Blog

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) নেতা-খুনের ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক (Karnataka) সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, এই ঘটনায় দোষীদের ধরতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (National Investigating Agency) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় দুটো রাজ্যের যোগ রয়েছে। কেরল এবং কর্ণাটক দুই রাজ্যের অন্তর্বর্তী ইস্যু এটি। তাই এই ঘটনার সত্য উদঘাটনে কেন্দ্রের উপরই ভরসা রাখছে রাজ্য। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    সম্প্রতি কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে মুখোশ পরা দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন (Man Stabbed to Death) বিজেপি যুব নেতা প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। মঙ্গলবার রাতে কর্ণাটকের দক্ষিণ জেলার বেল্লোরে মোটরবাইক সওয়ার কয়েক জন দুষ্কৃতী প্রবীণ নেত্তারু নামে ২৩ বছরের বিজেপি যুব মোর্চার ওই নেতার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর জখম ২৩ বছরের ওই যুবনেতাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমে  জাকির ও শাফিক নামে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে,উপযুক্ত প্রমাণের সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা এডিজিপি অলোক কুমার জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া  ব্যক্তিদের পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই সংযোগ ও তাঁদের উদ্দেশ্য তদন্ত করে দেখছি।’ পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের মোটরবাইকে কেরলের নম্বর প্লেট ছিল। সেই রাজ্যেও একটি অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে আরও খবর জানার চেষ্টা চলছে।

  • Mukesh Ambani: পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    Mukesh Ambani: পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) হারিয়ে ফের এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা ফিরে পেলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)।

    এই মুহূর্তে আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৯.৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮.৭ বিলিয়ন ডলার। গোটা বিশ্বের নিরিখে এই দুই ধনকুবেরের স্থান যথাক্রমে অষ্টম এবং নবম। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক। দুই, তিন, চার নম্বরে রয়েছেন জেফ বেজোস, বার্নার্ড আর্নল্ট ও বিল গেটস।

    গত এপ্রিলে এই তালিকাতেই চার নম্বরে ছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু এবার সেই তালিকায় অনেকটাই নীচে নেমে এলেন তিনি। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই আম্বানি ও আদানির মধ্যে চলছে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির  শিরোপা জেতার লড়াই। কখনও আম্বানি শীর্ষে থেকেছেন, কখনও আবার সেই স্থান কেড়ে নিয়েছেন গৌতম আদানি।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    করোনার সময়ে গৌতম আদানির খুব দ্রুত গতিতে উত্থান হয়েছিল। গত এপ্রিলেই তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে এবার সেই পরিমাণ এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা কমেছে। আর সে কারণেই তালিকাতে এই পতন। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকেই আম্বানির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করে আদানি গ্রুপ।

    বৃহস্পতিবার রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বাড়তেই একদিনে ৯৮.৬ মিলিয়ন ডলার ঢুকেছে আম্বানির পকেটে। আর তাতেই এই উত্থান। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনাপ্রবাহকে কাজে লাগিয়েই ফুলে ফেঁপে উঠেছে রিলায়েন্স গ্রুপ। দেশের ১০ জন ধনকুবেরদের নয়া তালিকায় আদানি দুই নম্বরে থাকলেও, ২০২১ সালে আদানির সম্পদের পরিমাণ ২৬১ শতাংশ বেড়েছে!

    বিশ্বের ধনকুবেরদের একটি তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। ধনকুবেরদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখে তারা। তাদের মতে, মুকেশের সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি ৫৯ লক্ষ মার্কিন ডলার বেড়েছে, অন্যদিকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ কোটি ৯৬ লক্ষ মার্কিনর্কি ডলার বেড়েছে।

    শুক্রবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (BSE) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মূল্য ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিগত দুদিনে শেয়ারের দর মোট ৭% বেড়েছে। ২০২২ সালে রিলায়েন্স শেয়ারের মূল্য সব মিলিয়ে ১৬.৬১ শতাংশ বেড়েছে এবং গত বছর এই শেয়ার থেকে ২৭ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া গিয়েছিল। মার্চ মাসে কোম্পানির ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল এই সংস্থা ২২.৫ শতাংশ মুনাফা করেছে যার মোট পরিমাণ ১৬ হাজার ২০২৩ কোটি টাকা। গত বছর মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। গত বছর সংস্থার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। এক কথায় গোটা বছর ধরে লাভের মুখ দেখেছে আম্বানির গোষ্ঠী।

  • Social Media: সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম আরও কঠোর করার পথে কেন্দ্র?

    Social Media: সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম আরও কঠোর করার পথে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া (social media) ভিত্তিক নিয়মগুলিকে আরও কঠোর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার (Govt of India) নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ট্যুইটার, ফেসবুক, গুগল, ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির জন্যে নতুন “গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি” (grievance appellate committee) বা অভিযোগ জানানোর জন্য কমিটি গঠন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিতে থাকা বিভিন্ন তথ্য বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে৷

    ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (MeitY) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে এক বা একাধিক অভিযোগ আপিল কমিটি গঠন করবে।” এই কমিটি এধরনের অভিযোগের দিকে বিশেষ নজর রাখবে ও অভিযোগ দায়ের করার ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে কমিটির প্রতিটি নির্দেশকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে মেনে চলতে হবে।  

    সরকার বলেছে যে, অভিযোগকারী সরাসরি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরিবর্তে এই কমিটিতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। সুতরাং, ব্যবহারকারী যদি অফিসারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে চায় তাহলেও কমিটির কাছে দায়ের করতে পারবেন অভিযোগ। বর্তমানে, ব্যবহারকারীরা কোনও বিষয়বস্তুতে আপত্তি জানাতে বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে সরাসরি আদালতে যান। তবে সরকার এবার grievance appellate committee গঠন করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সমস্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    এদিকে, নতুন নিয়ম বা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের ফলে চিন্তিত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি, যার অধিকাংশই মার্কিন। সংস্থাগুলির মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক নিয়মগুলি গতবছরই বেশ কঠোর ছিল। প্রকৃতপক্ষে, গত বছর নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরে কিছু অ্যাকাউন্ট সরানো এবং ব্লক করা নিয়ে সরকার এবং টুইটারের মধ্যে সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছিল।

    তবে এই নিয়ে অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার-গঠিত grievance appellate committee কীভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে ও কিভাবে নিরপেক্ষভাবে রায় দিতে পারে, এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এক আইনজীবী। তিনি বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন মত ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে অসংখ্য ঝগড়া রয়েছে। যে সদস্যরা নির্দেশিকা অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে যেকোনও পদক্ষেপ প্ল্যাটফর্মের নিজের বা আদালত দ্বারা নেওয়া ভাল। সরকারের এতে প্রবেশ করা উচিত নয়।”

    গত বছর, সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইনের (Information Technology Act) অংশ হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর মতো ওভার-দ্য-টপ (OTT) প্ল্যাটফর্মগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্যও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছিল। এটি আইটি আইনের ৬৯এ ধারা অধীনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগের সমাধান করা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    নিয়মে বলা হয়েছে, যে কোনও তথ্য বা যোগাযোগের লিঙ্কগুলি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর দাবি নিয়ে করা যে কোনও অভিযোগ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিকার করা হবে এবং ব্যবহারকারীদের দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও অপব্যবহার এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

  • Kashmir Killings: অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    Kashmir Killings: অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের শিকার হলেন ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে বদগামে দুই শ্রমিককে গুলি করে জঙ্গিরা। তাঁদের মধ্যে এক জন নিহত হয়েছেন। আহত এক জন। তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। কুলগাম জেলায় একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলা। গুলি লাগার পর দু’জন শ্রমিককেই নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরেই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা এলাকা।

    পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দুই শ্রমিক চাদুরা এলাকায় মগ্রেপোরায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে চড়াও হয় জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকরা তখন ইটভাটায় কাজ শেষে ফিরছিলেন। দুই শ্রমিককে চিহ্নিত করে গুলি করা হয়। আহত শ্রমিকদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা গুরুতর জখম দিলখুশ কুমারকে (১৭) শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে স্থানান্তরের পরমর্শ দেন। দিলখুশের বুকে গুলি লাগে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুরিও নামে আর এক জখম শ্রমিকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তাঁর কাঁধে-হাতে গুলি লেগেছিল। তাঁকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরেও জঙ্গিদের গুলির শিকার হয়েছিলেন বিহারের তিন শ্রমিক।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে দুই শ্রমিকের উপর গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ এ ব্যাপারে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। তদন্ত চলছে এবং আধিকারিকরা এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং তল্লাশি চলছে, বলে পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি বেড়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশ ও সেনার চরম তৎপরতায় পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গত কয়েক মাসে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গেছে, একের পর এক সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা। শুক্রবার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • UPSC 2021: লক্ষ্যে অবিচল! মা ঝাড়ুদার, বাবা দিনমজুর, ছেলে আইএএস অফিসার!

    UPSC 2021: লক্ষ্যে অবিচল! মা ঝাড়ুদার, বাবা দিনমজুর, ছেলে আইএএস অফিসার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। উচ্চ আশা, লক্ষ্য স্থির থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে পরিশ্রমই শেষ কথা। আর লাগে মনের জোর। আবারও তা প্রমাণ করলেন তেলঙ্গানার ২৯ বছরের ছেলে আকুনুরি নরেশ (Akunuri Naresh)। মা, কারখানায় জমাদারের কাজ করেন, বাবা দিনমজুরের আর ছেলে হতে চলেছেন আইএএস অফিসার। 

    আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও

    তেলঙ্গানার কাশিমপল্লী গ্রামে (Kashimpally village) জন্ম। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। আর্থিক অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। বাবা আইলাহ দিনমজুরের কাজ করেন, মা স্থানীয় কারখানায় জমাদারের কাজ করতেন। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল নরেশের। লেখাপড়া চলত হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেই। কষ্ট করেই স্কুলের গণ্ডি পার করে সে। দ্বাদশ শ্রেণির ফল ভাল হওয়ায় স্কলারশিপ নিয়ে মাদ্রাজ আইআইটিতে ভর্তি হয়। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৫ সালে সেখান থেকে আইআইটি পাশ করেন। 

    এরপর চেন্নাইয়ের সিটি ব্যাঙ্কে উচ্চপদস্থ পদে চাকরি পান নরেশ। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই আইএএস পরীক্ষার কোচিং নেন। প্রথমবার ২০১৭ সালে আইএএস পরীক্ষায় বসেন। ২০১৯ সালে ৭৮২ নম্বরে ছিল তাঁর নাম। ২০২১ সালে পঞ্চমবার পরীক্ষা  (UPSC 2021) দিলেন। এবার ১১৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়ে খুশি নরেশ। আইএএস (IAS) না হলেও আইপিএস (IPS) নিশ্চিত। সম্পূর্ণ হয় সাধারণ ছেলের অসাধারণ কাহিনি। 

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    নরেশ বলেন, “বাবা-মা কোনওদিন তাঁকে জোড় করেননি। পড়াশোনা করে যেতে বলেছেন। আর্থিক অনটন দূর করতে একটা চাকরির উপরেও ভরসা করতে বলেননি। তাই এই কৃতিত্ব তাঁদের।” বাবা-মায়ের সঙ্গেই পাশে পেয়েছেন স্ত্রীকেও জানান নরেশ। দাদা সুরেশ সরকারি দফতরে উচ্চপদে কর্মরত। কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনা করছেন তিনিও। তাই দাদা ছিল নরেশের প্রেরণা। এবার গরিবদের জন্য, পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বার্থে কাজ করতে চান বলে জানান নরেশ। ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা। বাবা, আইলাহ বলেন, “ওর লড়াই সফল হল। আমরা খুশি।”

  • Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দর (Haifa Port) কিনেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বন্দরের সম্পর্ক আজকের নয়। তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১০০ বছর আগে— যখন অটোমান এবং জার্মানদের হাত থেকে এই বন্দর উদ্ধার করেছিল ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনা। ইতিহাসের সরণী বেয়ে ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা—

    সময়টা ১৯১৮। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র বল্লম সম্বল করে ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনারা (Cavalry) মেশিনগানধারী জার্মান-অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলের (Israel) হাইফা শহরকে। এই ঘটনা বদলে দেয় সেনার ইতিহাস। এই ঘটনার দুমাস পরেই শেষ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। পৃথিবী এমনভাবে বদলে যায়, যার কল্পনা কেউ কোনওদিন করেনি। ভারতীয়রা ইজরায়েলে আজ কেন এত সমাদৃত, তা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ১০০ বছর পিছনে।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    প্রেক্ষাপট

    ইজরায়েলের হাইফা শহর তখন জার্মান এবং তুর্কিদের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন মধ্যগগনে। বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে তখন দখলের চেষ্টায় রয়েছে অ্যালাইড ফোর্স বা মিত্র সেনা এবং সেন্ট্রাল পাওয়ারের দেশগুলি। কারণ বন্দরগুলিকে দখল করতে পারলে শহর দখল করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে যুদ্ধ জেতা সহজ হত। হাইফা তৎকালীন সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর ছিল।

    মিত্র বাহিনীর অন্তর্গত ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং রাশিয়ার নজরে ছিল হাইফা, নাজারেথ এবং দামাস্কাস। এই হাইফা এবং নাজারেথ বর্তমান ইজরায়েলের অংশ। দামাস্কাস বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী। জার্মান- অটোমানদের থেকে এই হাইফা বন্দর ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ফিফটিনথ ক্যাভালরি ব্রিগেডের ওপরে। 

    হায়দ্রাবাদ, মাইসোর, পাটিয়ালা, আলওয়ার এবং যোধপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপের অন্তর্গত এই বল্লমধারী ঘোড়সওয়ার সেনাদের। ভারতীয় বল্লমধারী সেনাদের নিয়ে গঠিত এই ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীকে হাইফা বন্দর আক্রমণের নির্দেশ দেয় ইংরেজ সরকার। কারণ তখন ইংরেজ সৈনিকরা অন্যত্র পাহারায় ব্যস্ত ছিল। 

    কিন্তু এ ছিল এক অসম্ভব এবং অসম যুদ্ধ। কারণ হাইফা শহরের একটু আগেই কারমেল পর্বতে, যুদ্ধের জন্যে সুবিধাজনক উঁচু স্থানে পাহাড়ায় ছিল জার্মান, অস্ট্রিয়ান এবং অটোমান সেনারা। তাদের হাতে ছিল উন্নত আর্টিলারিগান, মেশিনগান। আর ভারতীয় সেনাদের ভরসা শুধুই বল্লম। ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পাহাড় চড়াও প্রায় এক অসম্ভব কাজ। যেন এক ‘সুইসাইডাল মিশন’। কিন্তু সেদিন এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিল ভারতীয় সেনা।   

    যুদ্ধ

    ভারতীয় সেনারা জানতে পারেন, অটোমানরা পাহাড়ের ঢালু অংশের দিকে সবথেকে বেশি মাশিগানধারী সেনা মোতায়েন করেছে। কামান নিয়ে সেনারা পাহাড়ের চার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। মাইসোর ল্যান্সারদের ওপর মেশিনগানধারী সেনাদের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করার দায়িত্ব পরে। যাতে তারা মেশনগানের আগুনের হাত থেকে যোধপুর ল্যান্সারদের (Lancer) সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং তারা (যোধপুর ল্যান্সার) যাতে উত্তরদিক থেকে আক্রমণ করে কারমেল পাহাড় এবং হাইফা শহর সহজেই দখল করতে পারে।  

    ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেইমতো মাইসোর ল্যান্সাররা পাহাড়ের নীচের ভাগে আক্রমণ চালায়। আর যোধপুর ল্যান্সাররা আক্রমণ চালায় পাহাড়ের মূল অংশে জার্মান সেনাদের ওপরে। অবরোধ করা হয় রাস্তা। মেশিনগান এবং আর্টিলারির সামনে পড়ে যায় যোধপুর ল্যান্সাররা। নদীর চোরাবালিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তারা। কিন্তু এত বাধার পরেও হাইফা শহরে উপস্থিত হয় যোধপুর ল্যান্সাররা। তাদের পেছনেই শহরে ঢোকে মাইসোর ল্যান্সাররা। মেশিনগান, বুলেট কিছুই দমাতে পারেনি এই ভারতীয় বীরদের। ভয়ঙ্করভাবে আহত হওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। 

    ঘোড়সওয়ারদের এই দুই রেজিমেন্ট যৌথভাবে ২ জার্মান অফিসার এবং ৩৫ অটোমান অফিসারসহ ১৩৫০ জার্মান এবং অটোমানকে বন্দি বানায়। এছাড়াও ১৭টি আর্টিলারি গান, আটটি ৭৭ এমএম বন্দুক, চারটে ক্যামেল গান ও নেভাল গান এবং ১১টি মেশনগান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জয় কি বলিদান ছাড়া আসে! ভারতীয় সেনাদেরও এই জয়ের মূল্য চোকাতে হয়েছিল। যুদ্ধে ৮ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ জ্যায়। আহত হয় ৩৪ জন।

    ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর দলপত সিং- প্রাণ হারান যুদ্ধে। তাঁর বীরত্বের পুরো ঘটনা ইজরায়েলের পাঠ্যপুস্তকে আজও পড়ানো হয়। ‘হিরো অফ হাইফা’- র খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই যুদ্ধে হতবাক হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কীভাবে কয়েক জন বল্লমধারী, ঘোড়সওয়ার সেনা সংখ্যায় বহুগুণ বেশি মেশনগানধারী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল! 

    যুদ্ধের তাৎপর্য 

    সেদিনের যুদ্ধ যে শুধু হাইফা দখলের জন্যই ছিল, তা নয়। ওই যুদ্ধের পর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তুর্কী এবং জার্মান সেনাদের। এছাড়াও ভারতীয় সেনাদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে ইংরেজ সরকারের। এরপর থেকে ভারতীয়দের দিয়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ানোও শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরেই ১৯২২ সালে দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।

    ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা 

    স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি নতুন ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট তৈরির কথা ভাবা হয়। মাইসোর এবং যোধপুর ল্যান্স্যারদের স্মরণে ১৯৫২ সালে জয়পুরে ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। এটাই পৃথিবীর সর্বশেষ ঘোড়সওয়ার বাহিনী। পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক সম্মান পেয়েছে ভারতের এই ঘোড়সওয়ার বাহিনী। 

    হাইফা যুদ্ধে নিহত ভারতের বীর সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির তিন মূর্তি চকে একটি স্মৃতি সৌধ বানিয়েছে ভারত সরকার। ২০১৮ সালে ওই জায়গার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইফা চক’।

  • UPSC  2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    UPSC 2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিসের চূড়ান্ত ফল (UPSC Civil Services 2021 Final Result) প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬৮৫ জন। সাফল্যের নিরিখে এবার পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন মেয়েরা। মেধাতালিকার শীর্ষ তিন স্থান দখল করেছেন তিন কন্যা।

    প্রথম স্থানে রয়েছেন দিল্লির শ্রুতি শর্মা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতার অঙ্কিতা আগরওয়াল। তৃতীয় স্থান পেয়েছেন চণ্ডিগড়ের গামিনী সিংলা। পুরুষদের মধ্যে প্রথম, মেধা তালিকায় চতুর্থ হয়েছেন ঐশ্বর্য বর্মা।

    উত্তরপ্রদেশের বিজনোর শহরের বাসিন্দা শ্রুতি স্কুলের গণ্ডি টপকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর যোগ দেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিহাসের ছাত্রী শ্রুতি পড়াশোনার পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের (UPSC Civil Services 2021) প্রস্তুতির জন্য জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া রেসিডেন্সিয়াল কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরই মিলল সাফল্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার জামিয়া মিলিয়ার এই কোচিং সেন্টার থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী দেশের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার মেয়ে অঙ্কিতা। স্কুলজীবন কেটেছে এই শহরেই। তার পর কলেজের পাঠ নিতে দিল্লি যাত্রা। সেখানেই কর্পোরেটে চাকরি, ইউপিএসইসি পরীক্ষা দিয়ে রাজস্ব সার্ভিসে যোগ, তার পর ফের পরীক্ষা দিয়ে অবশেষে স্বপ্নপূরণ— আইএএস। 

    এ বারের পরীক্ষায় মোট ৬৮৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Union Public Service Commission)। মোট ৭৪৯টি শূন্যপদের ঘোষণা করেছিল ইউপিএসসি। এর মধ্যে ১৮০ জন হবেন আইএএস, ৩৭ জন হবেই আইএফএস, ২০০ জন হবেন আইপিএস, ২৪২ জন হবেন সেন্ট্রাল সার্ভিস গ্রুপ এ ও ৯০ জন হবেন গ্রুপ বি।

    আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও

    প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, মেধা তালিকার প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। ছবছর পর আবার শীর্ষে মেয়েরা। ২০১৫ সালে প্রথম চার জন ছিলেন মহিলা। সাফল্যের শীর্ষে থাকা মেয়েরা জানান, নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করতে চান তাঁরা।

    [tw]


    [/tw]

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেনই, “সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা। আমরা যখন দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছি, সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই নবপ্রজন্ম আমলা হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করছেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের অনেক শুভেচ্ছা।”

  • WhatsApp: ভুলবশতঃ হোয়াটস্যাপ মেসেজ ডিলিট করেছেন? চিন্তা নেই, আসছে নতুন ফিচার!

    WhatsApp: ভুলবশতঃ হোয়াটস্যাপ মেসেজ ডিলিট করেছেন? চিন্তা নেই, আসছে নতুন ফিচার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটস্যাপ (Whatsapp) এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ডিলিট করা ম্যাসেজ আবার ফিরে পেতে পারেন মুহূর্তের মধ্যে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন। কোনও ম্যাসেজ ডিলিট করার অপশন হোয়াটস্যাপ আপনাকে আগেই দিয়েছে অথবা কোনও ম্যাসেজ কোনও গ্রুপে ভুলবশত চলে গেলে সেটি সবার জন্য ডিলিট (Delete For everyone) করে দিতে পারেন। কিন্তু সমস্যায় তখনই পড়তে হয়, যখন ম্যাসেজটি ভুলবশত শুধুমাত্র ‘ডিলিট ফর মি’ (Delete for me) হয়ে যায়। তখনই চিন্তায় পড়ে যায় ব্যবহারকারীরা।

    আরও পড়ুন: মেসেজ রিঅ্যাকশন ফিচার নিয়ে হাজির হোয়াটসঅ্যাপ, ভারতীয়দের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন

    তবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান নিয়ে আসতে চলেছে হোয়াটস্যাপ। ডিলিটেড ম্যাসেজ আবার ফিরে পেতে ‘আনডু’ (Undo) অপশন আসতে চলেছে হোয়াটস্যাপে। নতুন বৈশিষ্ট্য আসার পর দেখা যাবে, আপনি যখন এরপর কোনও ম্যাসেজ ডিলিট করতে যাবেন, তখন ‘ডিলিট ফর মি’ (Delete for me) ক্লিক করলেই আপনার মোবাইলের স্ক্রিনে ‘আনডু’ (Undo) অপশনটি চলে আসবে। সুতরাং আপনাকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হয় যে আপনি ম্যাসেজটি ডিলিট করতে চান কিনা। এমন অপশন টেলিগ্রামেও দেখা যায়, যেখানে ব্যবহারকারীকে কিছু সময় দেওয়া হয় ম্যাসেজটি আবার ফিরিয়ে আনার জন্য।

    আরও পড়ুন: এই ভুলটা করলেই হ্যাক হয়ে যাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ! জেনে নিন এর থেকে বাঁচার উপায়…

    হোয়াটস্যাপে শুধুমাত্র এই ফিচারের ওপর কাজ করা হচ্ছে না, কোনও ফাইল শেয়ারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে যেমন হোয়াটস্যাপ থেকে ১০০ এমবি -এর বেশি বড় ফাইল শেয়ার  করা যেত না, তেমন এখন থেকে ১০০ এমবি-এর বড় ফাইল ২ জিবি (big file sharing) পর্যন্তও পাঠাতে পারবেন। যদিও এই অপশনটি এখনও পুরোপুরিভাবে আপডেট করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হিস্ট্রি ব্যাক-আপ চাইছেন? জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

    এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে আরও নতুন ফিচার যেমন- ‘এডিটিং সেন্ড চ্যাটস’ (Editing send chats), ‘সেভ ডিসঅ্যাপেয়ারিং কনভারসেশন’ (save disappearing conversation) ইত্যাদির ওপর কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার নিয়ে এসেছিল। যেখানে ভয়েস মেসেজ রেকর্ডিং  পজ (Pause) করা যাবে।  এছাড়া এবার কোনও চ্যাট থেকে বাইরে বেরিয়েও ভয়েস মেসেজ শুনতে পারবেন আপনি।

    অর্থাৎ, এতদিন কারও ভয়েস মেসেজ (whatsapp voice message) শুনতে হলে তার চ্যাট উইন্ডো খুলে শুনতে হত। ততক্ষণ অন্য মেসেজ চেক করা যেত না। কিন্তু এবার থেকে আপনি তা করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আর কী কী নতুন ফিচার আসতে চলেছে সেটিই এখন দেখার।

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) ও মুসলমানদের (Musalman) উচিত তাঁদের মধ্যে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা। দিন কয়েক আগে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) দীক্ষান্ত ভাষণে একথা বলেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দু-মুসলিম (Hindu-Muslim) সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য আরএসএসের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। নাগপুরে সম্প্রতি তিনি যা বলেছেন, তাও তাঁর পূর্ববর্তী বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আরএসএস (RSS) ভারতের সমস্ত ধর্ম ও তার অনুসারীদের একটি জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। আরএসএস মনে করে তারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    ১৯৭১ সালে ডক্টর সইফুদ্দিন জিলানিকে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএসের দ্বিতীয় সংঘচালক এমএস গোলওয়ালকার বলেছিলেন, ভারতীয়করণ মানে সমস্ত মানুষকে হিন্দু ধর্মে রূপান্তরিত করা নয়। বরং আমরা সবাই উপলব্ধি করি যে আমরা এই মাটির সন্তান এবং আমাদের এই মাটির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। আমরা সবাই একই সমাজের এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা অভিন্ন। এটা বোঝাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয়করণ।

    তিনি বলেছিলেন, ভারতীয়করণের অর্থ এই নয় যে একজনকে তাঁর ধর্মীয় ব্যবস্থা ছেড়ে দিতে বলা। আমরা এটা বলিনি, বলছিও না। বরং আমরা বিশ্বাস করি যে সমগ্র মানব সমাজের জন্য একটি ধর্মীয় ব্যবস্থা যথাযথ নয়। সংঘচালকের এই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকরের বক্তব্যেও। ‘দ্য আরএসএস রোডম্যাপস টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরাও হিন্দু জীবনধারা অনুসরণ করেছিলেন। আমাদের দেশে কয়েক হাজার বছর ধরে উপাসনার বিভিন্ন ধারা গড়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    তিনি বলেন, ভারতীয় হয়ে জন্ম নেওয়া মানে ভারতীয় সংস্কৃতির বংশধর হওয়া। তাঁর মতে, মাতৃভূমি কোন আঞ্চলিক মানচিত্র নয়, এটি একটি মহান আধ্যাত্মিক সত্তা। হিন্দু রাষ্ট্র মানেই যে মুসলিম বিরোধী, তা নয় বলেই জানান আম্বেকর। তিনি বলেন, হিন্দু রাষ্ট্র মুসলিম-বিরোধী নয়। হিন্দুত্বকে একটি সংকীর্ণ ধারণা হিসাবে উপস্থাপন করা একেবারেই ভুল।

    প্রায় একই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে আরএসএস মতাদর্শ অনুসারী মনমোহন বৈদ্যের গলায়ও। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা বিশ্বাস করি যে সমস্ত ধর্ম একই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই সব ধর্মই সমান। ভারতে ৯৯ শতাংশ মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মান্তরিত হয়েছেন। এঁদের উৎপত্তি ভারতে। আরএসএস সব ভারতীয়কেই হিন্দু বলে মনে করে। এঁরা এই জাতিকে তাঁদের মাতৃভূমি বলে মনে করেন এবং এর জন্য মরতেও প্রস্তুত। তাঁরা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে উপাসনা করছেন, তা বড় কথা নয়, সংঘের চোখে তাঁরা সবাই হিন্দু।

    বস্তুত, আরএসএসের চোখে হিন্দু (Hindu) ও ভারতীয় (Indian) শব্দ দুটি সমার্থক। আসলে আরএসএসের লক্ষ্য হল ভারতকে (India) একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুরই বারবার ধরা পড়েছে সংঘ প্রধানদের গলায়।

     

     

  • KIYG: ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস’-এ প্রথম সোনা জিতলেন ‘চাওয়ালা’র মেয়ে!

    KIYG: ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস’-এ প্রথম সোনা জিতলেন ‘চাওয়ালা’র মেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২২ (Khelo India Youth Games 2022)- এ প্রথম সোনাটি জিতে নিলেন কাজল সারগার (Kajol Sargar)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাংলির মেয়ে কাজলের বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। তিন বছর আগেও খেলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না কাজলের। তারপর দাদার সঙ্গে দেখা করতে রোজ জিমে যাওয়া শুরু করলেন। কাজলের দাদাও একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারোত্তলক।

    প্রতিদিন জিমে যাওয়া-আসাতেও ক্রীড়ার ময়দানে আসার সম্ভবনা দেখা দেয়নি। কিন্তু একদিন হঠাতই সব বদলে গেল। ২০১৯ সালে নিজেরই এলাকার মেয়ে রূপা হাংগান্দিকে খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমসে সোনা জিততে দেখলেন। সেদিনই কাজল ঠিক করে নিয়েছিলেন, একদিন ওই পোডিয়ামে নিজেও দাঁড়াবেন। 

    আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেও এশিয়া কাপ হকি ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত

    প্রতিযোগিতা জেতার পরে কাজল বলেন, “আমার দাদা আমার থেকে প্রায় ৫ বছরের বড়। খেলাধুলো নিয়ে কখনও দাদার সঙ্গে কথা হতো না।  রূপা হাংগান্দিকে দেখেই আমার ইচ্ছে জাগে। মনে হয় আমারও ভারোত্তলন করা উচিত।”

    ‘ময়ূর সিংহাসন’ থেকে প্রশিক্ষিত কাজল। মেয়েদের ৪০ কেজি ক্যাটেগরিতে ১২৩ কেজি ভারোত্তলন করেছেন তিনি। স্ন্যাচে ৬০ কেজি, ক্লিন এবং জার্কে ৬৩ কেজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেখামণি উত্তোলন করেছেন ১০৯ কেজি। স্ন্যাচ ৫২ কেজি, ক্লিন এবং জার্ক ৫৭ কেজি। তৃতীয় স্থানে থাকা অরুণাচল প্রদেশের সন্ধ্যা গাঙ্গুলি উত্তোলন করেছেন ১১ কেজি। স্ন্যাচ ৪৭ কেজি, ক্লিন এবং জার্ক ৬৩ কেজি।

    আরও পড়ুন: পেলের আরও কাছে নেইমার! দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে হারাল ব্রাজিল 

    ২০২১ সালে পাতিয়ালায় ইউথ ন্যাশনালে ব্রোঞ্চ জিতেছিলেন কাজল। কিন্তু হাতে চোট পাওয়ার কারণে আগের ক্যাটেগরিতেই এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাজল। কাজল বলেন, “আমি ৭০ কেজিতে অনুশীলনের চেষ্টা করছিলাম। হাতে চোট থাকায় আমি দু’মাস সবকিছুর বাইরে ছিলাম। ভুবনেশ্বরে জাতীয় প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করতে পারিনি।”  

    ভারতকে আন্তর্জাতিক ক্রিড়া স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত সরকারের অভিনব উদ্যোগ খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস (KIYG 2022)। ৪ জুন এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোট ২৫ টি বিষয় রয়েছে এই ক্রিড়া প্রতিযোগীতায়।  

    শুটিং, সাঁতার, টেনিস, টেবিল টেনিস, ঠ্যাং-টা, ভলিবল, ভারোত্তলন, কুস্তি, যোগাসন, আর্চারি, অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, বাসকেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফুটবল, গাটকা, হকি, জিমন্যাস্টিকস, জুডো, কাবাডি, কালারিপায়াত্তু, খোখো, লন বোলিং, মাল্লাখাম্ব। চণ্ডীগড়, দিল্লি, হরিয়ানায় আয়োজিত হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ১০ জুন অবধি।  

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share