Blog

  • PM Modi: ‘আপনি তাঁদের সঙ্গে… ’, রাহুলকে কেন একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, জানেন?

    PM Modi: ‘আপনি তাঁদের সঙ্গে… ’, রাহুলকে কেন একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) জন সমাবেশে গিয়ে ফের কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন গুজরাটের রাজকোট জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আক্রমণ শানান রাহুলকে। রাহুল বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন ‘ভারত জোড়’ যাত্রায়। ওই পদযাত্রা চলাকালীন একবার রাহুলের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় সমাজকর্মী মেধা পাটকরকে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাহুলকে বেঁধেন মোদি।

    গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ডিসেম্বর মাসে দু দফায় ভোট হবে মোদি-অমিত শাহের রাজ্যে। প্রথম দফার ভোট ১ তারিখে, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৫ তারিখে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে বিধানসভার মোট ১৮২টি আসনের প্রার্থীদের। এই ভোটের প্রচারেই তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমমন্ত্রী (PM Modi)। রবিবার সকালে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন মোদি। এদিন তাঁর তিনটি জনসভা করার কথা। এরই একটি হল রাজকোট জেলায়। এই সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদি বলেন, কংগ্রেসের এক নেতাকে পদযাত্রা করতে দেখা গেল। তাঁর সঙ্গে এক মহিলাকেও দেখা গেল। এই মহিলাই নর্মদা বাঁধ প্রকল্পকে থমকে দিয়েছিলেন তিন দশক। তিনি বলেন, এই নর্মদা বাঁধ গুজরাটের লাইফলাইন। মোদি বলেন, সমাজ কর্মীদের আন্দোলনের জেরেই থমকে গিয়েছিল বাঁধ নির্মাণের কাজ।

    এদিন মেধা পাটকরকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ওই জনসভায়ই তিনি বলেন, গুজরাটের অপমান করেছেন উনি। মোদি বলেন, কংগ্রেস যখন ভোট চাইতে আসবে, তখন জিজ্ঞেস করবেন আপনি যখন একটা পদযাত্রা করেছিলেন তখন কয়েকজনের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছিলেন। যাঁদের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছিলেন, তাঁরা নর্মদা বাঁধের বিরুদ্ধে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    এদিনের জনসভায় মেধা এবং রাহুলকে নিশানা করেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাও। মেধাকে তিনি নর্মদা বিরোধী, গুজরাট বিরোধী এবং সৌরাষ্ট্র বিরোধী বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই সমস্ত মানুষ যদি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগ দেন, তাহলে তাঁর মানসিকতা কেমন, তা বোঝাই যায়! গুজরাটের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও রাহুলকে নিশানা করে বলেন, গুজরাটিদের যাঁরা জল দিতে অস্বীকার করেছিলেন, কংগ্রেস সাংসদ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন। তাই জামিন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। জেলাস্তরের বিচারকরা সচরাচর এটাই করেন। শনিবার একথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই জেলাস্তরের বিচারকদের মনোভাবের কথা তুলে ধরেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

    জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যা…

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নিয়ম করে তিনি তুলে ধরেছেন জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা। বারংবার তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় জেলাস্তরের আদালতগুলির বিচারকদের। এদিন ফের শোনা গেল সেই কথারই প্রতিধ্বনি।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, উচ্চ আদালতগুলি জামিনের আবেদনে ভরে উঠেছে। একেবারে তৃণমূলস্তরের বিচারকরা জামিন মঞ্জুর করতে সামগ্রিকভাবে অনিচ্ছুক থাকেন। কিন্তু কেন? এর কারণ এটা নয় যে, তাঁরা অপরাধের প্রকৃতি বুঝতে অপারগ। তিনি বলেন, আসলে জঘণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন দিলে নিশানা হয়ে যেতে পারেন, এই ভয় তাঁরা পান। এদিন বার কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। নভেম্বরের ৮ তারিখে অবসর নেন তিনি।

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aamir Khan: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    Aamir Khan: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের হিন্দু প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে বাগদান সারলেন আমির খানের (Aamir Khan) কন্যা ইরা খান। গত মাসে এক সাইক্লিং ইভেন্টে নূপুর হাঁটু মুড়ে প্রোপোজ করেন ইরাকে৷ মুসলিম মেয়ের হিন্দু ছেলের সঙ্গে বাগদানের কারণে ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে পড়লেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। 

    নূপুর শিখর একজন তারকা জিম ট্রেনার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আমিরসহ, আমিরের দুই প্রাক্তন স্ত্রী। এছাড়াও সিলভার টাউনের আরও বেশ কিছু তারকা উপস্থিত ছিলেন বাগদানের অনুষ্ঠানে। এই বিশেষ দিনে ইরার পরনে ছিল স্ট্র্যাপলেস গাউন৷ খোলা চুল এবং বাহারি নেকপিসে অসাধারণ দেখাচ্ছিল ইরাকে৷ নজর কেড়ে নিয়েছে ইরার পায়ের লেসের সাদা জুতোও৷ তাঁর বাগদত্ত নূপুরও সেজেছিলেন পশ্চিমী ঘরানায়৷ 

    আরও পড়ুন: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    আমির খান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের দ্বিতীয় সন্তান হচ্ছে ইরা। গতকাল নিকট বন্ধু এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ইরার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক নূপুর শিখরের বাগদান হয়। তাঁকে একটি লাল রঙের গাউনে দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে, অন্যদিকে নূপুর স্যুট পরেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আমিরের দুই প্রাক্তন স্ত্রী, রীনা দত্ত এবং কিরণ রাও উপস্থিত ছিলেন। আমির রীনার ছেলে আজাদ খানকে নীল রঙের স্যুট পরে দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে অভিনেতার বোন নিখত খান, বোনপো ইমরান খান, তাঁর কন্যা ইমারা মালিক খান, প্রমুখকে দেখা গিয়েছে। ১৮ নভেম্বর ছিল নূপুর শিখরের সঙ্গে ইরা খানের বাগ্‌দান অনুষ্ঠান।  

    সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে আমির 

    আমিরকন্যার বাগদান অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই আমির খানকে নিশানা করে ইসলামপন্থীরা। কেন একজন মুসলিম হয়ে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন হিন্দু পরিবারে তা নিয়ে অনেক কটুকথা শোনান ইসলামপন্থীরা। 

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের সম্পর্ককে শিলমোহর দেন ইরা৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে সপ্তাহ উদযাপনের সময় প্রমিস ডে উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে তিনি জানান নূপুরের সঙ্গে তাঁর প্রেমপর্ব৷ তার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানোর ছবিও শেয়ার করেছেন৷ নিজেদের ছবির পাশাপাশি শেয়ার করেছেন পরিবারের সদস্যদের ছবিও৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    FIFA World Cup 2022: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের খেলা (FIFA World Cup 2022) শুরু হতে বাকি মাত্র দু দিন। তার আগে ফিফা এবং কাতার যা ঘোষণা করল, তা শুনে মাথায় হাত সুরাপ্রেমীদের। শুক্রবার ফিফা এবং কাতার এক যোগে জানিয়ে দিল, সে দেশের আটটি বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের আশপাশে বিয়ার (Beer) বিক্রি করা যাবে না। ফিফার তরফে জানানো হয়েছে, আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে…

    কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মদ্যপানের ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাতারেও তা রয়েছে। তবে বিশ্বকাপ আয়োজকদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের একটি চুক্তি হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপ যতদিন চলবে, ততদিন কাতারে বিয়ার পান করার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তার পরেও হঠাৎ করে খেলা শুরুর মাত্র দু দিন আগে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা বুঝতে পারছেন না সুরাপ্রেমীরা। ঘটনাটিতে যে কাতারের শাসক পরিবারের সায় রয়েছে, তা জানা গিয়েছে সে দেশের মিডিয়া রিপোর্ট থেকেই।

    কাতার প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত ফিফার (FIFA)। কারণ এবার বিশ্বকাপের মূল স্পনসর একটি বিয়ার প্রস্তুতকারী সংস্থা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হওয়ার কথা ভাবছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাতার প্রশাসনের আচমকা এক সিদ্ধান্তে এক লহমায় বদলে গেলে সব কিছু। যদিও আগে ঠিক হয়েছিল, খেলা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়াম এবং ফ্যান পার্কে বিয়ার বিক্রি করা হবে। কিন্তু কাতার প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে এখন আর তা হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    এক সময় জানা গিয়েছিল, ফ্যান পার্কে বিক্রি করা হবে বিয়ার। সেখানে এক গ্লাস বিয়ারের দাম ধার্য করা হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১০০ টাকা। এক গ্লাস বিয়ারের দাম ১১০০ টাকা হওয়ায় দাম বেড়েছিল অনুপানেরও। স্যালাডের দাম হয়েছিল ৯০০ টাকা। তুলনায় সস্তা গ্রিক স্যালাড। তার দাম ৫০০টাকা। এসব নিয়েও ক্ষোভ ছিল সুরাপ্রেমীদের একাংশের মনে। সেই ক্ষোভই এবার আরও বাড়ল বিয়ার নিষিদ্ধ হওয়ায়। জানা গিয়েছে, কেবল ফ্যান পার্ক নয়, বিয়ার মিলবে না হোটেলগুলিতেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হোক ভারত (India)। এবার সওয়াল করল ফ্রান্সও। কেবল ভারত নয়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে আসুক জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানও। অন্ততঃ এমনই চাইছে ইমানুয়েল মাক্রঁর দেশ। নিরাপত্তা পরিষদকে শক্তিশালী করতে এই দেশগুলিকেও স্থায়ী সদস্য করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ নাথালি ব্রডহার্স বলেন, ফ্রান্সের অবস্থান স্পষ্ট। এবং সবাই জানে। আমরা চাই, নিরাপত্তা পরিষদ আজকের বিশ্বের উপযোগী হোক। এজন্য প্রয়োজন আরও প্রতিনিধির। এর কর্তৃত্ব এবং ফল যাতে ভাল হয়, সেই কারণেই নিরাপত্তা পরিষদে প্রয়োজন আরও প্রতিনিধি।

    নিরাপত্তা পরিষদ…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এবার ভারত সহ চার দেশের স্থায়ী সদস্য করার দাবি তুলল ফ্রান্সও।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    নিরাপত্তা পরিষদের জেনারেল অ্যাসেম্বলি প্লেনারি মিটিংয়ে নাথালি ব্রডহার্স বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপান স্থায়ী সদস্য হোক চায় ফ্রান্স। আমরা চাই আফ্রিকান দেশগুলির শক্তিশালী উপস্থিতি থাকুক। তাদেরও কোনও একটি দেশকে স্থায়ী সদস্য করা হোক। বাকি যে পদগুলি খালি থাকবে, সেখানে ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে প্রতিনিধিত্ব রাখা হোক। তিনি বলেন, ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতাটি সংবেদনশীল। নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সবাই জানে। ব্রিটেনও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল ঢের আগেই। কেবল স্থায়ী সদস্য নয়, অস্থায়ী সদস্য বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছিল ব্রিটেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের পাড়ি দিল দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। শুক্রবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর তৈরি রকেটটির। রকেটের পেটে করে মহাকাশে পাড়ি দেয় দুটি দেশীয় ও একটি বিদেশি উপগ্রহ। রকেটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। রকেটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮১ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করবে। ইসরো সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের পর সফল ভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। 

    ‘‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ অংশদারির ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের তৈরি রকেট বিক্রম-এস শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করেছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করার জন্য ইসরো ও ইনস্পেসইন্ডকে অভিনন্দন। তিনি যোগ করেন, এই কৃতিত্ব আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকা প্রতিভার প্রতীক। 

    বেসরকারি সংস্থার  নাম ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’

    ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর এই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘প্রারম্ভ’ (Prarambh Mission)। প্রারম্ভ অর্থাৎ শুরু। প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি প্রথম রকেটটির নামকরণও করা হয়েছে ভারতের মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ এবং ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে। ‘বিক্রম-এস’-এর নির্মাতা সংস্থার তরফ থেকে  চলতি মাসের গোড়ায় জানানো হয়েছিল, তাঁদের রকেট নির্মাণের কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে উৎক্ষেপণ হবে। ইসরোর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইঞ্জিনের কিছু খুঁটিনাটি পরীক্ষার কারণেই সময়সীমা আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সফল উৎক্ষেপণের কথা নির্মাতা সংস্থার তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে। ‘মডিউলার স্পেস লঞ্চ ভেহিকেলস’ এর সিরিজ হলো এই ‘বিক্রম’ (Vikram-S)। যেখানে আগামী দশকে এই সিরিজের পক্ষ থেকে কুড়ি হাজার ছোট স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

     বিক্রম-এস (Vikram-S) এর গঠন 

    বিক্রম-এস’ (Vikram-S) একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে এই রকেট তৈরিতে সময় লেগেছে দুই বছর। বিক্রম-এস (Vikram-S) রকেটের ওজন ৫৪৫ কিলোগ্রাম। এই রকেট লম্বায় ৬ মিটার। এর ব্যাস ০.৩৭৫ মিটার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের পথে এগিয়েছিল মোদি সরকার। সেসময় সিদ্ধান্ত হয়, শুধুমাত্র ইসরো নয়, ভারতে এবার মহাকাশে পাড়ি জমানোর রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও। বানাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। দেশে মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাবও বছর কয়েক আগে অনুমোদিত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)’।

  • Shraddha Walkar Murder: গাঁজার নেশায় শ্রদ্ধাকে খুন, দাবি আফতাবের

    Shraddha Walkar Murder: গাঁজার নেশায় শ্রদ্ধাকে খুন, দাবি আফতাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় (Shraddha Walkar Murder) আরও হাড় হিম করা তথ্য সামনে উঠে আসছে। আগেই জানা গিয়েছে যে, আফতাব ১৮ মে তে তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসে। আর এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, যে, গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব। শ্রদ্ধাকে (Shraddha) খুন করার দিনেও গাঁজার নেশায় ছিল সে। ১৮ মে এই খুন গাঁজার প্রভাবে করেছে বলেও দাবি করেছে আফতাব।

    গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব

    পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তাকে গাঁজা খাওয়ার জন্য প্রায়ই বকাঝকা করত (Shraddha Walkar Murder)। তাকে অনেকবার বারন করত গাঁজা না খেতে। এমনকি খুনের ঘটনার দিনেও নিষেধ করেছিল। ওই দিন দুজনের মধ্যে খরচ নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। মুম্বই থেকে দিল্লিতে কে জিনিসপত্র আনবে তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। দুজনের মধ্যে বচসার পরে আফতাব বাইরে গিয়ে গাঁজা সেবন করে এবং ফিরে আসে। আফতাব জানিয়েছে, সে শ্রদ্ধাকে খুন করতে চায়নি। কিন্তু গাঁজার প্রভাবেই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শ্রদ্ধাকে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ৯টা ১০টার মধ্যে আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর সে সারারাত শ্রদ্ধার নিথর শরীরের পাশে বসে বসে একের পর এক গাঁজা ভর্তি সিগারেট খেয়ে গিয়েছিল।

    ২০২০ সাল থেকেই হিংসার শিকার শ্রদ্ধা

    ইতিমধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে একবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walker)। সে সময়ে তাঁর সারা মুখে ছিল কালশিটের দাগ। তদন্তে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। অনুমান করা হয়েছে, হিংসার শিকার হয়েই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন তেমনটাই। হাসপাতালের রিপোর্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, পিঠে তীব্র ব্যথা, বমিভাব, ঘাড়ে প্রবল ব্যথা, পা অসাড় হয়ে যাওয়া– এই সমস্ত উপসর্গ ছিল শ্রদ্ধার। এরপর হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় (Shraddha Walkar Murder)।

    পুলিশ শ্রদ্ধার বন্ধুবান্ধবদের জেরা করেও ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, প্রায়ই মারধর করা হত শ্রদ্ধার উপর। খুন হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে মেসেজও করেছিলেন সাহায্য চেয়ে। বলেছিলেন, খুন হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু শ্রদ্ধা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত তার সঙ্গে লিভ-ইনে থেকে যায়। আর সেই থেকে যাওয়াই কাল হল শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar Murder)।

    এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন তথ্য হাতে পাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকাল আফতাবের পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে ও পরবর্তীতে আরও তদন্ত করার জন্য তাঁকে হিমাচল প্রদেশ বা উত্তরাখন্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই খুনের ঘটনায় পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার (Shraddha Walkar Murder)।

  • Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল, ক্রিকেট হোক কিংবা যে কোনও অ্যাথলেটিক, খেলার সময় চোট স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু খেলোয়াড়কে দ্রুত সুস্থ করতে (Sports Medicine) কতখানি পরিকাঠামো রয়েছে সরকারি হাসপাতালে? 

    স্পোর্টস মেডিসিন কী?

    রাজ্য সরকার বারবার স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালু করার কথা ঘোষণা করলেও, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ নেই। ফলে, রাজ্যের খেলোয়াড়দের জন্য এ এক বড় প্রতিবন্ধকতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় কিংবা প্রস্তুতি পর্বে খেলোয়াড়দের নানা রকম চোট লাগে। হাড়, পেশি কিংবা স্নায়ুতে টান লাগা, ভেঙে যাওয়া অথবা পেশি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য দরকার বিশেষ চিকিৎসা। স্পোর্টস মেডিসিন সেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সক্ষম।
     
    স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগে, এক ছাদের তলায় মেডিসিন, অস্থি, স্নায়ু চিকিৎসকেরা কাজ করেন। তাছাড়া থাকেন ফিজিওথেরাপিস্ট। ফলে, রোগী দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান। হয়রানি কম হয়। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ও বেশি থাকে। কিন্তু এই রাজ্যের সরকার হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ চালু এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। 

    পরিকল্পনাই সার, থমকে বাস্তবায়ন

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতালের মতো প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালুর পরিকল্পনা হলেও, বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে, এখনও কোনও খেলোয়াড়ের সমস্যা হলে, তাকে একাধিক বিভাগের যেতে হয়। পরিষেবার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। 

    ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলকাতার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিনের (Sports Medicine) পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সব হাসপাতালের পরিষেবা নেওয়ার সামর্থ্য সকলের নেই। ফলে, তাদের জন্য রয়েছে শুধু ভোগান্তি। রাজ্যের একাধিক জেলায় রয়েছেন অ্যাথলেটিক্স। এশিয়ান গেমস থেকে অলিম্পিক, আন্তর্জাতিক নানান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন জেলার প্রতিভা। কিন্তু তাদের অন্যান্য সাহায্য তো দূর অস্ত, সামান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ও রাজ্য সরকার সুনিশ্চিত করতে পারেন না। এমনটাই মনে করছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু! 

    ফিজিওথেরাপিস্ট গুরুত্বপূর্ণ

    এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হচ্ছে। এদিকে সেখানে নূন্যতম পরিষেবা সুনিশ্চিত হচ্ছে না। স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগ নতুন করে চালু করা তো দূরের কথা, অস্থি বিভাগ, স্নায়ু বিভাগেও নিয়মিত পরিষেবা সুনিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগী আসতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় নানা রকম চোট পান খেলোয়াড়রা। ওষুধ কিংবা অস্ত্রোপচার ছাড়াও তাদের সুস্থ করতে অন্যতম জরুরি হল থেরাপি। তাই ফিজিওথেরাপিস্ট স্পোর্টস মেডিসিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, কিন্তু সরকার ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করেন কি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়। এই ধরণের পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শরীর চর্চা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই জিম করছে, যোগাভ্যাস করছে। এই ধরণের অভ্যাসের জন্য অনেক সময়েই তারা পেশি, স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন। সরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) থাকলে, অনেকটাই হয়রানি কম হয়। কিন্তু পরিকল্পনা থেকে কবে সেটা বাস্তবায়ন হবে, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। 

LinkedIn
Share