেউ মুখ খুলত না। এ সব কাজ দিনের পর দিন হয়েছে বেহালার মানুষের চোখের সামনে। আমরা সবাই তখন চোখ বুজে ছিলাম। গরিব মা-বাবার সন্তানকে প্রাণ দিয়ে আমাদের চোখ খোলাতে হয়েছে। এটা আমাদের মতো বেহালাবাসীদের কাছে লজ্জার। এমন আরও অনেক কাজ পার্থবাবু বেহালায় করে গিয়েছেন, যা দিনে দিনে প্রকাশ পাবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের

    Nandigram: কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও পুলিশ, আবার কোথাও বা দুষ্কৃতী দিয়ে তৃণমূলের নেতারা বিরোধীদের বোর্ড গঠনে বাধা দিচ্ছে, এই অভিযোগে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি (BJP seeks security in High Court)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিরোধীদের বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে বিজেপি (BJP seeks security in High Court)। 

    নন্দীগ্রামে ভালো ফল বিজেপির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে ভালো ফলাফল করেছে বিজেপি। কিন্তু তাদের আশঙ্কা, বোর্ড গঠনের আগেই তাদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। পুরানো মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। আর তার জেরেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি রয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই নন্দীগ্রাম আসন থেকেই গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    বিজেপির দাবি

    নন্দীগ্রামের ২টি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের দাবি বোর্ড গঠনের জন্য তারা যাতে হাজির হতে না পারেন সেজন্য এবার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের দাবি, আচমকাই পুরানো মামলার ফাইল খুলতে শুরু করেছে পুলিশ। খুঁজে পেতে সেই পুরানো মামলায় তাদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। জয়ী প্রার্থীরা নিজেদের এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। মূলত বোর্ড গঠনের আগেই তাদের গ্রেফতার করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেকারণে তাঁরা এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম নয়, নদিয়ার রানাঘাট ১ ব্লক, হবিবপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় একইভাবে বোর্ড গঠনে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস আবার কোথাও নির্দল জয়ী প্রার্থীদের বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদল বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে রুজু হয়েছে একাধিক মামলা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বোমাটা ফাটিয়েই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)! সোমবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, “নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।” পার্থ বলেন, “এক বছর ধরে সিবিআই কিছু প্রডিউস করতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই। সামনে পুজো, আমারও পরিবার আছে, যে কোনও শর্তে জামিন দিন।” রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একজন পলিসি তৈরি করে, একটা অংশ নিয়োগ করে। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এসএসসি আলাদা একটি বোর্ড। মন্ত্রী এসএসসিকে নিয়ন্ত্রণ করত না। আমি জানি না কারা চাকরি পেয়েছেন। আমি পাঁচটি দফতরের দায়িত্বে ছিলাম, বারবার দফতর বদল হয়েছে। নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই।”

    পার্থর দাবি

    এদিনও ফের পার্থ (Partha Chatterjee) দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যাঁরা ফাঁসিয়েছে, তাঁদের আমি সামনে নিয়ে আসতে চাই। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমার জামিন মঞ্জুর করা হোক।” এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় পার্থকে। সেই সময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘আমার বস’ বলে সম্বোধন করেন পার্থ। বলেন, “আমার বস বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উডল্যান্সসে ভর্তি। উনিও অসুস্থ। আমিও অসুস্থ।”

    হাত ধুয়ে ফেলে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরপরই পার্থকে (Partha Chatterjee) দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পর এদিন তিনি বুদ্ধদেবকে ‘আমার বস’ সম্বোধন করায় ছড়িয়েছে জল্পনা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাও। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গ দিয়ে আবার অসমে গরু, মহিষ পাচার শুরু হয়েছে। এই কাজ করছেন ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি। রবিবার সন্ধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গকে করিডর করে অসমে এই মহিষ, গরু পাচারে রাজ্য পুলিশে ডিজি, আইজি ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার পুলিশ সুপাররাও যুক্ত রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ দিয়ে অসমে অনেকদিন ধরেই মহিষ পাচার হচ্ছে। পাচারের পথে শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় বহু মহিষ উদ্ধার হয়েছে। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে।

    মহিষ পাচারের নেটওয়ার্ক নিয়ে কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ডালখোলা থেকে পাচারের কাজ শুরু হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের এসপিরা এর ব্যবস্থাপনা করছেন। অসমে এই গরু-মহিষ এবং শুকর পাচার ডিজিপি মনোজ মালব্যের সম্মতিতে হচ্ছে। আইজিপি তদারকি করছেন। ময়নাগুড়ির আইসি সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই কাজটা করছেন।

    কীভাবে পাচার হচ্ছে, জানালেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ৩৯ থেকে ৪৫ ফুট দৈর্ঘের  কন্টেনারে যাচ্ছে মহিষ, গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক একটি কন্টেনারে ৪০/৪৩ টি গরু ও মহিষ পাচার করা হচ্ছে। এরকম ৩০ থেকে ৩৫ টি  কন্টেনার করে এই গরু ও মহিষ পাচার করা হচ্ছে। বাংলা – আসম বর্ডারের শ্রীরামপুরে নামিয়ে মহিষ অসমের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    পাচারের টাকা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকার মতো উঠছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশের কাছে টাকাটা জমা হচ্ছে। এর একটা বড় অংশ ভাইপোর কাছে যাচ্ছে। প্রতীক দেওয়ান বলে ভাইপোর একজন ঘনিষ্ঠ  হাওলার মাধ্যমে এই টাকা নিয়ে যান। উত্তরবঙ্গকে করিডর করে এই অবৈধ কাজ হচ্ছে। এর সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতার পুলিশ যুক্ত। উত্তরবঙ্গের মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করার জন্য একথা জানালাম। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকেও জানিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রাজ্যে

    Dengue Update: আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা থেকে শহর দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের (infected) সংখ্য়া। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে (State) ৫ হাজার ৭৫১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। গত সপ্তাহেও বেড়েছে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা। গত সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫০। রিপোর্ট অনুসারে, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।  এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০ জন, নদীয়াতে ৩০০ জন এবং হুগলীতে ৯৫ জন। দু’সপ্তাহে বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৮০ জনেরও বেশি। গত জানুয়ারি থেকে পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮ বলে দাবি করছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন, ডেঙ্গির সংক্রমণ এ বার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পালা।  

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় পদক্ষেপ

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে এখনও ২৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, দাবি স্বাস্থ্য সচিবের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার হাসপাতালে খোলা হয়েছে একশো শয্যার আলাদা ইউনিট। জঞ্জাল ফেলা নিয়ে এবার আরও কড়া হতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে কড়া কলকাতা পুরসভাও। ফাঁকা জমি ও পুকুরের পাশে জঞ্জাল ফেলা হলে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট জমি ও পুকুরের আশেপাশে সব বাড়িকে নোটিস পাঠানো হবে। 

    আরও পড়ুন: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    সতর্ক থাকার পরামর্শ

    স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ৩ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১। বেসরকারি হিসেবে এ বছর এখনও পর্যন্ত ১০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জ্বর হলেই সময় নষ্ট না করে শুরু করতে হবে চিকিৎসা, পরামর্শ চিকিৎসকদের। বর্ষার জমা জলে বাড়ছে এডিস ইজিপ্টাই-এর সংসার। ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর-সর্দি-কাশি। শুধু কলকাতা নয়, শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাতেও বাসা বেঁধেছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ২৫০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্রের খবর, গত বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। সরকারি হিসেবে মারা গিয়েছিলেন ৩০ জন। তবে বেসরকারি মতে, সেই সংখ্যা ছিল ১০৫। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

    বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share