NASA Lunar Mission: চন্দ্রযান ৩-এর পিছু পিছু! চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানে রোভার বানালো নাসা

Australia Moon Mission: চন্দ্রযান ৩-এর পথ ধরে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে জাপান, যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াও...
Chandrayaan_2__Indias_first_lunar_landing
Chandrayaan_2__Indias_first_lunar_landing

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও জাপানের পর চাঁদ জয় করতে রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই মিশনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাহায্যে নিচ্ছে ক্যাঙারু-কান্ট্রি (Australia Moon Mission)। অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সিকে সাহায্য করার আগে অবশ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি রোভার তৈরি করেছে নাসা (NASA Lunar Mission)। আগামী বছরের শেষে সেটিকে পৃথিবীর উপগ্রহে পাঠানোর কথা। 

নাসার পরিকল্পনা

চন্দ্র অভিযানের জন্য নাসা যে যান তৈরি করেছে তাঁর নাম ভোলাটাইস ইন্সভেস্টটিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার বা ভাইপার (VIPER)। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জনসন স্পেস সেন্টারের ইঞ্জিনিয়াররা রোভারটির একটি প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করেন। যা মোটের উপর সফল হয়েছে বলে নাসা সূত্রে খবর। মার্কিন মহাকাশ গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ভারতের চন্দ্রযান ৩-র বিক্রম-র মতো একটি ল্যান্ডারে করে ভাইপারকে চন্দ্র পৃষ্ঠে পাঠানো হবে। এই মিশনের জন্য অ্যাস্ট্রোবোটিক নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ওই ল্যান্ডার তৈরি করছে। সূত্রের খবর, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবেন মার্কিন নভোচারী। সেই মিশন শুরুর আগেই চন্দ্র পৃষ্ঠের ওই অংশে পৌঁছবে ভাইপার। সেখানকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে এই নভোযান। যা চাঁদে মানুষ পাঠানোর রাস্তাকে সহজ করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (NASA Lunar Mission)।

অস্ট্রেলিয়ার অভিযান 

অন্যদিকে, নাসার সাহায্যে চাঁদে অভিযান চালাতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া (Australia Moon Mission)। অজিদের পাঠানো রোভার চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। সেই মাটি বিশ্লেষণ করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে অক্সিজেন তৈরির চেষ্টাও চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হিমায়িত জল রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্র পৃষ্ঠের সেই জল আদৌ ব্যবহারযোগ্য? সূত্রের খবর, চন্দ্র মিশনে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয় প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৬-এ চন্দ্র মিশনে রোভার পাঠাবে তারা।

চন্দ্রযান-৩ কে অনুসরণ

চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, সেই জায়গায় ভারত এই মিশন সম্পূর্ণ করেছে মাত্র ৬১৫ কোটি টাকায়। ভারতের দেখাদেখি একইভাবে চাঁদের মাটি দখলে নেমেছে জাপান (Japan)। ভারতের মতোই তারা কোনরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না, একেবারে ধীরস্থির ভাবে পৌঁছে যেতে চাইছে চাঁদের মাটিতে।  জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) র পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর মতই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। ভারত যে টেকনোলজি ব্যবহার করে বিশ্বকে কম খরচে চাঁদ জয়ের দিশা দেখিয়েছে সেই টেকনোলজি এবার ব্যবহার করছে জাপান।

আরও পড়ুন: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles