Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুক্রবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত। বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল (TMC)-বাম বোঝাপড়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ…

    শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপির অভিযান রুখতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অবধি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অবধি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে। সুকান্ত বলেন, জোট, ঘোঁট আগামিদিনে কী হবে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে এসএফআই। পুলিশ অবশ্য তাতে অনুমতি দেয়নি। বরং মিছিল রুখে দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিধানসভার গেটে বসেছিলেন কয়েকজন।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পরপর শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। পুলিশ বাধা দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এদিন দুপুর থেকে করুণাময়ীতে জমায়েত করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিশ আটকাতেই সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একটি গাড়িতে করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌঁছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এরই কিছুক্ষণ পরে লোহাপুল মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খাঁ, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল বেনফিশ মোড়ে পৌঁছতেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Exam: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবা পূর্ব রেলের, জানুন বিস্তারিত

    HS Exam: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবা পূর্ব রেলের, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ পরিষেবা দেবে পূর্বরেল (Indian Railways) । জানা গেছে, এক্সপ্রেস এবং বেশকিছু লোকাল অতিরিক্ত স্টপেজ দেবে বিভিন্ন স্টেশনে। এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখেই রেলের (Indian Railways) এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু

    শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা

    পূর্ব রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার দিনগুলোতে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনের কিছু প্যাসেঞ্জার/EMU ট্রেনের অতিরিক্ত অস্থায়ী স্টপেজ দেওয়া হবে। কিছু এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন যেগুলি শিয়ালদা ডিভিশনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে সেগুলোকে অতিরিক্ত স্টপেজ দেওয়া হবে। এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন গুলি (Indian Railways) থামবে শিয়ালদহ-রানাঘাট সেকশনের পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনারা এবং পায়রাডাঙা স্টেশনে এবং বারাসাত-বনগাঁ সেকশনের সানহাটি হল্ট স্টেশনে। হাওড়া ডিভিশনের গণদেবতা এক্সপ্রেস, আজিমগঞ্জ – হাওড়া কবিগুরু এক্সপ্রেস থামবে লোহাপুর স্টেশনে। বেলমুড়ি, জনাই রোড এবং ডানকুনি স্টেশনে বর্ধমান–হাওড়া গ্যালোপিং লোকাল থামবে। রেল সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে যে অতিরিক্ত স্টেশনগুলিতে ইএমইউ এবং লোকাল ট্রেন দাঁড়াবে সেগুলি হল পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, পায়রাডাঙা। সকাল ৮টা থেকে ১০ টা এবং দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ৩টে ১৫ পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে। আগামী ১৪ থেকে ২৭ মার্চ, ১১ দিন এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় অধিবেশনের মধ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ককে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা বাইরে একরকম বলেন, ভিতরে আর এক রকম। এর পরেই ওঠে দলবদলের কৌশল। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বলুন না এঁরা কোন দলে? বলতে পারেন এঁরা বিজেপিতে নেই? এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দলবদলু এই দুই বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, আপনিই বলুন না শিশিরবাবু কোন দলে? তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা রয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব। এই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এরকম অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু।

    তিনি বলেন, শুরুটা করেছেন পার্থ ভৌমিক। আমি নই। পার্থকে উদ্দেশ্য করে অধ্যক্ষ বলেন, আপনি থেমে যান। পরে পার্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আমি কথাটা ওভাবে বলিনি। পার্থকে ঘিরে উত্তেজনা কমলেও, মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে মোদি মোদি স্লোগান। শেষে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় ১০০ ফুট উঁচু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল সেনা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল। এদিকে, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়েই এদিন শুভেন্দু-পার্থ দ্বৈরথ হয় বিধানসভায়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     
     
  • Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় তৃণমূলের দখলে। অনেক পুরসভায় বিরোধী দলের কাউন্সিলর পর্যন্ত নেই। কিন্তু, পুর বোর্ড গঠনের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে এই মহকুমার একাধিক পুরসভা গোষ্ঠীকোন্দলে (Conflict)  জেরবার। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে কাউন্সিলররা। কোথাও কোথাও আবার এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান। আর এই ঘটনায় আখেরে মুখ পুড়ছে শাসক দলের। তৃণমূলের এই বেআব্রু চেহারা দেখে এলাকার মানুষ হাসাহাসি করছেন। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছেন দমদম- ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়।  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে (Conflict) দূরে সরিয়ে রেখে নাগরিক পরিষেবার কাজ হয় সেদিকে বিশেষ নজর এবার দলের। এর জন্য বারাকপুর মহকুমার প্রত্যেকটি পৌরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের দমদম বারাকপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি। স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বিধানসভা অধিবেশনের পর ১৬ টি পুরসভায় হবে এই বৈঠক।

    তৃণমূলের আতসকাঁচের মধ্যে রয়েছে কোন কোন পুরসভা? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। প্রকাশ্য এই দ্বন্দ্ব কে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তাপস বাবু। টিটাগর পুরসভার মতো খড়দহ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। অনেক পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর মধ্যে মুখ দেখাদেখিও পর্যন্ত বন্ধ। দুজনের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত কাউন্সিলররা। অনেক পুরসভায় কাউন্সিলররা আবার আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। বিরোধীশূন্য পুরো বোর্ড হওয়ায় দলের কাউন্সিলরাই এখন পুরবোর্ডের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে। ভাটপাড়া পুরসভায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ১০ মার্চ পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর মাইক বেঁধে প্রকাশ্যে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এই দ্বন্দ্বকে (Conflict) কেন্দ্র করেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পুরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, কোনওরকম গোষ্ঠী রাজনীতিকে বরদাস্ত করা হবে না। কোন বিষয়ে মতান্তর বা মতবিরোধ হলে তা আলোচনায় বসে মিটিয়ে ফেলতে হবে। চেয়ারম্যানদের বক্তব্য, ভাইস চেয়ারম্যানরা আলাদা করে শিবির তৈরি করছেন। গোষ্ঠী রাজনীতির জন্ম হচ্ছে প্রত্যেকটি পুরসভায়। কোন কোন পুরসভায় আবার চেয়ারম্যানকে সরাতে কাউন্সিলররা জোট বাঁধছেন। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বের নজরে রয়েছে।

    বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের পাশাপাশি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে। পুলিশ নীরব দর্শক। সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় তৃণমূলের উদ্যোগকে স্বাগত। তবে, এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনের মধ্যে নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলার কারণে শিয়ালদহ মেন শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে বহু ট্রেন। ফলে শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা গেছে। এমনিতেই শিয়ালদহ শাখার ট্রেনগুলিতে ভিড়ের চাপ প্রবল থাকে, তার ওপর আবার ট্রেন কম থাকায় সমস্যা প্রবল হয়েছে আজ। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই অবশ্য এই কাজ শুরু হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অবধি চলবে এই কাজ। ফলে সমস্যা বাড়বে নিত্যযাত্রীদের। যদিও রেলের তরফে আগেই নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ট্রেন বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। জানা গেছে, ২০–২৫ মিনিট দেরিতে চলছে ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। বাতিলও রয়েছে ট্রেন। ফলে যে কয়েকটা ট্রেন চলছে, তাতে ভিড় রয়েছে যথেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

    কী বলছে রেল

    এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের ভাষায়, ‘‘নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে দুটি স্টেশনের মধ্যে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের মধ্যবর্তী সময়টা বেছে নিয়েছি, যাতে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা না হয়।’’ যাত্রী বিক্ষোভের বিষয়ে তাঁর মত, ‘‘কাজটা তো করতেই হত। এই দু’দিন কিছুটা কষ্ট করতে হবে। তবে ভবিষ্যতে সুবিধা মিলবে।’’

    যাত্রীরা কী বলছেন 

    বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। একে দেরিতে চলছে ট্রেন, তার পর অনেক লোকাল বাতিল। ফলে ভিড়ও হচ্ছে বেশি। এর জেরে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘ট্রেন দেরিতে চলছে, সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে পারব না। কিন্তু এ সব তো অফিস আর শুনবে না।’’ অনেক যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেন কখন ছাড়বে, তার কোনও ঘোষণাও করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Weather Updates: সকাল থেকে কলকাতায় মেঘলা আকাশ! ভিজতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা

    Weather Updates: সকাল থেকে কলকাতায় মেঘলা আকাশ! ভিজতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বইছে শিরশিরে হাওয়া। শনিবার রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Updates)। আজ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি জেলায়  বৃষ্টি হতে পারে। ভিজতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই দিনাজপুরের কিছু অংশে। কলকাতার আকাশে সকাল থেকেই মেঘের আনাগোনা।

    শহরের আবহাওয়া

    কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ (Weather Updates)। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম তাপমাত্রা ।

    আবহাওয়া দফতর (Weather Office) আগেই জানিয়েছিল চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। বসন্তের ঝকঝকে আকাশে বাড়বে মেঘের আনাগোনা। সত্যি হল পূর্বভাস। শুক্রবার সন্ধ্যা নামতেই ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি দেখা গেল বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে। কোথাও কোথাও আবার শিলাবৃষ্টির দেখা মিলল। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়াও বইছে। গত কয়েকদিনের গরম থেকে এই বৃষ্টি খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে পশ্চিমের বাসিন্দাদের। ঝড়, বৃষ্টি ও হালকা শিলা বৃষ্টির জেরে হঠাৎ করে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় ফের শীত শীত ভাব বাঁকুড়া, বীরভূম, দুর্গাপুরে।

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    মার্চের শেষ লগ্ন পর্যন্ত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখা যাবে গোটা বাংলাতেই। ১৭ ও ১৮ মার্চ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির জেরে ১৫ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা একটু কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়। বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গও। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল  ইডি

    Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Santanu Banerjee) মামলায় নয়া মোড়। এবার এই মামলায় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার করেছে ইডি। ২০ জানুয়ারি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।

    শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) । ইডি সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠায় ইডি। শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ এর পর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে করেছে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    জানা গিয়েছে, শান্তনুর (Santanu Banerjee) বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হেফাজতে নিয়ে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। শান্তনুর মাধ্যমেই তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল জানতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!  

    গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর (Santanu Banerjee) হুগলির বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশির দিনই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, ৪০ বছরের এই যুবনেতা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। গত জানুয়ারির ২০ তারিখে বলাগড়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড ও ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছিল। ৬-৭ বার ইডি তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও পাঠায়। 

    শুক্রবারও সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে খবর, এদিনই তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হবে। ইতিমধ্যেই শান্তনুকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Adeno Virus: ভয় ধরাচ্ছে নাইসেডের সমীক্ষা! অ্যাডিনো সংক্রমণে শীর্ষে বাংলা

    Adeno Virus: ভয় ধরাচ্ছে নাইসেডের সমীক্ষা! অ্যাডিনো সংক্রমণে শীর্ষে বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা ভয় ধরাচ্ছে বাংলায়। ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, অ্যাডিনোর (Adeno Virus) প্রকোপে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিদিনই জ্বর-শ্বাসকষ্টে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সব শিশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাসই দায়ী কিনা তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যের তরফে দেওয়া রিপোর্টেও অ্যাডিনোয় আক্রান্ত মৃ্ত্যুর সংখ্যা কম। বরং কোমর্ডিবিটি ও রেফার জনিত সমস্যায় অধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে, আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা বলছে রাজ্যে অ্যাডিনো (Adeno Virus) আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ভয়াবহ। এমনকী গোটা দেশের মধ্যে প্রথম বলেও দাবি করা হয়েছে। বাংলায় অ্যাডিনোর প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে ধারে কাছে নেই বাকি রাজ্যগুলি।

    সংক্রমণ জানুয়ারি থেকেই

    নাইসেডের সমীক্ষা অনুযায়ী, জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত, একমাত্র বাংলাতেই ৩৮ শতাংশ আক্রান্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus)। কেরল তারপরে। সাধারণত, শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ঘটায় এই ভাইরাস। শিশু মৃত্যুর পিছনে কোন ভাইরাস তা জানতে সারা দেশ জুড়ে আইসিএমআর-এর ভাইরাল রিসার্চ ডায়গনেস্টিক ল্যাবরেটরিগুলিতে একটি সমীক্ষা করা হয়। তাতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোর কবলে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। অ্যাডিনো (Adeno Virus) আক্রান্ত ৩৮ শতাংশ। তামিলনাড়ু ১৯ শতাংশ। কেরল ১৩ শতাংশ। দিল্লি ১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ। কেন্দ্রের সমীক্ষার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু না থাকলেও, ভয় ধরাচ্ছে সমীক্ষা।

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার,  বিসি রায় হাসপাতালে আরও ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৩৬। অ্যাডিনো আতঙ্কে (Adeno Virus) কার্যত কাঁটা শিশুর অভিভাবকরা। অ্যাডিনো-আতঙ্কের আবহে দিনকয়েক আগে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এতটুকুও পাল্টায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। প্রতিদিন সামনে আসছে শিশু মৃত্যুর খবর। তার সঙ্গেই অভিযোগ উঠছে পরিষেবা নিয়েও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!

    Recruitment Scam: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আজই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাতিল হওয়া চাকরির তালিকায় নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির। অভিযোগ রয়েছে, গ্রুপ সি পদে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়।  

    এই বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। বৃষ্টির বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ১৫৫ নম্বরে রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম। এ বিষয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের (Recruitment Scam) বাবা নীহার মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আগেই মেয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিলেন বৃষ্টি। তিনি বলেন, “কদিন মাত্র চাকরিতে গিয়েছিল মেয়ে। বেতন বাবদ একটা টাকাও নেয়নি। শারীরিক ভাবে আমার মেয়ে অসুস্থ। নিজেই আমাকে বলেছিল যে সে চাকরি করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  
      
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লার্ক পদে চাকরি পেয়েছিলেন বৃষ্টি (Recruitment Scam)। কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তার চাকরি বাতিল করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করে সেই তালিকায় বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম দেখা যায়।   

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি হল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চাকাইপুর। চাকাইপুরের পাশেই রয়েছে কুসুম্বা, যা হলো মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি (Recruitment Scam)। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বৃষ্টির বিয়ে হয় রামপুরহাট থানার অন্তর্গত আয়াস গ্রামে। যদিও বর্তমানে তিনি কলকাতায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে বৃষ্টি চাকরি পেয়েছিলেন সেই প্রশ্ন করা হলে, তাঁর বাবা বলেন, “আমি সেটা জানি না। আবেদন করেছিল। তাই চাকরি পেয়েছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

            

  • Calcutta High Court: গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গ্রুপ সি- তে ৮৪২ জনের অবৈধ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী কাল বিকাল ৩টের মধ্যে করতে হবে চাকরি বাতিল। পর্ষদকে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিনি গ্রুপ সি পদে কর্মরত ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সুপারিশপত্র ছাড়া নিয়োগ পাওয়া ৫৭ জনের চাকরিও বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির আরও নির্দেশ, ৮৪২ জনের চাকরি যাওয়ার পর যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তা দ্রুত পূরণ করতে হবে এসএসসিকে। আগামী দশ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে কমিশনকে।  

    এদিন বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে(Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, ‘সুপারিশ করা হয়েছে, এমন কতজনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে?’ উত্তরে এসএসসি-র আইনজীবী বলেন, সুপারিশ করা হয়েছে এমন ৭৫৮ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে।’ এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তাহলে এই প্রার্থীরা কি চাকরি করতে পারেন?’

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, “যাঁদের নাম এই বাতিলের তালিকায় রয়েছে, তাঁরা শুক্রবার থেকে স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। আগামী কাল অর্থাৎ শনিবার দুপুর তিনটের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসিকে চাকরি বাতিলে কথা জানাতে হবে।” ওই ব্যক্তিরা স্কুলের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এদিন কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট।

    গ্রুপ ডির পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নজরে এবার গ্রুপ সি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসিকে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এসএসসির সুপারিশ ছাড়াই চাকরি করছেন ৫৭ গ্রুপ সি কর্মী! এসএসসিকে তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি কর্মীদের ক্ষেত্রে বাগ কমিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে ৩৮১ জন প্রার্থীকে সুপারিশ না দিলেও তাঁরা চাকরি করছে। সিবিআই- ও এই একই পরিসংখ্যান দিয়েছে। যদিও এসএসসির দাবি সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share