Indian Succession Act: তিন দশক সংসার করে স্ত্রীকে ফের বিয়ে মুসলিম ব্যক্তির! কারণ শুনলে চমকে যাবেন

marriage_kerala_final

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে করেছিলেন ২৯ বছর আগে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন ফের বিয়ে করলেন এক দম্পতি। তিন কন্যা সন্তানের বাবা-মা ওই দম্পতি। সেই মেয়েদের সম্পত্তিতে যাতে কেউ ভাগ বসাতে না পারে (Indian Succession Act), তাই দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত। প্রথমবার বিয়ে হয়েছে শরিয়ত আইন অনুযায়ী। আর দ্বিতীয়বার বিয়ে হল স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে (Special Marriage Act)। কেরলের কাসারগোড জেলার ঘটনা।

ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন (Indian Succession Act)…

দক্ষিণের নাম করা অভিনেতা সি শুক্কুর। তিনি আইনজীবীও। ১৯৯৪ সালে শরিয়ত আইন মেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিনাকে। এই দম্পতির তিন সন্তান হয়। তিনটিই মেয়ে। মেয়েরা বড় হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। তাহলে কেন ফের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ওই দম্পতি? জানা গিয়েছে, শরিয়ত আইন অনুযায়ী মেয়েরা তাঁদের বাবার সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশেরই অধিকারী হবেন। দম্পতির পুত্র সন্তান না থাকলে পিতার বাকি সম্পত্তি তাঁর অবর্তমানে শুক্কুরের ভাইদের কাছে চলে যাবে। কষ্টার্জিত সম্পত্তি যাতে সন্তানরাই পায় (Indian Succession Act), তা নিশ্চিত করতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি।

সেই মতো বিয়ের দিন হিসেবে তাঁরা বেছে নেন ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনটিকেই। এই আইনের অধীনে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন (Indian Succession Act) অনুযায়ী ভাগ করা যাবে। ফেসবুক পোস্টে দ্বিতীয়বার বিয়ের কৈফিয়তও দিয়েছেন শুক্কুর। তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি আমি দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আর তার পর থেকেই চিন্তা শুরু হয় মৃত্যুর পর পরিশ্রমের কামাই আমার মেয়েরা ভোগ করতে পারবে তো? ওরা পুরোপুরিভাবে আমার সম্পত্তির ভাগ পাবে কি না, তা নিয়ে নানা প্রকার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে আমার মাথায়। শরিয়ত অনুযায়ী, মেয়েরা পিতার সব সম্পত্তির ভাগীদার হতে পারেন না। এই আইনে ইচ্ছাপত্র লিখে যাওয়ারও অনুমতি নেই। তাই আমি দ্বিতীয়বার  বিয়ে করি। ভারতের সংবিধানে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার এই সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুুন: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে কেরলের একটি সুন্নি হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউট। তাদের দাবি, দম্পতির এই সিদ্ধান্ত ইসলাম ও মুসলিম পার্সোনাল ল’-কে অশ্রদ্ধা জানানোর একটা চেষ্টা। ফের বিয়ে করার এই ঘটনা একটা নাটক ও শুক্কুরের এই হীন কাজের কারণ হল তাঁর দাদা-ভাইদের সম্পত্তি না দেওয়ার চেষ্টা। এর প্রেক্ষিতে ফেসবুকে শুক্কুর লেখেন, এই ধরনের উসকানিমূলক বার্তার কারণে যদি তাঁর ওপরে কোনও শারীরিক আক্রমণের ঘটনা ঘটে, তাহলে দায়ী হবে ওই প্রতিষ্ঠানটিই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share