China Demands: পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

Army

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামাবাদ (Islamabad), করাচি-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসকারী চিনা (China) নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সে দেশে নিজেদের সেনা ঘাঁটি গড়তে চায় চিন। ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের স্বার্থে সেখানে সেনা চৌকি করতে চায় চিন। সেজন্য পাকিস্তানের আইনসভায় অনুরোধও করেছে তারা। সম্প্রতি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। 

জঙ্গি হামলার ভয়ে পাকিস্তান (Pakistan) ছেড়ে চলে গিয়েছেন চিনা শিক্ষকরা।গত এপ্রিল মাসে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় তিন চিনা শিক্ষকের। তারপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার শিক্ষকেরা। হামলার পর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে কর্মরত সমস্ত চিনা শিক্ষকদের দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে বেজিং। ২০১৩ সালে চিনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। উদ্দেশ্য পাকিস্তানিদের মান্দারিন ভাষার শিক্ষা দেওয়া ও দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বালোচ-জঙ্গিদের হামলা,পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর চিনের আস্থায় বড় ধাক্কা দিয়েছে। 

২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি (CPEC projects) নির্মাণকার্যও শুরু হয়েছে। চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা। বলোচদের অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷ তাই চিনা নাগরিকদের সেখানে ভালভাবে থাকতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান ছেড়ে চিনা নাগরিকদের চলে যেতে বলেছে বালোচ-জঙ্গি গোষ্ঠী। জঙ্গি নাশকতার আতঙ্ক সব সময় তাড়া করছে সিপিইসি কর্তাদের। তাই পাকিস্তানে নিজেদের সেনা-ঘাঁটি গড়তে উদ্যত চিন। এজন্য পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, বলে অভিমত , রাজনৈতিক মহলের।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share