Hathras Stampade Incident: গোয়েন্দার চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু! হাথরসের সেই ‘ভোলেবাবা’ পলাতক

Bhole Baba: বিতর্কের অপর নাম হাথরসের সেই বাবা কোথায়?
hathras_bhole_baba
hathras_bhole_baba

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলার রতিভানপুর ফুলরাই গ্রামে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Hathras Stampade Incident) হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১১৬ ছাড়িয়েছে। আহত আরও শতাধিক মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। কার গাফিলতি, খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সকালে হাথরস হাসপাতালে পৌঁছে যান। কথা বলেন অসুস্থ ও আহতদের সঙ্গে। এর পর তিনি যান ঘটনাস্থলে। একটি বিশেষ দল তৈরি করে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। তবে প্রাথমিক এফআইআরে অভিযুক্ত ধর্মগুরুর নাম না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ভোলে বাবার উত্থান চমকে দেওয়ার মত (Bhole Baba)

উত্তরপ্রদেশের যে সৎসঙ্গে শতাধিক মানুষের (Hathras Stampade Incident) মৃত্যু হয়, সেই সৎসঙ্গের স্বঘোষিত বাবার উত্থান চমকে দেওয়ার মত। জানা গিয়েছে, ওই স্বঘোষিত বাবা নিজের নাম রেখেছেন ‘নারায়ণ সাকার হরি’। ভক্তদের একাংশ তাঁকে ঈশ্বরের অংশ বলে ভাবেন। এই ঈশ্বরের অংশ তাঁর ভক্তরা ‘ভোলে বাবা’ বলে ডাকেন। এই ভোলে বাবা (Bhole Baba) কে জানেন?  স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। তিনি এটা জেলার পাটিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দাবি করেন, সাধক হওয়ার পূর্বে তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কর্মরত ছিলেন। ধর্ম প্রচারক হওয়ার জন্য ২৬ বছর আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিতে তাঁর কয়েক লক্ষ ভক্ত আছেন। তবে ভারতবর্ষে বর্তমানে যে কজন খ্যাতনামা ধর্মপ্রচারক আছেন তাঁদের থেকে ভোলেবাবা অনেকটাই আলাদা। অন্যান্য ধর্মগুরুরা নিজেদের ক্যারিশমা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে ব্যস্ত। তাঁদের ইউটিইউব চ্যানেলে লাখো সাবস্ক্রাইবার। অথচ নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। তাঁরা কোন অফিসিয়াল চ্যানেল নেই। যা টুক টাক ভিডিও আছে, সবই ভক্তদের দয়ায়।  উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতি মঙ্গলবার নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ‘ভোলে বাবার’ ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেখানে হাজার হাজার ভক্ত ভক্তের সমাগম হয়। ভক্তদের খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। অতীতে করোনা অতিমারীর সময় যখন জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখনও ভোলে বাবার অনুষ্ঠানে শত-শত মানুষ জড়ো হতেন। সে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের (Hathras Stampade Incident) আয়োজন করা হয়েছিল ‘মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা।

পলাতক ধর্মগুরু

পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর (Hathras Stampade Incident) পর ভোলে বাবার (Bhole Baba) খোঁজে তাঁর রাম কুটির  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আশ্রমে পৌঁছয় পুলিশ। এই আশ্রম মৈনপুরির বিচওয়ানে অবস্থিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরেই উত্তর প্রদেশের পুলিশ ওই আশ্রমে পৌঁছয়। কিন্তু রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্টে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর সন্ধান মেলেনি।

আরও পড়ুন: সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৫০, তদন্তের নির্দেশ যোগীর

মৈনপুরির ডিএসপি সুনীল কুমার সিং বলেন, “আমরা ভোলে বাবাকে তাঁর আশ্রমে খুঁজে পাইনি। তিনি সেখানে নেই। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে আইবিতে কাজ করার সৌজন্যেই কি তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এত দূরে। এমনকি পুলিশের চোখে ধুলো দিতেও প্রাথমিকভাবে সক্ষম হলেন তিনি।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles