মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Poll) চলাকালীন ফের উত্তর দিনাজপুরে দুজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার ধোয়ারইল গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নারায়ণ সরকার (৫৫)। তাঁর বাড়ি হেমতাবাদ থানার গিয়াশিল গ্রামে। অন্যদিকে, এই জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকে এক কংগ্রেস কর্মীকে বুথের ভিতরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মৃতের নাম মহম্মদ জামেরুদ্দিন (৬৫)।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার ধোয়ারইল গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ সরকার গত ১০ বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। এবারের হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মজিবুর রহমানের পোলিং এজেন্ট ছিলেন তাঁর ছেলে বিপ্লব সরকার। শনিবার সকালে নারায়ণবাবু ভোট দেওয়ার জন্য গিয়াশিল প্রাইমারি স্কুলে এসেছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁকে দেখা যায়নি। দুপুরের পরে হেমতাবাদ থানার ধোয়ারইল গ্রামের একটি পাঠক্ষেতে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
শুরু রাজনৈতিক তরজা?
হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, এখানে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেই নারায়ণ সরকারকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে হেমতাবাদের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেই বোঝা যাবে কে খুন করেছে।
বুথের সামনে কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে খুন
তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক কংগ্রেস কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপোখর ব্লকের সাহাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগিরবস্তির নয়াহাঁট এলাকায়। মৃত ওই কংগ্রেস কর্মীর নাম মহম্মদ জামেরুদ্দিন (৬৫)। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর- ১ ব্লকের সাহাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগিরবস্তির নয়াহাঁট এলাকার বাসিন্দা কংগ্রেস কর্মীর মহম্মদ জামেরুদ্দিন ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করে। তারপর থেকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। এদিন দুপুরের পর তিনি বুথে ভোট দিতে আসেন। খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বুথের সামনে ঘিরে ফেলে। পরে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জামেরুদ্দিন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। জামেরুদ্দিনের মৃতদেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হয়।
কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?
কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান বলেন, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করার পর থেকেই জামিরুদ্দিনকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই রাগের জেরেই প্ল্যান করে তাকে এদিন আক্রমণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি জড়িত।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো যোগাযোগ নেই। সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours