Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ মামলায় ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। নারদ মামলার এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার আদালতের নির্দেশ, অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে।

    নারদ স্টিং অপারেশন

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং অপারেশন। অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রথম সারির বহু নেতা ঘুষ নিচ্ছেন। মামলায় জড়িয়ে পড়েন এই নেতারা। এঁদের মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। কেউ আবার অন্য দলে চলে গিয়েছেন। মামলায় নাম জড়ায় আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারের। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানান, ২০১৪ সালের ঘটনা। চার্জশিটেও তাঁর নাম নেই। সিবিআই তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে। এই মামলায়ই সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত।

    অপরূপার দাবি

    প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানিয়েছিলেন, সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাঁর নাম এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। গত ৮ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য মেলেনি বলেও দাবি তৃণমূল নেত্রীর। এদিন আদালতে অপরূপা বলেন, সিবিআই এখনও সেই চিঠির কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নারদকাণ্ডে (Calcutta High Court) যাঁদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা হলেন মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই নারদকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক-কুন্তল মামলায় অর্ধেক তদন্ত বাকি, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই

    Kuntal Ghosh: অভিষেক-কুন্তল মামলায় অর্ধেক তদন্ত বাকি, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক – কুন্তলের (Kuntal Ghosh) চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হয়েছে বলে হাইকোর্টে দাবি করল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ওই মামলায় এখনও তাঁদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। যা শুনে আদালত সিবিআইকে পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘‘সত্য খুঁজতে আর কত দিন সময় লাগবে?’’

    সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত কতটা এগিয়েছে সিবিআই-এর কাছে তা জানতে চায় আদালত। তখনই  সিবিআই  জানায়, ইতিমধ্যে অভিষেক এবং কুন্তলের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ বাকি আছে। তাই তাদের কিছুটা অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। এর পাল্টা হিসেবে বিচারপতি বলেন, ‘‘সত্য খুঁজতে আর কত দিন সময় লাগবে? এই তদন্তের অগ্রগতি কোথায়? অভিযুক্ত সব তথ্য স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু তদন্ত তো সঠিক পদ্ধতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার!’’ 

    সিবিআই-এর নির্দেশ

    সিবিআই এদিন আদালতকে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের একটি সিসিক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়াতেই তদন্তে দেরি হচ্ছে। তারপরই আদালত নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ওই ফুটেজ জমা দিতে হবে। সিবিআইয়ের টেকনিক্যাল টিম রেজিস্ট্রার জেনালেরের কাছে বসে তাদের টিম এনে সেই ফুটেজ কপি করবে। রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, ২৫ দিন সময় লাগবে সিসিটিভি ফুটেজ দিতে। এরপর এই মামলায় সার্বিক তদন্ত কতদূর এগিয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    ইডিকে নির্দেশ আদালতের

    পরে কুন্তলের মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘কুন্তল ঘোষের উপর নজর রাখবেন জেল সুপার। তিনি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করবেন। আদালত চাইলেই সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে।’’ বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ মামলা নিয়ে ইডিকেও বিচারপতি সিন্‌হার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বিচারপতি জানতে চান, ‘‘তদন্তে যুক্ত ইডি অফিসাররা দক্ষ তো?’’ এর জবাবে ইডি বলে, ‘‘নিশ্চয়ই! তারা যোগ্য।’’ শুনে বিচারপতি সিন্‌হা ইডিকে নির্দেশ দেন,  এক মাস পরে নিয়োগের তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যে পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতের (Panchayat Election 2023) দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের কাছে নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কি আদৌ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নজরদারি করার এক্তিয়ার আছে? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি এ ব্যাপারে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নয়া কমিশনার রাজীব সিনহা। ভোট হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকেও কেন্দ্র করে নিত্য আসছে অশান্তির খবর। অশান্তির এই আবহেই গন্ডগোলের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একেই অতিসক্রিয়তা বলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের যুক্তি, একটি স্বাধীন সংস্থার কাজের ওপর নজরদারি করতে পারে না অন্য স্বাধীন সংস্থা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন

    সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের তরফে (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। চিহ্নিত করবেন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিও। পরে রিপোর্ট দেবেন কমিশনকে। ওই এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বা পরে প্রয়োজনে মাইক্রো হিউম্যান রাইটস অবজার্ভার মোতায়েনের পরামর্শও দিতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকারীন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই পদক্ষেপ নিয়েই প্রশ্ন তুলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুুন: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় রবিবার ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। সেখানে ডব্লিউবিসিএস এবং আইএএস কর্তাদের নিয়োগ করা হয়। তাই আলাদাভাবে পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) আবার তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই দফতর, নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বিগত কয়েক মাসের তদন্তে মণীশের সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।

    ফাইল পাঠাতেন মণীশ 

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহু বার প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন যে, তিনি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন না। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তৎকালীন শিক্ষাসচিব তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ফাইল পাঠাতেন, তাতে তিনি সই করে দিতেন। পার্থের বক্তব্য অনুযায়ী, মণীশ যদি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়ে থাকেন, তবে কাদের নির্দেশে তিনি তা করতেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, মণীশকে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, উপদেষ্টা কমিটির বেশ কিছু নথিপত্রে মণীশের স্বাক্ষর পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, মূলত কার নির্দেশে কাজ করত এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটি। 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    গত জানুয়ারি মাসে তদন্তকারীরা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সদর কার্যালয় বিকাশ ভবনে হঠাৎই হানা দিয়েছিলেন। ওই দিন বিকাশ ভবনের ছ’তলায় রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের ঘরে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁকে কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে সংগ্রহ করা হয় কিছু প্রয়োজনীয় নথিও। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা সচিব হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা দফতরেরও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: একজন সাংসদের জন্য কেন প্রতিদিন কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: একজন সাংসদের জন্য কেন প্রতিদিন কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে ঘিরে গত রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরনগর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। তিনি ঠাকুরনগর থেকে বেরিয়ে আসার পর মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    ঠাকুরনগরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূল সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মন্দিরে প্রবেশ করার আগে তাদের ঠাকুরবাড়ি থেকে লিখিত অনুমোদন নেওয়া উচিত ছিল”। তিনি আরও বলেন, “একজন লোকসভার সাংসদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। তার কী পরিণতি, তা পুলিশ বুঝতে পারবে”। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শান্তনু ঠাকুরকে নির্বাচনে হারিয়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন, এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি আজ পর্যন্ত যাঁকে যাঁকে হারিয়ে দেবেন বলেছেন, তাঁরা সকলেই জিতেছেন”।

    নবজোয়ার সম্পর্কে বক্তব্য

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির জেরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে। এর ফলে ঠাকুরবাড়ির পবিত্র মাটিকে অপমান করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এদিন পুরো ঘটনা সবিস্তারে শুনেছেন। ঘটনার দিন মতুয়া সম্প্রদায়ের যে তিনজন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলাও ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবর নেন শুভেন্দু। মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও বলেন, সাগরদিঘির মতো যদি পঞ্চায়েত ভোট হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরপর বলেন, আমি আগের দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। গন্ধময় চারদিক। পরিকাঠামো নেই, অথচ একজন সাংসদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।

    ঠাকুরবাড়িতে ঘটনার দিনই তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে ঠাঁই না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আন্দোলনের মাটি নন্দীগ্রামে শাসকদলের ছন্নছাড়া অবস্থা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বাধার মুখে পড়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন ভূমিপুত্র তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।

    নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেয়াপাড়া ব্লকের বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরচক থেকে  রেয়াপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)। তিনি বলেন, “রক্ত দেব, তবু নন্দীগ্রামে তৃণমূল চোরেদের জায়গা দেব না। “নন্দীগ্রামে বিজেপি কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করবে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টি আমরা দখল করব। বাকি ৫ টি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করবো।” এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিজেপির মিছিল বের হয়। মিছিলে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া ব্লক অফিসের আগে পর্যন্ত মিছিল যায়। তার পর নিয়ম মেনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে যান।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) আরও  বলেন, “যেখানেই ভোট হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে। নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।” রেয়াপাড়া ব্লকে মোট ৭ টি অঞ্চল রয়েছে। এই সাতটি অঞ্চলে মোট ১১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবে্ন। দুটি জেলা পরিষদের আসনে আগামী কাল তাঁরা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। এবারেও ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নন্দীগ্রামেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ (Partha Chatterjee) সাত জনের জামিনের আবেদন (Bail Plea Rejected) ফের খারিজ করল আদালত। ২৭ জুন পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত (Alipore Court)। একই সঙ্গে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার, তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন তা বরদাস্ত করা যায় না। তা আদালতের পক্ষে অপমানজনক।

    পার্থকে ভর্ৎসনা বিচারকের

    এর আগের শুনানির দিন আদালত চত্বরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেছিলেন, ‘‘বিচার কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমি বিচার চাই না, জেলের ভিতরে চিকিৎসা চাই।’’ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানির সময় ক্ষুব্ধ বিচারক পার্থ এবং তাঁর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাইরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন উনি, তা আদালতের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। বুঝতে হবে, সব ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যায় না।’’ সবুজ রঙের পাঞ্জাবী-সাদা রঙে পাজামা পরে এদিন বিচারকের ঠিক সোজাসুজি বেঞ্চে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেই বসে ছিলেন পার্থ। শুনানি চলার সময়ে ক্ষুব্ধ বিচারককে দেখে কখনও মাথা নিচু করছিলেন, কখনও আবার চশমা খুলে চোখ বন্ধ করছিলেন। পরে কোর্ট রুমের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন আদালতকে অবমাননা করিনি, করবও না।’’ যদিও আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারকের কাছে মক্কেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থর আইনজীবী।

    পার্থের উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সামনে মঙ্গলবার আবারও ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। এদিন আদালত চত্বরে অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সই সংগ্রহের পর্ব চলছিল। ওই সই সংগ্রহ পর্ব চলাকালীনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। পার্থকে দেখামাত্রই সই সংগ্রহ অভিযানের একাংশের থেকে উঠতে থাকে ‘চোর চোর’ স্লোগান। 

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় মোদিকে স্বাগত জানাবে ২১ গান স্যালুট! ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের

    পার্থের জামিনের আর্জি খারিজ

    মঙ্গলবার একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ-সি মামলায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, নাইসার প্রাক্তন কর্তা নীলাদ্রি দাস এবং এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু এদিনও পার্থ-সহ ৭ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi) এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রোজগার মেলা’র (Rozgar Mela) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিলি করা হয় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র। পরে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন মমতা এবং লালুকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেনি। তারা শুধুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।”

    কাটমানি

    বাংলার নাম না করে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কাজ পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। পৃথক পৃথক কাজের জন্য আলাদা রেট অর্থাৎ কত টাকা দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করা আছে।” এই দলগুলির রেটকার্ডের বিপরীতে তাঁর সরকার দেশের যুবদের চাকরি সেফগার্ড করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, দেশের এক রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। সরকারি চাকরির প্রত্যেক পদের জন্য আলাদা আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। এই রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তার জন্য আলাদা রেট। গাড়িচালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।”   

    জমির বদলে চাকরি

    জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিন নাম না করে সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে আরও একটি মামলা সামনে এসেছে। এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রেলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছেন। জমির বদলে চাকরি দেওয়ার এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভাষা বিতর্কের প্রসঙ্গও।

    আরও পড়ুুন: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “দেশে কিছু কিছু দল ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। ভাষার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে চাইছে, হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমার সরকার সব সময় চেষ্টা করে চলেছে যাতে দেশের যুব সমাজের স্বপ্ন পূরণের পথে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। এই লক্ষ্যেই প্রবেশিকা পরীক্ষা যে কোনও ভাষায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: স্পর্শকাতর জেলা, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের!

    Calcutta High Court: স্পর্শকাতর জেলা, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সবকটি স্পর্শকাতর জেলা ও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া। তবে মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়ে দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার প্রথম শুনানি হয় শুক্রবার। সোমবার দু দফায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় চলার পর শেষ হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুনানি। মঙ্গলবার ছিল রায় (Calcutta High Court) ঘোষণার দিন। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। 

    ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট

    আদালত তার নির্দেশে জানায়, নির্বাচন কমিশনের উচিত ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে, তা দেওয়ার। কমিশন আগেই হাইকোর্টে জানিয়েছিল সাতটি জেলা স্পর্শকাতর। এই সাতটি জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর জেলাগুলি ছাড়াও যে যে জেলা বা জায়গায় রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম, সেখানেই শান্তিতে ভোট সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না, দিতে হবে কেন্দ্রকেই। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করাতে হবে। একান্ত নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে। ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কমিশনকে। সব বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ (Calcutta High Court), প্রয়োজনে করতে হবে ভিডিওগ্রাফিও। অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিনটি স্তরেই এক সঙ্গে ভোট গণনা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না। চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য। 

    আরও পড়ুুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) গোপন খবরাখবর পেতে সামরিক বাহিনীর একাধিক অফিসার ও কর্মীর জন্য ‘হানি ট্র্যাপ’ পেতেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই— এমন খবর প্রায়ই শোনা যায়। বিভিন্ন সময়ে শত্রুর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধরাও পড়েছেন একাধিক সামরিক কর্মী। 

    কিন্তু, কোনও পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় সেনা কর্মী হিসেবে ভারতে কর্মরত, এমন অভিযোগ আগে ওঠেনি। আগেও, আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে ভারতীয় সেনায় লোক ঢোকানোর চেষ্টা করছে আইএসআই, কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে, এবার শুধু দাবি-অভিযোগ উঠল তা নয়। দুই সেনা কর্মীর নামও উঠে এল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আদতে পাকিস্তানি নাগরিক। 

    অভিযোগ উঠেছে, নাম বদলে ভুয়ো পরিচয়, শংসাপত্র তৈরি করে সেনায় যোগ দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)। এখানেই শেষ নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই চক্রে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর একাংশও! গোটা ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    চলতি মাসের ৬ তারিখ হুগলির মগরার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক কর্মরত রয়েছেন (Pakistanis in Indian Army)। ওই দুজনের একজনের নাম জয়কান্ত কুমার এবং অন্যজন প্রদ্যুম্ন কুমার বলে দাবি করেন মামলাকারী। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। 

    মামলাকারীর দাবি, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্র কাজ করছে। যাতে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে স্থানীয় পুরনেতা। এছাড়া জড়িয়ে রয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে সেনারও একাংশ। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও প্রভাবশালী ও সেনা বাহিনীতে কর্মরতরা এই নিয়োগে যুক্ত। ভুয়ো বাসস্থানের শংসাপত্র জোগাড় করে দিচ্ছে। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে সহযোগিতা করছে। অভিযোগ, খড়দা থানা ও স্থানীয় কাউন্সিলরও তাদের চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)।

    আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    কী বলছে কলকাতা হাইকোর্ট?

    এদিন মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। মামলাকারীর দাবি শুনে, বিষয়টিকে মারাত্মক অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাজাশেখর মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, দেশের নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আইএসআইয়ের চক্রান্তে ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানের নাগরিকদের ঢোকানো অসম্ভব নয় (Pakistanis in Indian Army)।

    এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে সিআইডি-কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত এই মামলা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে সিআইডি (Pakistanis in Indian Army)। একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, সিবিআই ও কেন্দ্রকেও মামলায় যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-কে ও মিলিটারি পুলিশকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৬ জুন পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীকে প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share