মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলকে ঘায়েল করতে গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Israel Hamas War)। সেই সুড়ঙ্গ-জাল ধরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের নৃশংস জঙ্গিরা। হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জালই এবার ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে ইজরায়েল। তেল আভিভের মতে, হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জাল অবরুদ্ধ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সেই কারণেই এবার গাজার সুড়ঙ্গে স্পঞ্জ বোমা নিক্ষেপ করতে চলেছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জোরকদমে স্পঞ্জ বোমা তৈরি করতে শুরু করেছে ইজরায়েল।
স্পঞ্জ বোমা কী?
প্রশ্ন হল, স্পঞ্জ বোমা কী? স্পঞ্জ বোমা দেখতে খানিকটা ফেনার মতো। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটি কোনও রাসায়নিকের ফেনা। কিন্তু নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরেই ফেনা পরিণত হয় কঠিন পদার্থে। আসলে দুটি তরল দিয়ে তৈরি এই ফেনা। রাখা থাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে। লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে প্যাকেটের মধ্যে আলাদা করে রাখা হয় তরল দুটি। নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ঘটে বিস্ফোরণ। তখনই প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিন্ন করে মিশে যায় তরল দুটি। তৈরি হয় ফোম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ফোম। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জমাটও বাঁধতে থাকে দ্রুত। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ।
রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষা
গাজা স্ট্রিপে হামাসের (Israel Hamas War) তৈরি সুড়ঙ্গের মুখ এই স্পঞ্জ বোমা দিয়েই অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষাও করছে ইজরায়েল। এই জাতীয় গ্রেনেডে কোনও বিস্ফোরক নেই। তবে সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের বোমা। বছর দুই আগেও গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে থাকা কিছু সুড়ঙ্গমুখ বন্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতীয় গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল।
আরও পড়ুুন: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?
ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় এই সুড়ঙ্গ তৈরির ছক কষে হামাস। ২০০৫ সালে যখন ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরের বছর নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তার পরেই শুরু হয় সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। এই সুড়ঙ্গগুলিতে রয়েছে বাঙ্কার, স্টোরেজ এবং নানা ধরনের ফাঁদ। সূত্রের খবর, কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ (Israel Hamas War)। গভীরতা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours