মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোটকে 'বিনাশ' বা ধ্বংস হিসেবে উল্লেখ করলেন। বুধবার মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Assembly Election 2024) ধুলেতে এক জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "মহাজুটি মানে 'বিকাশ' এবং আঘাড়ি মানে 'বিনাশ'। মারাঠাবাসীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যারা উন্নয়ন করতে জানে তাদেরকে ক্ষমতায় আনবেন, নাকি যারা ধ্বংস ঘটায় তাদেরকে?"
মহারাষ্ট্রের উন্নতির প্রতিশ্রুতি
আগামী সপ্তাহেই ভোট মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Assembly Election 2024)। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে এক দফায় ভোট হবে ২০ নভেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর। তার আগে নির্বাচনী জনসভায় শাহ আরও দাবি করেন যে কংগ্রেস কেন্দ্রে থাকাকালীন মহারাষ্ট্রে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করেনি। তিনি বলেন, "এই মঞ্চ থেকে আমি রাহুল বাবা ও শারদ পাওয়ারকে প্রশ্ন করতে চাই, যখন আপনারা কেন্দ্রে ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, তখন মহারাষ্ট্রকে কত টাকা দিয়েছিলেন? তাঁরা ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল, আর মোদিজি ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দিয়েছেন ১০ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।"
আরও পড়ুন: হাসিনাকে নিয়ে ইন্টারপোলে অতিসক্রিয় অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার, এবার আবেদন গ্রেফতারের
মিথ্যা আশ্বাস নয়
দেশের উন্নতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, "প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের উন্নতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সময় ভারত ছিল বিশ্বের অর্থনৈতিক সূচকে এগারোতম স্থানে, বিজেপি দেশকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে এসেছে। ২০২৭ সালে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হবে।" মহা বিকাশ আঘাড়ির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগও তোলেন শাহ। তাঁর কথায়, "আঘাড়িওয়ালে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে বলেছিলেন, যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব নয়, তা দেওয়া উচিত নয়। কংগ্রেস সরকারের কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় প্রতিশ্রুতিগুলি পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু মোদিজি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা 'পাথর কি লকীর'।" শাহ আরও বলেন, "আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে রাম মন্দির নির্মাণ করব, এবং তা সম্পন্ন করেছি... রাহুল বাবা বা সুপ্রিয়া সুলে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি, কারণ তাদের ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় ছিল।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours