International Men’s Day: পুরুষদের আত্মহত্যা বাড়ছে দ্বিগুণ হারে! আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে উদ্বেগজনক তথ্য

পুরুষদের মধ্যে নানা মানসিক রোগের প্রকোপ বেশি?
International_Men's_Day
International_Men's_Day

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগের প্রকোপ আরও বেশি। তাই মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে (International Men's Day) তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীরের পাশপাশি পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কতা জরুরি। কারণ, মানসিক অবসাদ ও চাপের জেরেই বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের আত্মহত্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ২০২৩ সালে তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে-র থিম ‘জিরো মেন সুইসাইড’।

কী বলছে পরিসংখ্যান? 

একাধিক আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে আত্মহত্যা। বিশেষত পুরুষদের আত্মহত্যা ক্রমশ বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের আত্মহত্যার নিরিখে ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কার পরেই রয়েছে ভারত। এ দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেন। প্রতি বছর প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা। আত্মহত্যার প্রবণতার এই উর্ধ্বমুখী গতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (International Men's Day)।

কেন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা? 

মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আধুনিক জীবনযাপনে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তার জেরেই তৈরি হচ্ছে মানসিক চাপ, অস্থিরতা, অবসাদ, উত্তেজনার মতো সমস্যা। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্ম জগতের টানাপোড়েন আর টার্গেট ভিত্তিক কাজের চাপের জেরে সব সময় এক ধরনের প্রতিযোগী মনোভাব দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন মানুষ জীবনের সব ক্ষেত্রে সেই প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে চলছে। যার জেরে সব সময়েই এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে (International Men's Day)। যা মানসিক চাপ তৈরি করছে। ফলে, যে কোনও ব্যর্থতা অবসাদের মতো মানসিক রোগ ডেকে আনছে। এছাড়াও, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। তাই আরও বেশি মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে না। রোগ নির্ণয় না হওয়ার জেরেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ফলে, আত্মহত্যার মতো চরম বিপদ ঘটছে।

কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

মনোরোগ চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, যে কোনও ঘটনায় সব সময় উত্তেজনা অনুভব করলে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে কিংবা সামান্য ঘটনাতেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, বুঝতে হবে কোনও সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা চলবে না। বরং পরিবার ও আশপাশের মানুষদেরও সতর্ক হতে হবে। ভুক্তভোগীদের বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। তবেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা কমবে (International Men's Day)। 
তবে, জীবনযাপনেও কিছু বদল জরুরি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, নিয়মমাফিক জীবনযাপন দরকার। কারণ, নির্দিষ্ট সময় খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই এই দিকগুলোতে আরও বেশি নজর দিতে হবে। 
পাশপাশি নিয়মিত যোগাভ্যাস ও সৃজনশীল কাজের জন্য সময় বরাদ্দ করতে হবে। কারণ, এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। আর সৃজনশীল কাজ আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ধরনের অভ্যাস শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী (International Men's Day)।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles