Blog

  • Amit Shah: লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    Amit Shah: লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Polls)। এই নির্বাচনে গত দু বারের চেয়েও বেশি ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণেই শুরু করে দিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এ নিয়ে হয়ে গেল মেগা বৈঠক। যে ১৪৪টি আসনে অল্পের জন্য বিজেপি হেরেছে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে, সেখানেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করে এবার আরও বেশি আসন নিয়ে দিল্লির (Delhi) তখতে ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    এদিনের এই মেগা বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রীরাও। পার্টি প্রধান জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং প্রধান পরিকল্পনাকারী অমিত শাহ (Amit Shah) তাঁদের প্রত্যেককে তিন-চারটি আসনের দিকে অতিরিক্ত নজর দিতে বলেছেন। বিজেপির হিসেব, এটা করতে পারলেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ফেরা যাবে ক্ষমতায়। শাহ বলেন, গতবারের চেয়েও এবার আমাদের আরও বেশি আসনে জিততে হবে। চোদ্দর নির্বাচনে যেসব আসনে হেরে গিয়েছিলাম, উনিশের ভোটে তার তিরিশ শতাংশ আসন পুনরুদ্ধার করেছি। উনিশে যেসব আসনে হেরেছি, চব্বিশের ভোটে তার পঞ্চাশ শতাংশ আসনে আমাদের জিততে হবে।

    আরও পড়ুন : নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর, সলতে পাকানো শুরু লোকসভা নির্বাচনের?

    ব্যক্তির আগেও যে সংগঠন, এদিনের বৈঠকে তা ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংগঠনই সুপ্রিম। সংগঠন ক্ষমতায় থাকলে আমরা ক্ষমতায় থাকব, সংগঠন থাকলে, থাকবে সরকারও। উনিশের ভোটে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩০৩টি। ১০০রও বেশি আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিরোধীরা। এর মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছ ৫৩টি আসন। গত কয়েক মাসে মন্ত্রীরা বিজেপির ওই হেরে যাওয়া আসনগুলিতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সূত্রের খবর, সরল নামের একটি পোর্টালে সংগৃহীত সেই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুফল ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলির বাসিন্দারা পাচ্ছেন কিনা, সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের কতগুলি করে প্রকল্প চালু রয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। ওই আসনগুলিতে গিয়ে মন্ত্রীদের তৃণমূল স্তরে সংগঠন শক্তপোক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • LeT Terrorist: তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    LeT Terrorist: তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত তিন দশকে এই প্রথম। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান (Pakistan Accepts Lashkar-e-Taiba Terrorist’s Body)। গত মাসের শেষের দিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সেনার হাতে  ধরা পড়েছিল পাক জঙ্গি তবারক হোসেন (৩২)। সেনার গুলিতে আহতও হয়েছিল সে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় সেনা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। গত শনিবার অস্ত্রোপচারের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তবারক। সোমবার তবরকের দেহ পুঞ্চ জেলার চাকান দা বাগের সীমান্ত অঞ্চলে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় সেনা। 

    জম্মু কাশ্মীরের উগ্রপন্থী হামলায় মৃত কোনও জঙ্গির দেহই এতদিন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি পাকিস্তান। এমনকী, ১৯৯৯-এ কার্গিলের যুদ্ধে মৃত জঙ্গিদের দেহও গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল পাক সরকার। ভারতে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তানের যোগ পাওয়া গেলেও তা মেনে নিতে অস্বীকার করত ইসলামাবাদ, এবার ছবিটা পাল্টাল। কাশ্মীরে মৃত লস্কর ই তৈবার জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান। 

    আরও পড়ুন: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের

    ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর,অ্যাম্বুলেন্স করে ওই জঙ্গির দেহ  নিয়ে যাওয়া হয় পুঞ্চ সেক্টরের চাকান দা বাগ এলাকায়। তারপর তা তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানের প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের। পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ওই মৃত জঙ্গির দেহ গ্রহণ করে। অ্যাম্বুলেন্সে ভারতীয় সেনার প্রতিনিধি ছাড়াও ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। সিভিল পুলিশের উপস্থিতিতে দেহ হস্তান্তরের কাজটি হয়। 

    পাক অধীকৃত কাশ্মীরের কোটালির সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা তবারক এর আগে ২০১৬ সালে ধরা পড়েছিল। প্রথমবার তাকে ছেড়ে দেয় ভারত সরকার। দ্বিতীয় বার ফের ধরা পড়ে সে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তবারক লস্কর-ই- তৈবার প্রশিক্ষিত জঙ্গি এবং পাক সেনার এজেন্ট। ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলা চালানোর জন্য তাকে পাঠানো হয়। সেনার গুলিতে গুরুতর জখম তবারকের অস্ত্রোপচার চলাকালীন রক্তের প্রয়োজন হয়। সেই সময় দু’জন সেনা জওয়ান রক্ত দেন। কিন্তু তাতেও ওই পাক জঙ্গিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

  • Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হায়দ্রাবাদ হাউসে (Hyderabad House) বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina ) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হাসিনা যান রাজঘাটে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। ভারতে আসতে পেরে তিনি যে খুশি, এদিন তা গোপন করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই আমি ভারতে আসি, তখনই মনে করি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছি।

    এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই তিনি বৈঠক করেছেন জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনা করেছেন দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে। এদিন তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শনে যান। মঙ্গলবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যে সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মতো বিষয়ও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পঞ্চাশে পা দিয়েছে ২০২১ সালে। তার পর ভারতে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই প্রথম বৈঠক। গত বছর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। ওই বছরই জন্ম শতবর্ষ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ বার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। গত বছরই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদি। তার পর এই এলেন হাসিনা। বসলেন মোদির সঙ্গে বৈঠকে।  

    আরও পড়ুন :’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • CUET PG Admit Card 2022: প্রকাশিত হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি টেস্টের অ্যাডমিট, কী করে ডাউনলোড করবেন?

    CUET PG Admit Card 2022: প্রকাশিত হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি টেস্টের অ্যাডমিট, কী করে ডাউনলোড করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (পিজি) এর পরীক্ষার দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা করেছে ইউজিসি। স্নাতোকোত্তরে ভর্তির প্রক্রিয়ার জন্য এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় পরীক্ষার্থীদের। ইউজিসি জানিয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্রে যদি অ্যাডমিট ছাড়া কোন পড়ুয়া প্রবেশ করতে চান, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।  এজন্য সিইউইটির ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে তার প্রিন্ট করে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। ওই অ্যাডমিট কার্ডেই লেখা থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্রের যাবতীয় তথ্য ও পরীক্ষার্থীর তথ্য। চলতি মাসের শুরুতে ১,২,৩,৪ তারিখের পরীক্ষা হয়েও গিয়েছে। ৫ও ৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড শনিবার প্রকাশ করেছে ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত 

     সময় থাকতেই শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রাস টেস্ট (CUET) ২০২২-এর অ্যাডমিট কার্ড চেক এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে নিজের অ্যাপলিকেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সিকিউরিটি পিনের প্রয়োজন হবে।

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত 

    কী করে ডাউনলোড করবেন অ্যাডমিট? 

    ১. প্রথমেই যেতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট cuet.nta.nic.in-এ।

    ২. হোমপেজে, অ্যাডমিট কার্ড-এর লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।

    ৩. আপনার অ্যাপলিকেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সিকিউরিটি পিন লিখুন।

    ৪. আপনার অ্যাডমিট কার্ড স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।

    ৫. এখান থেকেই ডাউনলোড করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রিন্ট আউট করে নিন।

    আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান 

    কমন ইউনিভার্সিটি টেস্ট একটি কঠিন স্নাতকোত্তর প্রবেশিকা পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। এই পরীক্ষায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চলে কঠোর লড়াই। তাই প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • INS Vikrant: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    INS Vikrant: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচি শিপইয়ার্ডে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আইএনএস বিক্রান্তকে (INS Vikrant) কমিশন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী INS বিক্রান্ত। আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কেরলের কোচি থেকে জলে ভাসানো হয় বিক্রান্তকে। নৌসেনা সূত্রে খবর, বিক্রান্ত রণতরীতে রাখা যাবে ৩০টি যুদ্ধবিমান। থাকছে আর্লি ওয়ার্নিং হেলিকপ্টার।  এখন মূলত মিগ ২৯ যুদ্ধবিমানকেই ব্যবহার করা হবে এই রণতরীতে। শুক্রবার কোচি শিপইয়ার্ডে এই রণতরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নৌবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা। এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর নতুন পতাকাও উন্মোচন করেন। 

    এদিন বিক্রান্তকে ভাসানোর পর একটি ট্যুইট করেন মোদি। ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন,’আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের প্রতিরক্ষা দফতরকে আরও শক্তিশালী করবে। এটা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক।’ একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।

    কেরল থেকে উদ্বোধনের সময়  প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আইএনএস বিক্রান্ত দেশকে নতুন আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে দিয়েছে। এটি ভারতের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতির প্রতীক। দেশীয় শক্তি, গবেষণা এবং দক্ষতার প্রতীক।” সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত করতে দেশের অগ্রগতির জন্য আইএনএস বিক্রান্তে মহিলা অফিসারদেরও নিয়োগ করা হবে,বলে জানান। তিনি আরও বলেন, “যখন আইএনএস বিক্রান্ত আমাদের সামুদ্রিক সীমান্ত রক্ষায় মোতায়েন হবে, তখন নৌসেনার বহু মহিলা কর্মীদেরও সেখানে পাঠানো হবে। সমুদ্রের যেমন অসীম ক্ষমতা, তেমনই অসীম নারী ক্ষমতার জোরেই নতুন ভারতের পরিচিতি তৈরি হবে।”

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন আইএনএস বিক্রান্ত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “আজ ভারত সেই সমস্ত দেশের তালিকায় প্রবেশ করল, যারা নিজস্ব দেশীয় প্রযুক্তিতে রণতরী তৈরি করতে সক্ষম। আইএনএস বিক্রান্ত আজ দেশকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস দিল। যখন ভারত কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কোনও লক্ষ্য পূরণই অসম্ভব হয় না। বর্তমানে বিশ্বের হাতে গোনা যে কয়েকটি দেশের কাছে বিশ্বমানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি রয়েছে, সেই তালিকায় ভারতও সামিল হল।”

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আজ, কেরলের এই সমুদ্রতীর থেকে প্রত্যেক ভারতীয় এক নতুন ভবিষ্যতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী রইল। আইএনএস বিক্রান্তের এই উদ্বোধন ভারতের নীতিকে বিশ্বের দরবারে আরও মজবুত করবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী (Global Terrorist) দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) মাথার দাম ঘোষণা করল দুর্নীতি দমন শাখা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA) তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ২৫ লক্ষ টাকা। তাঁর সাগরেদ ছোটা শাকিলের (Chhota Shakeel) খোঁজ দিতে পারলে ইনাম মিলবে ২০ লক্ষ টাকা। আর নগদ ১৫ লক্ষ করে টাকা করে দেওয়া হবে তিন সন্ত্রাসবাদী অনীশ ইব্রাহিম, জাভেদ চিকনা এবং টাইগার মেননের খোঁজ দিতে পারলে।

    ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই। ভারতের দাবি, ওই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী দাউদ পাকিস্তানে রয়েছেন বলে দাবি করে আসছে ভারত। যদিও দাউদ পাকিস্তানে নেই বলেই দাবি ইসলামাবাদের। এহেন দাউদকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এনআইয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম ও অন্য সন্ত্রাসবাদীরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) এবং আল কায়দার (Al Queda) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন : দাউদ ঘনিষ্ঠ ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ

    গত বছরও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভারত বলেছিল, মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে রয়েছেন। দাউদ যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানিয়েছিল ভারত। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেডেড সন্ত্রাসবাদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। গত বছর এক বিবৃতিতে ভারত বলেছিল, ডি-কোম্পানি একটি সংগঠিত অপরাধ চক্র। এরা সোনা পাচার করে। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী এই ডি কোম্পানি। ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ২৫০ জন সাধারণ মানুষের। হানি হয়েছিল কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের ওই বিস্ফোরণে বিভিন্ন জায়গায় ১২টি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ৭০০জন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করে। তার পর থেকে তার খোঁজে হন্যে ভারতও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের জীবন থেকে দুটো বছর কেড়ে নিয়েছে করোনা (Coronavirus)। কোভিড মহামারীর দাপটে সমাজ জীবন, অর্থনীতি, শিক্ষা, জীবিকা সব ক্ষতিগ্রস্ত। মারণ ভাইরাসের দাপটে দিশেহারা জনজীবন। তবে এখন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে করোনা। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি। সামান্য উপসর্গ দেখলেই ভয় পেয়ে যাই আমরা। হাঁচি, কাশি, জ্বর ভাবি, কোভিড নয় তো! অনেকে ছুটি পরীক্ষা করাতে অনেকে আবার ভয়ে ভয়ে ঘরে বসেই চিন্তা করতে থাকি। তবে এখন আর চিন্তা নেই আপনার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না?

    আমজনতার সুবিধার্থে অনেক আগেই কোভিড শনাক্তকরণে চালু হয়েছে টেস্ট কিটের ব্যবহার। এবার মোবাইল অ্যাপেই করা যাবে কোভিড টেস্ট, এমনটাই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা। সূত্রের খবর, নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা দীর্ঘ গবেষনার মাধ্যমে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের দাবি, মোবাইলে এই অ্যাপ থাকলে সহজেই করা যাবে কোভিড টেস্ট। প্রয়োজন পড়বে না লালারস পরীক্ষার। তাহলে কীভাবে হবে এই টেস্ট? গবেষকদের দাবি, ওই অ্যাপে গলার স্বরের মাধ্যমেই শনাক্ত করা যাবে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যান্টিজেন টেস্টের থেকেও এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা  বেশি নিরাপদ। এর খরচও কম। সহজে হয়েও যায়। অর্থাৎ যে সকল দেশে RTPCR ও ব়্যাপিড টেস্ট খরচ সাপেক্ষ, সেখানকার জন্য অত্যন্ত ভাল এই অ্যাপ। গবেষক ওয়াফা আলিজাবি জানান, “করোনা ভোকাল কর্ড ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেই কারণেই গবেষণা শুরু করা হয়েছিল যে যদি ভয়েসের মাধ্যমে চিনে নেওয়া যায় করোনা আক্রান্তকে।” 

    ২০১৯ সালের শেষ থেকে এই অ্যাপ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। আলিজাবি বলেন,”পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এই অ্যাপ। ৮৩ শতাংশ নির্ভুলভাবে করোনা নেগেটিভ রোগীকেও শনাক্ত করতে পেরেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Brahmastra: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর নতুন রেকর্ড! অগ্রিম বুকিং-এ ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ২০০০ টি টিকিট বিক্রি!

    Brahmastra: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর নতুন রেকর্ড! অগ্রিম বুকিং-এ ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ২০০০ টি টিকিট বিক্রি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট (Ranbir Kapoor-Alia Bhatt) অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (Brahmastra)। তবে ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই এক দুর্দান্ত খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সিনেমা দেখার জন্য এখন থেকেই অগ্রিম বুকিং (Advance Booking) করা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, বড় পর্দায় রণবীর-আলিয়াকে একসঙ্গে প্রথমবার দেখার জন্য তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কিছুদিন আগেই বয়কট ট্রেন্ডের মুখোমুখি হয়েছিল এই ছবি। এই ছবিতে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ এনেছিল নেটিজেনরা। আবার আলিয়ার এক মন্তব্যের জেরেও এই ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছিল নেটিজেনদের একাংশ। তবে এই অগ্রিম বুকিং-এর এই খবর সামনে আসাতে বোঝা যাচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই এই বয়কটের ডাককে তোয়াক্কা না করে এই সিনেমা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    সূত্রের মতে, অয়ন মুখার্জির (Ayan Mukherjee) পরিচালিত এই ছবির জন্য ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে প্রায় ২০০০ টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি। করোনা আবহের পর থেকেই হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা একেবারেই খারাপ। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির জন্য সবার এত উত্তেজনা দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে বক্স অফিসে এই ছবি হিট হতে চলেছে। এমনকি কোভিড পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে অগ্রিম বুকিং-এর ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়ে তুলেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি।

    এছাড়াও বিশ্লেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে রণবীর কাপুরের ছবিটি প্রথম দিনেই ১৮  থেকে ২২ কোটি টাকার ব্যবসা করবে। তবে এবারে অগ্রিম বুকিং রেট দেখে অনুমান করা হচ্ছে, বক্স অফিসে এই ছবি ২২ কোটিরও বেশি ব্যবসা করতে পারে।

    প্রসঙ্গত, রণবীর-আলিয়া অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি একটি ট্রিলজি হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এরপরেও আরও দুটো পার্ট আসতে চলেছে। সিনেমাটিতে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, নাগার্জুন, মৌনি রায় এবং অন্যান্যদের সহ বিভিন্ন তারকা অভিনয় করেছে। তাছাড়াও এই ছবির ভিজ্যুয়ালস, ভিএফএক্স হতে চলেছে অন্য রকমের। চোখধাঁধানো ট্রেলার আগেই মানুষের নজর কেড়েছে। ছবির গল্প থেকে ভিজ্যুয়াল, সব জুড়ে রয়েছে চমক। ফলে সবমিলে আশায় বুক বেঁধেছেন দর্শকেরা।

  • Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে। ৩৩-১ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারালেন বাইচুং ভুটিয়াকে। দুই প্রাক্তন ফুটবলারের লড়াই যে একপেশে হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ, রাজ্য ফুটবল সংস্থার অধিকাংশ প্রতিনিধি আগেভাগেই কল্যাণ চৌবেকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও পিছিয়ে আসেননি বাইচুং। বরং তিনি ভেবেছিলেন, আইকন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মাঠের মতোই ফুটবল রাজনীতিতে বড় চমক দেবেন। কিন্তু সেটা হল না।

    মজার ব্যাপার হল, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও বাইচুংকে ভোট দেননি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। সমর্থন করেছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থা।  সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন এন এ হ্যারিস। ২৯-৫ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাস্ত করেছেন মানবেন্দ্র সিংকে। আর কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অজয় কিপা। তিনি ৩২-১ ভোটে কোসারাজু গোপালাকৃষ্ণাকে হারিয়েছেন।

    এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার সভাপতি পদে বসতে চলেছেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর আবার এআইএফএফ-এর শীর্ষপদে এক বাঙালিকে দেখা যেতে চলেছে। কল্যাণ চৌবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গত শতাব্দীর শেষের দশকে ভারতীয় ফুটবলে খ্যাতনামা ছিলেন কল্যাণ চৌবে। ১৯৯৫-এ টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসে শুরু করেন পেশাদার পর্যায়ে ফুটবল খেলা। গোলকিপার হিসাবে ধীরে ধীরে খ্যাতি পেতে শুরু করেন। ১৯৯৭-৯৮ এবং ২০০১-০২ সালে ‘ভারতের সেরা গোলকিপারের’ পুরস্কার পান।

    আরও পড়ুন: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    ফুটবল ছাড়ার পর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন কল্যাণ। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে হেরেছিলেন। এআইএফএফ-এর নির্বাচনে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে, যে রাজ্যের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কল্যাণ নিজেও বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। ফলে রাজনৈতিক ভাবে সমস্ত সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। শুক্রবার, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে এই বিশালকায় যুদ্ধজাহাজ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

    নৌসেনায় আইএনএস বিক্রান্তের যুক্ত হওয়া অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier)। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা (Atmanirbhar Bharat) ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম বিমানবাহী রণতরী নয়। এটা এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি হওয়া সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জটিল রণতরী। আইএনএস বিক্রান্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৪৩ হাজার টনের এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়বে নৌসেনার মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) আর্লি ওয়ার্নিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল হেলিকপ্টার। এছাড়াও, থাকবে দেশে তৈরি হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (HAL ALH)। পরবর্তীকালে, এই জাহাজের স্কি-জাম্প (Ski Jump) বা STOBAR ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭টি নীচের হ্যাঙ্গারে থাকবে ও বাকি ১৯টি ফ্লাইট ডেকে থাকবে।

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আইএনএস বিক্রান্তের চালিকা শক্তি জোগায় চারটি এলএম-২৫০০ গ্যাস টার্বাইন। এই টার্বাইন থেকে ৯০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি)। স্বাভাবিক গতি ১৮ নট। এই গতিতে প্রায় একটানা ৭,৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম এই জাহাজ। জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক নৌসেনা কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজে যা পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, তা দিয়ে অর্ধেক কোচি শহরের আলো জ্বালিয়ে রাখা যায়। জাহাজে ব্যবহৃত মোট তারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। জাহাজ নির্মাণে মোট ২১ হাজার ৫০০ টন দেশে তৈরি বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিমাণ ইস্পাত তিনটে আইফেল টাওয়ারের সমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share