Blog

  • Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মালদার কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর আয়োজিত হয় এই ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা (Rath Yatra)। চলতি বছর মেলার উদ্যোক্তাদের কালিয়াচক থানা থেকে জানানো হয়েছে, মেলা করা যাবে না। রথের মেলা বন্ধ হতেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, মমতা জমানায় কেন বারবার কোপের মুখে পড়তে হচ্ছে হিন্দু উৎসবকে? এর কারণ কি তোষামোদের রাজনীতি? মুসলিম-তোষণ, মুসলিমদের কোনও পরবে কোনও বাধা নেই। হিন্দুদের উৎসব হলেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা কেন থাকে প্রশাসনের?

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ উদ্যোক্তারা (Malda News)

    এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা দাবি করেছেন, আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে মেলার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। তবে এখানেই থেমে থাকবেন না বলেও জানান তাঁরা। উদ্যোক্তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয় গবেষকদের মতে, কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দিরের এই রথের মেলা চলতি বছরে ৬২৯ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রতি বছর রথ যাত্রার (Rath Yatra) দিন থেকেই শুরু হয় এই মেলা। রথের দড়িতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে মেলা। সেই সময় দোকানপাট, মিষ্টির দোকান, নাগরদোলা সহ নানা কিছুর সমাহারে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    পুলিশের যুক্তি

    তবে এবারই প্রথম, যখন এই মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ (Malda News)। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। পুলিশ রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুমতি দিলেও মেলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রথের মেলাকে ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। এমনকি, অতীতে মেলাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তাই আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়েই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    অযৌক্তিক কথা বলছে পুলিশ! দাবি উদ্যোক্তাদের

    এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক শতাব্দী পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলার (Rath Yatra) বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরও বলেন, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা—সেই কাজে ব্যর্থ হলে মেলাকে দায়ী করা যায় না। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালেও তো প্রতারণা হয়, তবে কি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে? উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই মেলা শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। এলাকার বহু মানুষের জীবিকা এই মেলার উপর নির্ভরশীল। তাই মেলার অনুমতি আদায়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা

    প্রসঙ্গত, কালিয়াচকের এই রথযাত্রা (Rath Yatra) ও মেলা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন। গবেষকদের দাবি, বেণীমাধবের পঞ্জিকাতেও এই রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জালালপুর রথযাত্রা’ নামেই পরিচিত। শুধু মালদা নয়, প্রতিবছর আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এই রথ ও মেলা উপলক্ষে এখানে ভিড় জমান। মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের জন্য নিজস্ব জমিও রয়েছে এবং তা দেবোত্তর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। তবু এবছর সেই মেলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক কী বলছেন?

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক গৌতম মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ৯ দিন ধরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় এবং এতে বিপুল জনসমাগম হয়। তবে এবারে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। গৌতম মণ্ডলের আশঙ্কা, যদি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়, তবে দেবোত্তর জমি দখল করে সেখানে জমি মাফিয়ারা প্লট তৈরি করে বিক্রি করতে পারে।

    কী বলছে বিজেপি?

    উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনেও নামবেন। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। মালদা দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। তাঁর দাবি, দেবোত্তর জমির উপর এই রথযাত্রা উৎসব হয়, তা দখল করতে জমি মাফিয়াদের সাহায্য করছে পুলিশ।

  • Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বস্তার, নাম শুনলেই ভেসে ওঠে গোলাগুলি-বন্দুক। মাও-সন্ত্রাসের ছবি। সেই বস্তার (Bastar Girl Lavanya Das) থেকেই নৃত্যের তালে সকলের মন কাড়লেন ১৬ বছরের কিশোরী। নাচ করতে পছন্দ করে সে। কিন্তু আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। বরং পড়াশোনার ফাঁকে নিজে থেকেই নাচ শিখত লাবণ্য দাস মানিকপুরী। সেই নাচের কারণে এবার তার দিকে নজর পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের।

    একা একা নাচ শিখত লাবণ্য

    চলতি মাসে প্রিয়ঙ্কা তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি নাচের ভিডিয়ো অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেই ভিডিয়োয় এক কিশোরীকে ‘বেলি ডান্স’ করতে দেখা গিয়েছে। কিশোরীর নৃত্যকলার প্রশংসা করেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। তার পর থেকেই তার নাম-পরিচয় নিয়ে কৌতূহল জেগেছে নেটপাড়ায়। ওই কিশোরীর নাম লাবণ্য দাস। ছত্তিশগড়ের বস্তারের বাসিন্দা। ছ’বছর আগে ২০১৯ সালে মারা যান লাবণ্যের বাবা। তার পর থেকে মায়ের কাছেই বড় হয়ে ওঠা তার। সেখানকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে সে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লাবণ্যের মা কত্থকে পারদর্শী। শৈশব থেকে মাকে নাচ করতে দেখত লাবণ্য। সেখান থেকেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। মায়ের কাছে নাচ শিখতে শুরু করে লাবণ্য। আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়নি তাকে। নিজে থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি সময় বার করে একা একা নাচ শিখত সে। লাবণ্যের দাদু থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। নাচ ছাড়াও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ রয়েছে লাবণ্যের। ভবিষ্যতে নাচ এবং অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চায় সে।

    বেলি ডান্স-এর প্রতি আগ্রহ

    মায়ের কাছে কত্থক শিখলেও লাবণ্যের আগ্রহ জন্মায় ‘বেলি ডান্স’-এর প্রতি। জুন মাসের গোড়ায় নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘বেলি ডান্স’ করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সে। তার পরেই তার জীবনের মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। আশা ভোঁসলের গলায় জনপ্রিয় গান ‘পিয়া তু অব তো আজা’। এই গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘বেলি ডান্স’-এর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল লাবণ্য। তার পর কেটে যায় এক সপ্তাহ। লাবণ্যের নাচের সেই ভিডিয়োটি নজরে পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের। লাবণ্যের নাচের প্রশংসা করে ভিডিয়োটি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভাগ করে নেন প্রিয়ঙ্কা। তার পরেই লাবণ্যের অনুগামীর সংখ্যা তরতর করে বাড়তে শুরু করে।ইতিমধ্যেই লাবণ্যের ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা ১২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।

  • Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইন শাখার প্রধান সাঈদ ইজাদি। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। জানা গিয়েছে, ইরানের কোম শহরে রাতভর হামলায় নিহত হয়েছেন (Hamas) তিনি (Saeed Izadi)।

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বক্তব্য (Saeed Izadi)

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, “সাঈদ ইজাদি, যিনি ইজরায়েল ধ্বংসের জন্য ইরানি শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনার একজন মাথা ছিলেন, কোম অঞ্চলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, এর আগে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ কোমে রাতে চালানো ইজরায়েলি হামলায় ইজাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের কোম শহরে হামলায় দেশটির কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইনি কর্পসের কমান্ডার সাঈদ ইজাজি নিহত হয়েছেন।

    কে ছিলেন ইজাদি

    ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, ইজাদি ছিলেন কুদস ফোর্সের প্যালেস্টাইন কর্পসের কমান্ডার। তিনি ইরান সরকার ও হামাসের মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন। এই হামলার পর গাজায় একটি প্রাণঘাতী যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে ৫৪,০০০-এর বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হন। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তিনি ছিলেন আইআরজিসি (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস)–এর ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সামরিক সমন্বয়ের দায়িত্বে (Saeed Izadi)। তাঁর ভূমিকায় ইজাদি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য হামাসকে ইরানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর দায়িত্বেও ছিলেন।”

    জানা গিয়েছে, ইজাদিকে লেবানন থেকে পরিচালিত হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ। তিনি হামাসের সামরিক শাখাকে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, যাতে হামাস গাজায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। জানা গিয়েছে, ইজাদি অক্টোবর ৭ এর হামলার আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়েছিলেন। ইজাদির মৃত্যুকে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিরাট সাফল্য (Hamas) এবং নিহত অসামরিক মানুষ ও বন্দিদের জন্য ন্যায়বিচার বলে উল্লেখ করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Saeed Izadi)।

  • Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাহায্যে আবার এগিয়ে এল ভারত। এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতি। ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel conflict) মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের জেরে, পশ্চিম এশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ভারত শুরু করেছে ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। এই উদ্ধার অভিযানে ভারত শুধু নিজ দেশের নাগরিকদের নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে, ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্ধার কার্যক্রমে এই দুই দেশের নাগরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্য একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বরও প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস।

    জোর কদমে চলছে উদ্ধার অভিযান

    এদিকে ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় তেহরানের সামরিক ও পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার প্রেক্ষিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করে। শুরু হয় ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। ইতিমধ্যেই ৫১৭ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার মাশহাদ, ইরান থেকে বিশেষ বিমানযোগে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে এসে পৌঁছান। দেশের মাটিতে পা রেখে ভারত ‘মাতা কি জয়’ স্লোগানে বিমানবন্দর চত্বর মুখরিত করলেন উদ্ধার হওয়া ভারতীয়রা। এদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপদে ফেরত আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবারগুলি।

    প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    তবে, শুধু ভারতের নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে দুই রাষ্ট্র নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এরপরেই ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

    ন্ধের বিমানে ফিরবেন আরও অনেকে

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে প্রথম বিমানটি শুক্রবার রাত ১১টায় দিল্লিতে অবতরণ করে। ওই বিমানে ছিলেন ২৯০ জন ভারতীয়। শনিবার সকালে আরও একটি বিমান নেমেছে দিল্লিতে। আজ সন্ধেয় আরও একটি বিমান দিল্লিতে নামার কথা। দিল্লি থেকে ওই নাগরিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাবেন সেই সেই রাজ্যের সরকার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে আর্মেনিয়ার স্থলপথে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে দিল্লি আনা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জানিয়েছেন, আরও শিক্ষার্থীদের আর্মেনিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান

    শুরুর দিকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ ইরানের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। এবার ইরান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে। ফলে এরপর অনেক দ্রুত অবশিষ্ট ভারতীয়দের ফেরানো যাবে বলে আশাবাদী দিল্লি। ভারতে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন মোহাম্মদ জাভেদ হোসেইনি বলেন, “আমরা ভারতীয়দের আমাদের নিজেদের লোক মনে করি। বর্তমানে ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও, এই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য এটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।” যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ভারতীয় পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রীরা। তড়িঘড়ি দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় পতাকা হাতে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি

    শনিবার ভোর ৩টেয় তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাত থেকে আরেকটি বিমান দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৫১৭ জন ভারতীয় ‘অপারেশন সিন্ধু’র আওতায় দেশে ফিরেছেন। ভারতীয় দূতাবাস সোমবার একটি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ইরানে অবস্থানরত সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলতে, সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও দূতাবাসের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও ইরান সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ সহজ করেছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত। সরকারি নজরদারিও তুঙ্গে।

  • DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে সংস্থার তিন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অর্থাৎ ডিজিসিএ (DGCA)-র নির্দেশে এই পদক্ষেপ করল টাটার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই তিন আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান কর্মীদের বিভিন্ন সূচি নির্ধারণের (Roster Management) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ডিজিসিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কাজের নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। তারা বারবার একই ভুল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কর্তব্যে গাফিলতি

    কোনও কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ছাড়াই তাঁদের বিমানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কর্মীকে টানা ডিউটি করানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিজিসিএ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে (DGCA)।

    তিন শীর্ষ আধিকারিকের পরিচয় (DGCA)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ যে তিনজন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে, তাঁরা হলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চুরা সিং, ডিরেক্টর অফ অপারেশনস (ক্রু সিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু সিডিউলিং-এর চিফ ম্যানেজার পায়েল অরোরা। আগেই ডিজিসিএ-র (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় জানিয়েছে, বিমানকর্মীদের সূচি নির্ধারণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতে গাফিলতি হয়েছে। এই গাফিলতির সঙ্গে যে আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি, এটা উদ্বেগের।’’

    অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ (DGCA)

    কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-কে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, অল্প কিছু দিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি ভবনে ধাক্কা খায়। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়। এবার ওই সংস্থার তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

  • Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) আর কখনওই কার্যকর হবে না।” ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬০ সালের এই চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। কারণ পাকিস্তান বারবার ভারতের শান্তি ও অগ্রগতির মূলে কুঠারাঘাত করে চলেছে। অথচ এর ওপর ভিত্তি করেই এই চুক্তি হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। তবে স্থগিত রাখার অধিকার আমাদের ছিল। এবং আমরা তা-ই করেছি।”

    জল পাঠানো হবে রাজস্থানে (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “যে জল অন্যায়ভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল, তা এখন রিডিরেক্ট করে ভারতের রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে পাঠানো হবে। ভারত নিজের প্রাপ্য জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি খালও নির্মাণ করবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই জল ব্যবহার করব যা ভারতের প্রাপ্য। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা আর পাবে না।” শাহি সাক্ষাৎকারে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথা। যে হত্যাকাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই হত্যাকাণ্ডকে শাহ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। যার উদ্দেশ্য উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের যুব সমাজ এখন এই দুষ্ট পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। হামলার পর উপত্যকার প্রতিটি শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।” তিনি বলেন, এটি ছিল কাশ্মীরবাসীর পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রকাশ (Indus Waters Treaty)।

    কংগ্রেসকে শাহি জবাব

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। তা নিয়ে সমালোচনা করা হয় কংগ্রেসের তরফে।। এই সাক্ষাৎকারে তারও জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিতে বড় ক্ষতি করেছে। কিন্তু অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা থেকে বিরত থেকেছে।” ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “ভারতীয় সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন এবং তাঁদের নিখুঁত পরিকল্পনার জন্যই এই সফলতা এসেছে।” শাহ বলেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান খুব দ্রুত হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিল।”

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার এটা বলেছেন। তাই এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।” পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের কোনও নতুন দুঃসাহসিকতায় ভারত পুরো শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।” জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “উপযুক্ত সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।” তিনি জানান, সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে শেষ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Indus Waters Treaty)।

    আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে শাহ বলেন, “জল ও সীমান্ত সংক্রান্ত আগ্রাসনের প্রতি কঠোর অবস্থান মোদি সরকারের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক নীতির অংশ। আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়। ভারতে আসতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।” তিনি (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের নিরাপত্তা তা নদীই হোক বা সীমান্ত বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি। সেই চুক্তিই ভারত স্থগিত করে দেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এই ঘটনার জেরে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দেয় জলসংকট। তার পরেই পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জল শক্তি মন্ত্রককে একের পর এক চারটি পাঠিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান (Indus Waters Treaty)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো সব চিঠিই পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের কাছে। তবে এখন অবধি ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি (Amit Shah)।

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

  • Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত স্পর্শকাতর অঞ্চল রয়েছে, সেগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বজবজে সুকান্ত মজুমদারের দিকে জুতো ছোড়া হয়। এরপর শুক্রবার কলকাতায় পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে তাঁর (Sukanta Majumdar) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং শুক্রবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন সহ অন্যান্য কর্মসূচির সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তিনি চিঠিতে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের শীর্ষকর্তারা তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি করছেন। শুক্রবার নেতাজি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরবর্তীকালে, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পথেও তাঁকে বেআইনিভাবে আটকানো হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয় সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, চিঠির একেবারে শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধাসেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন তিনি।

    জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে, অভিযোগ সুকান্তের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে এবং নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, যে সমস্ত আধিকারিক কর্তব্যে গাফিলতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) হেফাজতে নেওয়ার পরে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও মমতা সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    লালবাজার থেকে ছাড় পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুণ্ঠিত হল রাস্তায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেশী চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর নিজের প্রতিবেশি হতে পারে না, সে কি জনগণের হতে পারে? আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই, একজন সাংসদ যিনি তাঁর প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করান। পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানাননি আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাডুডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন ওই দিয়ে ওনার চলবে।’’

    পুলিশকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেফতার করল তা তো হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে। এর বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (Amit Shah) চিঠি করব। স্পিকারকে চিঠি লিখব প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে তিনি পুলিশকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও খোদ পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল।’’

    প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন মমতা, অভিযোগ চিকিৎসক রজতশুভ্রের

    প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ জানান। বিজেপির দাবি, তারপর থেকেই তাঁকে নজরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। নানাভাবে হেনস্থার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই এখানে আসতেই পুলিশ জোর করে থানায় তুলে নিয়ে গেল। এটা প্রতিহিংসা।’’

    আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি চিকিৎসকের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ জানায়, তিনি বাড়িতে নেই। তবে চিকিৎসক জানান, তিনি সুকান্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশ মিথ্যে বলেছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। এরপর রজতশুভ্র নিজে বাইরে এসে সুকান্তের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দু’জনে একটু এগোতেই ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরিস্থিতি জটিল হতেই দু’জনকেই প্রথমে আটক, পরে গ্রেফতার করা হয়। ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এও বলেন, ‘‘আমার দাদু কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উনি ফাঁসিকে ভয় পাননি। সেই রক্ত আমার শরীরেও বইছে। পুলিশ এভাবে ভয় দেখিয়ে থামাতে পারবে না। আমি এতজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার সঙ্গে পুলিশ যেটা করল, তা আইন বিরুদ্ধ কাজ। আদালতে ওদের জবাবদিহি করতে হবে।’’

  • India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটের সঙ্গেই টেস্টে নতুন যুগে পা রাখল ভারত। তরুণ দল, অকুতোভয়। ইংল্যান্ডের (India Vs England) মাটিতেই ইংরেজ বোলারদের শাসন করলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথমে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তার পর শুভমন গিল (Shubman Gill)। দুই তরুণ ক্রিকেটারের শতরানে লিডসে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৯/৩। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১২৭) এবং ঋষভ পন্থ (৬৫)। ইংল্যান্ডে কোনও টেস্টের প্রথম দিনে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের পরবর্তী সময়ে প্রথম সিরিজ। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করলেন গিল-যশস্বীরা। বুঝিয়ে দিলেন ২২ গজে ভারতের পতাকা উড়ছে, উড়বে।

    ক্যাপ্টেন্স নক, গিল-যুগের শুরু!

    টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম দিনটা টস হেরে শুরু করলেও ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের শিখরে দেখাল শুভমনকে। ইংল্যান্ডের (India Vs England) বহুচর্চিত ‘বাজবল’ যেন গিলের ব্যাটেই জীবন্ত হয়ে উঠল। ধ্রুপদী ঘরানার ব্যাকরণ মেনেই স্টোকসদের উপর ছড়ি ঘোরালেন গিল। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভরসা দিলেন ড্রেসিং-রুমকে। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। সার্বিক ভাবে ইংল্যান্ডে এর আগে তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন। প্রবল সমালোচনাও হয়েছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে পরীক্ষা। তেমনই ব্যাটিংয়ে কিং কোহলির জায়গায় নামা। সব মিলিয়ে পাহাড়প্রমাণ চাপ। সিরিজের শুরুতেই সেঞ্চুরিটা যেন সব চাপ দূরে সরিয়ে দিল। শুভমনের নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেটকে কোন পথে নিয়ে যাবে, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে শুভমানের সাফল্য নিয়ে মজে রয়েছেন তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই শতরান

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই (India Vs England) শতরান করা ২৩তম ক্রিকেটার হলেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি অভিষেকেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিদের। এ বার এই তালিকায় নাম লেখালেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কে বলতে পারে, সচিন-কোহলি পরবর্তীতে ভারতীয় ক্রিকেটে গিল-যুগের শুরু! টেস্ট শুরুর আগে আগ্রহ ছিল, বিরাটের চার নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করবেন? এমআরএফ-এর লোগো দেওয়া ব্যাটই দেখা গেল চার নম্বরে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নামলেন। ক্যাপ্টেন্সি অভিষেক, সেই এমআরএফ ব্যাট এবং চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, হেলমেট খুলে মাথানত করে গ্যালারিকে সম্মান জানানো। বারবার কোহলিকে মনে করিয়ে দিলেন গিল।

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডে টেস্টের (India Vs England) পয়লা দিনের সকাল মানেই ওপেনারের অগ্নিপরীক্ষা— প্রচলিত ধারণা এটাই। মজা করে বলা হয়, টিকে থাকতে হলে প্রথম দু’ঘণ্টায় সব শট ড্রেসিং-রুমে রেখে এসো। কিন্তু প্রথম ওভারেই ক্রিস ওকসকে চার মেরে শুরু করেছিলেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal)। বিলেতে এটাই ছিল যশস্বীর জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংস। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে তিনি বড় ইনিংসের ভিত মজবুত করার পাশাপাশি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, দুই কিংবদন্তির অবসরের আক্ষেপকেও টের পেতে দিলেন না। লিডস বরং সাক্ষী থাকল ২৩ বছর বয়সির তারুণ্যের দাপটের। আর সেটাও দু’হাতে টান নিয়ে, বারবার অস্বস্তিতে পড়ে। ১০১ রানের ইনিংসে কার্যত সিরিজের সুরটাই বেঁধে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।

    দাপট ভারতের

    লোকেশ রাহুলকেও দেখাচ্ছিল প্রত্যয়ী। দুই ওপেনার মিলে প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৯১। মনে হচ্ছিল লাঞ্চে বিনা উইকেটেই যেতে চলেছে ভারত। তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ব্রাইডন কার্সের দেরিতে ভাঙা সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে ফিরলেন রাহুল। টেস্ট অভিষেক অবশ্য মধুর হল না সাই সুদর্শনের। চেতেশ্বর পূজারার হাতে থেকে টেস্ট ক্যাপ নেওয়া বাঁ-হাতি লেগসাইডে অনেক বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হল লাঞ্চ। স্কোর তখন ৯১-২। লড়াইয়ে ফেরার পথ খুঁজে পাওয়া ইংল্যান্ড মুহূর্তে উজ্জীবিত। কিন্তু পরের দু’ঘণ্টায় যশস্বী-গিল পকেটে পুরে ফেললেন ম্যাচের রিমোট। শেষ লগ্নে ঋষভ পন্থ। আইপিএলে ব্যর্থ পন্থ বোঝালেন, লাল বলের ক্রিকেটে তিনি আলাদা জাতের ব্যাটার। স্টোকসকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে যে চারটা মারলেন তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেল গোটা স্টেডিয়াম। পরিচিত কায়দায় স্টোকস চাইছিলেন পন্থকে স্লেজিং করতে। পাত্তাই দিলেন না ভারতের উইকেটকিপার। অর্ধশতরান করলেন। অতীতে কবে সিরিজের (Tendulkar Anderson Trophy) প্রথম দিনে ভারতের দুই ব্যাটার শতরান করেছেন তা জানতে গেলে মাথা চুলকোতে হবে। অবিশ্বাস্য ভাঙন না ধরলে প্রথম ইনিংসে ভারতের সাড়ে চারশো নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বোলারদের আক্রমণাত্মক হওয়ার যথেষ্ট রসদ থাকবে।

LinkedIn
Share