মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় তিন শক্তিকে একত্রিত করে আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড। এর ভাবনা বহুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল,তবে শীঘ্রই তা বাস্তব রূপ নেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীর পিপলস ফোরামে যোগ দিয়ে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনার তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, দেশের সুরক্ষার্থে ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর ভারত।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে কান পাতলেই বেশ কয়েক বছর ধরে থিয়েটারাইজেশনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এদিন অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘পূর্ববর্তী ঘটনা (কার্গিলে অপারেশন বিজয়ে যে জয়েন্ট অপারেশন দেখা গিয়েছিল) মাথায় রেখে আমরা জয়েন্ট থিয়েটার কম্যান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ২০২১ সালের জুন মাসে থিয়েটারাইজেশন প্ল্যান নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ সদস্যের প্য়ানেল গঠন করে কেন্দ্র। সেই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন সব স্টেক হোল্ডাররা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নতুন থিয়েটারাইজেশনে স্থিতিশীল হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরি হলেই ভারতের সামরিক শক্তি চিন ,পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ দেশবাসী কখনও ভুলবে না। কখনও ভুলতে পারে না। তাঁর কথায়, সমাজ ও জনগণের কর্তব্য শহিদ ও তাঁদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। জনগনের উদ্দেশে রাজনাথ বলেন, "আপনি যা কিছু সহায়তা দিতে পারেন বা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেটাই আপনি তাদের পরিবারের জন্য করুন। এটি প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত।"
এদিন রাজনাথের মুখে উঠে এসেছিল ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। সে দিনের তুলনায় আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন রাজনাথ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “১৯৬২ সালে চিন লাদাখ দখল করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলালা নেহেরু। আমি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু নীতির ব্যাপারে দুর্বলতা ছিল। যাই হোক, আজকের ভারত পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ। এখন যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।”
+ There are no comments
Add yours