Blog

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

  • Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত স্পর্শকাতর অঞ্চল রয়েছে, সেগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বজবজে সুকান্ত মজুমদারের দিকে জুতো ছোড়া হয়। এরপর শুক্রবার কলকাতায় পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে তাঁর (Sukanta Majumdar) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং শুক্রবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন সহ অন্যান্য কর্মসূচির সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তিনি চিঠিতে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের শীর্ষকর্তারা তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি করছেন। শুক্রবার নেতাজি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরবর্তীকালে, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পথেও তাঁকে বেআইনিভাবে আটকানো হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয় সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, চিঠির একেবারে শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধাসেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন তিনি।

    জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে, অভিযোগ সুকান্তের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে এবং নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, যে সমস্ত আধিকারিক কর্তব্যে গাফিলতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) হেফাজতে নেওয়ার পরে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও মমতা সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    লালবাজার থেকে ছাড় পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুণ্ঠিত হল রাস্তায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেশী চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর নিজের প্রতিবেশি হতে পারে না, সে কি জনগণের হতে পারে? আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই, একজন সাংসদ যিনি তাঁর প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করান। পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানাননি আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাডুডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন ওই দিয়ে ওনার চলবে।’’

    পুলিশকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেফতার করল তা তো হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে। এর বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (Amit Shah) চিঠি করব। স্পিকারকে চিঠি লিখব প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে তিনি পুলিশকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও খোদ পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল।’’

    প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন মমতা, অভিযোগ চিকিৎসক রজতশুভ্রের

    প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ জানান। বিজেপির দাবি, তারপর থেকেই তাঁকে নজরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। নানাভাবে হেনস্থার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই এখানে আসতেই পুলিশ জোর করে থানায় তুলে নিয়ে গেল। এটা প্রতিহিংসা।’’

    আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি চিকিৎসকের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ জানায়, তিনি বাড়িতে নেই। তবে চিকিৎসক জানান, তিনি সুকান্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশ মিথ্যে বলেছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। এরপর রজতশুভ্র নিজে বাইরে এসে সুকান্তের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দু’জনে একটু এগোতেই ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরিস্থিতি জটিল হতেই দু’জনকেই প্রথমে আটক, পরে গ্রেফতার করা হয়। ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এও বলেন, ‘‘আমার দাদু কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উনি ফাঁসিকে ভয় পাননি। সেই রক্ত আমার শরীরেও বইছে। পুলিশ এভাবে ভয় দেখিয়ে থামাতে পারবে না। আমি এতজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার সঙ্গে পুলিশ যেটা করল, তা আইন বিরুদ্ধ কাজ। আদালতে ওদের জবাবদিহি করতে হবে।’’

  • India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটের সঙ্গেই টেস্টে নতুন যুগে পা রাখল ভারত। তরুণ দল, অকুতোভয়। ইংল্যান্ডের (India Vs England) মাটিতেই ইংরেজ বোলারদের শাসন করলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথমে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তার পর শুভমন গিল (Shubman Gill)। দুই তরুণ ক্রিকেটারের শতরানে লিডসে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৯/৩। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১২৭) এবং ঋষভ পন্থ (৬৫)। ইংল্যান্ডে কোনও টেস্টের প্রথম দিনে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের পরবর্তী সময়ে প্রথম সিরিজ। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করলেন গিল-যশস্বীরা। বুঝিয়ে দিলেন ২২ গজে ভারতের পতাকা উড়ছে, উড়বে।

    ক্যাপ্টেন্স নক, গিল-যুগের শুরু!

    টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম দিনটা টস হেরে শুরু করলেও ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের শিখরে দেখাল শুভমনকে। ইংল্যান্ডের (India Vs England) বহুচর্চিত ‘বাজবল’ যেন গিলের ব্যাটেই জীবন্ত হয়ে উঠল। ধ্রুপদী ঘরানার ব্যাকরণ মেনেই স্টোকসদের উপর ছড়ি ঘোরালেন গিল। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভরসা দিলেন ড্রেসিং-রুমকে। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। সার্বিক ভাবে ইংল্যান্ডে এর আগে তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন। প্রবল সমালোচনাও হয়েছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে পরীক্ষা। তেমনই ব্যাটিংয়ে কিং কোহলির জায়গায় নামা। সব মিলিয়ে পাহাড়প্রমাণ চাপ। সিরিজের শুরুতেই সেঞ্চুরিটা যেন সব চাপ দূরে সরিয়ে দিল। শুভমনের নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেটকে কোন পথে নিয়ে যাবে, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে শুভমানের সাফল্য নিয়ে মজে রয়েছেন তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই শতরান

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই (India Vs England) শতরান করা ২৩তম ক্রিকেটার হলেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি অভিষেকেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিদের। এ বার এই তালিকায় নাম লেখালেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কে বলতে পারে, সচিন-কোহলি পরবর্তীতে ভারতীয় ক্রিকেটে গিল-যুগের শুরু! টেস্ট শুরুর আগে আগ্রহ ছিল, বিরাটের চার নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করবেন? এমআরএফ-এর লোগো দেওয়া ব্যাটই দেখা গেল চার নম্বরে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নামলেন। ক্যাপ্টেন্সি অভিষেক, সেই এমআরএফ ব্যাট এবং চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, হেলমেট খুলে মাথানত করে গ্যালারিকে সম্মান জানানো। বারবার কোহলিকে মনে করিয়ে দিলেন গিল।

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডে টেস্টের (India Vs England) পয়লা দিনের সকাল মানেই ওপেনারের অগ্নিপরীক্ষা— প্রচলিত ধারণা এটাই। মজা করে বলা হয়, টিকে থাকতে হলে প্রথম দু’ঘণ্টায় সব শট ড্রেসিং-রুমে রেখে এসো। কিন্তু প্রথম ওভারেই ক্রিস ওকসকে চার মেরে শুরু করেছিলেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal)। বিলেতে এটাই ছিল যশস্বীর জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংস। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে তিনি বড় ইনিংসের ভিত মজবুত করার পাশাপাশি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, দুই কিংবদন্তির অবসরের আক্ষেপকেও টের পেতে দিলেন না। লিডস বরং সাক্ষী থাকল ২৩ বছর বয়সির তারুণ্যের দাপটের। আর সেটাও দু’হাতে টান নিয়ে, বারবার অস্বস্তিতে পড়ে। ১০১ রানের ইনিংসে কার্যত সিরিজের সুরটাই বেঁধে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।

    দাপট ভারতের

    লোকেশ রাহুলকেও দেখাচ্ছিল প্রত্যয়ী। দুই ওপেনার মিলে প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৯১। মনে হচ্ছিল লাঞ্চে বিনা উইকেটেই যেতে চলেছে ভারত। তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ব্রাইডন কার্সের দেরিতে ভাঙা সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে ফিরলেন রাহুল। টেস্ট অভিষেক অবশ্য মধুর হল না সাই সুদর্শনের। চেতেশ্বর পূজারার হাতে থেকে টেস্ট ক্যাপ নেওয়া বাঁ-হাতি লেগসাইডে অনেক বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হল লাঞ্চ। স্কোর তখন ৯১-২। লড়াইয়ে ফেরার পথ খুঁজে পাওয়া ইংল্যান্ড মুহূর্তে উজ্জীবিত। কিন্তু পরের দু’ঘণ্টায় যশস্বী-গিল পকেটে পুরে ফেললেন ম্যাচের রিমোট। শেষ লগ্নে ঋষভ পন্থ। আইপিএলে ব্যর্থ পন্থ বোঝালেন, লাল বলের ক্রিকেটে তিনি আলাদা জাতের ব্যাটার। স্টোকসকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে যে চারটা মারলেন তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেল গোটা স্টেডিয়াম। পরিচিত কায়দায় স্টোকস চাইছিলেন পন্থকে স্লেজিং করতে। পাত্তাই দিলেন না ভারতের উইকেটকিপার। অর্ধশতরান করলেন। অতীতে কবে সিরিজের (Tendulkar Anderson Trophy) প্রথম দিনে ভারতের দুই ব্যাটার শতরান করেছেন তা জানতে গেলে মাথা চুলকোতে হবে। অবিশ্বাস্য ভাঙন না ধরলে প্রথম ইনিংসে ভারতের সাড়ে চারশো নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বোলারদের আক্রমণাত্মক হওয়ার যথেষ্ট রসদ থাকবে।

  • RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার। ভারতীয় যুবকদের সংগটিত করতে, তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের আদর্শের বীজ রোপণ করতে তিনি এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পাশাপাশি দেশের যুবকদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তার সঙ্গেই যুক্ত করা হয় যোগাভ্যাসকে, যাতে যুবকদের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক উন্নতি হয়। তাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখাতে সূর্য নমস্কার, প্রণায়াম, ধ্যান এবং আরও বিভিন্ন যোগাসন করানো হতে থাকে তখন থেকেই।

    যোগাভ্যাসের কথা বলতেন আরএসএস-এর দ্বিতীয় সরসংঘচালক

    যোগাভ্যাসের (Yoga) মাধ্যমে স্বয়ংসেবকদের মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সমাজসেবা, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি গুণ। জানা যায়, ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার নিয়মিতভাবে যোগাভ্যাস করতেন এবং তিনি শাখা পদ্ধতিতেও (RSS) যোগাভ্যাসকে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে গুরু গোলওয়ালকর, যিনি সংঘের দ্বিতীয় সরসংঘচালক, তিনিও যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর অংশ হিসেবেই রেখে দেন। গুরুজি গোলওয়ালকর বলতেন, যদি জনগণ যোগাসন করে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন রক্ষা হয়, সেরকমই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জনস্বাস্থ্য এই যোগাভ্যাসের মাধ্যমে উন্নত হবে এবং তাদের রোগ নিরাময়ে ওষুধ কেনার খরচও কমবে। সমস্ত দিক থেকেই তারা লাভবান হবে।

    যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার, প্রস্তাব পাশ হয় আরএসএস-এর প্রতিনিধি সভায়

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) মনে করে যে, যোগ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উন্নতির জন্য কোনও অভ্যাস বা অনুশীলন নয়, এটি হচ্ছে সামাজিক উন্নতির জন্যই প্রয়োজন। যোগের মাধ্যমে দেশ গঠিত হবে। দেখা যায়, আরএসএস-এর বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ বর্গে যোগাসন এবং ধ্যানকে বর্তমানে রাখা হয়। যোগ-এর মাধ্যমে স্বয়ংসেবকরা শৃঙ্খলা, উৎসাহ, শারীরিক সুস্থতা পান, যা তাঁদের সমাজের কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। বর্তমানে যোগাভ্যাস আবশ্যিক করা হয়েছে আরএসএস-এর যে কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরে। যে কোনও শাখাতেও যোগাভ্যাস চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরেছেন যোগ-এর গুরুত্ব (Yoga)। ২০১৫ সালে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে প্রস্তাব পাস করা হয় যে যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার।

    ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ৬৯তম সাধারণ সভায় ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত, কারণ যোগাভ্যাস ভারত থেকে উদ্ভূত। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই প্রস্তাবটি রাখেন। নেপালসহ ১৭৫টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর।

    সংস্কৃতিভেদে বিশ্বজুড়ে চলছে যোগ-এর অনুশীলন

    সারা বিশ্বজুড়ে অজস্র মানুষ বর্তমানে নানারকম সমস্যায় ভুগছেন, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা। যোগ হল একমাত্র উপায় বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলির নিরাময় সম্ভব এবং তা প্রাকৃতিক উপায়ে সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী এই যোগাভ্যাসের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। মানুষ যোগকে গ্রহণ করেছেন তাঁদের সুস্থ থাকার জন্য, মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য। যোগ তাই আজ নির্দিষ্ট কোনও গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই। পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা প্রত্যেকেই আজ যোগাভ্যাস করেন। এর মধ্যে আছেন বড় বড় শিল্পপতি থেকে কূটনীতিকরাও।

    যোগ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে, ব্যাখ্যা করেছে আরএসএস

    ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে (RSS) যোগের উপর যে প্রস্তাবনা হয়, সেখানে স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ব্যাখ্যা করে যে যোগের মূলগত উৎস এসেছে ‘যুজ’ (Yug) থেকে, যার অর্থ সংযুক্তিকরণ। যোগাসন শুধুমাত্র একটি শারীরিক অনুশীলন নয়। মহর্ষি পতঞ্জলির মতে, এটি হল একটি পবিত্র জীবনযাপনের অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মাকে একত্রিত করে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে, যোগাভ্যাসের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে বলা হয়েছে—যোগব্যায়াম অশান্ত মনকে শান্ত করে। যোগ শব্দের অর্থ হলো মনের প্রশান্তি। এই ব্যাখ্যার ফলে এই দর্শনকে অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে যোগাভ্যাসকে নিয়মিতভাবে অনুশীলন করে আজ ব্যক্তিজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠেছে।

    ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে আরএসএস

    আরএসএস বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের, যাঁরা বিশ্বমঞ্চে যোগাভ্যাসকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। একইসঙ্গে আরএসএস ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের, যাঁরা রাষ্ট্রসংঘসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে অবদান রেখেছেন। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন যোগকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং গবেষণার কাজেও অন্তর্ভুক্ত করে, যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরে যোগাভ্যাসের প্রসার ঘটানো যায়।

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 386: ঠাকুর পাকা উঠান দিয়া কালীঘাটের দিকে যাইতেছেন রাধাকান্তের মন্দিরে আগে প্রবেশ করিলেন

    Ramakrishna 386: ঠাকুর পাকা উঠান দিয়া কালীঘাটের দিকে যাইতেছেন রাধাকান্তের মন্দিরে আগে প্রবেশ করিলেন

    শ্রী শ্রী দোলযাত্রা ও শ্রীরামকৃষ্ণের রাধাকান্ত- মা কালীকে ও ভক্ত দিকের গায়ে আবির প্রদান

    নবাই চৈতন্য গান গাহিতেছেন। ভক্তরা সকলেই বসিয়া আছেন। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়াছিলেন। হঠাৎ উঠিলেন। ঘরের বাহিরে গেলেন (Kathamrita)। ভক্তরা সকলে বসিয়া রহিলেন গান চলিতে লাগিল।

    মাস্টার ঠাকুরের (Ramakrishna) সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। ঠাকুর পাকা উঠান দিয়া কালীঘাটের দিকে যাইতেছেন। রাধাকান্তের মন্দির আগে প্রবেশ করিলেন। ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহার প্রণাম দেখিয়ে মাস্টারও প্রণাম করলে। ঠাকুরের সম্মুখে থালায় আবির ছিল।

    এইবার কালিঘরে যাইতেছেন। প্রথম সাতটি ধাপ ছাড়াইয়া চাতালে দাঁড়াইলেন। মাকে দর্শন করিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। মাকে আবির দিলেন। প্রণাম করিয়া কালীঘাট (Ramakrishna) হইতে চলিয়া আসিতেছেন। কালিঘরের সম্মুখের চাতালে দাঁড়াইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, বাবুরাম কে আনলে না কেন?

    ঠাকুর আবার পাকা উঠান দিয়া যাইতেছেন। সঙ্গে মাস্টার ও আর একজন আবিরের থালা হাতে করিয়া আসিতেছেন। ঘরে প্রবেশ করিয়া সব পটকে ফাগ দিলেন। দুই একটি পট ছাড়া নিজের ফটোগ্রাফ ও যিশুখ্রিস্টের ছবি।
    এইবার বারান্দায় আসিলেন (Kathamrita)। নরেন্দ্র ঘরে ঢুকিতে বারান্দায় বসিয়া আছেন কোনও কোনও ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন। ঠাকুর নরেন্দ্রের গায়ে হাত দিলেন। ঘরে ঢুকিতেছেন। মাস্টার সঙ্গে আসিতেছেন। তিনিও আবির প্রসাদ পাইলেন।

    ঘরে প্রবেশ করিলেন। ভক্তদের গায়ে আবির দিলেন। সকলেই প্রণাম করিতে লাগলেন। অপরাহ্ণ হইল। ভক্তরা এদিক-ওদিক বেড়াতে লাগিলেন। ঠাকুর মাস্টারের সঙ্গে চুপিচুপি কথা কইতেছেন। কাছে কেহ নাই। ভক্তদের কথা কহিতেছেন। বলছেন, আচ্ছা সবাই বলে বেশ ধ্যান হয়। পল্টুর ধ্যান হয় না কেন?

  • Daily Horoscope 21 June 2025: কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 June 2025: কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সাংসারিক সুখ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কোনও নতুন কাজে রুচি থাকবে।

    ৩) কাজে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) পেভাইদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব মজবুত হবে।

    ৩) আবেগপ্রবণ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অন্য দিনের তুলনায় খুবই ভালো।

    ২) কলা-কৌশল উন্নত হবে।

    ৩) মান-সম্মান বাড়বে।

    সিংহ

    ১) আত্মীয়ের মনের মধ্যে চলতে থাকা কথা জানতে পারবেন।

    ২) কোনও কাজে গাফিলতি করবেন না।

    ৩) সন্তানের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কোনও বড় লক্ষ্য অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনে পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে আধিকারিকদের দেওয়া কাজ সময়ের মধ্যে পূরণ করবেন।

    ৩) বিভিন্ন কাজে রুচি থাকবে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।

    ২) দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

    ৩) ভাইদের সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি দুর্বল।

    ২) আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।

    ৩) সহকর্মীদের ওপর ভেবেচিন্তে ভরসা করতে হবে।

    মকর

    ১) জমি, গাড়ি, বাড়ি কেনার চিন্তাভাবনা করতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে।

    ৩) সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজকর্মের বিষয়ে সতর্ক থাকুন, তা না-হলে কোনও সমস্যা হতে পারে।

    ২) কিছু ব্যক্তিদের থেকে সাবধান থাকুন।

    ৩) সম্পর্কে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

    মীন

    ১) মনস্কামনা পূরণ হবে আজ।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আগত সমস্যা থেকে স্বস্তি পাবেন।

    ৩) আজ সমাজে আপনার ভাবমূর্তি উন্নত হবে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

LinkedIn
Share