Chandrika Tandon: বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের অভিনব মিশেল! গ্র্যামি জয় চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের

Chandrika Tandons Grammy triumph Blending ancient chants with global sounds Triveni

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬৭তম গ্র্যামির আসরে বেস্ট নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট বা চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার (Grammy Awards) পেলেন চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon)। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের Crypto.com অ্যারেনায় বসেছিল বড় মিউজিক্যাল অ্যাওয়ার্ড নাইটের আসর। সেখানেই এই পুরস্কার পেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁশিবাদক ওয়াউটার কেলারম্যান এবং জাপানি চেলিস্ট ইরু মাতসুমোটোর সঙ্গে এই পুরষ্কার জিতে নেন চন্দ্রিকা। গ্র্যামি জয়ের পরেই তিনি এক সাক্ষাৎকার দেন। চেন্নাইয়ে বেড়ে ওঠা এই সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘দারুণ লাগছে।’ গ্র্যামি জয়ী চন্দ্রিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

কী বললেন চন্দ্রিকা?

গত বছর ৩০ নভেম্বর, ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল। এই অ্যালবামে ভারতের প্রাচীন বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক বিশ্ব সঙ্গীতের এক অভিনব মিশেল ঘটিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।  চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon) বলেন, ‘‘এই ক্যাটেগরিতে আমাদের সঙ্গে দুর্দান্ত সব শিল্পীরা মনোনীত ছিলেন। আমরা যে এটা জিতেছি, এটা সত্যিই আমাদের জন্য বাড়তি বিশেষ মুহূর্ত। আমাদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন অসাধারণ সব মিউজিশিয়ানরা।’’ গ্র্যামি আসরেও নিজের শিকড়কে ভুললেন না চন্দ্রিকা। ভারতীয় পোশাকেই হাতে নিলেন পুরস্কার। সবুজ রঙা লম্বা ঝুলের সালোয়ারের সঙ্গে গোলাপি জ্যাকেটে পাওয়া গেল তাঁকে। চেন্নাইয়ে জন্ম হয় চন্দ্রিকার। তাঁর পরিবার সনাতন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে সম্পৃক্ত বলেই জানা যায়। সামবেদকে অনুসরণ করে চলে তাঁর পরিবার। সঙ্গীতের (Grammy Awards) পরিবেশেই চন্দ্রিকার বেড়ে ওঠা। শৈশবে তাঁর কেটেছে বৈদিক স্তোত্র শুনেই।

চন্দ্রিকার পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে

জানা যায়, চন্দ্রিকার (Chandrika Tandon) পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে। এর পরবর্তীকালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএম আমেদাবাদ থেকেও ডিগ্রি নেন। পরে যোগ দেন বাণিজ্যের জগতে। কর্পোরেট জগতে অনেক বড় বড় পদ সামলেছেন তিনি। কিন্তু কখনও সঙ্গীতকে ছেড়ে যাননি। সঙ্গীত, আধ্যাত্মিকতা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রতি তাঁর যে অদম্য ভালোবাসা, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর গ্র্যামি (Grammy Awards) জয়ে। পুরস্কার পাওয়ার পরেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বক্তব্য রাখেন ট্যান্ডন। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গীত আমার ভালোবাসা। সঙ্গীতে আমাদের অন্তরে আলো জ্বালায়। অন্ধকার এবং কালো দিনগুলোতেও সঙ্গীতের মাধ্যমে আমরা হাসিখুশিতে থাকতে পারি।’’

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share