মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিনাখাঁ (Minakhan) ও কেশপুরে (Keshpur) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার নেবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে...
এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিনাখাঁ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। সব শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। বল ভেবে মামার বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল সে। আচমকাই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। নাম আবুল হোসেন গায়েন। ঘটনার পরে পরেই ঝুমা খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরে পরে আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে যায় বম্ব স্কোয়াডের চারজনের এক প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই সক্রিয় কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবুল হোসেন গায়েন।
আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষের র্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের
ওই ঘটনার পরের দিনই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক। তিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনায় রফিকের ডান হাতের আঙুল উড়ে যায়। ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার। যদিও শিউলি ঘটনার দায় চাপান সিপিএমের ওপর।
তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, সাঁইথিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বিস্ফোরক পাচার ও বেলডাঙা বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভারও ইতিমধ্যেই নিয়েছে এনআইএ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours