মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্য ৩০ জন রোগীর মৃত্যুর দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার বলে জানালেন ওই মামলার অন্যতম আইনজীবী করুণা নন্দী (Karuna Nundy)। আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে লড়ছেন সিনিয়র আইনজীবী করুণা নন্দী। এই অভিযোগ তুলে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও যে সঠিক নয়, সে কথাও বলেছেন করুণা।
প্রবাসী বাঙালি করুণা
আরজি কর মামলার প্রতিটি শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের চিকিৎসকদের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে করুণা নন্দীকে (Karuna Nundy)। জানা যায়, বাংলার বাসিন্দা না হলেও করুণা বাঙালি। বাংলায় কথাও বলতে পারেন। তাই রাজ্যের মানুষ তথা বাঙালির মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে করুণা নন্দীর। সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী করুণা জানিয়েছেন, এই মামলাটা তাঁর কাছে অত্যন্ত ‘পার্সোনাল’। কারণ তিনি নিজে একজন বাঙালি। তিনি মনে করেন, বাঙালি মেয়েদের রক্তে আছে স্বাধীনতা। আর এই আরজি করের ঘটনায় সেই স্বাধীনতা ধাক্কা খেয়েছে।
করুণার কেরিয়ার
বাঙালি হলেও করুণা নন্দীর (Karuna Nundy) জন্ম ভোপালে। করুণার বাবা কর্মসূত্রে ছিলেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে। কিন্তু দেশের জন্য চিন্তা করে বিদেশের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ভোপালের সর্দার পটেল বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়াশোনা করেন করুণা। এরপর কেমব্রিজ থেকে আইন বিষয়ক পড়াশুনো করেন৷ শুরু থেকেই নিজের ঔজ্জ্বল্য বোঝাতে শুরু করেছিলেন করুণা নন্দী৷ তিনি সেই সময়ে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ল সোসাইটির জার্নালে এডিটর ইন চিফ ছিলেন৷ ইংল্যান্ডের পর আমেরিকার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স। ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং ভারত - তিন দেশেই ল প্র্যাক্টিস করার লাইসেন্স রয়েছে করুণার।
আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের
করুণার কেস
অ্যাডভোকেট করুণা নন্দীর (Karuna Nundy) কেরিয়ারে রয়েছে দুর্ধর্ষ সব কেস যা তিনি সুপ্রিম কোর্টে জিতেছেন৷ তার বড় কেসের মধ্যে রয়েছে, পেটিএম বনাম টেলিকম কেস, জিজা ঘোষ বনাম স্পাইসজেট মামলা, শ্রেয়া সিংঘল বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলা৷ ২০১২-তে দিল্লির নির্ভয়া কেসের পর জাস্টিস ভার্মা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অ্যান্টি-রেপ আইনটিকে সংশোধন করার জন্য। তখনকার আইনের বিভিন্ন ছিদ্র ছিল তা চিহ্নিতকরণ করে আইনের পরিবর্তনটি যাঁরা লিখেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী। আরজি কর মামলা প্রসঙ্গে করুণা বলেন, “আমার জন্য এই ম্যাটারটা পার্সোনাল। আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি। আমেরিকায় থেকেছি, ইংল্যান্ডে থেকেছি। কিন্তু আমার রক্তে বাঙালিয়ানা। আর স্বাধীনতা বাঙালি মেয়েদের রক্তে আছে। এই ঘটনায় সেই স্বাধীনতা ধাক্কা খেয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব সেটা প্রত্যেক মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours