Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলালের পরিবার!

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলালের পরিবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হচ্ছেন বগটুইকাণ্ডে স্বজন হারানো মিহিলাল শেখের (Mihilal Sheikh) পরিবারের লোকজন। তৃণমূল নয়, তাঁরা লড়বেন পদ্ম প্রতীকে। সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যান মিহিলালের ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এক সময়ের তৃণমূল কর্মী মিহিলালও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। মিহিলাল জানান, তাঁর পরিবারের তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে লড়বেন তাঁরা। মিহিলাল বলেন, “আমার ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী এবং আরও কয়েকজন মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। শুধু এখানে নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো থেকেও অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমি মূলত সংখ্যালঘুদের মনোনয়নগুলো দেখছি। ” 

    কী বলছেন মিহিলাল?

    তিনি (Panchayat Election 2023) বলেন, “শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ভোটে লড়ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত শাসন চাইছি। মিহিলাল বলেন, যারা আমাদের লোকজনকে পুড়িয়ে মারল, তারা এখন জেলের মধ্যে বিয়ার খাচ্ছে। বাইরে থেকে জেলে খাবার যাচ্ছে। এগুলো আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় করাচ্ছেন। এতদিন মুখ খুলিনি। সব লোককে টানাটানি করব না ভেবেছিলাম। কিন্তু পারলাম না।” বিজেপির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মিহিলাল। বলেন, “বগটুইয়ের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছেন।” বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা বলেন, “মিহিলালের নেতৃত্বে ওখানে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। সাধারণ গ্রামবাসী তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ভোট দেবে আমাদের।”

    বগটুইকাণ্ড

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ খুন হন (Panchayat Election 2023) তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। পরে তৃণমূলের লোকজন ১২টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আরও অনেকের সঙ্গে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মিহিলালের স্ত্রী, মা, মেয়ে এবং বোনের। মিহিলালের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বগটুইকাণ্ডের পর স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ায় বিজেপি। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন মিহিলাল। বগটুই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবার সেখানেই পাশার দান উল্টে দিতে পারেন স্বজনহারা মিহিলাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলার পর শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টায়, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রথমার্ধে শুনানি চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এই অর্ধে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভাল হয়। রাজ্য নিজের মতো বাহিনী দেবে। ধরুন, কলকাতা থেকে পুলিশ পাঠালেন হাওড়ায় ও হুগলিতে। সে ক্ষেত্রে শহরে তো বাহিনী কম পড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন কমিশনের।” রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনে ব্যবহার নিয়েও কমিশনকে সতর্ক করেন প্রধান বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।”

    বিস্ফোরক শুভেন্দু 

    এদিন শুনানি শুনবেন বলে আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। প্রথমার্ধের শুনানি শেষের পর তিনি বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারকে নীল জলপাই রংয়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য জেলায় যাবে, অন্য জেলা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এই জেলায় আসবে। যাতে কেউ চিনতে না পারে।”

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বেলা আড়াইটে নাগাদ শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুনানি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কি পিছবে এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয় শুনানি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কম এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই মামলার শুনানিতে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের সময় বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সময় মনোনয়ন পেশের জন্য অপর্যাপ্ত বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। কমিশন জানায়, মনোনয়নপত্র পেশের সময় চাইলে এক দিন বাড়ানো যেতে পারে। মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। সেটা বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। বিচারপতি বলেন, “সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে ১৪ জুলাই।” এদিন বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। যদিও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গণতন্ত্রকে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। এবার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” কথাগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “সোনামুখীতে দিবাকর ঘরামি তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল ন্যাজাটের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসপি ডায়মন্ড হারবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকাতে বলেছেন। হিঙ্গলগঞ্জে রাতে গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে বলেছেন এসপি নিজে। বিজেপি বুঝিয়ে দেবে লড়াই কাকে বলে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। সশস্ত্র পুলিশ কীভাবে দেওয়া হয়, আমরা দেখব।”

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    এদিকে, পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। জখম দলীয় কর্মীর ছবি পোস্ট করে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, বাইকে চড়ে প্রায় ১০০ জন গুন্ডা এলাকা ঘিরে ফেলে। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের মারধর করা হয়। ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কেউ ফোন ধরেনি।

    অশান্তি নদিয়ায়

    অন্য দিকে, পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি নদিয়ায়। নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। তাঁর কাকার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে মনোনয়নপত্র (Suvendu Adhikari) পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর নথিপত্র। অভিযুক্ত তৃণমূল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদেরও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও অভিযোগের অভিমুখ তৃণমূলের দিকে। ভাঙড়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ডিসিআর নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই করা হয় মারধর। কংগ্রেস প্রার্থী আশরফ আলি মোল্লার অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। বিডিও অফিসের ভিতরেও মারধর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    রক্তাক্ত হয়েছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচন। হয়েছিল ভোটের বলি। এবারও ঝরেছে প্রাণ। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। অশান্তির খবর এসেছে মনোনয়নপত্র পেশের তৃতীয় দিনেও। মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেও যে সমস্যা মেটেনি, সোমবারের বিভিন্ন ঘটনাই তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: নন্দীগ্রামে শাসক দলের বিবাদ চরমে! ক্ষোভ উগরে দিলেন সেখ সুফিয়ান

    Panchayat Election: নন্দীগ্রামে শাসক দলের বিবাদ চরমে! ক্ষোভ উগরে দিলেন সেখ সুফিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা হতেই শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল ছাড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের। সোমবার গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি ধরা পড়ল নন্দীগ্রামে। ২০০৭ থেকেই এই নন্দীগ্রাম শাসক দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নন্দীগ্রাম আন্দোলনই তৃণমূলকে ক্ষমতা দেয় ২০১১ সালে। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের আহ্বায়ক সেখ সুফিয়ান পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    কেন অসন্তুষ্ট  সেখ সুফিয়ান?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) পরিচালনার জন্য দলের নির্বাচন কমিটিতে নাম না থাকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন ২০২১ বিধানসভা ভোটের মমতার ইলেকশান এজেন্ট সেখ সুফিয়ান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে নন্দীগ্রামে এই  গোষ্ঠী কোন্দল অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে যে নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সেখ সুফিয়ান সহ তার অনুগামী অনেক নেতা। তারপরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন সেখ সুফিয়ান। তার অভিযোগ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারিয়েছে তারাই আজকে নির্বাচন কমিটির পদে রয়েছে। গতকালই নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলেরই একাংশ একটি নির্দল মঞ্চ গঠন করেছিল। তারপরে সোমবার এই ঘটনায় তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে।

    কী বললেন সেখ সুফিয়ান?

    দলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগের দিয়ে সুফিয়না বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তৃণমূলের উত্থান। শাসক দলের প্রদীপ যখন নিভে গেছিল তখন আমি নন্দীগ্রামের হাল ধরেছিলাম। গত বিধানসভা নির্বাচনে যারা তলায় তলায় বিজেপি করতো, এখন তাদেরকেই নন্দীগ্রামের দায়িত্বে আনা হয়েছে’’। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবির বলছে, ‘‘সংগঠন যারা করতে জানে, সেই সমস্ত নেতাদের গুরুত্ব নেই তৃণমূলে।’’

     

    আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করছেন ব্লক সভাপতি”, অবস্থানে বসে কী দাবি জানালেন তৃণমূল নেতারা?

    TMC: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করছেন ব্লক সভাপতি”, অবস্থানে বসে কী দাবি জানালেন তৃণমূল নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ  উঠল বাঁকুড়ার মেজিয়ার ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে। তবে, এটা কোনও বিরোধীদের অভিযোগ নয়। এই ধরনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছে তৃণমূলের কর্মীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসক দল।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    রাজ্যে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা করার কাজ শুরু হয়েছে। বিরোধী দল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজে এগিয়ে থাকলেও শাসক দল এখনও মনোনয়নপত্র জমা করেনি বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। এবার এই ব্লকে টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) মেজিয়া ব্লকের সভাপতি জন্মেজয় বাউরির বিরুদ্ধে। এমনকী বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতিও এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে পথে নামল তৃণমূলের একটা অংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ব্যানার তৈরি করে তাঁরা অবস্থানে বিক্ষোভে বসেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যোগ্য তৃণমূল কর্মীদের প্রার্থী করা হচ্ছে না। যারা অযোগ্য তাঁদের টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। তাই, মেজিয়ার ব্লক সভাপতি এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) মেজিয়া ব্লকের সভাপতি জন্মেজয় বাউরি বলেন, এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আর প্রার্থী ঠিক করার বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই। ফলে, আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু, প্রমাণ দিতে হবে। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি পদ ছেড়ে দেব। আসলে কিছু মানুষ দলকে ব্যবহার করে রোজগার করত। তারাই এই ধরনের দল বিরোধী কাজ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি। বিজেপির মেজিয়ার মণ্ডল সভাপতি বিপদতারণ বাউরি বলেন, তৃণমূল দলটা নিজের কর্মীদের বিশ্বাস করে না, তারা কী করে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। আর যারা পঞ্চায়েতে ত্রিপল বিক্রি করতে পারে, তাদের প্রার্থী ঠিক করার জন্য টাকা নেবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন! অন্তত এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।”

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছিল, ভোট হবে ৮ জুলাই, এক দফায়। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয়ে যায় তার পরের দিনই। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে ২ দিন ছুটি থাকায় মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য হাতে থাকছে মাত্রই ৫ দিন। এত অল্প সময়ে এত প্রার্থীর মনোনয়ন সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পরেই মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৬ জুন করার প্রস্তাব দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, ৮ জুলাইয়ের বদলে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।

    প্রধান বিচারপতির পরামর্শ

    এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন। আপনাদের প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। ভিডিওগ্রাফি, সিসিটিভি হয়েছে কি? আধাসেনা রাজ্যের পুলিশকে সাহায্য করতে পারে। কমিশন এ বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট করবে। সেন্ট্রাল ফোর্স এলে সুবিধা হবে।” প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “ভোটের কাজে রাজ্যের সব পুলিশ চলে গেলে কী হবে?” রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সিভিকরা পুলিশ নয়। তারা কিছু করবে না।”

    আরও পড়ুুন: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিজ্ঞপ্তির ৫ দিন পর থেকে শুরু হয়েছিল মনোনয়ন। এটাই তো মামলাকারীরা তাঁদের অভিযোগে বলছেন। সকাল ১০টায় বিজ্ঞপ্তি এবং সকাল ১১টায় মনোনয়ন কীভাবে? বিগত বছরের ভোটে এমনটা তো করা হয়নি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২৭ মে। মনোনয়ন জমা শুরু হয় ২ জুন। এবার কমিশন যদি বিজ্ঞপ্তির দিন বাদ দিয়ে ৫ দিন পর থেকে মনোনয়ন পেশ-পর্ব শুরু করে, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা চলবে। স্ক্রুটিনি হবে ২৩ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হবে ২৬ জুন। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে দিতে হবে ভোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

    TMC: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল ছাড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের। রবিবার একই ঘটনা সামনে এল জলপাইগুড়ি জেলায়। অভিষেক ব্যানার্জীর গাইডলাইন না মেনে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হলে, তারা নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশ করবেন, এমনই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিক্ষুব্ধ  তৃণমূল কর্মীদের। আর এতেই প্রার্থী নিয়ে রাজগঞ্জে  প্রকাশ্যে এল তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

    টাকার বিনিময়ে প্রার্থীর অভিযোগ

    গত ২২ মে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন তৃণমূলের (TMC) এসসি, এসটি এবং ওবিসি সেলের সদস্যরা। উপস্থিত রাজগঞ্জে তৃণমূল নেতা জাফিরুল হক। সেইদিন তাঁদের অভিযোগ ছিল, জলপাইগুড়ি জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন যে ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে যারা জিতেছিল তাদেরকে মান্যতা না দিয়ে আলাদা বৈঠক করে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। এরপর প্রায় দু সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রম হয়েছে। জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনও রকম সদুত্তর না পেয়ে এবার নিজেরাই আলাদা করে ভোটে লড়ার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের। 

    সোমবার আলাদাভাবে মনোনয়ন পেশ করার কথা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল  নেতাদের

    রবিবার বিকেলে কুকুরযান অঞ্চলে এক গোপন ডেরায় বৈঠকের পর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সাফ বক্তব্য সোমবার তারা নিজেদের মতো করে মনোনয়ন পেশ করবেন। এই ঘটনায়  আদি ও নব্য তৃণমূল কর্মীদের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। দলের পুরনো কর্মী বসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে আমাদের এখানে প্রার্থীকে জিতিয়েছি। এবার তাদের নাম যদি প্রার্থী তালিকায় না থাকে তবে আমরা নির্দল হয়ে মনোনয়ন জমা দেব।’’ বর্ষীয়ান তৃণমূল (TMC) কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের এখানে জ্যোৎস্না বেগম ৬-২ ভোটে জিতেছে। আমাদের আশঙ্কা তাকে প্রার্থী না করে টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে, যা আমরা কোন ভাবেই মেনে নেব না। আমরা আগামীকাল মনোনয়ন দাখিল করবো।’’ ঘটনায় তৃনমূলের রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জী জানিয়েছেন আমরা মমতা ব্যানার্জী আর অভিষেক ব্যানার্জীর ছবি নিয়ে রাজনীতি করি। তাই আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই। দল যেভাবে বলবে সেই ভাবেই প্রার্থী দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে বহু জায়াগায় বিজেপি মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেনি। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা আক্রান্ত হলেন। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকে। দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। সোনামুখী গ্রামীণ মণ্ডল-২ এর সম্পাদক দেবশঙ্কর ঘোষকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন সকালে বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির নেতৃত্বে দলীয় প্রার্থীরা ব্লক অফিসে জমায়েত হন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাঁরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সকাল থেকে সমস্যা না হলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শুরু হতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিডিও অফিসের সামনে ব্যাপক জমায়েত করা হয়। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজেপি বিধায়ক সহ বিজেপি নেতাদের উপর বেধড়ক হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা দেবশঙ্করবাবুর সহ কয়েকজন কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সামনে আক্রান্ত হন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। আক্রান্ত বিধায়ক দিবাকর ঘরামি সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করান। বাকি আহতদেরও চিকিৎসা করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক দিবাকরবাবু বলেন, এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দলীয় প্রার্থীদের প্রচুর ভিড় ছিল। প্রার্থীদের উৎসাহ দেখে খুব ভাল লাগছিল। আচমকা তৃণমূলের ছেলেরা এসে হামলা চালাতে শুরু করে। তৃণমূলের নেতারা আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। পুলিশের সামনে আমি আক্রান্ত হই। দলীয় নেতা দেবশঙ্করকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আসলে ওরা সন্ত্রাস করে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ভয় উপেক্ষা করেই দলীয় প্রার্থীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা করবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির। ধানশিমলার প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ইউসুফ মণ্ডল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেই মাথা ফাটিয়েছে। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক সংস্থা এরাজ্যে শুরু করেছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে অভাব অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল ওই কর্মসূচিতে। সামনে রাখা হয় একটি ফোন নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোরগোড়ায় আবার চালু হয়েছে একটি সরকারি কর্মসূচি, যার পোশাকি নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এখানেও একইভাবে নাগরিকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর নিয়ে। এখানেও দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০ ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির (WB BJP) দাবি, কেন্দ্র সরকার গত ১ মে, ১৮১ এই ফোন নম্বর রাখার প্রস্তাব দিলেও তা মানেনি নবান্ন। এহেন কর্মসূচি বন্ধের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জিও জানাতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই জানা গিয়েছে গেরুয়া শিবির সূত্রে।

    কী বলছে বিজেপি (WB BJP) নেতৃত্ব?

    রবিববারই এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। জগন্নাথের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের পরামর্শ ১৮১ নম্বর থাকলেও, দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর জোরপূর্বক ব্যবহার করে তৃণমূল সরকার।’’ বিপুল টাকা এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে জগন্নাথের প্রশ্ন, ‘‘এই প্রকল্পে কি ১৬০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে?’’  কেন এই প্রকল্প কোনও সরকারি অফিসের বদলে সেক্টর ফাইভে চলছে এমন প্রশ্নও তোলেন জগন্নাথ। পর্দার আড়ালে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প যে আই প্যাক চালাচ্ছে, তা নিয়েও নাম না করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    শুক্রবারই এনিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আকাশে মেঘ, ভিজল শহর! বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ

    Weather Update: আকাশে মেঘ, ভিজল শহর! বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা। সূর্যের তেজ আজ, সোমবার তেমন চোখে পড়েনি। রবিবাসরীয় সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি নেমেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। রাতেও ভেজে কলকাতা। প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে আপাতত গরম থেকে মুক্তি মিলেছে। রবিবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা

    সোমবার ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) জারি করা হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টিপাত হবে। শুধুমাত্র বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে।

    পশ্চিমে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা

    তবে এরইমধ্যে সোমবার এবং মঙ্গলবার কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। হাওয়া অফিসের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    সোমবারই উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। তার ফলে একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Weather Update) রয়েছে জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে এই সব অঞ্চলে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share