Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Adeno: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    Adeno: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ছোট ছোট মুখগুলো আবার মাস্কবন্দি। স্কুলে, স্কুলে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মুখ। কলকাতা থেকে জেলা প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর-সর্দি-কাশি লেগে রয়েছে। কাশি হলে তো সারছেই না। করোনা, ডেঙ্গির পর এ এক নয়া উপসর্গ। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর। শহর থেকে জেলা হাসপাতালগুলির সাধারণ শয্যা থেকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু)— সর্বত্রই শিশুদের ভিড়। যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয় বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। এই সময় বাচ্চাদের ভাল রাখতে ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোজকার খাবারে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন এরকমই কয়েকটি খাবার।

    শিশুদের কী খাওয়াবেন

    নিম বা উচ্ছে: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রোজকার খাবারের পাতে রাখুন তেতো। প্রথম পাতে নিম পাতা বা উচ্ছে দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীর মজবুত রাখে ও এই সময়ে বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

    প্রোটিন: শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।

    লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ: ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ কিছু মশলাপাতি ব্যবহারের কথা বলা হয়। তার মধ্যে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদও রয়েছে। এই সব মশলাপাতিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে কাড়া বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান প্রতি দিন।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    রসুন: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন।  প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে  ভাল কাজ করে।

    টক দই: টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দই খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।

    ফল ও সব্জি: সবুজ শাক সব্জি ও মরশুমি ফল খাওয়ান। 

    জল: শরীরে জলের ভাগ কমলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে তেমনই ডিহাইড্রেশন থেকে হওয়া নানা সমস্যায় জেরবার শরীর সহজেই ভাইরাসের শিকার হয়। তাই জলের বিষয়ে সচেতন থাকুন। প্রতিদিন শিশুদের দুই লিটার জর খাওয়ান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    Recruitment Scam: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই তদন্তের আসল জায়গাতেই বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে, অভিমত আদালতের।  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ, আব্দুল খালেক, তাপস মণ্ডল, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম এবং কৌশিক ঘোষকে।  তাঁদের হেফাজতে চেয়ে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে গেলে সিবিআইয়ের তদন্তের ধরন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই পনির বাটার মসালা বানাবে ভাবছে অথচ পনিরই নেই তাদের কাছে!’’ 

    সওয়াল-জবাব

    সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এদিন সরাসরিই প্রশ্ন তোলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে রাখলেও সিবিআই নতুন কিছু দেখাতে পারেনি। বাড়ি থেকে একটি মোবাইল এবং ল্যাপটপই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শুধু। কিন্তু সরাসরি যোগের কোনও তথ্যই দেখাতে পারেনি সিবিআই। এর জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনে তদন্তকারী অফিসার পাল্টা যুক্তি দেখাতে গেলে সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় আদালত।

    খালেকের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে খালেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর হয়ে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছিলেন খালেক।’’এসএসসির সুপারিশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে ছিল উপদেষ্টা কমিটি। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সিবিআই তাদের হেফাজতের দাবিতে বলতে চেয়েছিল, শান্তিপ্রসাদের সঙ্গেই খালেকের যোগাযোগ ছিল। যা শুনে বিচারক বলেন, ‘‘এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই নেই আপনার কাছে…!’’

    আরও পড়ুন: কালিয়াচক ধর্মান্তরের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার

    আদালতে এদিন সিবিআই (CBI) দাবি করে, আলি ইমাম ৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা, শাহিদ ইমাম ১ কোটি ৪ লক্ষ এবং কৌশিক ঘোষ ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে।  আদালত সূত্রের খবর, শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম এবং কৌশিক ঘোষ আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চায়। এদিন আদালত তাপস, কুন্তল, নীলাদ্রিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্য চারজনের ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kaliachak: কালিয়াচক ধর্মান্তরণের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার

    Kaliachak: কালিয়াচক ধর্মান্তরণের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার কালিয়াচকে (Kaliachak) খোদ আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল জোর করে এক হিন্দু পরিবারকে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার। গত বছরের প্রথমেই এই অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। বেশ কয়েকবার শুনানিও হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে। আজ অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারিও শুনানি হয় এই মামলায়। হাইকোর্টের ১৩ নম্বর ঘরে এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিবিআইকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মধ্যে কালিয়াচক হল অত্যন্ত স্পর্শকাতর থানা। অনুপ্রবেশ, বেআইনি গোরুপাচার, অস্ত্রের কারবার, কালোটাকা উদ্ধারে বারবার নাম জড়িয়েছে কালিয়াচকের। গত বছর এক হিন্দু পরিবারকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় খাড়া করা হয় খোদ থানার আইসি-কে। এই মর্মে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি বলেই অভিযোগ তোলেন ধর্মান্তকরনের শিকার পরিবারটি। পরবর্তীকালে এটা নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হলে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি কালিয়াচক (Kaliachak) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগকারিনী কলাবতী মণ্ডলের বিবৃতি ছিল, জোর করে তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়, গোটা ঘটনায় আইসি নিজে চাপ দিতে থাকেন তাঁদের উপর। গত বছরের ১৯ মে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার গোটা ঘটনার রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন মালদার পুলিশ সুপারকে। ওই নির্দেশে বিচারপতি বলেন, ২১ জুন ২০২২ এর মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশ সুপারকে।

    পরিবারটির পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে নির্দেশও দেন বিচারপতি

    এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে সিবিআই-এর তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবি বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং কল্লোল মন্ডল। রাজশেখর মান্থার এদিন কালিয়াচকের পরিস্থিতির সাপেক্ষে এনআইএ-এর তদন্ত রিপোর্টও জমা করতে নির্দেশ দেন। যদিও এনআইএ-এর কোনও প্রতিনিধি আজ হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন না। বিচারপতি এদিন আরও বলেন, অভিযোগ উঠছে যে এখনও ওই পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কালিয়াচক (Kaliachak) থানা যেন পরিবারটির সম্পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল। রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তকরনের অভিযোগ বারবার করে আসছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপি। আজকে সেই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষন সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এল এক নয়া মোড়। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগেও বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে, আর সেই তদন্তেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডানলপের একটি ফ্ল্যটে হানা দিল সিবিআই। এদিন বরানগর বারুইপাড়া লেনে অভিযান চালাল সিবিআই-এর বিশেষ দল। সূত্রের খবর, যার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। সিবিআই সূত্রে খবর, মালদহ থেকে ধৃত তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেককে জেরা করেই বরানগরের এই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তাঁর কাছে অবৈধ নিয়োগের কমিশন আসত বলে তদন্তকারীদের দাবি। এই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। চলেছে জেরাও।

    ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন বরানগরের বাসিন্দা শ্যামল কুমার সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শ্যামল কুমার সেন পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তল্লাশি চালানোর পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। দু’ঘণ্টা ধরে শ্যামল সেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও চালান সিবিআইয়ের দল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি যাচাই করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্যামল কুমার সেন নবম-দশমে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগেই বেশ কয়েকজন সাব-এজেন্টকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। দফায় দফায় জেরা শেষে অন্তত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে। এর পর আজ সোমবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম এসএসসি দুর্নীতিতে তদন্তে এসেছে। এর আগেও এসেছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি এসেছিল। এখানে এখন সব সিল করে দিয়ে গিয়েছে।” জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী শ্যামল বর্তমানে ব্যবসা করেন। এর আগেও একবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার ফের চলে তল্লাশি। ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি।

    জেল হেফাজতে তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার উত্তরবঙ্গেও থাবা বসিয়েছে সিবিআই। মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুল খালেক নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন তিনি। স্কুলের সাধারণ শিক্ষাকর্মী হলেও তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। মালদহে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের একাধিক বড় নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এমনকী কলকাতাতেও তাঁর টাকা যেত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পর তাঁকে জেরা করেই ডানলপ বরানগরের ওই ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে এই প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কত টাকা কমিশন পেতেনে, কার কার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল, তা জানতে জেরা করছে সিবিআই। উল্লেখ্য, এদিন আব্দুল খালেককে ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

  • Tollywood: কয়লা পাচারের টাকায় সিনেমা! ইডি-র নজরে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী

    Tollywood: কয়লা পাচারের টাকায় সিনেমা! ইডি-র নজরে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারের (Coal Scam) কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল রিয়েল এস্টেটে। ওই টাকার খোঁজে বালিগঞ্জের একটি নির্মাণ সংস্থার দফতরে বুধবার তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি। উদ্ধার করা হয়েছিল ১.৪০ কোটি টাকা। তলব করা হয় ওই সংস্থার ডিরেক্টরকে। ওই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার ইডির (ED) হাতে এল নয়া তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করতে কেবল রিয়েল এস্টেটেই বিনিয়োগ করা হয়নি, ওই টাকা লগ্নি করা হয়েছে সিনে-দুনিয়ায় (Tollywood)।

    কালো টাকা…

    জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের টাকায় টলিউডে দুটি সিনেমা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে একটি মুক্তি পেলেও, অন্যটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ওই ঘটনায় টলিউডের বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন টলিউডের দুই অভিনেত্রীও। অতীতে এঁরা বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের টাকা সাদা করতে সিনেমার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও তৈরিতেও লগ্নি করা হয়েছিল।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে আরও দুই অভিনেত্রী (Tollywood) সম্পর্কে তথ্য এসেছে তাঁদের কাছে। গত কয়েক বছর ধরে এঁরাও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক অভিনেতার নামও উঠে এসেছে। কয়লা পাচারের টাকায় এই অভিনেতা সিনেমা করেছেন। রাজনীতির অলিন্দে তাঁর অবস্থানও ভাল। ওই তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও। সিনে দুনিয়ায় অনায়াস যাতায়াত রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ওই প্রভাবশালীর। ইডি সূত্রে খবর, কেবল এই অভিনেতা, অভিনেত্রী নন, একটি প্রযোজক সংস্থার নামও উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, যে নামগুলি উঠে এসেছে, তাঁদের সম্বন্ধে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এসবের পাশাপাশি ইডির নজরে রয়েছে শরৎ বোস রোডে চক্রবেড়িয়ার কাছের একটি গেস্ট হাউসও। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকায় ওই গেস্ট হাউসটি কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কলকাতার দুই ব্যবসায়ীকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও প্রাপ্ত নথি সূত্রে ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করতেই বাংলা সিনেমায় বিনিয়োগ করা হয়েছে পাচারের টাকা। দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন বাংলা ছবিতে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলেও দাবি ইডির আধিকারিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Amartya Sen: কাটল না জট, অমর্ত্যর নামে জমি মিউটেশনে আপত্তি বিশ্বভারতীর  

    Amartya Sen: কাটল না জট, অমর্ত্যর নামে জমি মিউটেশনে আপত্তি বিশ্বভারতীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নামে জমির মিউটেশন করানোর জন্য সোমবার বিএলআরও দফতরে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্যর আইনজীবী। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) আইনজীবী এবং বিএলআরও রেজিস্ট্রার সঞ্জয়কুমার দাসও। এদিন এই বিতর্কের শুনানি হয় বিএলআরও দফতরে। শুনানি শুরু হলেও, শেষ হয়নি। বিশ্বভারতীর তরফে আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাসের দাবি, অমর্ত্য সেনের বাবা ১.২৫ একর জমি লিজ নিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে তিনি এই জমির মিউটেশন করতে পারেন না। এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। পরে শুনানির তারিখ দেওয়া হবে।

    জমি বিতর্ক…

    জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর কাছ থেকে অমর্ত্যর (Amartya Sen) বাবা আশুতোষ সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর চুক্তিপত্র হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। সেই নথি অনুযায়ী, ১.২৫ একর জমিই লিজ নেওয়া হয়েছিল। সোমবার ওই নথিপত্র বিএলআরও-র কাছে জমা দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর দাবি, আশুতোষবাবুকে ১.৩৮ একর নয়, লিজ দেওয়া হয়েছিল ১.২৫ একর জমি। তার ভিত্তিতে বিশ্বভারতী ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগ করেছে অমর্ত্যর বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুুন: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি বিতর্কের মধ্যেই অমর্ত্যর বোলপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্যর হাতে কিছু নথি তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমর্ত্য সেনের বক্তব্যই ঠিক। ১.৩৮ একর জমি লিজে পেয়েছিলেন তাঁর বাবা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতী ও আশুতোষ সেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত লিজের দলিল ও ২০০৬ সালে কর্মসমিতিতে পাশ হওয়া প্রস্তাব থেকে স্পষ্ট, আশুতোষ বা অর্মত্যকে (Amartya Sen) ১.৩৮ একর জমি তো দূরের কথা, বিশ্বভারতীর কোনও জমিরই মালিকানা দেওয়া হয়নি। শান্তিনিকেতনের প্রতীচী নামে অমর্ত্যর বাড়িটিও বিশ্বভারতীর মালিকানাধীন জমিতে তৈরি হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর। ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে তিনটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই জমি নিয়েই অমর্ত্যর সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিবাদ শুরু হয়েছে। অমর্ত্যর পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্যর দাবি, জমি তাঁরই। এদিন বিএলএলআরও দফতরে বসা শুনানিতে দু পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে জোর সওয়াল চলে। যদিও কাটেনি জমি জট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sagardighi: ১৫ বছর পুরনো মামলায় গ্রেফতার সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা! এখন কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Sagardighi: ১৫ বছর পুরনো মামলায় গ্রেফতার সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা! এখন কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন (By Election) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হল ওই বিধানসভা কেন্দ্রের পাটকেলডাঙা এলাকার কংগ্রেস (Congress) নেতা সইদুল রহমানকে। বিবাহিত এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। ১৫ বছরের পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কংগ্রেস নেতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী শাহনাজ বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায় সাগরদিঘি থানার পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী সইদুলকে। তিনি সাগরদিঘির ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।

    কংগ্রেস…

    ঘটনার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা ঘণ্টা পাঁচেক অবরোধ করে রাখেন সাগরদিঘি থানা। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সাগরদিঘির (Sagardighi) এক মহিলা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও করে রেখেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, সইদুল ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে সম্প্রতি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিনই আদালতের তোলা হয় সইদুলকে। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। সইদুল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে জেলে রেখে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট লুঠ করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, আমার ধারণা সাগরদিঘি (Sagardighi) থানার পুলিশের ওপর উচ্চতর মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল সইদুলকে গ্রেফতার করার জন্য। তাই সাগরদিঘি থানার পুলিশ এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।

    রবিবার সইদুলকে তোলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় আগে কেন কোনও তদন্ত করা হয়নি? তিনি জানান, আদালত পুলিশকে আর একবার সুযোগ দিচ্ছে। কাল দুপুর দুটোয় কেস ডায়েরি নিয়ে ওসিকে আদালতে হাজির হতে হবে। সইদুলের  আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, সইদুল সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি যাতে কাজ করতে না পারেন, তাই ১৫ বছর আগের এক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সইদুলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য! দু’লক্ষ নয়, মোট চার লক্ষ জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল ঘোষণা না করায় এক চাকরীপ্রার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন দু’লক্ষের পরিবর্তে চার লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। আর সেসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মালারানী। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানী পাল।

    বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

    জরিমানা দেওয়ার পরিবর্তে সেই নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মানিক। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানা টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ নয়।

    কিন্তু এমন আবেদন ফিরিয়ে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিটে গচ্ছিত থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।”

    ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এর পর আজও মানিকের আইনজীবী জরিমানা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে আরও ২ লক্ষ টাকার জরিমানা নির্দেশ দেন। তাই এখন সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।

  • Anubrata Mondal: ভাল নেই অনুব্রত! জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেন?

    Anubrata Mondal: ভাল নেই অনুব্রত! জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোল সংশোধনাগার থেকে হাসপাতাল যাওয়ার পথে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘শরীর ভাল নেই।’’হাসপাতালে ঢোকার মুখে বুকে ব্যথার কথাও জানান তিনি। দিন দিন ওজন কমছে তাঁর। গত তিনমাসে ৯ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর। 

    অনুব্রতের সমস্যা

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফিসচুলার সমস্যা নিয়ে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। প্রায় এক ঘন্টা ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্পেশ্যাল অবজার্ভেশন রুমে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের সুগার, রক্তচাপ, ফিসচুলা -সহ মোট ৩৭ রকমের ওষুধ চলে। তার জন্য সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা রয়েছে নিবুলাইজার ও অক্সিজেন কনসিন্টারেটর। তবে সূত্রের খবর,অনুব্রত মণ্ডল সুস্থই আছেন। আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত, সার্জন স্মরণ হেমব্রম, জয়ন্ত গঙ্গোপাধ্যায় এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার উত্তমকুমার রায় অনুব্রতের চিকিৎসা করবেন। তাঁর নানা পরীক্ষা করা হবে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    গরু পাচার মামলায় গত শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল অনুব্রতকে। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। পরবর্তী শুনানি ৩ মার্চ। জেল সূত্রে খবর, এটা রুটিন চেকআপ। প্রতি দু’মাস অন্তর জেলবন্দিদের হাসপাতালে চেকআপ করার নিয়ম। সেই মত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে আনা হচ্ছে। গত অগস্ট মাস থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। অগস্ট মাসে তাঁকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারপর ২০ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল বুকে ব্যথার জন্য। সেদিন তাঁর ‘বডি ওয়েট’ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, তাঁর ওজন ১০০ কেজি। অর্থাৎ আগে থেকে ওজন কমে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তিন অভিযুক্ত। ওইদিন ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের। অন্যদিকে কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এবং নীলাদ্রিকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম তাঁকে হেফাজতে নিল সিবিআই।

    তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে হেফাজতে নিল সিবিআই

    এদিন আদালতে তোলার সময় আরও একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল। এদিকে আবার তাপসের গ্রেফতারিতে খুশি হয়েছেন বলেই দাবি কুন্তল ঘোষের। আদালতে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের আইনজীবী দাবি করেন, “ইডি’র হেফাজতে উনি আছেন। তাঁকে এই মামলায় হেফাজতে এখন তাহলে নেওয়ার কি দরকার সিবিআইয়ের?” অন্যদিকে তাপস মণ্ডলও গ্রেফতারির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতের প্রয়োজন হয়। তবে আমি যদি তদন্তে সাহায্য করি তাহলে প্রয়োজনীয়তা কী হেফাজতে নেওয়ার?” আরেক ধৃত নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবীও একই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এই একই মামলায় তিনবার ডাকা হল। সিবিআই দাবি করছে তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মাঝে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছে নীলাদ্রি। উনি সাধারণ ব্যবসায়ী। তাঁদের পরিচিত। আমাদের চলার পথে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাই বলে কি তিনি অপরাধ করবেন?” এরপর সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রির আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বাকি ধৃতরা গেলেন জেলে

    এদিন তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। এরপরই  ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, বলে আবেদন আইনজীবীর। শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম,কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, সূত্রের দাবি।

    এদিন সওয়াল-জবাবের পর কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। এদিন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলার শুনানিতে ধৃত আব্দুল খালেকের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেছেন৷ সেখানে তিনি সওয়ালে জানান, ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েথে তাঁর মক্কেলের৷ এমনকী তাঁর হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ নেই বলে আদালতে জানিয়েছেন আব্দুল খালেকের আইনজীবী৷ এই সব যুক্তিতে আইনজীবী এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আব্দুল খালেকের জামিনের আবেদন করেছে৷ কিন্তু কোনও কিছু কাজে দেয়নি তাঁকে জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দেন বিচারক।

LinkedIn
Share