ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

এতদিন পর্যন্ত, দেশীয়ভাবে এই শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি উপলব্ধ ছিল না। 'Astra' দেশীয়ভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মীদের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ডিজাইন করা হয়েছে।
as
as

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবটা মালুম হয়েছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (Balakote airstrike) সময়। ভালমানের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের (Air-to-Air Missile) অভাবে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল ভারতকে (India)। সেই ঘাটতি ঢাকতে বদ্ধপরিকর ছিল মোদি (Modi) সরকার। লক্ষ্য ছিল, দেশীয় উন্নতমানের দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিলেছে। অবশেষে, এবার ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) ও নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে "অস্ত্র"।

মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে (Modi@8) 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভারতীয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (Bharat Dynamics Ltd) এর সঙ্গে ২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য 'অস্ত্র মার্ক ১' (ASTRA Mk I) বিয়ন্ড ভিজ়্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে (BVRAAM) উৎপাদন করবে ভারত ডায়নামিক্স (BDL)।

আরও পড়ুন: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য দৃষ্টিসীমার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম  "অস্ত্র" আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রর পাল্লা ১১০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটির গবেষণা থেকে শুরু করে নির্মাণ ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিলক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। এখন ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সিস্টেমগুলির উৎপাদনের জন্য সমস্ত প্রযুক্তি বিডিএল-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ডিআরডিও। 

বর্তমানে ব্রহ্মোস (BrahMos) ছাড়া, ভারতের সবকটি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা। ফলে, সেগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন ও দেশীয় অস্ত্র নির্মাণ ও উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই নিরিখে, এর নতুন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের  ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগলো ভারত।

"অস্ত্র" হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ভরসা রুশ-নির্মিত সুখোই সু-৩০ এমকেআই (Sukhoi Su-30 MKI) যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, বায়ুসেনার দেশীয় 'তেজস' (Tejas) এবং নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান 'মিগ-২৯কে' (MiG 29K) সজ্জিত হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

আরও পড়ুন: 'মেক ইন ইন্ডিয়া'য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত মার্কিন নির্মিত 'এফ-১৬' (F-16) যুদ্ধবিমানে সঙ্গে আসা 'এআইএম-১২০' (AIM-120) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের জন্য সরাসরি আক্রমণে যেতে পারেনি ভারত। কারণ, পাক বায়ুসেনার বিভিআর মিসাইলের নিশানায় চলে আসত ভারতীয় সুখোই বিমানগুলি। ভারত সেই সময় সিদ্ধান্ত নেয়, দ্রুত এই মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। 

বর্তমানে ভারতের অস্ত্রাগারে রয়েছে 'মিটিয়র' (Meteor)-এর মতো যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা BVRAAM। ফরাসি যুদ্ধবিমান 'রাফাল'- এর সঙ্গে এসেছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। কিন্তু, এগুলির প্রতিটির দাম অনেক বেশি। তুলনায় ভারতে তৈরি 'অস্ত্র' মিসাইল অনেকটাই সস্তা। ডিআরডিও-র দাবি, পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত 'এআইএম-১২০' মিসাইলের সমতুল্য হচ্ছে 'ASTRA Mk I'। 

অন্যদিকে, গবেষণা চলা 'ASTRA Mk II' ও 'অস্ত্র মার্ক III' ভেরিয়েন্টগুলির পাকিস্তানের ব্যবহৃত মিসাইলের থেকে ঢের ভালো হবে এবং চিনা মিসাইলকে সমানে সমানে টক্কর দেবে। জানা গিয়েছে, এই দুই মিসাইলের পাল্লা হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩৫০ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles