Blog

  • Daily Horoscope 30 March 2025: বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 30 March 2025: বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়ির কোনও সদস্যের বিষয়ে আপনাকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

    ২) কাজের ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেমতো চলবেন না।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) পরিবারে কোনও বিবাদ চললে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।

    ২) সন্তান কোনও কারণে রেগে গেলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

    ৩) নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, যা আপনার জন্য ভালো হবে।

    ২) পরিবারে আপনার প্রিয়জনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন।

    ৩) আপনার সম্মান বৃদ্ধি হতে পারে।

    সিংহ

    ১) যানবাহন ব্যবহার করার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) বেশ কয়েকদিনের ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চললে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

    কন্যা

    ১) বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন।

    ২) স্বেচ্ছাচারী আচরণের জন্য আপনি অস্থির থাকতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে, আপনার বস আপনার উপর দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারেন।

    তুলা

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কুম্ভ

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 311: “বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে, সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না”

    Ramakrishna 311: “বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে, সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ     

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১লা মার্চ
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    “একটি ফকির বনে কুটির করে থাকত। তখন আকবর শা দিল্লীর বাদশা। ফকিরটির কাছে অনেকে আসত। অতিথিসৎকার করতে তার বড় ইচ্ছা হয়। একদিন ভাবলে যে, টাকা-কড়ি না হলে কেমন করে অতিথিসৎকার হয়? তবে যাই একবার অকবর শার কাছে। সাধু-ফকিরের অবারিত দ্বার। আকবর শা তখন নমাজ পড়ছিলেন, ফকির নমাজ ঘরে গিয়ে বসল। দেখলে আকবর শা নমাজের শেষে বলছে (Kathamrita), ‘হে আল্লা, ধন দাও দৌলত দাও’, আরও কত কি। এই সময়ে ফকিরটি উঠে নমাজের ঘর থেকে চলে যাবার উদ্যোগ করতে লাগল। আকবর শা ইশারা করে বসতে বললেন। নমাজ শেষ হলে বাদশা জিজ্ঞাসা কল্লেন — আপনি এসে বসলেন আবার চলে যাচ্ছেন? ফকির বললে,— সে আর মহারাজের শুনে কাজ নাই, আমি চল্লুম। বাদশা অনেক জিদ করাতে ফকির বললে—আমার ওখানে অনেকে আসে। তাই কিছু টাকা প্রার্থনা করতে এসেছিলাম। আকবর বললে (Ramakrishna)—তবে চলে যাচ্ছিলেন কেন? ফকির বললে, যখন দেখলুম, তুমিও ধন-দৌলতের ভিখারী—তখন মনে করলুম যে, ভিখারীর কাছে চেয়ে আর কি হবে? চাইতে হয় তো আল্লার কাছে চাইব।”

    পূর্বকথা—হৃদয় মুখুজ্জের হাঁকডাক—ঠাকুরের সত্ত্বগুণের অবস্থা 

    নরেন্দ্র—গিরিশ ঘোষ এখন কেবল এই সব চিন্তাই করে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে খুব ভাল। তবে অত গালাগাল মুখখারাপ করে কেন? সে অবস্থা আমার নয়। বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে। আমার সে অবস্থা নয়। সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না। হৃদে তাই চলে গেল;—মা রাখলেন না। শেষাশেষি বড় বাড়িয়েছিল। আমায় গালাগালি দিত। হাঁকডাক (Kathamrita) করত।

    নরেন্দ্র কি অবতার বলেন? নরেন্দ্র ত্যাগীর থাক—নরেন্দ্রের পিতৃবিয়োগ 

    “গিরিশ ঘোষ যা বলে তোর সঙ্গে কি মিললো (Ramakrishna)?”

    নরেন্দ্র—আমি কিছু বলি নাই, তিনিই বলেন, তাঁর অবতার বলে বিশ্বাস। আমি আর কিছু বললাম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিন্তু খুব বিশ্বাস! দেখেছিস (Kathamrita)?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যা যাচ্ছিল ট্রেনটি। রবিবার ওড়িশার (Odisha) কটক স্টেশন ছেড়ে কেন্দাপাড়ার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর অনুযায়ী, কামাখ্যা এক্সপ্রেসের (Bangalore Kamakhya Superfast Express) ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত ১ জন ও আহত ৭ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় নাশকতার প্রশ্নও উঠছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কটকের দিঘি ক্যানেলের কাছে, মাঙ্গুলিতে আচমকাই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একেবারে আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসেন।

    বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল (Odisha)

    এই ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। রেললাইনের ধারেই অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ধৌলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম

    ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম। লাইনে কোনও গোলমাল থাকায় প্রথমে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেই ধাক্কার অভিঘাতে পর পর আরও ১০টি বগি লাইন থেকে সরে যায়। তবে আরও বড় দুর্ঘটনা হতে পারত, যা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছোনোর বিকল্প বন্দোবস্ত করা হবে।

    কী বললেন রেল আধিকারিক

    পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কামাখ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। আমরা সেই খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আর একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাও পৌঁছেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’অশোক আরও বলেন, ‘‘কী কারণে দুর্ঘটনা, এত দ্রুত তা বলা মুশকিল। এখন আমাদের অগ্রাধিকার দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

  • PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরে সংঘের সদর কার্যালয়ে গিয়ে আরএসএস-কে ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথমবার নাগপুরে আরএসএস (RSS) সদর দফতরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঘটনাচক্রে এদিনই চৈত্র নবরাত্রির সূচনা হল। প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়িও নাগপুরে আরএসএসের সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে শেষবার নাগপুরের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মোদি। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ৷

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট

    সংঘ পরিবারের একশো বছরের যাত্রা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘দাসত্বের শেষ দশকে ডাক্তারসাহেব ও গুরুজির মতো মহান ব্যক্তিরা আরএসএসকে নতুন শক্তি দিয়েছিলেন। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রীয় চেতনার সংরক্ষণ ও প্রসারের জন্য একশো বছর আগে যে ভাবনার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা এখন বিশ্বের সামনে বটবৃক্ষের রূপ পেয়েছে। সিদ্ধান্ত ও আদর্শ এই বটবৃক্ষকে শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করেছে। লক্ষ-কোটি স্বয়ংসেবক বটবৃক্ষের শাখা-প্রশাখা। এটা সাধারণ কোনও বটবৃক্ষ নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট। এই মহীরুহ ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় চেতনাকে অবিরত শক্তিশালী করে চলেছে।’’

    গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, ‘‘গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে। তাই দেশ ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ১৯২৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে দেশ সঙ্কটে ছিল। সেই সময় দেশে স্বাধীনতা জন্য সংগ্রাম চলছিল। একশো বছর পরে আরএসএস একটা নতুন মাইলফলকে পা রাখতে চলেছে। ২০২৫ থেকে ২০৪৭ সাল-এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে অনেক বড় বড় লক্ষ্য রয়েছে। আগামী এক হাজার বছরের শক্তিশালী ও উন্নত ভারতের ভিত্তি প্রস্তর আমাদেরই স্থাপন করতে হবে। দেশে সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি চলছে। এদিকে আরএসএস (RSS) একশো বছর পূর্ণ করছে।’’

  • Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার। শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri 2025)। এদিন থেকেই লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হতে শুরু করেছেন আজমেঢ়ের প্রাচীন নবদুর্গা মন্দিরে (Nav Durga Temple)। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে উড়ছে ১০৮ ফুট উঁচু একটি পতাকা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই। ত্রিমূর্তির প্রধান দেবতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা পুষ্করের নাগ পাহাড়ের প্রান্তে নবদুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাতে নবদুর্গা মা সৃষ্টি যজ্ঞে বাধা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে পারেন।

    মন্দিরের বিশেষত্ব (Nav Durga Temple)

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবদুর্গা মা পুষ্করকে রক্ষা করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ভক্তরা এখানে এক সঙ্গে দেবীর নটি রূপের দর্শন লাভ করতে পারেন। এটি দেবী দুর্গার এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবীর নটি রূপের মূ্র্তিই তৈরি মাটি দিয়ে। ভক্তদের কাছে নবদুর্গা মা নৌসর মাতা নামেও পরিচিত। বছরভর ভক্ত সমাগম হলেও, বছরে দুটি নবরাত্রিতে ব্যাপক ভিড় হয়। গোটা দেশে চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে নবদুর্গার পুজো হয়। আজমেঢ়ের এই মন্দিরেও ঘটা করে পুজো হবে দেবী দুর্গার নটি রূপের। পদ্ম পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে পুষ্করের নাগ পাহাড়ের চূড়োয় অবস্থিত নবদুর্গা মায়ের এই মন্দিরের।

    মন্দির তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা

    শোনা যায়, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় জগৎপিতা ব্রহ্মা পুষ্করে যজ্ঞ করেছিলেন (Chaitra Navratri 2025)। যজ্ঞ পণ্ড করতে উপদ্রব শুরু করেছিল নেতিবাচক বিভিন্ন শক্তি। তখন ব্রহ্মা আদি শক্তির আরাধনা করে অপশক্তির হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করতে অনুরোধ করেন (Nav Durga Temple)। তখনই দেবী পুষ্করে নটি রূপে আবির্ভূত হন। সৃষ্টি যজ্ঞ শেষে স্বয়ং ব্রহ্মা এখানে নবদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নৌসর মাতা মন্দিরের পীঠাধীশ্বর রামকৃষ্ণ দেব বলেন, “মায়ের এই মন্দির ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই বিদ্যমান। মায়ের এমন রূপ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।” তিনি বলেন, “এখানে একই দেহে দেবীর নটি ভিন্ন মুখমণ্ডল রয়েছে। নৌসর মায়ের এই অতি প্রাচীন মন্দির ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

    কী বলছেন পীঠাধীশ্বর

    রামকৃষ্ণ বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও, দেবী মূর্তির উজ্জ্বলতা এখনও অক্ষত রয়েছে। এটি একটি রহস্য। দ্বাপর যুগে, বনবাসের সময় পাণ্ডবরা পুষ্করের নাগ পাহাড়ে দীর্ঘকাল বসবাস করেছিলেন। পাণ্ডবরা এখানে শিব ও শক্তির পূজা করতেন। বনবাসের সময় পাণ্ডবরা এই মন্দিরে নবদুর্গার (Nav Durga Temple) পুজো করেছিলেন। এই মন্দিরের নবদুর্গার ভক্ত ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজারা। শোনা যায়, মহম্মদ ঘোরিকে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানও পুজো করেছিলেন এই নবদুর্গার। পীঠাধীশ্বর (Chaitra Navratri 2025) বলেন, “আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী নবদুর্গা মায়ের মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। তারা মন্দিরের একটি অংশের চারটি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারাও মন্দিরে থাকা মায়ের মূর্তির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। মারাঠারা আজমেঢ়ের দখল নিলে নবদুর্গা মন্দিরের সংস্কার সাধন করেছিলেন।” তিনি জানান, পরে মন্দির সংস্কার করেন পীঠাধীশ্বর সন্ত বুধকরণ মহারাজ। সেও প্রায় ১৩২ বছর আগে।

    দেবীর ন’টি রূপ

    প্রসঙ্গত, বছরে চারবার নবরাত্রি উৎসব আসে। এর মধ্যে দুটি গুপ্ত। প্রকট বাকি দুটি – একটি চৈত্র নবরাত্রি, অন্যটি আশ্বিন নবরাত্রি। এই দুই নবরাত্রিতেই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। ন’টি দিনে দেবীর নয় রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত ন’দিন ধরে পালন করা হয় নবরাত্রি ব্রত (Chaitra Navratri 2025)। এই ন’দিনে দেবীর দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। চৈত্রের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি ব্রত।

    কোন দিনে কী রূপে পুজো পান দেবী

    প্রতিপদে দেবী দুর্গা রূপ নেন হিমালয়ের কন্য শৈলপুত্রীর। দ্বিতীয়ায় সেই একই শক্তি ধারণ করেন ব্রহ্মচারিণীর রূপ। তৃতীয়ায় তিনি চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রূপ সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। চতুর্থীতে দেবী রূপ নেন কুষ্মাণ্ডার। পুরাণ অনুযায়ী, এই রূপেই দেবী সৃষ্টি করেন বিশ্ব চরাচর। পঞ্চমীতে দেবী পুজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। ষড়ানন কার্তিকের জননী হিসেবে পুজিতা হন তিনি। কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাই দেবী স্কন্দমাতা (Nav Durga Temple)। ষষ্ঠীতে দেবী পুজিত হন কাত্যায়নী রূপে। এই রূপে রয়েছে দেবীর চার হাত ও ত্রিনয়ন। এখানে দেবীর বাহন সিংহ। সপ্তম দিনে দেবী পুজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন তিনি ভক্তদের সাহস ও উৎসাহ দান করেন। অষ্টমীতে দেবী হন মহাগৌরী। আর নবমীতে তিনিই হন সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর এই রূপে অষ্টসিদ্ধি ঘিরে রাখেন তাঁকে (Chaitra Navratri 2025)।

    প্রসঙ্গত, চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। আর এই নবরাত্রির নবমী তিথি পরিচিত রামনবমী হিসেবে (Nav Durga Temple)।

  • US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকশো আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করার নোটিশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মার্তিন যুক্তরাষ্ট্রে। জানা গিয়েছে, কয়েকসো ছাত্র-ছাত্রীর এফ-১ ভিসা (US F1 visa) বাতিল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর ফলে সে দেশে পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যার মধ্যে অনেক ভারতীয় পড়ুয়াও রয়েছে। প্রসঙ্গত এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত পড়ুয়া সমাজ মাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্টে লাইক করেছেন, কমেন্ট করেছেন অথবা শেয়ার করেছেন, তাঁদেরকেই এই পর্যায়ে ফেলা হয়েছে।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (US F1 visa)

    এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এর পরে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কীভাবে নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবেন? এই আবহে তাঁরা(পড়ুয়ারা) নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নিউইয়র্কে ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে দারস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে যে সমস্ত পড়ুয়াদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেক ভারতীয়রা (US F1 visa) রয়েছেন। সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা এই বিষয়টি দেখভাল করছেন।

    ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়

    ওপেন ডোর্স নামের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়। এবার আমরা জেনে নেব এফ-১ ভিসা কী? এটি এক ধরনের ভিসা যা আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের যে কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসের (F1 Visa) জন্য দেওয়া হয়। সাধারণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, সেমিনার বা অনুমোদিত ভাষা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম- এই জায়গাগুলোতে দেওয়া হয় এই ভিসা। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজেদের (US F1 visa) যোগ্যতা মান পূরণ করতে হয়। ইংরেজি বিষয়ে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে হয়। এই আবহে এফ-১ ভিসা বাতিলের নোটিশ আসায় বেশ উদ্বেগে পড়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা।

  • Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জয়িনীর ঘড়ির গাছ (Ujjains Clock Tree) এক অন্যতম বিস্ময়। এখানেই দলে দলে ভক্তরা ছুটে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী (Ujjain) শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। এখানকার গাছ ঘড়ি ওয়ালে বাবা বা ঘড়ির গাছ নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা তাঁদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই গাছ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই গাছে ঘড়ি বাঁধলে তাঁদের সময় ভালো যাবে এবং ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে। জানা যাচ্ছে, ঘড়ি ওয়ালে গাছে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি ঘড়ি ঝোলানো হয়।

    কী বলছেন স্থানীয় বালু সিং?

    উজ্জয়িনীর ওই ঘড়ির গাছের (Ujjains Clock Tree) রক্ষণাবেক্ষণ করেন বালু সিং। তিনি স্থানীয় অঞ্জনা মন্দিরেরও দায়িত্বে রয়েছেন। বালু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণরূপে ভক্তদের একটি বিশ্বাস। মানুষ এখানে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। গাছের সঙ্গে একটি হাতঘড়ি কিংবা দেওয়াল ঘড়ি বেঁধে দেন। এই বিশ্বাস নিয়েই তাঁরা ঘড়ি বাঁধেন এবং গাছ দর্শন করেন যে তাঁদের সময় পরিবর্তন হবে। আবার অনেকে ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পরেও ঘড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যান গাছে।’’

    মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে

    উজ্জ্বয়িনীর ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) গাছ হল এমন একটি গাছ যেখানে মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে। যেখানে ভক্তি মিশেছে ঘড়ি বাঁধার বিশ্বাসে। গাছের নীচে অথবা তার কাছাকাছি যে কোনও জায়গাতেই যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে কানে শুধু ভেসে আসবে একটাই আওয়াজ। তা হল ঘড়ির টিক টিক শব্দ। এই জায়গাটি আপনাকে আরও একবার বুঝতে সাহায্য করবে যে সময় কারও জন্য সত্যিই অপেক্ষা করে না। গত কয়েক বছর ধরেই এখানে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের জন্য আশপাশে একটি বড় বাজারও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে এখানে সে অর্থে কোনও পুরোহিত বা পুজোর রীতিনীতি নেই। ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) ছাড়াও অনেক ভক্ত আসেন এখানে। তাঁরা ঘড়ি গাছে নারকেল, ধুপকাঠি ইত্যাদি উৎসর্গ করেন। মানুষদের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভক্তির জেরে জায়গাটি পরিণত হয়েছে তীর্থক্ষেত্রে।

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal)। শুক্রবারই সেদেশে উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের। নেপালের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টে (Nepal Crackdowns) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেপাল পুলিশ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সহ সভাপতি রবীন্দ্র মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক ধাওয়াল সমশের রানা, স্বাগত নেপাল, শেফার্ড লিম্বু এবং সন্তোষ তামাংয়ের মতো নেতারা। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর বেশ কিছু অংশে বর্তমানে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার সন্দেহে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে (Nepal) জরিমানা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গৃহবন্দী আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদী

    ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদীকে বর্তমানে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এরপাশাপাশি নেপালের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুর্গা প্রসাইক নামের এক নেতাকে খুঁজছেন। এনিয়ে নেপালের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী কাঠমান্ডু পোস্টকে (Nepal) জানিয়েছেন জানিয়েছে, দুর্গা প্রসাইকের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

LinkedIn
Share