Winter Disease: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে রোগের দাপট, শিশুদের বাড়তি ঝুঁকি চিকেন পক্স

Winter_Disease

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে‌। দুপুর বাড়তেই গরম লাগলেও, রাতে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর নিয়মিত এই তাপমাত্রার ওঠানামার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বাতাসে সক্রিয় হচ্ছে একাধিক ভাইরাস (Winter Disease)। আর তার জেরেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ বিশেষত শিশুদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই আবহাওয়া। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Winter Disease)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই রকমফেরের জেরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার জেরেই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আট থেকে আশি, সব বয়সীরাই এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। ভাইরাসঘটিত জ্বরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে। তবে, করোনার দাপট দেশ জুড়ে বাড়ছে। তাই এই সময়ে জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তবে, এই পরিবেশে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার এই ওঠানামার জেরে চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষত শিশুদের খুব দ্রুত এই ধরনের রোগে আক্রান্ত (Winter Disease) হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই এই আবহাওয়ায় শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

কীভাবে মোকাবিলা হবে? (Winter Disease)

চিকিৎসকদের পরামর্শ, সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় বিপদ এড়ানো‌ মুশকিল হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বছর শেষে নানান উৎসব উদযাপনে অনেকেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি। গরম পোশাক পরা দরকার। বিশেষত রাতে বাইরে থাকলে গলা, কান ঢেকে রাখা দরকার। যাতে হঠাৎ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন না হয়। কারণ, হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেকের শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়। তার জেরে কাশি-সর্দি-জ্বরের মতো একাধিক ভোগান্তি হয়। 
খাওয়ার দিকেও বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার। বিশেষত শিশুদের খাবারে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু, কিউইয়ের মতো ফল খাওয়া দরকার। কমলালেবু, মাল্টা বা কিউই জাতীয় যে কোনও ফল দিনে একটা খেলে, শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, সর্দি-কাশির মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ে। রোগ (Winter Disease) প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই এই ধরনের ফল নিয়মিত খেতে হবে। 
পাশপাশি এই আবহাওয়ায় একেবারেই আইসক্রিম খাওয়া চলবে না। উৎসবের মরশুমে অনেকেই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
পাশপাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এক চামচ মধু খেলে শরীর ভালো থাকবে। পাশপাশি দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। পক্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।
সবুজ সব্জি ও মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
তবে, দিন কয়েক টানা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।‌ করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি, মত বিশেষজ্ঞদের।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share