Blog

  • Naveen Jindal: এবার প্রাণনাশের হুমকি বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দলকে

    Naveen Jindal: এবার প্রাণনাশের হুমকি বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) এক যুবকের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে দুই যুবক। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার ভোরে খুনের হুমকি দেওয়া ই-মেল পেলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল। ওই খুনের ভিডিও শেয়ার করে নবীনকে (Naveen Jindal) হুমকি দিয়ে ওই মেলে বলা হয়েছে ‘এবার তোমার পালা’। সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে ওই মেল পান নবীন। ট্যুইট বার্তায় একথা জানান নবীন।

    আরও পড়ুন: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    ট্যুইটারে পোস্ট করে নবীন জিন্দাল জানিয়েছেন, তাঁকে তিনটি মেল করা হয়েছে বুধবার সকালে। সেই মেলে পাঠানো হয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটিও। বলা হয়েছে, একই অবস্থা হতে চলেছে নবীন ও তাঁর পরিবারেরও। প্রসঙ্গত, পয়গম্বর বিতর্কে এর আগেও খুনের হুমকি পেয়েছেন নবীন। দিল্লি পুলিশকে এই মেলের কথা জানিয়েছেন তিনি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে পরিবার ও তাঁর নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন নবীন।

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। 

     

  • Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর মন্তব্যকে  সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) নামে দর্জিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। ফের নতুন করে  নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে হিংসার আগুন জ্বলছে রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুরে (Udaipur)। সেখানে ওই ব্যক্তি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। তারপরই তাঁর মুণ্ড বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে উদয়পুর। যারা হামলা চালিয়েছে তারা শুধুমাত্র তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেনি, সেই ঘটনা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)- কেও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে তারা। এই ঘটনাকে অনেকেই নিন্দা করেছেন ও  অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। 

    ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulama-i-Hind )-এর তরফে  উদয়পুর হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা করা হয়েছে এবং এটিকে ইসলাম (Islam) ও দেশের আইনের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। জমিয়ত উলামা হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হালসিমুদ্দিন কাসমি (Maulana Halceemuddin Qasmi) উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ও এটিকে ধর্মবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

    এদিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইটারে লেখেন, “আমি উদয়পুরে যুবকের হত্যার নিন্দা করছি। এ ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশ এই অপরাধের একেবারে মূলে যাবে। আমি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ আমি এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা না করার জন্য সবার কাছে আবেদন করছি। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনায় রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন,  উদয়পুরের এই জঘন্য হত্যাকান্ডে তিনি স্তম্ভিত। ধর্মের নামে কোনো হিংসা সহ্য করা হবে না।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্দরা রাজে

    অরবিন্দ কেজরীওয়াল লেখেন, উদয়পুরের ঘটনা খুবই ভয়াবহ। এই ঘটনাকে তীব্রভাবে নিন্দা করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) ট্যুইট করেন, ‘উদয়পুরে (Udaipur Murder) নৃশংস হত্যাকাণ্ড ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা। এমন হত্যাকাণ্ডকে কেউই সমর্থন করবে না। কারোর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। আমরা সবসময় হিংসার বিরোধিতা করেছি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    [tw]


    [/tw]

    প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনায় সরব হয়ে ট্যুইট করেন ও অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

    [tw]


    [/tw]

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত  বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা করেছে রাজ্য সরকার।

     

  • SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার কাণ্ড সিবিআই (CBI) দফতরে। হেসেই লুটোপুটি তদন্তকারীরা। এমনও হতে পারে? কিন্তু এমনই হয়েছে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) তদন্তে নেমে দুদফায় জেরা করা হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। পার্থবাবু তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন, তিনি অজ্ঞ, এসএসসি চাকরি কীভাবে হয়েছে তা কিছুই জানেন না। কারণ এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা, মন্ত্রীকে কিছু জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না হাসির কারণ। তদন্তকারীরা দলিল-দস্তাবেজ খুলে বসতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নন, সব জানেন স্কুল শিক্ষাসচিব (State education secretary)। এত কাণ্ড যে হয়েছে তা তাঁর জানাই ছিল না।

    পার্থবাবুর মুখে একথা শুনে মুচকি হাসি দেখা যায় তদন্তকারীদের মুখে। আপাতত দুদফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তার মাঝেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আরও তথ্য। সে সব সামনে রেখে ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হবে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতির খবর যাঁরা রাখছেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য এও দাবি করছেন, এসএসসি দুর্নীতির যাবতীয় দায় শিক্ষাসচিবের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার্থবাবু আসলে শিক্ষা দফতরের বর্তমান হর্তা-কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কারণ আদালতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির আসা ইস্তক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তা হল, তাঁর আমলে এসব কিছু হয়নি। এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সরকার বেনিয়মের প্যানেল বাতিল পর্যন্ত করতে উদ্যত হয়েছিল। যা এক প্রকার নিয়োগে দুর্নীতি মেনে নেওয়ারই সামিল। এর অর্থ বর্তমান শিক্ষা দফতরের কর্তারা দুর্নীতির দায় পুরনো মন্ত্রী-আমলাদের উপরই চাপিয়ে দিতে চাইছেন বলে বোকাসোকা মানুষেরাও বুঝতে পারছেন। 

    সেই কারণেই কি সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে নিজের দায় ঝেরে ফেলে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) সরকারি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী? তদন্তকারীদের একাংশ সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ যে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন পার্থবাবু। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী বদলানোর সঙ্গেই দায় কেউ বয়ে নিয়ে যান না, সেই পদে যাঁরাই বসে থাকেন তাঁদেরও সমান দায়ভার থেকে যায়। বিকাশ ভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানেও এ কথা পৌঁছেছে। তিনি ‘কাগজপত্র’ সামলাতে বিশেষ সতর্কতাও নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    তবে শুধু পার্থবাবু নন, নিয়োগ সংক্রান্ত তদারক কমিটির সদস্যরাও সিবিআইয়ের ‘বন্ধু’ হওয়ার চেষ্টাই করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে তাঁদের সকলের আকুতি, সহযোগিতা করছি, কিন্তু আমাদের যেন বেশি টানাটানি না করা হয়। সরকারের আইনজীবীরা বার বার সিবিআইয়ের তলব পাওয়া অফিসারদের পাখি পড়া করে পাঠাচ্ছেন, কোনও প্রশ্নেরই যেন জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, কিন্তু তদন্তের শুরুতে তাঁরা সেই চেষ্টা করলেও কাগজপত্র সামনে আনতেই তাঁদের ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাধ্য ছাত্রের মতো।

    যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আদালত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদৌ কি কিছু হবে? এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য পুলিশের দারোগাদের তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি দিয়ে। তার পর নথি সংগ্রহ শুরু হয়। সিবিআই তদন্তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তদন্ত শেষ করে গ্রেফতারি হয়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত পরীক্ষার্থীকে বিচার দেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। সেই কাজ নিখুঁতভাবে করতে একটু সময় লাগবে।’

    (স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী কমিটির সামনে কী বলেছেন তা মাধ্যম আগামীকাল জানাবে।) 

     

  • Rath Yatra 2022: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    Rath Yatra 2022: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্র মতে, জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমা ভগবান জগন্নাথের (Lord Jagannath) জন্মতিথি। জগন্নাথ ধামে, ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu) জগন্নাথ রূপে বিরাজ করেন। এটিই একমাত্র মন্দির যেখানে ভগবানের বিগ্রহ কাষ্ঠের আর এখানে জগন্নাথ নিজের দাদা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে পূজিত হন। হাজার বছরের পরম্পরা অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ নিজের ভাই এবং বোনের সঙ্গে ১০৮টি কলসির জলে পবিত্র স্নান করেন।

    পৌরাণিক ধ্যান-ধারণা মতে, অত্যাধিক স্নানের কারণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান জগন্নাথের অসুস্থতাকে তাঁর ‘জ্বরলীলা’ বলা হয়। যে কারণে একান্তবাসে থাকতে হয় তাঁদের। এর পর ১৫ দিনের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকজন পুরোহিত বৈদ্যের মতো ভগবানের সেবা করে তাঁর চিকিৎসা করেন। তাঁদের আয়ুর্বেদিক ক্বাথ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    অসুস্থ হয়ে পড়ার পর রত্নজড়িত বস্ত্রের পরিবর্তে সুতির শ্বেত বস্ত্র পরিধান করেন তাঁরা, আভুষণও খুলে রাখা হয়। ভোজনে দেওয়া হয় ফল, ফলের রস, তরল পদার্থ। পঞ্চম দিন বড় ওড়িয়া মঠ থেকে ফুলেরি তেল আসে, যা দিয়ে হাল্কা মালিশ করা হয়। এর পর রক্তচন্দন ও কস্তুরির প্রলেপ লাগানো হয়। এ সময় তাঁকে হাল্কা খাবার, যেমন, দুধ, ফলের রস ও কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ানো হয়। 

    ভগবানের চিকিৎসার জন্য ভেষজ দশমূলী ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় ভাষায় অুসারে, শালা পার্নি, বেল, কৃষ্ণ পার্নি, গামহারি, আগিবাথু, লুবিং কলি, অঙ্কান্তি, তিগোখারা, ফানফানা, সুনারি, বৃহাটি ও পোটলি মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। আয়ুর্বেদে এই ওষুধগুলির উল্লেখ আছে। এমতাবস্থায় তাদের দেওয়া হবে ঘোল, খিচড়ি, মুগ ডালসহ হালকা খাবার। দশম দিনে দশমুলারিষ্ঠে নীম, হলুদ, হরড়, বহেড়া, লবঙ্গ ইত্যাদি জড়িবুটির জল দিয়ে নরম মোদক বানিয়ে খেতে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    রথযাত্রার (Jagannath Rath Yatra) একদিন আগে, জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের মন্দিরের গর্ভগৃহে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর তাঁরা নিজের মাসির সঙ্গে দেখা করতে গুন্ডীচা মন্দির যান। এখানে বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন তাঁকে ভোগে দেওয়া হয়। মাসির বাড়িতে ৯ দিন কাটিয়ে পুনরায় মন্দিরে ফিরে আসেন।

  • Rhea Chakraborty: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    Rhea Chakraborty: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput)  মৃত্যুর দুবছর কেটে গেলেও বলিউড (Bollywood)  মাদক মামলায় (Drug Case) এখনই রেহাই পেলেন না প্রয়াত অভিনেতার প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী (Showik Chakraborty)। বুধবার মুম্বইয়ের (Mumbai) আদালতে (Court) রিয়া, শৌভিকের বিরুদ্ধে এই মামলার খসড়া চার্জ দাখিল  করেছে এনসিবি (NCB)।  প্রসঙ্গত, মাদক কেনাবেচার অভিযোগে রিয়ার ভাই-সহ একাধিক বলিউডের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত?

    সরকারি আইনজীবী অতুল সারপান্ডে (Atul Sarpande) জানান, আগের  চার্জশিটে যেসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে তার প্রায় সবকটি এক থাকবে। রিয়া ও তাঁর ভাই মাদক সেবন ও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মাদক সরবরাহ করার জন্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই মামলা চলছিল। আবারও রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে খসড়া চার্জ পেশ করেছে। ১৪ জুন, ২০২০- মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ। সিবিআই (CBI) সেই মামলার তদন্ত করছে। এর সঙ্গে এনসিবি (NCB) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরও (ED) তদন্ত  করেছে। এরপর এনসিবি, মাদক যোগে সুশান্তের বান্ধবী রিয়াকে গ্রেফতার করলেও মুম্বই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় এক মাস পর ছাড়া পেয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা! প্রাক্তন এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অতুল সারপান্ডে আদালতের কাছে সকল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের কথা বললেও তা করা সম্ভব হয়নি। কারণ অভিযুক্তদের অনেকেই অভিযোগ সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছে আদালতে। খবরসূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে জানানো হয়েছে যে, এই আবেদন খারিজের বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চার্জশিট গঠন করা যাবে না। বুধবার, রিয়া ও তাঁর ভাইসহ সমস্ত অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বিচারক ভিজি রঘুবংশী (V G Raghuwanshi) এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ জুলাই ধার্য করেছেন।

     

  • Droupadi Murmu: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    Droupadi Murmu: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) শেষমেশ দ্রৌপদী মুর্মুকেই (Droupadi murmu)  প্রার্থী করল এনডিএ (NDA) জোট। ওড়িশার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মোদি (Modi) সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদেও ছিলেন তিনি।

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএর তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সকাল থেকে বেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম ভেসে বেড়ালেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করা হয় দ্রৌপদীর নাম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    দ্রৌপদীর জয়ের পথ সুগম বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কারণ ভোটমূল্যের প্রাথমিক হিসাবে কংগ্রেস-তৃণমূল-বাম সহ ১৮টি বিরোধী দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন দ্রৌপদী।

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কুড়ি জনের নাম এনডিএর বৈঠকে উঠে এলেও, দ্রৌপদীই যে বিজেপির তুরুপের তাস হতে চলেছেন, সে ইঙ্গিত দিয়েছিল মাধ্যম। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দের পরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদীকে প্রার্থী করে এবার বিজেপি বিরোধী জোটকে টেক্কা দিল গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী। পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদীর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল রায়রাংপুর পুরভোটে জিতে। অনুন্নত এলাকায় বেড়ে ওঠা। দ্রৌপদীর ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্রের মধ্যে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেও চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। ভুবনেশ্বরের রামদেবী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক হন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেচ দফতরের কেরানি হিসেবে। পরে যোগ দেন শিক্ষিকার পদে। তারও পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়া ওঠা দ্রৌপদীকে। ২০০০ ও ২০০৪ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে নবীন পট্টানায়েকের নেতৃত্বে বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালও ছিলেন দ্রৌপদী।

    বিজেপি বিরোধী শিবিরে মূলত তিনজনের নাম উঠে এসেছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে। এঁরা হলেন, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কংগ্রেসের গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনজনেই রাষ্ট্রপতি পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তার পরেই চূড়ান্ত হয় যশবন্তের নাম। এদিকে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির রাজনাথ সিং। বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও, তা ব্যর্থ হয়। তাই এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ১৮ জুলাই সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু ও যশবন্ত সিনহা।

    রাইসিনা হিলসে শেষমেশ কে পৌঁছান, তা বলবে সময়।

     

  • CBSE Result: সিবিএসই-র রেজাল্ট কবে? কী করে দেখবেন? জানুন

    CBSE Result: সিবিএসই-র রেজাল্ট কবে? কী করে দেখবেন? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের ২৪ তারিখ শেষ হয়েছে দশম শ্রেণির পরীক্ষা। সময়ে মধ্যেই ফল (CBSE 10th Result) ঘোষণা করতে কোমর বেঁধেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। ২০ জুনের মধ্যে খাতা দেখা শেষ হয়েছে। জন মাসের শেষে বা জুলাই মাসে শুরুতেই মার্কশিট হাতে পেয়ে যাবেন পরীক্ষার্থীরা। ফলাফল দেখতে পাওয়া যাবে   cbseresults.nic.in- এই লিঙ্কে। দ্বাদশের পরীক্ষাও শেষ হয়েছে ১৫ জুন। জুলাইয়ের ১০ তারিখের মধ্যেই দ্বাদশ শ্রেণির ফল ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছে বোর্ড। 

    কোভিড অতিমারী ফের হানা দিতে পারে এই ভয়ে, শিক্ষাবর্ষকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি টার্মে ৫০ শতাংশ করে সিলেবাস সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। তাই দুটি টার্মের আলাদা আলাদা ফল প্রকাশ করবে সিবিএসই। প্রথম টার্মের ফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এবার দুই টার্ম মিলিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে বোর্ড।

    আরও পড়ুন: কবে জানা যাবে সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফলাফল? জেনে নিন

    চূড়ান্ত ফলে প্রথম টার্ম, দ্বিতীয় টার্ম এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অন্তর্ভূক্ত হবে। পরীক্ষার্থীকে সবমিলিয়ে পাশ করতে হবে। সিবিএসই টার্ম ওয়ানে কেউ ফেল করেনি। তাই দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষায় সবাইকেই বসতে দেওয়া হয়েছিল। কোন ভাগে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে, সেটা এখনও জানা যায়নি। পড়ুয়াদের কোনও বিষয়ে পাশ করতে গেলে ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। যে সব বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল রয়েছে, সেখানে আলাদাভাবে থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যালে পাশ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থায় ফের বড় বদল আনছে CBSE

    কী করে দেখবেন সিবিএসই-র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ফল? 

    প্রথমে cbseresults.nic.in – এই লিঙ্কে যান। 

    এই হোমপেজে ‘results’ বলে লিঙ্কটায় ক্লিক করতে হবে। 

    একটি নতুন পেজে (http://cbseresults.nic.in) রিডাইরেক্ট করে দেওয়া হবে। 

    সেখানে ‘CBSE Class 10th Result 2022‘ বা ‘CBSE Class 12th Result 2022‘ লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। 

    সেখানে রোল নম্বর দিয়ে ‘submit‘- এ ক্লিক করুন। 

    এভাবেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফল দেখতে পারবেন পড়ুয়ারা। 

    এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপেও দেখা যাবে ফল। 

     

  • Presidential Election: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?  

    Presidential Election: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতি (President) পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম। ইতিমধ্যেই এনিয়ে ১৪ জনের একটি কমিটি তৈরি করেছে পদ্ম শিবির।এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ জুন। নির্বাচন হলে ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে জুলাই মাসের ২৪ তারিখে। তার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ভোট এনডিএ-র নেই। তাই বিজু জনতা দল ও ওয়াইএসআরসিপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    এদিকে, একটি সূত্রের খবর, বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে চলেছেন বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সংঘ পরিবারের ইচ্ছেতেই তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করতে চলেছে পদ্ম নেতৃত্ব। উপরাষ্ট্রপতিকে আপাতত কয়েক দিনের জন্য সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লিতেই থাকতে বলা হয়েছে। নাইডু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থন করবে কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। কারণ নাইডু অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ভূমিপুত্র। তাছাড়া নাইডুর সঙ্গে কেসিআরের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। বিজেপির এক দিল্লির নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমাদের ভোটের যে খামতি রয়েছে, তা তো পূরণ হবেই, প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক ভোট আমাদের ঝুলিতে আসবে। তিনি বলেন, এনডিএর বাইরে বিজেপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পাশাপাশি টিআরএসও আমাদের প্রার্থীকেই সমর্থন করবে। অন্য বিরোধী কয়েকটি দলের থেকেও সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    এদিকে, নাইডুর নাম এক প্রকার ঠিক হতেই তাঁর  পক্ষে সমর্থন জোগাড়ে নেমে পড়েছে বিজেপি। ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। দেশের আইআইটি, আইআইএমের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক, ন্যাটো, রাষ্ট্রসংঘের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও করবেন ভার্চুয়াল বৈঠক।

    এদিকে, এদিনই সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী ১৭টি রাজনৈতিক দল। বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি পদে শোনা যাচ্ছে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, মাহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম। তবে পাওয়ার এবং ফারুক দুজনেই জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে রাজি নন তাঁরা।

     

  • Sita Ram Goel Book: দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ভারতে ভাঙা হয়েছে ১৮০০-র বেশি মন্দির?

    Sita Ram Goel Book: দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ভারতে ভাঙা হয়েছে ১৮০০-র বেশি মন্দির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শতাব্দীতে ভারত আক্রমণকারী মহম্মদ ঘোরির সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবকের (পরবর্তীকালে দিল্লির সুলতান) হাতেই না কি প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল কাশীর আদি বিশ্বনাথ মন্দির। কয়েক বছর পর কাশীর বাসিন্দারা সংস্কার করেন মন্দিরটি। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সপ্তদশ শতকে (১৬৬৪ থেকে ’৬৯-এর মধ্যে) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। আর সেই জমির একাংশে গড়ে তুলেছিলেন বর্তমান জ্ঞানবাপী মসজিদ। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও মসজিদ চত্বরে মন্দির থাকার নানা প্রমাণ পেয়েছে।

    তবে শুধু বাবরি মসজিদ, জ্ঞানবাপী মসজিদ বা মথুরার শাহী ইদগাহ নয়— ইসলামিক শাসকরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন, বলে দাবি করেছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সীতারাম গোয়েল। তাঁর লেখা “Hindu Temples: What Happened to Them” বইতে এবিষয়ে তিনি বিশদ তথ্য দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভারতের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত অঞ্চল জুড়েই মন্দির ধ্বংসের চিহ্ন রয়েছে। অরুণ শৌরি, হর্ষ নারায়ণ, জয় দুবাসী, রাম স্বরূপ এবং সীতারাম গোয়েল এই ঐতিহাসিক গ্রন্থটি রচনা করেন। বইটি দুই ভাগে বিভক্ত। গোয়েল ওই বইয়ে ১ হাজার ৮০০টি এরকম স্থাপত্যের উদাহরণ দেন, যেগুলি মন্দির ভেঙে তৈরি হয়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সীতারাম গোয়েল তাঁর বইয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তার এক ঝলক—

    অন্ধ্রপ্রদেশ: দক্ষিণের এই রাজ্যে এরকম ১৪২টি স্থান রয়েছে বলে নিজের বইতে দাবি করেছেন গোয়েল। তিনি লিখেছেন, অনন্তপুরের জামি মসজিদ, পেনুকোন্দার শের খাঁ-র মসজিদ, বাবিয়া দরগাগুলি তৈরি হয়েছে ইভারা মন্দির ভেঙে। এছাড়াও এই রাজ্যের নানা জায়গায় আরও নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, আলিয়াবাদের মামিন চুপ দরগাও মন্দির ভেঙেই হয়েছে। বেনুগোপালস্বামীর মন্দির ভেঙে তৈরি হয় রাজামুন্দ্রির জামি মসজিদ। ১৭২৯ সালে তৈরি গাছিনালা মসজিদও মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল বলে নিজের বইয়ে লিখেছেন সীতারাম গোয়েল।

    আসাম: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, কামরূপ জেলার হাজোতে মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল পোয়া মসজিদ এবং সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মাজার।

    পশ্চিমবঙ্গ: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, বাংলায় এরকম ১০২টি মসজিদ, দরগা, মুসলিম স্থাপত্য, দুর্গের খোঁজ মেলে যেগুলি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয়েছে। বইতে তিনি লিখেছেন, বেনুগোপালের মন্দির ভেঙে লোকপুরে গাজি ইসমাইল মাজার তৈরি করা হয়। বীরভূমের মখদুম শাহ দরগায় মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া যায়। গৌরে হিদু-রাজার রাজধানীর উপর ভিত্তি করেই মুসলিম শহর নির্মাণ করা হয়। ছোট সোনা মসজিদ, তাঁতিপারা মসজিদ, লাটান মসজিদ, মখদুম আঁখি সিরাজ চিস্তির দরগাও হিন্দু মন্দিরের উপর তৈরি বলে বইয়ে লিখেছেন গোয়েল।

    বিহার: বইতে গোয়েল লেখেন, এখানে এরকম ৭৭টি মুসলিম স্থাপত্য রয়েছে যার ভিত্তি হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান। ১৫০২ সালে ভাগলপুরে হজরত শাহাবাজের দরগা, ১৬১৭ সালে গয়ার নাদিরগঞ্জে শাহি মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে। জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয় চম্পানগরের বেশ কয়েকটি মাজার। নালন্দায় বৌদ্ধবিহার নষ্ট করে তৈরি করা হয় বিহারশরিফ। এছাড়াও নানা উদাহরণ রয়েছে।

    দিল্লি: গোয়েলের বইয়ে নানা প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে কুতুব মিনার-সহ প্রায় ৭২টি জায়গায় মন্দির  গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ, দরগা, মাজার। পত্তন করা হয়েছিল নতুন নতুন নগরের।

    দিউ: গোয়েল লেখেন, এই শহরে ১৪০৪ সালে যেখানে জামি মসজিদ তৈরি হয় সেখানে আগে মন্দির ছিল। এর ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে।

    গুজরাট: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, গুজরাটে এরকম ১৭০টি জায়গার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আসাভাল, পাটন এবং চন্দ্রাবতীর মন্দিরগুলি ধ্বংস করে মুসলিম শহর আহমেদাবাদ তৈরি হয়। ভদ্রের প্রাসাদ এবং দুর্গ, আহমদ শাহের জামে মসজিদ, হাইবিত খান কি মসজিদ, রানি রূপমতি কি মসজিদ সবকিছু নির্মাণেই মন্দিরের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছিল।

    গোয়েল লেখেন, ঢোলকা জেলায় বাহলোল খান গাজির মসজিদ ও মাজার এবং বরকত শহিদের মাজার মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়। ১৩২১ সালে, ভারুচের হিন্দু ও জৈন মন্দিরগুলি ধ্বংসের পর, তার উপকরণ ব্যবহার করেই জামি মসজিদ তৈরি করা হয়। ১৪৭৩ সালে দ্বারকায় মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়। রান্দার থেকে জৈনদের বিতাড়িত করে তাঁদের মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। 

    হরিয়ানা: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, ইতিহাসবিদরা হরিয়ানায় মোট ৭৭টি এরকম জায়গার খোঁজ পেয়েছেন। ১৬০৫ সালে ফরিদাবাদে, জামে মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়।  ১৩৯২ সালে নুহতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ১২৪৬ সালে কাইথালে, বলখের শেখ সালাহুদ-দিন আবুল মুহাম্মদের দরগা তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের টিলায় যে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়, সেখানেও মন্দির ছিল। ফিরোজ শাহ তুঘলক আগ্রা থেকে আনা মন্দির সামগ্রী ব্যবহার করে হিসার তৈরি করেছিলেন। 

    হিমাচল প্রদেশ: গোয়েল লেখেন, হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় জাহাঙ্গির গেটটি মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল।

    কর্ণাটক: বইতে গোয়েল লিখেছেন, দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট ১৯২টি জায়গা রয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। বেঙ্গালুরুর ডোড্ডা বল্লাপুরে মুহিউদ্দিন চিস্তির দরগা, কুদাছিতে মখদুম শাহ ওয়ালির দরগা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়। প্রাচীন হিন্দু শহর বিদার ও বিজাপুরকে মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত করা হয়। 

    কেরল: গোয়েলের মতে, ভারতের শেষপ্রান্তের এই রাজ্যে টিপু সিলতানের দুর্গ এবং কোলামে জামে মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের ইঁট, কাঠ, পাথর ব্যবহার করা হয়।

    লাক্ষাদ্বীপ: তিনি লেখেন, লাক্ষাদ্বীপে এখন মুসলিম জনসংখ্যাই বেশি। কিন্তু একদা এখানে হিন্দুদের প্রাধান্য ছিল। এখানকার মহিউদ্দিন পালি মসজিদ, প্রতপালি মসজিদ নির্মাণ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

    মধ্যপ্রদেশ: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশে এরকম ১৫১টি জায়গার সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তিনি লেখেন, কুদসিয়া বেগম ভোপালে যেখানে জামে মসজিদ তৈরি করেন সেখানে একসময় সভামন্ডলা মন্দির ছিল। দামোহে গাজী মিঞার দরগা আগে মন্দিরের জায়গা ছিল। ধর ছিল রাজা ভোজ পরমারের রাজধানী। এটি মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়। কামাল মওলা মসজিদ,লাট মসজিদ,আদবুল্লাহ শাহ চাঙ্গালের মাজার ইত্যাদিতে তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন হিন্দু শহর মান্ডুকে একটি মুসলিম শহর তৈরি করা হয়। জামে মসজিদ,দিলাওয়ার খান কি মসজিদ,ছোট জামে মসজিদ, মতি মসজিদ ইত্যাদি তৈরিতেও মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। 

    মহারাষ্ট্র: গোয়েল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে রয়েছে ১৪৩টি জায়গা, যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয় বা মসজিদ তৈরিতে মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে, আহমেদনগরের অম্বা যোগী দুর্গ, গগ-এর ইদগাহ, করঞ্জের আস্তান মসজিদ, রিতপুরে ঔরঙ্গজেবের জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য। মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দিরকে ভেঙে তৈরি করা হয় ময়না হাজ্জামের মাজার। মুম্বইয়ের জামে মসজিদটিও একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। লাতুরে, মিনাপুরী মাতার মন্দির ভেঙে হয় মাবসু সাহেবের দরগা। সোমেভরা মন্দিরকে ভেঙে সঈদ কাদিরির দরগা, রামচন্দ্র মন্দিরকে ভেঙে পাউনারের কাদিমি মসজিদ তৈরি হয়।

    ওড়িশা: গোয়েলের মতে, সমুদ্রপাড়ের এই রাজ্যে মোট ১২টি মুসলিম স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের চিহ্ন পেয়েছেন ঐতিহাসিকেরা। বালেশ্বরে চণ্ডি মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয় জামে মসজিদ। কটকের শাহী মসজিদের জায়গাতেও আগে মন্দির ছিল।

    পঞ্জাব: গোয়েল লিখেছেন, এখানে ১৪টি ইসলামিক স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে। ভাতিন্ডায় বাবা হাজি রতনের মাজার, লুধিয়ানায় দর মসজিদ, পাতিয়ালায় বাহাদুরগড় দুর্গের ভিতর মসজিদ তৈরি হয় মন্দিরের জায়গায়। জলন্ধরে বৌদ্ধ বিহারের উপর তৈরি হয় সুলতানপুরের বাদশাহি সরাই।

    রাজস্থান: রাজস্থানে এরকম ১৭০টি জায়গার উল্লেখ রয়েছে সীতারাম গোয়েলের বইয়ে। তিনি লিখেছেন, হিন্দু রাজার রাজধানী ছিল আজমের, যা পরবর্তীতে মুসলিম স্থাপত্য রীতির অনুকরণে তৈরি করা হয়। মন্দিরের জায়গাতেই ১২৩৬ সালে মুইনুদ্দিন চিস্তির দরগা তৈরি হয়। ঊষা মন্দির ভেঙে হয় বায়নার নোহারা মসজিদ। বিষ্ণু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয় ভিটারি-বাহারি মহল্লার মসজিদ। শেরগড়ে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করেই হয় শেরশাহ সুরির দুর্গ। লোহারপুরায় পীর জহিরুদ্দীনের দরগা, মাজার, নাগৌরে বাবা বদরের দরগা, সালাওতানের মসজিদ মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। 

    তামিলনাড়ু: গোয়েলের দাবি, দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৭৫টি স্থানের কথা বলা হয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। তিরুচিরাপল্লীতে, নথর শাহ ওয়ালীর দরগা তৈরি হয় একটি শিব মন্দির ভেঙে। কোয়েম্বত্তুর, আন্নামালাই দুর্গ মেরামতের জন্য টিপু সুলতান মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করেছিলেন। চিংলেপুটের আচারওয়াকে শাহ আহমদের মাজার, কোভালামের মালিক বিন দিনারের দরগা একটি মন্দিরের উপর নির্মিত হয়। পাঁচ পদ্মমালাই পাহাড়ের নতুন নামকরণ করা হয় মওলা পাহাড়। একটি প্রাচীন গুহা মন্দিরের কেন্দ্রীয় হলটি মসজিদে পরিণত হয়। 

    উত্তর প্রদেশ: গোয়েলের দাবি, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, মথুরার শাহী ইদগাহ-সহ এই রাজ্যে ২৯৯টি স্থান রয়েছে যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ বা ইসলামিক স্থাপত্য নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। বইয়ে বলা হয়েছে, আগ্রার কালান মসজিদ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। আকবরের দুর্গে,ননদীর তীরবর্তী অংশটি জৈন মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়। আকবরের মাকবারা একটি মন্দিরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইলাহাবাদে আকবরের দুর্গ, মিয়া মকবুল ও হোসেন খান শহিদের মাজার মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। পাথর মহল্লায় মসজিদটি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরকে ভেঙে তৈরি হয়।

    তিনি লেখেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল রাম জন্মভূমির উপর। যা এখন দেশের শীর্ষ আদালতও মেনে নিয়েছে। শাহ জুরান ঘুরির মাজার একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। স্যার পাইগম্বর এবং আইয়ুব পইগম্বরের মাজার একটি বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়, যেখানে বুদ্ধের পায়ের চিহ্ন ছিল। পাভা কারবালাও একটি বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত। গোরখপুরের ইমামবাড়া, লখনউতে  তিলেওয়ালি মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। 

    তিনি আরও লেখেন, মেরঠের জামে মসজিদটি একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে। নৌচণ্ডীর দরগা ছিল নৌচণ্ডী দেবীর মন্দির। বারাণসীতে,জ্ঞানব্যাপি মসজিদটি বিশ্বেশ্বর মন্দিরের উপাদান ব্যবহার করে মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি বিতর্কিত কাঠামোতে একটি শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মথুরার শাহী ইদগাহ কৃষ্ণের জন্মভূমির উপরেই তৈরি, বলে বইতে দাবি করা হয়েছে।

    গোয়েল তার বইয়ে লিখেছেন যে তাঁর উল্লেখ করা তালিকাটি অসম্পূর্ণ। এটা শুধু একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ মাত্র। 

  • Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja) গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী। বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই এই পুজো করে থাকেন মহিলারা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পুজো করে থাকেন।

    আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। রথযাত্রা (Rath Yatra) থেকে উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। এবছর, ২ জুলাই শনিবার এবং ৫ জুলাই মঙ্গলবার পালন করা হবে এই বিপত্তারিণী ব্রত।

    বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। তবে, বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা নিয়ম নিষ্ঠা করে পালন করতে হয়। তবে না জেনে এই বিপত্তারিণী পুজো করলেই হতে পারে চরম বিপদ। 

    আরও পড়ুন: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

    বিপত্তারিণী পুজোর নিয়মবিধি—

    • বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়। 
    • এই দুদিন নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এমনকি, বাড়ির সকল সদস্যেরও নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত। 
    • যারা ব্রত পালন করবেন, পুজোর দিন চালের জিনিস যেমন ভাত, চিড়ে, মুড়ি একদমই খাওয়া উচিত নয়। 
    • বিপত্তারিণী ব্রত পালনের জন্য ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি, ১৩টি এলাচ সহ নৈবেদ্যের প্রয়োজন হয়।
    • বিপত্তারিণী পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল তাগা বা ডুরি। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডুরি (চলিত কথায় ডোর) তৈরি করতে হয়।
    • এই ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করতে হয়। বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।  
    • পুজো শেষের পর খাদ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও ১৩টি খাবার খেতে হবে, যেমন – ১৩টা লুচি, ১৩ রকমের ফল, ইত্যাদি। 
    • পুজো চলাকালীন পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। এর ফলে দেবী রেগে যেত পারে। বাড়িতে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
    • বিপত্তারিণী পুজোর সময় কিছু ভুল হলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। 
    • ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দিতে হয়। পুজোর পরে শুনতে হবে বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। 
    • বিপত্তারিণী পুজোর সময়ে কাউকে অপমান করবেন না। ভুল করে কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হন।
    • বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। বিশ্বাস, এদিন চিনি দিলে সংসারে অশান্তি ও আর্থিক সংকট দেখা যায়।
    • কোনও অন্ধকার-অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। এতে দেবী রুষ্ট হন এবং ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়।
    • বিপত্তারিণী পুজোর দিন নিকট সদস্য ছাড়া কাউকে টাকা ধার দেবেনও না, নেবেনও না। বিশ্বাস করা হয় যে, এই সময় প্রদত্ত অর্থ ফেরত আসে না।

    আরও পড়ুন: যোগিনী একাদশী কবে জেনে নিন, ব্রত পালনের নিয়মবিধি জানেন তো?

LinkedIn
Share