মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। আগামী ২২ জানুয়ারিতে হবে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধন। দেশব্যাপী রাম ভক্তদের মধ্যে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। গোট অযোধ্যা নগরীর সঙ্গে সারা ভারত এখন রামময়। তবে, এই সুন্দর রাম মন্দিরের জন্য কত টাকা খরচ হল? কোথা থেকে এই টাকা সংগ্রহ হল সেটাও ভক্তদের জানা প্রয়োজন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মন্দিরের জন্য মোট অনুদান এসেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। রাম মন্দির জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এই অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা। একই ভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশের প্রায় ৪ লক্ষ গ্রাম থেকে নিধিসংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ১১ কোটি দেশবাসী নিজেদের অনুদান অর্পণ করেছেন মন্দির নির্মাণের জন্য। বিদেশে বসবাসকারী রাম ভক্তরাও নিজেদের অনুদান পাঠিয়েছেন।
কী জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ?
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র অভিযানের সাপেক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই মন্দির (Ayodhya Ram Temple) পুনরায় উদ্ধারের জন্য সারা দেশের মানুষের যোগদান রয়েছে। প্রয়াগরাজের ভিক্ষুকরাও রাম মন্দিরের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দান করেছে। ভারতের বাইরে থেকেও প্রচুর অনুদান এসেছে। রাম মন্দির ট্রাস্টে প্রতিমাসে ১ কোটি টাকা করে জমা পড়েছে। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, অযোধ্যায় তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই মন্দিরের জন্য অনুদান জমা করা হয়েছে।
অনুদান এসেছে নিধি সমর্পণ অভিযানে
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আয়োজিত নিধি সমর্পণ অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়রি মাসে। শ্রীরাম সেনার সভাপতি দেবেন্দ্র দাস বলেছেন, “একজন ব্যক্তির অর্থে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়নি। মন্দির (Ayodhya Ram Temple) নির্মাণের পর যাতে প্রত্যেক ভারতীয় মানুষ দাবি করতে পারেন যে মন্দিরের প্রত্যেক দেওয়ালে ভারতীয়দের নাম গাঁথা রয়েছে সেই ভাবনাও এই দান-সংগ্রহ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে।”
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অনুদান দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা
তৎকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজে মন্দির নির্মাণের (Ayodhya Ram Temple) জন্য ৫ লক্ষ ১০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। গুজরাটের ধর্মগুরু মোরারি বাউ ১১ কোটি অনুদান দিয়েছেন। গৌতম গম্ভীর ১ কোটি টাকা দিয়েছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডার প্রবাসী ভারতীয়রা প্রায় ৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। আবার গুজরাটের শ্রীরামকৃষ্ণ এক্সপোর্টসের মালিক গোবিন্দ ভাই ঢালাকিয়া মন্দিরের জন্য ১১ কোটি টাকা দান করেছেন। বিশ্বহিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক সচিন্দ্রনাথ সিং জানিয়েছেন, “এই মন্দির নির্মাণের কর্মযজ্ঞে পরিষদের সঙ্গে গোটা সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা যোগদান করেছেন। বাংলার সর্বত্র রামভক্তরা পৌঁছে গিয়েছেন। আমাদের যে নির্ধারিত লক্ষ্য ছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।”
আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাম লালার অভিষেকের সময় শুরু ১২টা ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে। অভিষেকের সময়ের স্থায়িত্ব হল ৮৪ সেকেন্ড।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours