Blog

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Iran Israel Conflict) এবার জড়িয়ে পড়ল আমেরিকাও। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমানবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ (US Attacks Iran)। এদিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইরানি কাঠামোগুলির ওপর খুবই সফল হামলা চালিয়েছে। তেহরান (ইরানের রাজধানী)-কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ না করলে ইরানকে আরও বড় পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের।

    পরিস্থিতি ১ (Iran Israel Conflict)

    ইরান তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, “এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক সদস্য একটি লক্ষ্যবস্তু।” এদিকে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    পরিস্থিতি ২

    ইজরায়েল হাই অ্যালার্ট জারি করতে পারে এবং ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ওপর আগাম হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সব অঞ্চল থেকে অপরিহার্য কার্যকলাপ পরিচালিত হবে। শিক্ষাদান, জমায়েত এবং কর্মক্ষেত্র আপাতত বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র (US Attacks Iran)।”

    পরিস্থিতি ৩

    ইরান লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে হিজবুল্লা ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। হিজবুল্লা, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং গাজায় হামাস — এই গোষ্ঠীগুলো মিলে ইরানের কথিত “প্রতিরোধ অক্ষ” গঠন করেছে, যার লক্ষ্য শক্তি প্রদর্শন, আমেরিকা ও ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করা এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তবে এই মিত্র গোষ্ঠীগুলি এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের অনেকেই এখন দুর্বল, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং নিজ নিজ সমস্যার সমাধান করতেই ব্যস্ত (Iran Israel Conflict)। সম্প্রতি হিজবুল্লাহ প্রধান শেখ নাইম কাসেম ঘোষণা করে, ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সংগ্রামে তিনি সব ধরনের সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়। এই তথ্য জেরুজালেম পোস্টই প্রকাশ করেছে।

    পরিস্থিতি ৪

    চিন ও রাশিয়া এই দুই অন্যতম মহা শক্তিধর দেশ এবং যাদের বৈশ্বিক প্রভাবও অনেক, তারা হয়তো শান্তির আবেদন জানাবে। যদিও গোপনে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে সমর্থন করতে পারে। মঙ্গলবার চিন অভিযোগ করেছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে তেল ঢেলে দিচ্ছেন। কয়েকদিন পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একইভাবে রাশিয়া আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ না করে (US Attacks Iran)। রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়, তাহলে তা চেরনোবিল ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    পরিস্থিতি ৫

    ইরানের ওপর হামলার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরান একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন হামলার জেরে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালী। মনে রাখতে হবে, এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়।

    ‘দ্য কনভারসেশনে’র মতে, অনেক তেল বিকল্প সরবরাহপথে পাঠানো যেতে পারে। যেমন সৌদি আরবের বিশাল (৬ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন) পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন, যা লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে যায়, সেই পথে তেল পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি পাইপলাইন, যা হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। তবুও, বাড়তি ঝুঁকি ও পরিবহণ খরচের কারণে পেট্রোল পাম্পে দামের বড়সড় লাফ দেখা যেতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    প্রসঙ্গত, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে (US Attacks Iran)। তিনি লেখেন, অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। এখন শান্তির সময় এসেছে (Iran Israel Conflict)।

  • Ambubachi 2025: আজ থেকে শুরু অম্বুবাচী! চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত, কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ পুজো

    Ambubachi 2025: আজ থেকে শুরু অম্বুবাচী! চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত, কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার অর্থাৎ ২২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী (Ambubachi 2025)। প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব হল অম্বুবাচী। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এই উৎসবের নানা নাম রয়েছে কোথাও একে অম্বুবাচী, তো কোথাও অমাবতি নামে ডাকা হয়। ভারতের একাধিক স্থানে এই উৎসব পালন করা হয়।

    কখন লাগছে তিথি (Ambubachi 2025)?

    লোকবিশ্বাস অনুসারে, আষাঢ় মাসের সপ্তম দিনে, নির্দিষ্ট নক্ষত্রের তিনটি পদ অতিক্রান্ত হলে ধরিত্রী মাতা রজস্বলা হন। এই সময়টিতেই অম্বুবাচী পালন করা হয়। হিন্দু ধর্ম ও বেদে পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা নামে অভিহিত করা হয়েছে। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে এই নামে সম্বোধন করা হয়েছে। তাই অম্বুবাচী পর্ব শেষ হওয়ার পর বর্ষাকালে ধরিত্রী শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে, এটাই বিশ্বাস। এই বছর, অর্থাৎ ২২ জুন (বাংলা ৭ আষাঢ়, রবিবার), দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে অম্বুবাচী শুরু এবং তা চলবে ২৫ জুন (১০ আষাঢ়), রাত ৩টা ২১ মিনিট পর্যন্ত (Hindu Festival)।

    কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী (Ambubachi 2025)

    ব্রাহ্মণ্য যুগে রচিত কালিকা পুরাণে সকল দেবীকেই মহাশক্তির অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই অনুসারে, দেবী কামাক্ষ্যাও মহাশক্তির অন্যতম রূপ হিসেবে পূজিত হন। কালিকা পুরাণ অনুসারে, কামাক্ষ্যা মন্দিরেই সতী শিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিংবদন্তি অনুযায়ী, সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ার সময় তাঁর যোনি অংশটি বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা কাটা পড়ে এই স্থানেই পতিত হয়।এই কারণেই কামাক্ষ্যা মন্দির (Ambubachi 2025) তন্ত্রসাধনার একটি প্রধান শক্তিপীঠ হিসেবে বিবেচিত। প্রতি বছর অম্বুবাচী উপলক্ষে এই মন্দিরে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পূজা, উৎসব ও মহামেলার আয়োজন হয়। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত এই সময় কামাক্ষ্যা মন্দিরে (Hindu Festival) ভিড় জমান।

    অম্বুবাচী শব্দের উৎস কী?

    অম্বুবাচী শব্দটি অম্বু এবং বাচী এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে অম্বু অর্থ জল এবং বাচী অর্থ প্রস্ফুটিত। এই শব্দটি নারীর শক্তি এবং তাদের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। ‘অম্বুবাচী’ (Ambubachi 2025) শব্দের অর্থ হল জল সূচনা। আষাঢ় মাসের শুরুতে ধরিত্রী বা বসুমাতা বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে ঋতুমতি নারী হিসেবে গণ্য হন। কৃষিভিত্তিক সমাজের সাথে যার নিবিড় যোগসূত্র। রজঃস্বলা নারীকে যেমন সন্তান ধারণে সক্ষম মনে করা হয় তেমনি বসুধাও ঋতুমতি হয়ে জলসিক্ত হয়, হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। উর্বরতা বৃদ্ধি এবং ভাল ফসল ফলার সাথে সম্পর্কিত এটি।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Glass Bottles: প্লাস্টিকের তুলনায় কাচের বোতলে ৫০ শতাংশ বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে, বলছে গবেষণা

    Glass Bottles: প্লাস্টিকের তুলনায় কাচের বোতলে ৫০ শতাংশ বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ফ্রান্সের ফুড সেফটি এজেন্সি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে (French Study)। এই সংস্থা জানিয়েছে, প্যাকেজিং সুরক্ষা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে ধারণা রয়েছে, বাস্তবে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রি হওয়া জল, সোডা, বিয়ার বা মদের তুলনায় কাঁচের বোতলে (Glass Bottles) বিক্রি হওয়া একই ধরনের পানীয়তে অনেক বেশি পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, কাঁচের বোতলে প্রতি লিটারে গড়ে ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গিয়েছে, যা প্লাস্টিক বা ধাতব পাত্রে থাকা পানীয়র তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি (Glass Bottles)।

    গবেষণা দলের সদস্য কী বলছেন এবিষয়ে?

    গবেষণা শুরু হওয়ার সময় গবেষকরা ধারণা করেছিলেন যে কাঁচের বোতল তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হবে। গবেষণা দলের সদস্য ইসলাইন শাইব বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কাচের বোতল (Glass Bottles) বেশি নিরাপদ হবে, কিন্তু দেখা গেল বিষয়টি ঠিক তার উল্টো। গবেষণায় দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতলে প্রতি লিটারে গড়ে ১.৬টি কণা পাওয়া যায়, আর কাঁচের বোতলে পাওয়া যায় গড়ে ৪.৫টি কণা।

    কীভাবে কমানো যাবে এই দূষণ?

    সব ধরনের পানীয় যেমন, বিয়ার, লেমনেড, এই জাতীয় বোতলজাত পানীয়তে প্রতি লিটারে ৩০ থেকে ৬০টি পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, এসব পানীয়তে উচ্চমাত্রার মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ রয়েছে। গবেষকরা আরও বলেন, অনেক সময় এই ড্রিংকস বোতলগুলো (Glass Bottles) ক্যাপ দিয়ে সিল করা থাকে, তবুও এর ভেতরে দূষণ প্রবেশ করে। তবে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে (French Study), যেমন বোতলের ভেতরের অংশ শুকনো করে, জল বা অ্যালকোহল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করলে প্রায় ৬০ শতাংশ দূষণ কমানো সম্ভব। গবেষকরা মনে করেন, পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো এই পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করলে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ অনেকাংশে কমানো যেতে পারে (French Study)।

  • USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলের পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। কিন্তু ঠিক দু’দিনের মাথাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাল।

    কোন তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল মার্কিন বিমান বাহিনী?

    ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর সব বিমান বর্তমানে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি পোস্টে লিখেছেন, মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না, যা তারা করে দেখিয়েছে। এখন শান্তির সময়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরানকে এখন এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।

    কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?

    এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি, তারপর শান্তি।” প্রসঙ্গত, ইরানে এই হামলা চালানোর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বিরোধ শেষ না করলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে।”
    সাংবাদিকদের তিনি (Trump) বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো এভাবেই যুদ্ধ চলবে।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি (USA) বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য হল ইরানের পারমাণবিক উৎপাদন এবং পরমাণু বোমার হুমকিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।”

  • Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত এক দশকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে (Swiss National Bank) ভারতীয় গ্রাহকদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

    করোনার সময় বেড়ে গিয়েছিল আমানতের পরিমাণ (Swiss National Bank)

    ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে তথ্য সামনে এনেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালীন সময়ে ভারতীয় গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় তা পৌঁছে যায় সর্বোচ্চ ৬০২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। তবে মহামারির পর থেকেই আমানতের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (Swiss National Bank) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৩০৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে ৩৭ মিলিয়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। যদিও ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে বিগত ১০ বছরে টাকা জমানোর প্রবণতা নিম্নমুখী বলেই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে।

    অন্যান্য দেশের নাগরিকদের আমানতও হ্রাস পেয়েছে বিগত এক দশকে

    তবে শুধু ভারত নয়, সুইস ব্যাংকের (Swiss National Bank) তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রধান অর্থনৈতিক দেশের নাগরিকদের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাঁরা আগের চেয়ে অনেক কম টাকা জমা রাখছেন সুইস ব্যাংকে (Swiss National Bank Deposits)। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৫ সালে ব্রিটেনের নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। একসময় চিনা আমানতের পরিমাণ ছিল ৫.০১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ বিলিয়নে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রবণতা কমেছে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের আমানতের পরিমাণ ছিল ৯৪৭ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে মাত্র ২৪১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ—অর্থাৎ প্রায় ৭৫ শতাংশ হ্রাস। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১২.৬ মিলিয়নে। প্রায় ৭৩ শতাংশ হ্রাস। সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ১০ বছর আগে সৌদি নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮.৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়নে।

  • Ramakrishna 387: পাকা খেলোয়াড়ের কিছু ভয় নাই

    Ramakrishna 387: পাকা খেলোয়াড়ের কিছু ভয় নাই

    ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করিলেন। ভক্তদের গায়ে আবির দিলেন। সকলেই প্রণাম করিতে লাগলেন। অপরাহ্ণ হইল। ভক্তরা এদিক-ওদিক বেড়াতে লাগিলেন। ঠাকুর মাস্টারের সঙ্গে চুপিচুপি কথা কইতেছেন। কাছে কেহ নাই। ভক্তদের কথা কহিতেছেন। বলছেন, আচ্ছা সবাই বলে বেশ ধ্যান হয়। পল্টুর ধ্যান হয় না কেন?

    নরেন্দ্রকে তোমার কি রকম মনে হয়? বেশ সরল তবে সংসারের অনেক তাল পড়েছে। তাই একটু চাপা ও থাকবে না।

    ঠাকুর মাঝে মাঝে বারান্দায় উঠিয়া যাইতেছেন (Kathamrita)। নরেন্দ্র একজন বেদান্তবাদীর সঙ্গে বিচার করছেন। ক্রমে ভক্তেরা আবার ঘরে আসিল। মহিমাচরণকে স্তব পাঠ করিতে বলিলেন। তিনি মহান নির্বাণ তন্ত্র হইতে স্তব বলিতেছেন।

    (গৃহস্থের প্রতি অভয়) (Kathamrita)

    আরও দুই একটি স্তবের পর মহিমাচরণ শংকরাচার্যের স্তব বলিতেছেন। তাহাতে সংসার কূপের, সংসার গহনের কথা আছে। মহিমাচরণ সংসারী ভক্ত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি) (Ramakrishna)- সংসার কূপ, সংসার গহন কেন বল? ও প্রথম প্রথম বলতে হয় তাকে ধরলে আর ভয় কি তখন-

    এই সংসার মজার কুটি
    আমি খাই দাই আর মজা লুটি
    জনক রাজা মহাতেজা
    তার কিসে ছিল ত্রুটি!
    সে যে এদিক-ওদিক দুদিক রেখেছিল দুধের বাটি

    কি ভয়! তাঁকে ধর। কাঁটাবন হলেই বা। জুতো পায়ে দিয়ে কাঁটাবনে চলে যাও। কিসের ভয় যে বুড়ি ছোঁয়, সে কি আর চোর হয়।

    জনক রাজা দুখানা তলোয়ার ঘোরাত (Ramakrishna)। একখানা জ্ঞানের, একখানা কর্মের। পাকা খেলোয়াড়ের কিছু ভয় নাই। এরুপ ঈশ্বরীয় কথা চলিতেছে। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসে আছেন। খাটের পাশে মাস্টার বসে আছেন।

  • Daily Horoscope 22 June 2025: ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 June 2025: ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • Simhastha 2028: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী সিংহস্থ কুম্ভ মেলার, প্রস্তুতিপর্ব শুরু

    Simhastha 2028: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী সিংহস্থ কুম্ভ মেলার, প্রস্তুতিপর্ব শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গেল উজ্জয়িনী (Ujjain) সিংহস্থ ওরফে সিংহস্থ কুম্ভ মেলার (Simhastha 2028)। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরে প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। এই মেলাকে অনেকে সিংহস্থ নামেও ডাকেন। কারণ, এই মেলা যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন সৌরজগতের বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থান করে।এক যুগ পরে এই মেলা ফের হবে ২০২৮ সালে। চলবে এক মাস ধরে। লাখ লাখ পুণ্যার্থী ভিড় করেন এই মিলন মেলায়।

    পাঁচ বছরে ৪ কুম্ভ (Simhastha 2028)

    এই বিপুল সংখ্যক ভক্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে, মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরের পরিবহণ ও নাগরিক পরিকাঠামোর একটি ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির একটি হল, চারটি প্রধান রেলস্টেশন নিউ খেড়ি, পিংলেশ্বর, চিন্তামণ এবং বিক্রম নগরের প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ। এই স্টেশনগুলিতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর সুবিধা যোগ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে দুটি কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর একটি হবে হরিদ্বারে এবং অন্যটি নাসিকে। তার পরের বছর হবে সিংহস্থ। তারও দু’বছর পরে ২০৩০ সালে অর্ধকুম্ভ হবে প্রয়াগরাজে।

    অত্যাধুনিক ব্যবস্থা

    ১৯ জুন মুম্বই ও উজ্জয়িনের শীর্ষ কর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক কৌশলগত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চারটি রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকীকরণ করা হবে। এর আওতায় থাকবে ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার, উচ্চ রেজোলিউশনের সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনচালিত আকাশ নজরদারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এর মূল উদ্দেশ্য হল সিংহস্থ মেলায় প্রত্যাশিত বিপুল জনসমাগমের মধ্যে সন্দেহজনক আচরণ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে সমস্যা মেটানো। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উজ্জয়িনের আইজি উমেশ যোগা, মুম্বই আরপিএফের আইজি অজয় সাদানি, ডিআইজি নভনীত ভাসিন, এসপি প্রদীপ শর্মা-সহ রেল ও পুলিশ বিভাগের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই চারটি স্টেশনের আধুনিকীকরণে কাজ শেষ হবে দু’বছরের মধ্যেই (Simhastha 2028)।

    প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় সাফল্য

    প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার (Ujjain) সাফল্যে প্রাণিত হয়ে, যেখানে ভিড় ও পরিকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। উজ্জয়িনের কর্তৃপক্ষও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে উপযোগী পরিকল্পনা নিচ্ছে। আরপিএফ কর্মী ও স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের জন্য নজরদারি যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। সম্প্রতি এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, হোম গার্ড, র‍্যাপিড রেসপন্স টিম, বিশেষ মহিলা পুলিশের দল এবং সাদা পোশাকের নজরদারি ইউনিট মোতায়েন করা হবে। সব ঘাট, মন্দিরপথ এবং ধর্মশালাগুলিতে সর্বদা নজরদারি চলবে একটি কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে (Simhastha 2028)। সিংহস্থ এলাকা সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকবে। আকাশপথে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোন, আর রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে ডেটা অ্যানালিটিক্স সফটওয়্যার, অটো-নম্বর প্লেট স্বীকৃতি ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক মুখ চিনে নেওয়ার প্রযুক্তি (Ujjain)।

    ৪০টি পরিকাঠামো প্রকল্পে অনুমোদন

    প্রধান সচিব অনুরাগ জৈন ১৮ মে সিংহস্থ ২০২৮ প্রস্তুতির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪০টি পরিকাঠামো প্রকল্পে অনুমোদন দেন। এই প্রকল্পগুলির কাজ হবে উজ্জয়িন ও সংলগ্ন দেবাস, মন্দসৌর, শাজাপুর এবং খান্ডওয়া জেলায়। প্রধান সচিব জৈন প্রকল্পগুলির স্বচ্ছ বাস্তবায়ন ও সময় মতো সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন। তিনি নির্দেশ দেন, সমস্ত সড়ক নির্মাণ কাজ অবশ্যই ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেসের মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। নির্মাণ কাঠামোর ডিজাইন, প্রবেশযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত প্রকল্পগুলি ৪৮টি প্রকল্পের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যা বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়িত হবে। এজন্য আনুমানিক মোট বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ২,৮৬৫ কোটিরও বেশি টাকা (Simhastha 2028)।

    উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়ন

    শিপ্রা নদীর পাশে অবস্থিত পনেরোটি ঘাটে উন্নয়ন কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে আরও উন্নত স্নান প্ল্যাটফর্ম, রাস্তার আলো ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন। ছত্রি চৌক এবং রিগ্যাল টকিজ এলাকা একটি পাবলিক প্লাজায় রূপান্তরিত হবে, যেখানে থাকবে পার্কিং, দোকান ও বিশ্রামের ব্যবস্থা (Ujjain)। শহরের সৌন্দর্যায়নের অংশ হিসেবে ন’টি ওয়েলকাম গেট নির্মাণ করা হচ্ছে শহরের প্রবেশপথে। পাশাপাশি পানওয়াসা এলাকায় পুনর্বাসিত ৬৫৪টি পরিবারের জন্য রাস্তা, ড্রেনেজ, বাগান, স্ট্রিটলাইট, জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য মোট ব্যয় হবে ১০ কোটিরও বেশি টাকা। মেলাকে কেন্দ্র করে কঠিন বর্জ্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে ৫.৫ কোটির একটি লিগাসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে (Simhastha 2028)।

    প্রসঙ্গত, সিংহস্থ ২০২৮-এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইআইএম ইন্দোরকে তাদের ৫ ‘ই’  কাঠামোর মাধ্যমে জনসমাগম ব্যবস্থাপনার ওপর একটি গঠনমূলক ও সমালোচনামূলক (Ujjain) গবেষণা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ৫ ‘ই’ কাঠামোটি হল শিক্ষা (Education), আইন প্রয়োগ (Enforcement), ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering), পরিবেশ (Environment) এবং জরুরি অবস্থা (Emergency)।

LinkedIn
Share