6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

pm-modi-parl

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি (6G Technology) টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ (ITU)। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

৬জি ভিশন নথি

তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি (6G Technology) ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে।

এই স্বীকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম

ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

৬জি প্রযুক্তি (6G Technology) সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুুন: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, “স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share