Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে ক্ষণিকের জন্য দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে আজ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তাঁর এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের কথায়, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    কী লক্ষ্যে বৈঠক

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক। তাই নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে এই বৈঠক করতে চান তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মানুষজন সব সামাজিক প্রকল্প পেয়েছেন কিনা এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে কোনও কাজ বাকি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য, পুরসভা এলাকার কাউন্সিলররা, দলীয় পদাধিকারী এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকটি হবে বজবজ–২ ব্লকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন ‘সাংসদ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রিতদের নমস্কার জানিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। সেটা ছিল ‘হাতেখড়ি’ পর্ব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার কেউ বলছেন, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় থাকতে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে নিজের জায়গা ছাড়তে চলেছেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। বিজেপির নেতারা বলছেন, বিজেপির ভয়েই তা করছেন। অন্যদিকে বামেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকেই বিশ্বাস করেন না, সেই কারণেই উত্তরাধিকার বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)! তবে এবার ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার জন্য নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার জন্যও নয়, সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন কারণে বঙ্গবাসীর চর্চায় চলে এসেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কারণটি হল, হাওড়া (Howrah) নিউ জলপাইগুড়ির পর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটতে পারে হাওড়া পুরীর (Puri) মধ্যে। রেলের একটি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এও জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস থেকেই হাওড়া থেকে নীলাচলের দিকে রওনা দিতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন।

    বন্দে ভারত…

    নববর্ষের প্রাক্কালে বঙ্গবাসীকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের প্রথম দিকে, হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটি পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়ি। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে চালু করা হয় ট্রেনটি। মাত্র আট ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায় এই ট্রেন। বোলপুরের পাশাপাশি ট্রেনটি দাঁড়াচ্ছে মালদহ টাউন ও বারসোই স্টেশনে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বিশ্বমানের যে কোনও ট্রেনকে টক্কর দিতে প্রস্তুত। ট্রেনটির পুরোটাই এসি চেয়ারকার। প্রতিটি আসনই ঘোরে ৩৬০ ডিগ্রি। ট্রেনের মধ্যেই রয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    হাওড়া থেকে ট্রেনটি (Vande Bharat) কখন ছাড়বে, পুরীই বা পৌঁছবে ক’টায়, তা এখনও জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, পাঁচ থেকে ছ ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছানো যাবে। হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটির প্রথম স্টপেজ হতে পারে ভুবনেশ্বর। এছাড়াও আরও একটি স্টেশনে দাঁড়াতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন। বঙ্গবাসীর জগন্নাথ দর্শন আরও অনায়াস  করতেই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, শুক্রবার ফের হামলার শিকার হয় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। এদিন সব মিলিয়ে মোট তিনবার হামলা হয়েছে ট্রেনটিতে। দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে তৎপর আরপিএফ। হাওড়া পুরী রুটের ট্রেনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে রেল বিশেষ নজর দিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক ছেলেকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বললেন, “বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।” কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ সংলগ্ন ময়দানে নাতি দেবদীপ অধিকারীর ক্লাব ‘আন্তরিকের’ সরস্বতী পুজো প্যাণ্ডেলের উদ্বোধন করতে এসে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠানে শিশির ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস এবং করে কাঁথি পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। 

    সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, “রামচন্দ্র পণ্ডা এখন রাষ্ট্র নেতা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টে মামলা হবে। গত দেড় বছর ধরে কাঁথি শহরে পুলিশকে স্যালুট করে চলতে হয়। পুলিশের বড়ো বাবুটা ভালো কাজ করছেন। কেউ কোথাও অন্য পার্টি করলে তাকে ডেকে আনছেন থানায়। হাজিরা দিতে হচ্ছে। পয়সার তো একবারে বন্যা বইছে। কত টাকা ঘুষ নিয়েছেন? এরকম জিনিস কোথাও শুনিনি। আমি আগে কখনও দেখিনি। কিছু মানুষ টাকা দিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাঁকে লন্ডন থেকে এক সাংবাদিক ফোন করছিলেন। কলকাতার একটি জনপ্রিয় পেপারে কাঁথির ইতিহাস বেরিয়েছে। বুকটা ফেটে যায়৷ পবিত্র কাঁথি৷ শুভেন্দুকে কাঁথি জন্ম দিয়েছে। এখান থেকে গিয়ে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।”

    কে এই রামচন্দ্র? 

    কাকে ‘রামচন্দ্র’ বললেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ?‌ নানা দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু–সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। সরাসরি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকে রামচন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “‌রামচন্দ্র এখন রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর (Sisir Adhikari) নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টি মামলা হয়।”‌

    আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চাইছে ভারত

    এতদিন অবধি খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরেই ঝুঁকেছেন শিশির এবং তাঁর বাকি ছেলেরা। যদিও বাবা শিশির এবং ছেলে দিব্যেন্দু বারবার দাবি করে এসেছেন এখনও তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাহলে কী এবার পাকাপাকিভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শিশির? জল্পনা এখন তা নিয়েই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাহাড় হাসছে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান অনেকের মনকেই ভরিয়েছিল৷ আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু পাহাড় কী সত্যিই হাসছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকালে বার বার রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে পাহাড়। বার বার রক্তাক্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবার ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং- এর একাংশ। একদিকে, জিটিএ’র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে জিটিএ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ অন্যদিকে, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি নামে কমিটিকে সামনে রেখে রীতিমতো পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে প্রচারে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। শুধু পাহাড়ই নয়, পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এমনকি সমতলের কিছু অংশেও ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা নিয়ে সমগ্র পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে প্রচার – আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হবে দার্জিলিং? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে।  

    কী জানা গেল?  

    দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি ছাড়াও পাহাড়ের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই সভায় যোগদান করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই বিমল গুরুং ঘোষণা করেছেন জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেকে এবং গোর্খা (Gorkhaland) জনমুক্তি মোর্চাকে সরিয়ে আনবেন। বাতিল করবেন জিটিএ চুক্তি। আর বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সভাতে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামবে দলগুলি। আর সেই দাবি জানিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের জিটিএ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠাবেন বিমল গুরুং।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!  

    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাহাড়কে শান্ত করতে জিটিএ চুক্তি (Gorkhaland) করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই সময় বিমলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতার রাস্তায় গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অধীনেই জিটিএ চুক্তিতে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে কেন্দ্র, রাজ্যর সহমতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়। এরপর থেকে পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন বিমলই। কিন্তু পৃথক রাজ্যর দাবিতে ফের বিমল গুরুং সক্রিয় হতেই বদলে যায় সমীকরণ। ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর বিমলের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে পাহাড়ের রাশ অনিত থাপার হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর এরপরেই জিটিএ চুক্তিকে হাতিয়ার করেন বিমল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে যদি একপক্ষ অর্থাৎ বিমল গুরুং নিজেকে প্রত্যাহার করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে চুক্তি করতেও হতে পারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদে শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাফ হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে বা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। প্রধান নির্বাচনের পর মঙ্গলবার রাতে একাই বাইক চালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই মুর্শিদাবাদ থানার আজিমসরা এলাকায় আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাব হোসেনের পিঠে একটা গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলতাব। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর এদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক আলতাব হোসেন ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত রানিনগর–১ ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর এবারে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচিত মোট ১১ জন আধিকারিক এবং সঙ্গে একজন ইউনিসেফের সদস্যকে নিয়ে যৌথভাবে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করা হবে। এই প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি। আজ সোমবার থেকেই রাজ্যের ৪ জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

    রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    অনেক দিন ধরেই রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। এই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এক ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মিড ডে মিলের টাকায় বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আবার বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের অনেকেই। ফলে এবারে মিড ডে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে গতকাল রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুষ্টিবিদ অনুরাধা দত্ত। রয়েছেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের এক প্রতিনিধিও। ওই দলের সদস্যেরা কলকাতা বিমাবন্দর থেকে চলে যান নিউ টাউনের একটি হোটেলে। এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা রাজ্যের চারটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। আজ ওই পর্যবেক্ষকেরা যাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। পরের কয়েক দিন হাওড়া, উত্তরবঙ্গ এবং সব শেষে কলকাতার কয়েকটি স্কুলে তাঁদের ঘোরার কথা আছে।

    কোন কোন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা?

    এই প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ঠিকমত খরচ করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা খতিয়ে দেখবেন, নিত্যদিন যে খাবার স্কুলপড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে, তা কতটা পুষ্টিকর। আর সেই জন্যই এক পুষ্টিবিশারদকে রাখা হয়েছে ওই দলের নেতৃত্বে। মিড ডে মিলের সঠিক চার্ট আছে কি না, মিড ডে মিলের জন্য প্রতিমাসে স্কুলের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তার রেজিস্টার খাতা ঠিকঠাক আছে কি না, স্কুলের মিড ডে মিলের লোগো ঠিকঠাক আছে কি না, চাল, ডাল যেখানে রাখা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না, খাবারের মান কেমন, ইত্যাদি বিষয় বারংবার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। আবার কেন পড়ুয়াদের একটি অংশ খাবার খায় না, তা-ও দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ জারি করবে কেন্দ্র। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু ফের নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। এদিন অমর্ত্য সেন ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাস কেউ কথা বলবে মানা যায় না।”

    সিএএ ইস্যু

    বরিবার, মালদহের হবিবপুর ব্লকের ১১ মাইল এলাকায় অঞ্চল কর্মী সম্মেলন হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদা বিজেপির বিধায়ক গোপাল সাহা, উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কথা বলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।”

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গ

    অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে সমস্যা নিয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।” এদিন মালদায় দুটি সভা করার পর পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “টুয়েলভ পাশ ছেলে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মতো নোবেল লরিয়ট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে ৷ ওঁর এমবিএ ডিগ্রিটাও তো ভুয়ো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়। ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ কথাই বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে ধর্মতলায় বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। সুকান্ত বলেন, বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের কয়েক যোজন দূরত্ব। রাজনৈতিকভাবে নওশাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও মিল নেই। তবে একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়।

    প্রতিবাদ…

    প্রসঙ্গত, এর আগে নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএম। রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের জোটসঙ্গীরা। এবার ভিন্ন মেরু হওয়া সত্ত্বেও এর প্রতিবাদ জানাল বিজেপি। নওশাদ ভাঙড়ের বিধায়ক। তিনি হুগলির ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাও। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্বে ধিক্কার মিছিল হয়। সিঙ্গুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বিজেপির দলীয় অফিস থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দলীয় অফিস থেকে গিয়ে জড়ো হন সিঙ্গুর থানার গেটের সামনে। পরে থানায় একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয় সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে।  

    আরও পড়ুুন: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

    ২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় দলীয় ঝান্ডা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেন। এনিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। আইএসএফের অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলের দিকে। পরের দিন ধর্মতলায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যোগ দিতে আসার পথে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের গাড়ি ভাঙুচর করা হয় বলে অভিযোগ। এবারও আইএসএফের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হয় আরাবুলের লোকজনকে। সভা শেষে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করে আইএসএফ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। তার জেরে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় নওশাদকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। বর্তমানে জেলেই রয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টানা ৭ ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কেন শান্তনুকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর যোগ ছিল কি না, সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। নিয়োগের নামে যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা শান্তনুর কাছে গিয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাপস মণ্ডলের মুখেও শান্তনুর নাম শোনা গিয়েছে। তাই দফায় দফায় তাঁকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কয়েকজন সুপারিশকারী বা মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু প্রথমে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই  এই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের তালিকা মিলেছে শান্তনুর বাড়ি থেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share